গল্প/:::: অফিসের বস যখন বউ। * * * লেখক/::: রাসেল চৌধুরী * * * পর্ব/:::;;;;;::::::::: ( ৪ ) :::::: ( চার ):::::::::::::

গল্পঃ:::: অফিসের বস যখন বউ।

*

*

* লেখক/::: রাসেল চৌধুরী 

*

*

* পর্ব/:::;;;;;::::::::: ( ৪ ) :::::: ( চার ):::::::::::::

*

*

*

*

*

* হঠাৎ নিচের দিকে তাকিয়ে আমি তো পুরো অবাক হয়ে গেলাম। নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি বাসার সব মেহমান আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। দুজনে একসাথে নিচে নামলাম। 


প্রেমা চলে গেছে রাইসার কাছে। আমি কাজের লোক দের কাছে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ পর বর চলে এসেছে। সবাই রনিকে স্টেজে নিয়ে বসালো।


রাইসা কে নিয়ে এসে রনির পাশে বসালো। আমার বোন টাকে বধু সাজে অনেক সুন্দর লাগছে। আর কিছুক্ষণ বোনটা বাসায় থাকবে, তার পর বরের সাথে শশুর বাড়ী চলে যাবে।


 কাজি এসে বিয়ে পড়ানো শুরু করলো। বিয়ে পড়ানো শেষ। কাজি মোনাজাত ধরলো। মোনাজাত শেষে সবাইকে খাবার পরিবেশন করা হলো। আমি কাজের লোকের সাথে ধরাধরি করে কাজ করছি। 


হঠাৎ দেখি একটা ছেলে প্রেমার দিকে কেমন ভাবে তাকিয়ে আছে। আমি কাজ রেখে ছেলেটার কাছে গেলাম। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম।


আমি/: কি ভাই। এমন করে ওই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছেন কেনো।


ছেলেটা/: সেটা কি তোকে বলতে হবে।


আমি/: অবশ্যই আমাকে বলতে হবে। 


ছেলেটা/: তুই কে রে। যে আমি তোর কাছে বলবো।


আমি/: আমি এই বাড়ির একজন সদস্য। তাই তোকে বলতে হবে।


ছেলেটা/: ওহ তাই নাকি। তাহলে শুন , ওই মেয়েটা কে দেখছিস। তাকে আমার পছন্দ হয়েছে। তাকে আমি বিয়ে করতে চাই। 


আমি/: ওকে দেখে তো মনে হচ্ছে। তার বিয়ে হয়ে গেছে।


ছেলেটা/: বিয়ে হয়েছে তো কি হইছে। আমি ওকে জোর করে বিয়ে করবো। ওকে দেখতে ভিশন সেক্সি লাগছে। তাকে আমার জীবনে চাই। 


ছেলেটার কথা শুনে আমি সাথে সাথে দুই টা থাপ্পড় মেরে দিলাম। বাড়ির সব মেহমান আমাদের ঘিরে ফেলেছে। তখন আমি ওই ছেলেটার কলার ধরে বললাম।


আমি/: তোর সাহস কি করে হয়, আমার বউকে খারাপ কথা বলার। তোর ঘরে কি মা বোন নেই। আজকে তোকে আমি মেরেই ফেলবো। 


বলে ছেলেটা কে ইচ্ছা মতো মারতে লাগলাম। প্রেমা আমাকে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসলো। তখন আমাদের মাঝে রনি চলে আসলো। সে বললো।


রনি/: ভাইয়া এখানে কি হয়েছে। আর আপনি জীবন কে মারলেন কেনো। ও আমার মামাতো ভাই হয়। 


আমি/: তোমার এই মামাতো ভাই, আমার বউকে, আমার সাথে খারাপ কথা বলেছে। তাই আমি তাকে মারলাম। 


রনি/: জীবন ভাইয়া যেটা বলছে। সেটা কি সত্যি। 


জীবন/: না রনি ভাইয়া। আমি ওনার বউ কে খারাপ কথা বলি নাই ( কান্না করে)


আমি/: কি তুই এখন মিথ্যা কথা বলছিস। আজকে আমি তোকে মেরে ফেলবো। 


রনি/: জীবন, আমি ভাইয়াকে ভালো করে চিনি। ওনি অন্যায় ভাবে কাউকে মারবে না। তুই যদি সত্যি কথা না বলিস, তাহলে আমার হাত তোর গায়ে উঠবে। 


