গল্প: কিং
লেখক: মোঃ শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার
পর্ব: ২
খবর শুনে শাহরিয়ার জোরে জোরে হাসতে থাকে
শাহরিয়ার, ধর্ষন কারিদের একটাই শাস্তি সেটা হলো
মৃত্যু(চিৎকার দিয়ে)।
পরের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হই যাইহোক
আগে পরিচয়টা দিই আমি শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক
সরকার ।অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি আর বাকিটা গল্পের সাথে
থাকলেই বুঝতে পারবেন।তারপর নাস্তা করে রেডি হয়ে
আমি ভার্সিটিতে গিয়ে দেখি সবার মুখেই কিং এর নাম
এবং কেউ কেউ কিং সম্মন্ধে আলোচনাও করছে তারপর
আমি সোজা ক্লাসে চলে গেলাম আর প্রতিদিনের মতো
আবারো পিছনের সেই ছিটে গিয়ে বসলাম
কিছুক্ষন পর মেঘলা ক্লাসে আসলো আর এসেই
আমার কাছে এসে বলতে লাগলো।
মেঘলাঃ ওই ছোটলোক তোর কি আর পোশাক নাই এগুলো কি পরে আছিস। ডোলা ডোলা জোরা তালি দেওয়া শার্ট আর তোর ব্যাগটা ও তো ছিরা ।আরে তোর থেকে তো রাস্তায় ভিক্ষাকরা লোকেরাও ভালো পোশাক পরে।
........ তারপর মেঘলার এক বান্ধুবী বলে উঠলো.........
সাদিয়াঃ আরে তুই কারে কি বলোছ ও তো নিজেই একটা ভিখারি। বলেই হাসতে থাকে। তার সাথে ক্লাসের সবাই হাসতে থাকে।
মেঘলাঃ ওই ছোটলোক তোর ক্লাস করার কোনো যোগ্যতা নাই।
শাহরিয়ারঃ কেনো ম্যাডাম
মেঘলাঃ কেনো মানে ছোটলোকের বাচ্চা বের হ ক্লাস
থেকে বের হ ।
,,,,,,,,,তারপর ক্লাসের সবাই মিলে শাহরিয়ারকে জোড়
করে গার ডাক্কা দিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দেয়।
ডাক্কা দেয়ার কারনে দেয়ালে মাথা লেগে শাহরিয়ারের
মাথা ফেটে গিয়ে রক্ত পরতে থাকে।হঠাৎ পিছন থেকে
একজন স্যার এসে বলল।
স্যারঃ এই এই বস্তির ছেলে ক্লাসে না থেকে
এখানে কি করছিস ।
শাহরিয়ারঃ স্যার দেখুন না ক্লাসের সবাই মিলে
আমাকে ক্লাস থেকে বের করে দিছে।
স্যারঃ ঠিকি করেছে তোর মতো একটা ছেলেকে
তো বের করে দেওয়াই উচিত ওই তুই এই
ভার্সিটিতে ভর্তি হয়লি কেমনে এখনে তো
বড়লোকের ছেলে মেয়েরাও বেশির ভাগ চান্স পায়না।
শাহরিয়ারঃ .....................
স্যারঃ আর তুই টাকা পাস কোথা থেকে এই
ভার্সিটিতে পড়তে হলে অনেক টাকা লাগে।
তুই চুরি ডাকতি করছ নাকি।
শাহরিয়ারঃ স্যারের কথাগুলো শুনে আমার প্রায়
মাথায় রাগ চলে আসছিলো। রাগ কন্ট্টল
করে স্যারের দিকে একটু চেয়ে থেকে চলে গেলাম।
ভার্সিটি থেকে বের হয়ে নির্জন এক রাস্তা দিয়ে
হাটতে লাগলাম। এই রাস্তা দিয়ে তেমন মানুষজন
আসেনা। খুব কম মানুষি আসে। তোরা যদি
জানতি আমি কে তাহলে আমার সামনে দাড়ানোর
ক্ষমতাও তোদের থাকতোনা । তোদের এতোই
টাকার অহংকার এসব ভাবছি আর নিরিবিলি রাস্তা
দিয়ে হেটে যাচ্ছি।হঠাৎ রেল লাইনের দিকে তাকিয়ে
দেখি একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে আর ট্টেন মেয়েটির
খুব কাছেই চলে আসছে। আরে কি করছে কি
মেয়েটা পাগল নাকি।রাস্তা থেকে রেললাইন খুব
স্পষ্ট দেখা যায় তাই মেয়েটিকে দেখায় কোনো
অসুবিদা হয় নাই।তারপর আমি দৌড়ে গিয়ে
মেয়েটিকে টান দিয়ে রেললাইন থেকে সাইডে নিয়ে
আসি।কি করছেন কি এখনি তো ট্টেনের নিচে পরে যেতেন??
মেয়েটিঃ কেনো বাচাঁলেন আমাকে আমাকে মরতে দিন। আমার মরা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
শাহরিয়ারঃ আত্যহত্যা করা মহা পাপ জানেন না।
মেয়েটিঃ ......................
শাহরিয়ার, কি হয়েছে আপনার সাথে আমাকে আপনার ভাই মনে করে বলতে পারেন।
মেয়েটিঃ আমার যে বাঁচার কোনো অধিকার নাই ।
সমাজের মানুষ আমাকে দেখলাই থু থু দিবে।
সমাজে ভালোভাবে আর বাচতে পারবোনা।
আর বিচার চাইলেও ওদের মতো পশুদের বিচার হয়না। টাকার জোরে সব কিছু ধামাচাপা দিয়ে দেয়।
শাহরিয়ারঃ কি হয়েছে ঠিক সেটা বলেন।
মেয়েটি, মামুন খানের ছেলে আসিপ আমাকে
রোজ বিরক্ত করতো বাজে বাজে কথা বলতো।
আর আজকে যখন আমি কলেজে যাচ্ছিলাম
বলেই কান্না করতে লাগলো।
শাহরিয়ারঃ তারপর কি হয়েছে বলেন
মেয়েটিঃ তারপর মামুন খানের ছেলে আসিপ
হঠাৎ এসেই আমাকে জোর করে একটা গাড়িতে
তুলে নিয়ে যায়। আর আমার বেঁচে থাকার শেষ সম্বল
আমার সতিত্ত কেরে নেয়। আমি আর কি নিয়ে বাচঁবো
ভাইয়া বলেন।(কান্না করতে করতে)
শাহরিয়ারঃ তুমি বাঁচবে আবার নতুন করে বাঁচবে।
যানি নতুন করে চাইলেই বাঁচা সম্ভব না অনেক
মানুষ অনেক কথাই বলবে। কিন্তু তোমাকে ধর্য
ধরতে হবে। কে কি বলল সেটা দেখার বিষয়না
একমাত্র বিবেকহীন মানুষরাই তোমাকে কলঙ্কিতো
বলতে পারে কিন্তু তুমি ওসবে পাত্তা দিবে না।
মেয়েটিঃ .......................
শাহরিয়ার, চিন্তা করো না আসিপ ওর প্রাপ্ত শাস্তি পাবেই।যতোদিন কিং বেঁচে আছে ততোদিন কোনো ধর্ষন কারিই বেঁচে থাকতে পারবেনা।
মেয়েটিঃ মানে কে কে আপনি( ভয়ে ভয়ে)
শাহরিয়ারঃ ভয় পেয়ো না। মানে কিং যতোদিন বেঁচে আছে ততোদিন ধর্ষন কারিরা তাদের প্রাপ্ত শাস্তি
পাবেই।
মেয়েটিঃ ওওওও তাই যেনো হয় ভাইয়া।
শাহরিয়ারঃ তোমার বাড়ি কোথায় আমি তোমাকে
বাড়িতে পৌছে দিচ্ছি।
মেয়েটিঃ একটু সামনে
শাহরিয়ারঃ তারপর আমি মেয়েটিকে তার বাসায়
পৌছে দিয়ে আমার বাসায় চলে আসি।আমার একতালা টিনছেট দুইরুম বিশিষ্ট ঘর। আমি একাই থাকি। যাইহোক বাসায় এসেই ভাবতে থাকি মামুন খান তো মেঘলার মামা তার মানে আসিব মেঘলার মামাতো ভাই। যাইহোক পরের দিন ভার্সিটিতে গিয়ে সোজা ক্লাসে গেলাম তারপর পিছনের ছিটে গিয়ে বসলাম।
একটু পর মেঘলা ক্লাসে এসে আমাকে বাদে সবাইকে
একটা কার্ড দিয়ে বলল
মেঘলাঃ কালকে আমার মামাতো ভাইয়ের বিয়ে তাই
সবাইকে দাওয়াত দিলাম।
শাহরিয়ারঃ আরে ছেমরি তোর মামাতো ভাই পৃথিবিতে
বেঁচে থাকলেতো বিয়া করবে( মনে মনে)
মেঘলাঃ কিরে ছোটলোক কি ভাবছিস। তোকে কেনো
দাওয়াত দেই নাই তাই তো। তোর মতো গরিব
বিয়ে বাড়িতে আসলে লোকে কি বলবে
বলেই হাসতে লাগলো।
,
,,,,,একটু পর স্যার ক্লাসে আসলো আর ক্লাস করাতে
লাগলো আস্তে আস্তে সব ক্লাস শেষ হয়ে গেলো
আর ভার্সিটিও ছুটি হয়ে গেলো।
তারপর শাহরিয়ার ভার্সিটি থেকে বের হয়ে
বাসায় চলে যায়।
পরের দিন শাহরিয়ার ব্লাক কোর্ট পরে মামুন খানের বাড়ির সামনে যায়
শাহরিয়ারঃ বলতেই হবে বাড়িটা ভালো ভাবেই সাজিয়েছে তারপর আমি পকেট থেকে ব্লাক
রুমাল বের করে মুখ ডেকে বাড়ির ভিতরে
গিয়ে আসিবের রুমে যেয়েই ভিতর থেকে দরজা
বন্ধ করে দিই।
আসিবঃ এই কে আপনি দরজা কেনো আটকালেন
শাহরিয়ারঃ কিং
..........কিং নাম শুনেই আসিপ শাহরিয়ারের পা
জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো.......
আসিপঃ কিং দয়াকরে আমাকে ছেড়ে দে
আমাকে মেরোনা কিং তোমার কতো টাকা চাই বলো
আমি দিবো দরকার হলে আমার সব সম্পত্তি আমি
তোমাকে দিয়ে দিবো তাও আমাকে মেরো না কিং
শাহরিয়ারঃ যা তোকে ছেড়ে দিবো। পারবি পারবি
একজন মেয়ের তার ইজ্জত ফিরিয়ে দিতে ।
কি হলো পারবি
আসিপঃ.................. ...........
শাহরিয়ারঃ একজন নারীর সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো
তার ইজ্জত। কিন্তু তুই সেটাই কেরে নিয়েছিস।
আসিবঃ কিং প্লিজ কিং আমাকে ছেড়ে দেও
শাহরিয়ারঃ কিং এর চোখে ধর্ষন কারির একটাই
শাস্তি সেটা হলো মৃত্যু( ভারি ও রাগি কন্ঠে)
তারপর আমি আসিবের বুক বরাবর একটা জোরে
লাত্তি দিই লাত্তি খেয়ে আসিপ একটু দুরে গিয়ে
ছিটকে পরে। তারপর আমি আসিপ কে তুলে
ফ্লোরের সাথে জোরে আছার মারি আছার খেয়ে
আসিবের কোমরের হার ভেঙ্গে যায়।কোনো ভাবেই
আসিব উঠে দাড়াতে পারছেনা তারপর আমি আমার
বাম পা দিয়ে আসিবের মুখ চেপে ধরি আর একটা
ধারালো ছুরি বের করে আসিবের পুরুষ অঙ্গ কুচি
কুচি করে কেটে ফেলি। রক্তে ফ্লোর লাল হয়ে গেছে ।
আসিব ব্যাথায় ফ্লোরে ছটপট করতে থাকে । অবশেষে আমার ধারালো ছুরিটা আসিবের বুকে ডুকিয়ে দিই।
তারপর আসিব কিছুক্ষন জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে
মারা যায়।
.......................... চলবে.............................
ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন