গল্প: কিং
লেখক: মোঃ শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার
পর্ব: ৩
তারপর আমি আসিবের পিট কেটে কিং লিখে যখন
রুম থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খুললাম তখনি দেখলাম মেঘলা দাড়িয়ে আছে
মেঘলা, একি আপনি কে এখানে কি করছেন আর ভাইয়া কোথায়।
শাহরিয়ার, আমি কোনো প্রশ্নের জবাবা না দিয়ে মেঘলাকে ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে
লাগলাম।
,...,,,, ধাক্কার এতোই জোর ছিলো যে মেঘলা ধাক্কা খেয়ে
ফ্লোরে পরে গিয়ে তার মাথা ফেটে যায়।মেঘলা ফ্লোর থেকে উঠে যখন শাহরিয়ারের দিকে তাকায় তখন মেঘলার চোখের দৃষ্টি পরে শাহরিয়ারের হাতের দিকে এবং তার হাতে কিং লেখা একটা টেটু দেখতে পায় ।আর সঙ্গে সঙ্গে মেঘলা ভয় পেয়ে যায়।
মেঘলা, কিং । তার মানে না এ হতে পারে না ।
........ মেঘলা যা বুঝার বুঝে ফেলেছে ।তাই
তারাতারি করে আসিবের রুমে
গিয়ে যা দেখে সেটা দেখে মেঘলার পায়ের তল থেকে
মাটি সরে যায়। মেঘলা দেখতে পেলো যে তার মামাতো
ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে পুরো ফ্লোর রক্তে
লাল হয়ে গেছে । এবং তার পুরুষ অঙ্গ কাট আর
পিট কেটে লেখা কিং যা দেখে মেঘলা জোরে একটা
চিৎকার দেয়।
আস্তে আস্তে খবরটা পুরো শহরে ছড়িয়ে পরে । আর
শহরের সব মানুষ মামুন খানকে দেখলেই থুথু দিচ্ছে
মামুন খান আর তার স্ত্রী মুন্নি ভাবতেই পারছেনা যে
তাদের ছেলে ধর্ষনের মতো একটা যঘন্যতম কাজ
করছে।যার ফলে প্রান হারাতে হলো তাদের ছেলেকে
এদিকে শাহরিয়ার বাসায় এসে ওয়াস রুমে গিয়ে জর্না ছেড়ে দেয় জর্না থেকে টপটপ করে শাহরিয়ারের গায়ে
পানি পরতে থাকে।আর শাহরিয়ারের কল্পনায় ভাসতে
থাকে। তার পুরোনো সৃতি গুলো।
সৃষ্টি, তোমাকে নিয়ে আমার একটাই সপ্নো
শাহরিয়ার, কি সপ্নো গো রুপবতি
সৃষ্টি, সুখে শান্তিতে সংসার করা
শাহরিয়ার, ওরে ওরে আমার রুপবতি
হাঠাৎ শাহরিয়ারের কল্পনার গোর কেটে যায়
শাহরিয়ার, বাচঁতে দিলি না বাচঁতে দিলিনা তোরা ছাড়বোনা তোদের কাউকে ছাড়বোনা একজন একজন করে তিলে তিলে মারবো( শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার দিয়ে)
.....পরের দিন শাহরিয়ার ভার্সিটিতে যায়। আজকে মেঘলা ভার্সিটিতে আসে নাই। যাইহোক ভার্সিটি ছুটির পর শাহরিয়ার তার বাসায় চলে যায়
,,,.......,,এমপি জাকিবুল আজ দেশে ফিরেছে।
আগেই বলে রাখছি যে এই এমপি জাকিবুল এক মাস
আগে একটা কলেজ ছাত্রিকে ধর্ষন করে হত্যা করে।
জাকিবুলের বিরুদ্ধে মামলা হলেও টাকার জোরে
সবকিছু ধামাচাপা দিয়ে দেশের বাহিরে চলে যায়।
আজ এক মাস পর দেশে ফিরে তার বাসায় গিয়ে
উঠলো।রাত প্রায় বারোটা শাহরিয়ার ব্লাক
কোর্ট পরে আর ব্লাক রুমাল দিয়ে মুখ ডেকে
এমপি জাকিবুলের
বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে।তারপর শাহরিয়ার বাড়ির
পিছনের দেয়াল পার হয়ে ভিতরে ডুকে বাড়ির পাইপ
বেয়ে বেয়ে বেলকুনিতে ওঠে রুমের ভিতরে গিয়ে
দেখে জাকিবুল তার বউয়ের সাথে রোমেন্স করতাছে।
শাহরিয়ার, রোমেন্স করা শেষ হলে মৃত্যুর জন্য তৈরি হ
........জাকিবুল পিছনে ফিরে শাহরিয়ারকে দেখে
বলতে লাগলো
জাকিবুল, ভিতরে ডুকলে কিভাবে কে তুমি
শাহরিয়ার, কিং
.......কিং নাম শুনে জাকিবুল ও তার বউ চমকে যায় আর ভয় পেয়ে যায়।
জাকিবুল, কিং আমার কোনো ক্ষতি করোনা। কিং তোমাকে আমি এ শহরের বাদশা বানিয়ে দিবো যতো টাকা লাগবে তোমার শুধু একবার আমাকে বলো আমি
দিবো। কিন্তু কিং দয়াকরে আমাকে মেরো না।
শাহরিয়ার, টাকা দিয়ে সব কিছু কেনা যায় নারে মূর্খো।
টাকা দিয়ে হয়তো তুই অনেক কিছুই কিনতে
পারিশ কিন্তু এই কিং কে কিনতে পারবি না।
,,,,,,,,, তারপর শাহরিয়ার জাকিবুলের নাক বরাবর শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে গুসি মারে। যার ফলে জাকিবুল এর নাক ফেটে প্রচুর রক্ত পরতে থাকে।
তারপর শাহরিয়ার জাকিবুলের হাত মুচকে ভেঙ্গে দিয়ে
জাকিবুলকে তুলে ফ্লোরের সাথে আছার মারে।
জাকিবুল ব্যাথায় ফ্লোরে ছটপট গড়াগড়ি করতে থাকে
........তারপর হঠাৎ জাকিবুলের স্ত্রী শেমলী বলে
উঠলো
শেমলী, কিং কিং দয়াকরো দয়াকরে আমার শামিকে
ছেড়ে দেও/?
শাহরিয়ার, লজ্জা করেনা তোর লজ্জা করেনা তোর শামি একটা নির্দোশ মাছুম একটা মেয়েকে ধর্ষন করে
হত্যা করেছে। সেটা জানা সত্যেও তুই একজন
মেয়ে হয়ে কি করে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছিস।
শেমলী, ......................
শাহরিয়ার,চুপচাপ যেখানে দাড়িয়ে আছিস সেখানেই থাক।
শেমলী, ভয়ে চুপ হয়ে যায়
শাহরিয়ার, তারপর আমি পা দিয়ে জাকিবুলের মুখ চেপে ওর পুরুষ অঙ্গ কুচি কুচি করে কেটে ফেলি।
জাকিবুল ব্যাথার জালায় ছটপট করতাছে না
পারছে চিৎকার করতে না পারছে হাত পা লারাচারা
করতে। সমস্তো শরীল জুরেই ব্যাথার যন্ত্রনায়
জাকিবুলের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পরতে থাকে।
তারপর সর্বশেষে আমি আমার ধারালো ছুড়ি দিয়ে
কোরবানির গরু জবাইয়ের মতো জাকিবুলকে জবাই
করলাম। কিছুক্ষন ছটপট ও জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে
মারা যায় জাকিবুল।তারপর আমি জাকিবুলের পিট
কেটে কিং লেখি। ধর্ষন কারির একটাই শাস্তি সেটা
হলো মৃত্যু। তারপর আমি আগের মতো পাইপ বেয়ে
বেয়ে নেমে দেয়াল পার হয়ে আমার বাসায় চলে
গেলাম।
.......,,,,পরেরদিন জাকিবুলের মৃত্যু নিয়ে শহরে
হৈচৈ পরে যায়।জাকিবুলেরো পুরুষ অঙ্গ কাটা
ও পিট কেটে কিং লেখা ছিলো ।এটা ধামাচাপা
দেওয়ার চেষ্টা করলেও ধামাচাপা দিতে ব্যার্থ হয়ে যায় ।
ফাস হয়ে যায় মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়
প্রতিটা মানুষের কাছে যে জাকিবুল
ধর্ষন কারি ছিলো তাই কিং জাকিবুল কে হত্যা করছে।
আজ কিং এর জন্য শহরের সব মেয়েরা স্বাধীন ভাবে
চলাফেরা করতে পারছে ।এলাকায় এলকায় থাকা বখাটে ছেলেরা যারা রোজ রোজ স্কুল কলেজের
মেয়েদের ডিস্টাব করতো খারাপ আচরন করতো
তারাই আজ কিং এর ভয়ে সবার সাথে ভালো
ব্যাবহার করছে।আজ বখাটে ছেলেরা কোনো
মেয়ের দিকে চোখ তুলে
তাকালেও দশবার ভাবে। আজ কিং এর জন্য একজন বাবা তার মেয়েকে নির্ভয়ে বলতে পারছে যাও মা
যাও স্কুলে যাও।যাও মা যাও কলেজে যাও
মাদ্রাসায় যাও ভার্সিটিতে যাও
এখানে সেখানে যাও।সব বাবাই আজ তাদের মেয়েকে
নির্ভয়ে বলতে পারছে।আজ অনেক মা বাবাই তার মেয়েকে নিয়ে কোনো রকম দুশ্চিন্তা বা টেনসন
করছেনা।কারন যতোদিন কিং
বেঁচে আছে ততোদিন টেনশন করার কোনো প্রশ্নই
আসে না।শহরের সব মানুষী কিং কে ধন্যবাদ যানাচ্ছে
।একমাত্র কিং এর জন্যই আজ শহরের সব মেয়েরা
নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছে। কিং কে দেখার জন্য অনেক মানুষী পাগল হয়ে
উঠেছে। কিন্তু কিং সবার সামনে আসবে কি আসবে না সেটা
কেউ যানে না। একমাত্র কিং ই ভালো যানে সে সবার সামনে আসবে কি আসবে না
____________________চলবে_________________
-------------ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন------------
"""""""""""গল্পটি কেমন লাগছে আশা করছি""""" """""
সবাই বলে যাবেন?