গল্প/::::: অফিসের বস যখন বউ।
*
*
* লেখক/:::: রাসেল চৌধুরী
*
* পর্ব/::::::::::: ( ৩ ) :::::::::: ( তিন )
*
*
*
*
* বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিলাম। কিছুক্ষণ পর আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো। আমাদের দেখে আম্মু বলল।
আম্মু/ কিরে তোরা এসেছিস।
প্রেমা/: হুম আম্মু। আম্মু তুমি দুপুরে ঔষধ ঠিক মতো খেয়েছো।
আম্মু/: খেয়েছি। আর আল্লাহ দিলে আমি এখন ভালো আছি। আমাকে তোর চিন্তা করতে হবে না।
প্রেমা/: ঠিক আছে, এখন বলো আব্বু কোথায়।
আম্মু/: তোর আব্বু রুমে বসে কফি খাচ্ছে আর পেপার পড়ছে।
প্রেমা/: ঠিক আছে, রাসেল তুমি রুমে যাও। আমি আব্বু কে দেখে আসছি।
আমি/: ঠিক আছে যাও।
আমি আর কোনো কথা না বলে রুমে চলে আসলাম। প্রেমা আব্বুর রুমে চলে গেল। এবার দেখছেন, প্রেমা বাসায় আসলে কি করে।
আমি ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে, বিছানায় শুয়ে মোবাইল টিপতে লাগলাম।
রাতে সবার সাথে খাবার খেয়ে আমি রুমে চলে আসলাম। প্রেমা আব্বু আম্মু কে ঔষধ খাইয়ে দিয়ে আসবে।
আর রাইসা তার এক বান্ধবীর বিয়েতে গেছে। তাই ওর কথা বললাম না। কিছুক্ষণ পর প্রেমা রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে বিছানায় এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল।
প্রেমা/; এই আমি মা হতে চাই। আব্বু আম্মুর অনেক সখ , দাদা দাদি ডাক শুনার।
আমি/: আগে রাইসার বিয়েটা হয়ে যাক। তার পর সব হবে ।
প্রেমা/: আমি তোমার কোনো কথা শুনতে চাই না। আমি বলছি মা হবো।
আমি/: এখন তুমি ছেলে মেয়ে লালন পালন করতে পারবে।
প্রেমা/: আমি পারবো। তুমি আমাকে একটা তোমার মতো ছেলে দাও।
আমি/: ঠিক আছে। কিছুদিন অপেক্ষা করো। তার পর তোমার সব আবদার পূরণ করবো।
প্রেমা/; ওকে, এখন আমাকে একটা কিস করো।
আমি/: ঠিক আছে করছি।
আমি প্রেমা কে জড়িয়ে ধরে তার ঠোঁটের সাথে ঠোট লাগিয়ে দিলাম। প্রায় পাঁচ মিনিট পর ছেড়ে দিয়ে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম।
*
*
*
* আজ পাঁচ দিন পর, আমি রাতের খাবার খেয়ে রুমে শুয়ে মোবাইল টিপতে আছি। হঠাৎ রাইসা আমার রুমে আসলো। তখন আমি রাইসা কে দেখে বললাম।
আমি/: কিরে রাইসা, তুই আমার রুমে। কিছু বলবি।
রাইসা আমার পাশে বসে, বললো।
রাইসা/: আসলে ভাইয়া, কলেজ লাইফ থেকে , একটা ছেলে নাম রনি, আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি তাকে ফিরিয়ে দিই। আমি তাকে বলছি, আমি তাকে ভালোবাসতে পারবো না। কিন্তু সে আমাকে প্রতিদিন ভালোবাসার কথা বলে। আমার বান্ধবীর বিয়েতে রনি এসে আমাকে ভালোবাসার কথা বলছে।
আমি/: ছেলেটা কেমন। ভালো না কি খারাপ।
রাইসা/: ভাইয়া ছেলে টা অনেক ভালো। আমার সাথে কখনো খারাপ কিছু করে নাই। শুধু ভালোবাসার কথা বলে।
আমি/: তোর কি রনি কে পছন্দ হয়।
রাইসা/: ছেলেটা কে পছন্দ হয়। কিন্তু আমি ভালোবাসা বিশ্বাস করি না। আমি ওকে বলছি, আমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসতে।
