গল্প: কিং
লেখক: মোঃ শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার
পর্ব: ৪
___শাহরিয়ার আজ একটু দেড়িতেই ভার্সিটিতে গেলো।ভার্সিটিতে গিয়ে শাহরিয়ার দেখতে পেলো
যে মেঘলাএকটা গাছের নিচে মন মরা হয়ে বসে আছে । যা দেখে শাহরিয়ার মুচকি একটা হাসি দেয়।যা মেঘলার চোখ এরায় নি।
___ তারপর মেঘলা শাহরিয়ারের সামনে এসে বলল
মেঘলাঃ ওই ছোটলোকের বাচ্চা হাসলি কেনো?
শাহরিয়ারঃ ম্যাডাম আমি হাসতেও কি পারবো না?
মেঘলাঃ না পারবি না তোর মতো ছোটলোক আমার সামনে হাসলে আমার সয্য হয় না ।
শাহরিয়ারঃ ......................
মেঘলাঃ তোর এর জন্য শাস্তি পেতেই হবে
____কথাটা বলেই পা থেকে জুতা খুলে শাহরিয়ারের
দু গালে দুটো জুতার বারি মারে
তারপর মেঘলা তার গাড়ি নিয়ে ভার্সিটি থেকে চলে যায় আর ভার্সিটির সবাই শাহরিয়ারকে আঙ্গুল দেখিয়ে হাসতে থাকে ।
শাহরিয়ারঃ মেঘলার জন্য আমার ক্লাস করার ইচ্ছেটাই মরে যায় তারপর আমিও ভার্সিটি থেকে চলে যাই।নির্জন এক রাস্তা দিয়ে হাটছি। আর পুরনো সেই দিন গুলোর কথা ভাবছি। কতই না শুখে ছিলাম আমি। কিন্তু তোদের কারনে আমার জীবনটা
ছারখার হয়ে গেছে ।তোরা দুনিয়ার
যে প্রান্তেই থাকিস না কেনো তোদের মৃত্যু খুব সিঘ্রই ঘনিয়ে আসতাছে।হঠাৎ সামনে দেখতে পেলাম
একটা গাড়ি গাছের সাথে একসিডেন্ট করছে ।
গাড়িটা খুব চেনা চেনা লাগলো
তারপর আমি গাড়ির সামনে গিয়ে দেখতে লাগলাম
ভিতরে কেউ আছে কিনা আর গাড়ির ভিতরে যাকে
দেখলাম।তাকে দেখে আমি চমকে যাই। গাড়ির
ভিতরে মেঘলা রক্তাত্ত অবস্থায় পরে আছে।
মেঘলার মাথা থেকে প্রচুর রক্ত পরছে আমি
তারাতারি করে মেঘলাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে
কোলে তুলে হাসপাতালের দিকে ছুটতে লাগলাম।
আপনার কিছু হবেনা ম্যাডাম একটু ধর্য ধরুন।
___ মেঘলা একটু একটু চোখ খুলে দেখলো
শাহরিয়ার কোলে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে?