আমাকে সবাই ধরে রেখেছে। এবার জীবন মাথা নিচু করে বললো।


জীবন/: ভাইয়া আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি ওনাকে চিনতে পারি নাই। আমাকে তুমি মাফ করে দাও। 


রনি/: ছিঃ ছিঃ ছিঃ আমার ভাবতে অবাক লাগে। তুই বিয়ে বাড়িতে এসে এমন কথা বলবি। আমি তোকে অনেক ভালো মনে করেছি। তুই এখনি ভাইয়ার পা ধরে ক্ষমা চাইবি। ভাইয়া তোকে মাফ করলে , আমিও মাফ করে দিবো। 


জীবন দাঁড়িয়ে না থেকে আমার পা ধরে বলতে লাগলো। 


জীবন/: ভাইয়া আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে আপনি ক্ষমা করে দেন। 


আমি/: ঠিক আছে, আমি তোকে ক্ষমা করে দিলাম

 আর কখনো এমন কথা কাউকে বলবি না। মেয়েরা হচ্ছে মায়ের জাত। আর আমার বউ তোমার থেকে বড়। তাকে বড় বোনের নজরে দেখবে। 


জীবন/: ঠিক আছে ভাইয়া। এমন ভুল আর জীবনে হবে না। 


আমি/: ঠিক আছে, । আপনারা সবাই যার যার জায়গায় চলে যান। 


প্রেমা আমাকে টেনে রুমে নিয়ে আসলো। তখন আমাকে বললো।


প্রেমা/: তুমি ছেলেটা কে মারলে কেনো। একটু বুঝিয়ে বললে হতো। 


আমি/: তোমার নামে খারাপ কথা বলবে। আমি তাকে এমনে এমনে ছেড়ে দিবো। 


প্রেমা/: হয়েছে এখন মাথা ঠান্ডা করো। ও ছেলে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। 


আমি/: ঠিক আছে। এখন তুমি রাইসার কাছে যাও। আমি এদিক টা দেখছি

 

প্রেমা আর কিছু না বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। আমি রুম থেকে বেরিয়ে কাজে লেগে পড়লাম। আস্তে আস্তে সবার খাওয়া দাওয়া শেষ হলে গেল। 


এখন রাইসা কে বিদায় দেওয়ার পালা। রাইসা আব্বু আম্মু কে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো। নিজের চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগল। 


বোনটার সাথে অনেক দুষ্টুমি করছি। এখন কার সাথে করবো। রাইসা মা বাবা কে ছেড়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো। 


আমি রনির হাতে রাইসা কে তুলে দিয়ে বললাম।


আমি/: রনি আমার বোনটাকে তোমার হাতে তুলে দিলাম। ওর চোখে কখনো অশ্রু ঝরতে দি নাই। তুমি আমার বোনটার খেয়াল রেখো। তাকে কখনো কষ্ট দিও না। 


রনি/: আপনি কোনো চিন্তা করবেন ভাইয়া। আমি রাইসা কে কখনো কষ্ট পেতে দিবো না। 


আরো কিছু কথা বলে। রাইসা কে গাড়িতে উঠিয়ে দিলাম। বোনটাকে তুলে দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। 


আস্তে আস্তে সবাইকে বিদায় দিয়ে দিলাম। আমি রুমের ভিতরে ঢুকে শুয়ে শুয়ে রাইসার জন্য কান্না করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর প্রেমা রুমে আসলো। আমার পাশে বসে বললো।


আমি/: এই তুমি কান্না করছো কেন। 


আমি/: রাইসার জন্য অনেক কা খারাপ লাগছে। 


প্রেমা/: কান্না করো না। এখন শুধু ওর জন্য দোয়া করো। আল্লাহ যেনো ওর সংসার জীবনে সুখী রাখে। 


আমি/: হুম। 


প্রেমা আরো কিছুক্ষণ কথা বলে আব্বু আম্মুর রুমে চলে গেল। আমি বিছানা শুয়ে পড়লাম। 


দেখতে দেখতে একটা মাস চলে গেল। আল্লাহ রহমতে আমার বোনটা অনেক সুখী আছে। আর এর ভিতরে প্রেমাকে স্বামীর অধিকার দিয়েছি। 


সুন্দর ভাবে চলছে আমাদের সংসার। এখন নদীর সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। প্রেমা এখন আর অফিসে বসে কার্টুন দেখে না। আগের মতো অফিসের কাজে মন দিচ্ছে। 


দুজনে মিলে অফিস টা সুন্দর ভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। নিজের কেবিনে বসে কাজ করতে আছি। হঠাৎ প্রেমা ফোন দিয়ে বললো তার কেভিনে যেতে। 


আমি আমার কেভিন থেকে বেরিয়ে প্রেমার কেবিনে গেলাম। একটা চেয়ারে বসে বললাম। 


আমি): বলো , কেনো ডেকেছো।


প্রেমা/: তুমি তো জানো, আমাদের একটা ডিল হতে যাচ্ছে, ফারহান কম্পানির সাথে। এখন ওটার কাজ কতোটুকু আগালে। এই ডিলটা পেলে, আমাদের কম্পানি আরো উপরে উঠে যাবে। 


আমি/: মোটামুটি কাজ প্রায় শেষের দিকে। তুমি দেখো, এই ডিলটা আমরা পাবোই। 


প্রেমা/: তাই যেনো হয়। চলো দুজনে খাবার খেয়ে নি। দুপুরের লাঞ্চ এর টাইম তো হয়ে গেছে। 


আমি/: ঠিক আছে। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। 


বলে আমি ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। প্রেমা একটা প্লেটে খাবার দিল। আমি প্লেট টা হাতে নিয়ে প্রেমাকে খাইয়ে দিচ্ছি। 


এটা আজকে নতুন না। এখন প্রতিদিন আমি প্রেমা কে নিজের হাতে খাইয়ে দিই। খাওয়া দাওয়া শেষ করে, প্রেমার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে নিজের কেবিনে চলে আসলাম। 


দেখতে দেখতে সেই দিন টা চলে এসেছে। আমি আর প্রেমা সব কাগজপত্র নিয়ে ফারহান কম্পানি তে গেলাম। অনেক বড় বড় কম্পানির মালিক এসেছে, এই ডিলটার জন্য। 


সবাই সবার মতো উপস্থাপন করতে লাগলো। আসলে ফারহান হচ্ছে এই কম্পানির ছেলের নাম, ফারহান ছেলেটা দেখতে অনেক হেন্ডসাম। যে কোনো মেয়ে তাকে দেখলে প্রেমে পড়ে যাবে। 


তো যাই হোক, সবার শেষে আমি দাঁড়িয়ে উপস্থাপন করতে লাগলাম। আমার উপস্থাপনা শেষে ফারহান হাত তালি দিয়ে বললো।


ফারহান/: আমি আমাদের এই ডিল টা প্রেমা অপ কম্পানি কে দিতে চাই। ওনাদের উপস্থাপন আমার অনেক ভালো লাগছে। 


ডিলটা ফেয়ে আমি আর প্রেমা অনেক খুশি হয়েছি। ফারহান হল রুম থেকে বেরিয়ে যেতে আমাদের বলেছে তার কেবিনে যেতে। আমি আর প্রেমা ফারহান এর কেবিনে অনুমতি নিয়ে ঢুকলাম। দুজনে দুইটা চেয়ার টেনে বসলাম। 


ফারহান/: আপনার অপস্থাপনা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি চাই , আপনারা নিজের মতো করে কাজ টা করবেন। 


আমি/: জি অবশ্যই। 


তার পর ফারহান আমাদের হাতে ডিল টা তুলে দিলো। আমরা ফারহান এর কেবিন থেকে বেরিয়ে , অফিসের বাহিরে চলে আসলাম। গাড়ি নিয়ে নিজেদের অফিসে যেতে লাগলাম। তখন প্রেমা বললো।


প্রেমা/: আমাদের কম্পানি টা এখন বাংলাদেশের টপে উঠে যাবে। 


আমি/: ঠিক বলছো। এতো দিনের পরিশ্রম বিথা যাইনি। 


কথা বলতে বলতে অফিসে চলে আসলাম। 


দেখতে দেখতে আরো দুইটা মাস চলে গেল। আমাদের কম্পানি টা এখন বাংলাদেশের টপের মধ্যে একটা । এসব হয়েছে আমার প্রেমার জন্য। 


( আপনাদের আগে একটা কথা বলে রাখি, আমি বাস্তবে অফিসের কাজের সম্পর্কে তেমন জানি না। হয়তো ভুল হতে পারে। আমি পড়ালেখা বেশি করি নাই। সেটা আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে। এবার গল্পে ফেরা যাক)


আমার আর প্রেমার ভালোবাসা আগের মতো আছে। রাতে শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতে আছি। কিছুক্ষণ পর প্রেমা রুমে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো।


প্রেমা/: এই তুমি অনেক দিন হয়েছে, আমাকে আদর করো না। আজকে আমাকে অনেক আদর করতে হবে। 


আমি/: এতো দিন তো কাজের চাপে , তোমাকে আদর করতে পারি নাই। আজকে তোমাকে মন ভরে আদর করবো।


প্রেমা/: তো করো। আমি তোমার আদর সবসময় পেতে চাই। 


আমি ও আর শুয়ে না থেকে প্রেমার ঠোঁটের সাথে ঠোট লাগিয়ে দিলাম। দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে কিস করতে লাগলাম। তার পর আমি আস্তে আস্তে হারিয়ে গেলাম অজানা ঠিকানায়


একদিন অফিসে বসে কাজ করতে আছি। আজকে প্রেমা অফিসে আসে নাই। কারন আজকে প্রেমা তাদের বাসায় গেছে। তার আব্বু নাকি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। 


আমি বলছিলাম যাওয়ার জন্য পরে প্রেমা বললো।বেশি অসুস্থ না, ঔষধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। প্রেমা বিকালের মধ্যে বাসায় ফিরে আসবে। আমি আর কিছু বললাম না। হঠাৎ কেউ একজন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললো। 


নদী): ভিতরে আসতে পারি স্যার। 


আমি দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি নদী। তখন আমি বললাম।


আমি/: আরে আসো। তা হঠাৎ আজকে অফিসে আসলে যে। 


নদী/:অফিসের সামনে দিয়ে চাচ্ছিলাম। তখন ভাবলাম প্রেমা আর আপনার সাথে দেখা করে যাই। কিন্তু প্রেমাকে তো দেখছি না। 


আমি/: ওর আব্বু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই প্রেমা তার বাবাকে দেখতে গেছে। এ জন্য আজকে অফিসে আসে নাই। 


নদী/: ওহ , আচ্ছা আপনার হাতে কি তেমন কাজ আছে। 


আমি/: না তেমন কোনো কাজ নেই । কেনো বলো তো।


নদী/: তাহলে চলুন, দুজনে আজকে বাহির থেকে কপি খেয়ে আসি। 


আমি/: সেটা মন্দ না। ঠিক আছে চলো।


আমি আর নদী অফিস থেকে বেরিয়ে, আমার গাড়ি করে একটা কপি সপে চলে গেলাম। গাড়ি পার্কিং করে আমি আর নদী কপি সপে ঢুকলাম। 


দুজনে একটা টেবিলে গিয়ে বসলাম। ওয়েটার কে বললাম দুইটা কফি দিতে। কিছুক্ষণ পর ওয়েটার কফি দিয়ে গেলো। আমি আর নদী কপি খাচ্ছি।


হঠাৎ একটা টেবিলে চোখ পড়তেই আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম। এ আমি কাকে দেখছি। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। 


জানি না হাঁরিয়ে গেছো কোন দূর অজানায়।

 জানি না কি ভূল ছিল আমার ভাবনায়।

 তাই পেয়েও হাঁরিয়েছি আজ তোমায়।


- বেইমান রা ঠিক ই ভালো থাকে।

 - ভালো থাকেনা শুধু বোকা মানুষ গুলো।

*

*

*

* চলবে

*

*

*

* জানি না কেমন হয়েছে। আজকে শরীরটা কাজের থেকে আসার পর অনেক খারাপ লাগছে। তার পরেও পর্বটা লিখছি। হয়তো আজকের পর্ব সাজিয়ে লিখতে পারি নাই। 


তার পরেও বলবেন কেমন হয়েছে। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন।

*

*

* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post