আমি/: তখন সে কি বলেছে।
রাইসা/: রনি বলেছে, তার আব্বু আম্মুকে রাজি করিয়ে , কালকে আমাদের বাসায় আসবে।
আমি/: রনি বর্তমানে কি করে।
রাইসা/: রনি এখন তাদের অফিস দেখাশোনা করে।
আমি/: ঠিক আছে। কালকে তাহলে আসুক। আমি সব ব্যবস্থা করছি।
রাইসা/: ঠিক আছে ভাইয়া। আব্বু আম্মুর কাছে বলতে লজ্জা লাগে। তাই তোর কাছে বলছি।
আমি/: সমস্যা নেই। আমি সব দেখছি। তুই রুমে যা।
রাইসা আর কোনো কথা না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। আমি শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতে লাগলাম। প্রেমা রুমে এসে দরজা লাগিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো।
প্রেমা/: রাইসা কে দেখলাম, রুম থেকে বেরিয়ে যেতে। কেনো এসেছে রাইসা।
আমি/: তাহলে শুনো। ( তার পর রাইসা আমার সাথে কি বলেছে, সবকিছু প্রেমাকে খুলে বললাম)
প্রেমা/: তাহলে তো ভালোই। রাইসার বিয়ে হয়ে গেল, আমি তোমার কাছে একটা সন্তান পাবো।
আমি/: ঠিক আছে দিবো।
প্রেমা/: তাহলে কালকে আর দুজনে অফিসে যাবো না। ম্যানেজার আঙ্কেল কে বলবো। সবকিছু দেখে রাখতে।
আমি/: ওকে ঠিক আছে।
তার পর দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলাম।
এবার আপনাদের একটা কথা বলি। আমার আর প্রেমার বিয়ের পর, এখনো প্রেমার সাথে গভীরে যাইনি। কারন বিয়ের দুই দিন আগে থেকে আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তাই বাসর রাতে প্রেমাকে বলেছি, আম্মু সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমরা গভীরে যাবো না। প্রেমাও আমার সাথে একমত দিছে। এরপর আমাদের মাঝে কিছুই হয়নি।
সব মেয়েরা চায় স্বামীর ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে। স্বামীর আদর পেতে। মা হওয়ার স্বপ্ন থাকে। কিন্তু প্রেমা আমার কথার বাহিরে একটা কথাও বলে না। সে বলছে, আমি যেটা বলবো। সে তাই করবে। প্রেমার মতো মেয়ে বউ হিসাবে পাওয়া অনেক ভাগ্যের ব্যাপার ।
তো যাই হোক, পরের দিন রনি এবং তার মা বাবা আমাদের বাসায় আসলো। তাদের সাথে কথা বলে বুঝাতে পারলাম, তারা অনেক ভালো। রনি ছেলেটা দেখতে অনেক সুন্দর, কথা বার্তা অনেক ভালো।
রনির আব্বু আম্মুর রাইসা কে পছন্দ হয়েছে। এখন আমাদের বলছে , তাদের বাসা এবং তাদের ব্যাপারে জেনে আসতে।
এরপর তারা চলে গেল। পরের দিন আমি আব্বু রনি দের বাসায় গেলাম। তাদের বাসায় যাওয়ার আগে কিছু মানুষ থেকে তাদের বিষয় জিগ্গেস করলাম। সবাই তাদের ব্যাপারে ভালো বলছে।
রনি দের বাসায় গিয়ে সবকিছু দেখলাম। আল্লাহ দিলে সবকিছু ঠিক আছে। রনির আব্বু আম্মুকে বলছি, আমাদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে আসতে।
আজকে রাইসার গায়ে হলুদ,। অফিসের সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। রাফি কে বলছি, রিয়াকে নিয়ে আসতে।
বিয়ের সবকিছু আমার নিজের মতো করে সাজিয়েছি। কোনো কিছুর কমতি রাখি নাই।
আমি কাজের লোক গুলো কে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে দেখিয়ে দিচ্ছি। হঠাৎ নদী আমার সামনে এসে বললো।
নদী/: কেমন আছেন।
আমি/: আমি ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন।
নদী/: আমি ও ভালো আছি। আপনি কি আমার ওপর এখনো রেগে আছেন।
আমি/: আরে না, আমি ঐদিনই সবকিছু ভুলে গেছি। তা কোন সময় আসলেন।
নদী/: কিছুক্ষণ আগে আসলাম। আমি আসতে চাইনি। কিন্তু প্রেমার জোরাজুরিতে আসতে হলো।
আমি/: ঠিক আছে, আপনি প্রেমার কাছে যান। আমি এদিকে কাজের লোক গুলো কে ঠিকঠাক মতো দেখিয়ে দিচ্ছি।
নদী/: আচ্ছা ঠিক আছে।
নদী আর কোনো কথা না বলে প্রেমার কাছে চলে গেলো। আমি এদিকে সবকিছু কাজের লোক গুলোকে দেখিয়ে দিতে লাগলাম।
রাতে সবাই রাইসা কে হলুদ লাগাতে লাগলো। এক এক করে সবাই হলুদ লাগাতে আছে। হঠাৎ প্রেমা আমার সামনে আসলো। আজকে প্রেমা একটা হলুদ রঙের শাড়ি পড়ছে। তাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। প্রেমা আমার সামনে এসে বললো।
প্রেমা/: কি ব্যাপার, তুমি এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন। চল দুজনে একসাথে রাইসা কে হলুদ লাগাবো। দেখো না , সব স্বামী স্ত্রী একসাথে মিলে হলুদ লাগাচ্ছে।
আমি/: ঠিক আছে চলো।
আমি আর প্রেমা রাইসার দুই পাসে বসলাম। প্রথমে আমি রাইসার মুখে হলুদ লাগালাম। এর পর প্রেমা লাগালো। হঠাৎ প্রেমা আমার মুখেও লাগিয়ে দিলো।
এটা দেখে সব মেহমান হাসতে লাগলো। আবার অনেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বলছে। এদের দুজন দুজনকে জামাই বউয়ে অনেক মানিয়েছে।
আমি কিছুক্ষণ প্রেমার সাথে দুষ্টুমি করে বাসার ছাদে চলে আসলাম। প্রেমা আর নদী মিলে রাইসার হাতে মেহেদি লাগাচ্ছে। হঠাৎ দেখি রাফি আর রিয়া ছাদের ওপরে আসলো। তখন রাফি বললো।
রাফি/: কিরে ছাদের ওপরে দাঁড়িয়ে কি করছিস।
আমি/: না, এমনে ভালো লাগছে না।
রাফি/: কেনো , হঠাৎ তোর আবার কি হলো।
রিয়া/: আরে তুমি বুঝো না। আজকে রাতটার পরে তো, তার বোনটা স্বামীর বাসায় চলে যাবে। তাই ভালো লাগছে না।
রাফি/: ও এ কথা। এখানে তো কিছুই করার নেই। মেয়ে হয়ে যখন জম্ম গ্রহণ করছে। বিয়ের পর তো স্বামীর বাড়িতে যেতে হবে।
আমি/: আমার বোনটা অনেক আদরের। আমি ওর সাথে সবসময় দুষ্টুমি করতাম। আমার সাথে রাগ করলে, আমি তার রাগ ভেংগে দিতাম। আমি আমার বোনটাকে অনেক ভালোবাসি।
আমি এ কথা বলে কান্না করে দিলাম। রাফি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো।
রাফি/: আরে পাগল কান্না করিস কেন। তুই যদি ভেংগে পড়িস। তাহলে রাইসা অনেক কষ্ট পাবে। তার সামনে সবসময় হাসিখুশি থাকবি। তাকে তুই কিছু বুঝতে দিবি না।
আমি/: আচ্ছা ঠিক আছে।
রাফি আর রিয়া আরো কিছুক্ষণ কথা বলে নিচে চলে গেল। আমি ছাদের ওপরে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ কেউ একজন পিছন থেকে গাড়ে হাত দিলো। আমি তাকিয়ে দেখি প্রেমা।
আমি/: কি ব্যাপার প্রেমা, তুমি এখানে কেনো। ওদিকের কাজ কি শেষ।
প্রেমা/: মেহেদী লাগানো শেষ। এখন সবাই বসে নাচ গান উপভোগ করতে আছে। আমি তোমাকে না দেখে ছাদে আসলাম। তুমি এখানে একা একা কি করো।
আমি/: এমনে ভালো লাগছে না। তাই ছাদে তাড়িয়ে আছি।
প্রেমা/: আমি মনের কথা বুঝতে পারছি। মন খারাপ করো না। সব মেয়েকে বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে যেতে হবে, এটা দুনিয়ার নিয়ম।
আমি/: হুম। প্রেমা আমাকে একটু জড়িয়ে ধরে থাকবে কিছুক্ষণ।
প্রেমা/: এটা আবার বলতে হবে না কি।
এ বলে প্রেমা আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। আমিও প্রেমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।
দুজনে কিছুক্ষণ এভাবে থেকে নিচে চলে আসলাম। প্রেমা আমাকে খাবার খেয়ে আসতে বলছে। আমি খাবো না বলে রুমে চলে আসলাম।
প্রেমা কোনো কথা না বলে নিচে চলে গেল। আমি রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর প্রেমা রুমে আসলো। হাতে এক প্লেট খাবার নিয়ে এসেছে।
প্রেমা প্লেট টা বিছানায় রেখে, পানি নিয়ে আসলো। আমার পাশে বসে বললো।
প্রেমা/: উঠে বসো। খাবার খেয়ে নাও।
আমি/: প্রেমা , আমি খাবার খাবো না। তুমি খেয়ে নাও।
প্রেমা/: সারাদিন কাজে বিজি ছিলে। খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করো নাই। এখন উঠো বলছি, আমি নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছি।
প্রেমার জোরাজুরিতে উঠে বসলাম। প্রেমা আমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিতে লাগল। প্রেমার চেহারা দেখে বুঝা যাচ্ছে, প্রেমাও এখনো খায়নি।
আমি পানি দিয়ে হাতটা ধুয়ে , প্রেমার হাত থেকে প্লেট টা নিয়ে, প্রেমার মুখের সামনে খাবার ধরলাম। প্রেমা সাথে সাথে কান্না করে দিলো।
প্রেমা/: রাসেল , আমার জীবনে এতো ভালোবাসা সারাজীবন থাকবে ।
আমি/: থাকবে। আমি তোমাকে ছেড়ে কখনো যাবো না। মরার আগ পর্যন্ত তোমার পাশে থাকবো।
প্রেমা): আমার কেমন জানি ভয় লাগছে। আমি না তোমাকে হারিয়ে ফেলি।
আমি/: আরে পাগলি। এটা তোমার মনের ভুল। আমি তোমাকে সারাজীবন আমার এই বুকে আগলে রাখবো।
এই বলে প্রেমার চোখের পানি মুছে দিয়ে, খাবার খাইয়ে দিতে লাগলাম। প্রেমা ছোট বাচ্চাদের মতো খাবার খাচ্ছে।
খাবার খাওয়া শেষ হলে, প্রেমা প্লেট নিয়ে ওয়াস রুম থেকে পানি নিয়ে এসে, আমার হাত ধুয়ে দিলো। তার পর শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ মুছে দিলো।
প্রেমা প্লেট টা নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল, কিছুক্ষণ পর রুমে চলে আসলো। বিছানায় শুয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল।
আমি/: সবার কি খাওয়া দাওয়া হয়ে গেছে।
প্রেমা/: হুম। আমি রাইসা কে তার রুমে নিয়ে আসলাম। আর বাকি কিছু মানুষ বাসায় চলে গেছে। আবার কিছু মানুষ আছে।
আমি/: আব্বু আম্মু আমার কথা কিছু জিজ্ঞেস করে নাই।
প্রেমা/: করেছে। আমি বলেছি , সারাদিন কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। তাই রুমে শুয়ে আছে।
আমি/: ঠিক আছে, এখন আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ো। কালকে সকাল সকাল উঠে কাজ শুরু করে দিতে হবে।
প্রেমা/: ওকে আসো।
তার পর দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম। পরের দিন সকাল ভোরে ঘুম থেকে উঠে গেলাম। প্রেমা এখনো ঘুমিয়ে আছে।
আমি প্রেমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বিছানা থেকে নেমে ওয়াস রুমে চলে গেলাম। ওয়াস রুমে ঢুকে অযু করে , একটা পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে , বাসা থেকে বেরিয়ে মসজিদে চলে গেলাম।
নামাজ পড়ে বাহিরে এসে বিশ মিনিট এর মতো ঘুরা ঘুরি করে বাসায় চলে আসলাম। তার পর কাজের লোক গুলোকে সব কিছু দেখিয়ে দিতে লাগলাম।
দেখতে দেখতে বর আসার সময় হয়ে গেছে। আমি রুমে এসে ওয়াস রুমে ঢুকে গোসল করে বাহিরে এসে দেখি প্রেমা দায়িয়ে আছে একটা শাড়ি হাতে নিয়ে।
আমি/: তুমি এভাবে শাড়ি হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছো কেন।
প্রেমা/: আজকে তুমি আমাকে শাড়িটা পড়িয়ে দিবে।
আমি/: তুমি তো শাড়ি পড়তে পারো। আমাকে বলছো কেন। আমার হাতে কাজ আছে।
প্রেমা/: কাজ পরে করতে পারবে। আগে আমাকে শাড়ি টা পড়িয়ে দাও। দুজনে একসাথে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে যাবো।
কি আর করার, বউয়ের কথা, না রেখে পারি। আমি প্রেমার হাত থেকে শাড়িটা নিয়ে তাকে পড়িয়ে দিতে লাগলাম। সমস্যা হয়েছে কুচি লাগিয়ে দিতে।
আমি কুচিটা প্রেমার হাতে দিয়ে বললাম, লাগিয়ে নিতে , কিন্তু খাচ্ছুনি বলে , আমাকে লাগিয়ে দিতে। আমি প্রেমার নাভির উপর দিয়ে কুচিটা পড়িয়ে দিলাম।
প্রেমা আমার মাথা শক্ত করে ধরল। আমি প্রেমার পেটে একটা কিস করলাম। প্রেমা সাথে সাথে কেপে উঠলো।
আমি দাড়িয়ে প্রেমার ঠোঁটের সাথে ঠোট লাগিয়ে দিলাম। দুজনে দুজনকে জড়িয়ে ধরে কিস করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিয়ে। দুজনে রেডি হয়ে একসাথে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।
হঠাৎ নিচের দিকে তাকিয়ে আমি তো পুরো অবাক হয়ে গেলাম।
কি দেখে অবাক হলাম। সেটা পরের পর্বে জানতে পারবেন।
যাকে মন থেকে অনেকটা আপন ভাবা হয়।
তার অবহেলা সহ্য করা সত্যি খুব কষ্টকর হয়।
- খারাপ সময়টা হয়তো সারাজীবন থাকে না।
- খারাপ সময়ে অবহেলা করা মানুষগুলোর কথা সারাজীবন মনে থেকে যায়.।
*
*
*
*
* চলবে
*
*
*
*
* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। আপনাদের কিন্তু সাড়া পাচ্ছি না। গল্পটার কিন্তু অনেক কাহিনী বাকি আছে। সাড়া না পেলে তাড়াতাড়ি শেষ করে দিবো।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি গল্প লিখি আমার মনের অনুভূতি থেকে, বাস্তবের সাথে কোনো মিল নেই। সবাই লাইক এবং কমেন্ট করে পাশেই থাকবেন।
*
*
*
* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