মেঘলাঃ যেই মানুষটাকে সবার সামনে এতো
অপমান করলাম কষ্ট দিলাম আঘাত দিলাম ।
আজ সেই মানুষটাই আমাকে বাচানোর জন্য
অস্থির হয়ে পড়েছে।( মনেমনে)
শাহরিয়ারঃ তারপর আমি মেঘলাকে হাসপাতালে
নিয়ে এসে।আমি ডাক্তার ডাক্তার বলে চিৎকার
করতে লাগলাম তারপর ডাক্তার এসে মেঘলাকে
তারাতারি করে অপারেশন থ্রেয়েটারে নিয়ে গেলো।
___কিছুক্ষন পর ডাক্তার অপারেশন থ্রেয়েটার
থেকে বের হয়।
শাহরিয়ারঃ ডাক্তার ডাক্তার পেশেন ঠিক আছে তো
ডাক্তারঃ তুমি সঠিক সময় নিয়ে এসেছো। না হলে
তাকে আর বাঁচানো যেতোনা। পেশেন সম্পিুর্ন ঠিক
আছে কয়েক দিন রেস্ট নিলে ঠিক হয়ে যাবে
___কথাগুলো বলেই তারপর ডাক্তার চলে যায়____
খবর পেয়ে মেঘলার বাবা মা হাসপাতালে আসে আর
শাহরিয়ার তার বাসায় চলে যায় । পরের দিন
শাহরিয়ার ভার্সিটিতে এসে ক্লাসে গিয়ে পিছনের ছিটে গিয়ে বসে ।কিছুক্ষন পর মেঘলা ক্লাসে এসেই
শাহরিয়ারের কাছে এসে বলতে লাগলো।
মেঘলাঃ কালকে না বলে চলে গিয়েছিলে কেনো
শাহরিয়ারঃ না মানে ম্যাডাম এমনি।
মেঘলাঃ আজকে থেকে আর আমাকে ম্যাডাম বলে
ডাকবেনা।
শাহরিয়ারঃ তাহলে কি বলে ডাকবো
মেঘলাঃ নাম ধরে ডাকবে।
শাহরিয়ারঃ না ম্যাডাম আমার মতো ছোটলোক
আপনার নাম ধরে ডাকার সোভা পায়না।
মাপ করবেন।আপনার নাম ধরে ডাকতে পারবো না।
,___ তারপর মেঘলা কিছু বলার আগেই ক্লাসে
স্যার চলে আসলো আর মেঘলা তার ছিটে গিয়ে
বসলো,,,
স্যারঃ তোমাদের সবার জন্য একটা খবর আছে
কালকে আমাদের ভার্সিটিতে একটা বিরাট অনুষ্ঠান
হবে যেখানে ভার্সিটির সব ছাত্র ছাত্রী সহ শহরের
সব মানুষ অপস্থিত থাকবে। আর এই অনুষ্ঠানের
প্রধান অতিতি হলো দেশের সফল টপ বিজনেস
ম্যান ইয়াকুব আলি ।
শাহরিয়ারঃ নামটা শুনেই বুকের ভিতর মোচর
দিয়ে উঠলো।আর চোখ থেকে দু ফোটা জল
গড়িয়ে পরলো।
স্যারঃ আর আজকে কোনো ক্লাস হবেনা।
___ তারপর স্যার চলে গেলো,,,,,,,,,
ক্লাস হবেনা বলে কিছুক্ষন পর শাহরিয়ার ও
ভার্সিটি থেকে বের হয় । আর তখনি মেঘলা শাহরিয়ারের পথ আটকায়।
মেঘলাঃআমি যানি আমি তোমার সাথে অনেক অন্যায় করছি প্লিজ আমাকে দয়াকরে মাপ
করে দেও।
শাহরিয়ারঃ আপনাদের মতো বড় লোকরা তো তাই পারে গরিবদের সাথে অন্যায় করতে ।
মেঘলাঃ ...........................
শাহরিয়ারঃ আপনি আমার সাথে অনেক অন্যায় করেছেন।তা সত্যেও আমি আপনার জীবন
বাঁচিয়েছি।আর তার জন্যই আপনি আমার সাথে
ভালোব্যাবহার করছেন।
মেঘলাঃ দেখো আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি
দয়াকরে আমাকে ক্ষমা করো।
শাহরিয়ারঃ আপনাকে আমি মাপ করতে পারবো
কিনা সেটা আমি নিজেও যানি না। বলেই আমি
আমার বাসার উদ্দেশ্যে চলে গেলাম।
,,,,,,,,তারপর মেঘলা ও মন খারাপ করে গাড়ি করে তার বাসায় চলে গেলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,
___ পরের দিন শাহরিয়ার ইচ্ছা করেই অনুষ্ঠানে
দেড়ি করে যায়।অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোনো ইচ্ছেই
ছিলো না শাহরিয়ারের তবুও অনেক দিনের চেনা
মানুষটাকে দেখার জন্য অনুষ্ঠানে আসে।
স্টেজে দাড়িয়ে ইয়াকুব আলি ভালো মন্দ অনেক কথাই বলে। যা ধুর থেকে শাহরিয়ার শুনছে।এবং
শাহরিয়ারের চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে।
শাহরিয়ারঃ বাবা যানি তুমি অনেক কষ্টে আছো আমাকে নিয়ে।বিভিন্ন শহরের অনুষ্ঠানে আসো শুধু
আমাকে খোজার জন্য। আমি ভালো আছি বাবা
তুমি চিন্তা করোনা খুব তারাতারই আমি তোমাদের
কাছে ফিরে আসবো( মনে মনে)
,,,,,,,,হঠাৎ পিছন থেকে মেঘলা এসে বলতে লাগলো,,,,,
মেঘলাঃ কি হয়েছে তুমি কান্না করতাছো কেনো?
শাহরিয়ারঃ কই নাতো
মেঘলাঃ কই মানে আমি দেখলাম তুমি কান্না
করতাছো?
শাহরিয়ারঃ না মানে চোখে কিছু একটা গেছে
মেঘলাঃ মিথ্যা কথা কেনো বলছো।
শাহরিয়ারঃ তারপর আমি যখন চলে আসতে
যাবো তখন পিছন থেকে মেঘলা আমার হাত
টেনে ধরে।
মেঘলাঃ কথার জবাব দিয়ে যাও।
শাহরিয়ারঃ হাত ছাড়েন আমার মতো একটা
ছোটলোকের হাত কেনো ধরেছেন ।হাত ছাড়েন
বলছি।
মেঘলাঃ না ছাড়বো না। আগে আমার কথার জবাব
টা দিয়ে যাও
শাহরিয়ার, কিসের জবাব দিবো
মেঘলাঃ তুমি কান্না..........
----বাকিটা বলার আগেই মেঘলা শাহরিয়ারের
হাতের দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখে
শাহরিয়ারের হাতে কিং লেখা একটা টেটু।
যা দেখে মেঘলা চমকে যায়।
মেঘলাঃ কে তুমি আর এই টেটু তোমার হাতে কেনো
শাহরিয়ারঃ আমি একটা ছোটলোক গরিব
মেঘলাঃ না তুমি অন্য কেউ তোমার আসল
পরিচয় বলো?
শাহরিয়ারঃ দেখেন আমাকে যেতে দিন বলছি।
মেঘলাঃ কথার জবাবা না দিয়ে তুমি যেতে পারবে
না।সত্যি করে বলো কে তুমি আর এই টেটু আমি
কিং এর হাতে দেখছি। তোমার হাতে কিভাবে
আসলো
শাহরিয়ারঃ দেখেন আমি কিছু বলতে পারবো না আমার পথ ছাড়েন?
মেঘলাঃ না ছাড়বো না
শাহরিয়ারঃ দেখেন এখন কিন্তু বেশি বারাবারি হয়ে যাচ্ছে?
মেঘলাঃ কিসের বারাবারি আমার কথার জবাব না
দিয়ে তোমাকে কোথাও যেতে দিবো না
শাহরিয়ারঃ আর রাগ কন্ট্টল করতে পারলাম না
ঠাসঠাস করে মেঘলার গালে দুটো থাপ্পর
বসিয়ে দিই।
,,,,,,,,,থাপ্পরের ফলে মেঘলার ঠোট কেটে রক্ত পরতে থাকে,,,,,
শাহরিয়ারঃ তুই কেরে যে তোর কথার আমার জবাব দিতে হবে । নিজের সিমার মধ্যে থাক সিমা অতিক্সম
করিসনা বলেই সেখান চলে এসে সোজা বাসায়
চলে গেলাম
,
,,,,,, মেঘলা তো পুরাই অবাক হয়ে গেলো আর ওখানেই কিছুক্ষন গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে থেকে
মেঘলা তার বাসার উদ্দেশ্যে চলে যায়।
_________________চলবে_________________
>>> >>ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন