গল্প/::::: অফিসের বস যখন বউ।
*
*
* লেখক/:::: রাসেল চৌধুরী
*
* পর্ব/::::::: ( ৬ ) :::::::::: ( ছয় ) :::::::::::
*
*
*
*
* আমি মোবাইল থেকে অডিও চালু করে দিলাম। প্রেমা অডিও টা শুনে এমন কিছু করবে , আমি তো পুরো অবাক হয়ে গেলাম। প্রেমা আমার পা ধরে বলতে লাগলো।
প্রেমা/: রাসেল আমার ভুল হয়ে গেছে। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি বুঝতে পারি নাই, নদী যে তোমাকে এমন কিছু বলবে।
আমি/: তুমি যদি একটা বার, আমার কথা গুলো শুনতে , তাহলে এমন কিছু হতো না।
প্রেমা/: আমি বুঝতে পারি নাই। তুমি যখন নদীকে জড়িয়ে ধরেছো। তখন এটা দেখে আমার পুরো দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেছে। আমি মনে করছি, তুমি আমাকে ধোঁকা দিয়েছো।
আমি/: আচ্ছা এসব কথা বাদ দাও। তোমার সাথে ফারহান অফিসে আসলো কেনো।
প্রেমা/: আজকে ফারহান আমাকে অফিসের কাজের জন্য ডাকে নাই। ফারহান আমাকে প্রপোজ করেছে। সে নাকি আমাকে ভালোবাসে।
আমি প্রেমার কথা শুনে মাথা পুরো গরম হয়ে গেল। ফারহান কে অনেক ভালো মনে করেছি। আর সে আমার স্ত্রীকে ভালোবাসার কথা বলে। তখন আমি বললাম।
আমি/: তখন তুমি ওকে কি বলেছো।
প্রেমা/: আমি তাকে মানা করছি। আর বলেছি আমার সামনে আর কখনো না আসতে। ও বলছে তোমাকে ডিভোস দিয়ে দিতে। আমার পেটের সন্তান সে লালন পালন করবে।
আমি/: আমি ভাবতে পারিনি। ফারহান তোমাকে এ কথা বলবে। আর ফারহান সহ অফিসে আসলে কোনো।
প্রেমা/: আমি ফারহান কে না করে দেওয়ার পর, সে বলে তুমি নাকি নদীকে ভালোবাসো। আমি অফিসে না থাকলে, নদীকে অফিসে ঠেকে , তুমি তার সাথে রোমান্স করো।
আমি/: তখন তুমি তার কথা বিশ্বাস করলে।
প্রেমা/: আমি ওকে বলেছি, তুমি এমন কাজ কখনো করতে পারো না। তখন সে আমাকে বলল, তার সাথে অফিসে আসতে। আর তখন অফিসে আসার পর কি হলো, তুমি তো সব জানো।
আমি/: আমার একটা জিনিস মাথায় আসছে না। যখন তুমি আমাকে ভুল বুঝে নানান কথা বলছো। তখন নদী আর ফারহান কোনো কথা না বলে অফিস থেকে বেরিয়ে গেলো কেনো। তারা ওই সময় কিছু বলে নাই কেনো।
প্রেমা/: আমার মনে হয়, নদী আর ফারহান এর মধ্যে কিছু একটা আছে। তা না হলে ওরা কিছু না বলে চলে গেল কেনো।
আমি/: নদী আর ফারহান আমাদের সংসার ভাঙ্গার জন্য মনে হয় এমন করছে। নদী মনে হয় আমাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে ফারহান এর সাথে হাত মিলিয়েছে।
প্রেমা/: আমারো তাই মনে হয়। এখন কি করে ওদের ধরা যায়।
আমি/: আমি আর তুমি যে মিলে গেছি। এটা ওদের বুঝতে দেওয়া যাবে না। তুমি ফারহান আর নদীর সাথে আগের মতো কথা বলবে। তাদের কাছ থেকে সত্যি কথা বের করতে হবে।
প্রেমা/: ঠিক আছে, তুমি যে ভাবে বলবে। আমি সে ভাবে কাজ করবো।
আমি/: ওকে, এখন বাসায় চলো। আব্বু আম্মু আমাদের জন্য চিন্তা করবে।
হঠাৎ শাশুড়ি আম্মা রুমে এসে বললো।
শাশুড়ি/: আজকে আর বাসায় যাওয়া হচ্ছে না। কালকে যাবে, আজকে এখানে থেকে যাও।
প্রেমা/: না আম্মু, শশুর শাশুড়ি বাসায় একা । আমি থাকতে পারবো না।
শাশুড়ি/: একদিনের জন্য কিছু হবে না। তাদের ফোন করে বলে দাও।
প্রেমা/: ঠিক আছে আম্মু।
শাশুড়ি/: ওনাদের সাথে কথা বলে , দুজনে ফ্রেশ হয়ে আসো। আমি টেবিলে খাবার দিচ্ছি।
বলে শাশুড়ি আম্মা রুম থেকে বেরিয়ে গেল। আমি আর প্রেমা ফ্রেশ হয়ে , সবার সাথে খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। প্রেমা বাসায় আব্বু আম্মু কে ফোন দিয়ে বলে দিছে। আজকে আমরা আসবো না।
রাতে প্রেমা আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।
আপনারা কি ভাবছেন, আমি এতো সহজে প্রেমাকে ক্ষমা করে দিবো। ভুল ভাবছেন। আমি তাকে কিছুদিন কষ্ট দিবো। আমার কথা বিশ্বাস না করে, আমাকে ধোঁকাবাজ বলেছে। আমি নাকি তার বিশ্বাস রাখতে পারি নাই। আমি একটা বেইমান।
তাকে বুঝিয়ে দিবো। নিজের আপন মানুষ টি এমন কথা বললে কেমন লাগে। আমার কথা পর্যন্ত শুনে নাই। না শুনে আমাকে নানান কথা বললো।
পরের দিন সকালে সবার সাথে নাস্তা করে আমি গাড়ি নিয়ে অফিসে চলে আসলাম। প্রেমা পরে আসবে, সবাই আমাকে দেখে অবাক , তারা হয়তো মনে করছে, আমাকে অফিস থেকে বের করে দিবে।
আসলে গতকাল প্রেমার কথা শুনে অফিসের সবাই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সবকিছু শুনছে।
আমি নিজের কেবিনে বসে নদীকে ফোন দিলাম।
নদী/; কি ব্যাপার তুমি আমাকে ফোন দিলে যে।
আমি): আমাকে আর তোমাকে তো, গতকাল প্রেমা ভুল বুঝছে, । সে বলেছে আমাকে ডিভোস দিয়ে দিবে। এখন আমি কি করবো বলো।
নদী/: তাহলে তুমি আমাকে বিয়ে করে নাও। আমি প্রেমার থেকে তোমাকে অনেক বেশী ভালোবাসা দিবো।
আমি/: কিন্তু তোমার আব্বু আম্মু কি আমাকে মেনে নিবে। আমার যদি আগে একটা বিয়ের কথা শুনে।
নদী): সেটা নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না। আমি সবকিছু মানিয়ে নিবো।
আমি/: ঠিক আছে। তুমি সন্ধ্যায় আমার সাথে একটু কফি সপে দেখা করতে পারবে।
নদী/: ওকে পারবো। তুমি অফিস থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে ফোন দিও।
আমি/: ঠিক আছে। বায়
এ বলে ফোন কেটে দিলাম। তার পর নিজের কাজ গুলো করতে লাগলাম। আর ওদিকে প্রেমা বাসা থেকে ফারহান কে কল দিলো। তখন ফারহান ফোন রিসিভ করে বললো।
ফারহান/: আমি জানতাম, তুমি আমাকে ফোন দিবে। তা বলো কেনো ফোন দিয়েছো।
প্রেমা/: তুমি কি সত্যি আমাকে বিয়ে করবে। নাকি রাসেল এর মতো আমাকে ধোঁকা দিবে।
ফারহান/: তুমি আমার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারো। আমি কখনো তোমাকে ধোঁকা দিবো না।
প্রেমা/: ঠিক আছে, আমি রাসেল কে ডিভোস দিয়ে তোমাকে বিয়ে করবো। তবে এখন নয় , আমার সন্তান হওয়ার পর।
ফারহান মনে মনে বলতে লাগলো। আমি তোকে কিছুদিন ভোগ করবো। তার পর এমনে তোকে ছেড়ে দিবো। আমি তো নদীকে ভালোবাসি। তোদের সংসার ভাঙ্গার জন্য এতো কিছু করছি। তোর সাহস কি করে হলো, আমার ভালোবাসা নদীর গায়ে হাত তোলার। তখন ফারহান বললো।
ফারহান/: ঠিক আছে। তুমি যা বলবে , তাই হবে।
আর প্রেমা মনে মনে বলতে লাগলো। তুই ভাবলি কেমন করে, আমি রাসেল কে ডিভোস দিবো। তোর কাছ থেকে সব সত্যি বাহির করে ছাড়বো।
প্রেমা/: ওকে ঠিক আছে। এখন অফিসে গিয়ে ওই রাসেল কে অফিস থেকে বের করে দিবো।
ফারহান/: আমি তো তোমাকে আগেই বলেছি, রাসেল ছেলেটা ভালো না। তুমি আমার কথা বিশ্বাস করলে না। আজকে ওকে সবার সামনে অপমান করে অফিস থেকে বের করে দিবে।
প্রেমা/: ঠিক আছে । বায়।
এ বলে প্রেমা ফোন কেটে দিলো। মনে মনে বললো। কুত্তার বাচ্চা, তোর সাহস কি করে হয়, আমার স্বামীকে অপমান করে বের করে দিতে বললি। রাসেল আমার জান।
এসব কিছু ভাবতে ভাবতে গাড়ি নিয়ে অফিসে চলে আসলো। আর আমি অফিসের কাজ করতে লাগলাম। প্রেমা আমার কেবিনে সোজা আসলো। একটা চেয়ারে বসে বললো।
প্রেমা/: আমি ফারহান এর সাথে কথা বলেছি।
আমি/: তো কি কথা বলেছো।
প্রেমা/: তার পর আমাকে সব খুলে বললো।
আমি/: ওকে, এখন অফিসের সবার সামনে দিয়ে। আমাকে অফিস থেকে বের করে দাও। আমি কিছুদিন অন্য জায়গায় থাকবো।
প্রেমা/: কিন্তু তোমাকে ছাড়া , আমি থাকবো কেমন করে।
আমি/: আরে আমাদের তো ফোনে কথা হবে। আর এই ফারহান আর নদীকে উচিত শিক্ষা না দিলে আমার মন কখনো শান্ত হবে না। আমি ওদের তিলে তিলে কষ্ট দিবো। আমাদের সুখী সংসার ভাঙ্গতে আসে।
প্রেমা/: ঠিক আছে। এখন তুমি তৈরি হয়ে নাও।
আমি প্রেমার কথা মতো নিজেকে ঠিক করে নিলাম। তার পর প্রেমা আমাকে কেভিন থেকে বের করে সবার সামনে বললো।
প্রেমা/: তোকে অফিসে আসতে কে বলেছে। তোর মতো ছেলেকে আমি বিয়ে করে অনেক বড় ভুল করছি। তুই এখনি অফিস থেকে বেরিয়ে যা। আমি সময় মতো তোর ডিভোস পেপার পাঠিয়ে দিবো।
আমি/: প্রেমা আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে তুমি মাফ করে দাও। আর জীবনে এমন কাজ কখনো করবো না। আমাকে আর একটা বার সুযোগ দাও।
প্রেমা/: তোর মতো ছেলেকে বিশ্বাস করে, আমার জীবনের বড় ভুল করছি। আমি তোকে আর বিশ্বাস করি না। তুই এখনি বের হয়ে যা অফিস থেকে।
আমি/: ঠিক আছে, আমি চলে যাচ্ছি। তুমি ভালো থেকো। আমার থেকে ভালো ছেলে পেলে বিয়ে করে নিও।
এ কথা বলে আমি অফিস থেকে বেরিয়ে গেলাম।
আপনাদের মাথায় এখন কিছুই ঢুকবে না। গল্পের সাথে থাকুন, সব দেখতে পাবেন। আমাদের প্লান কি করছি। আমরা তাদের শাস্তি তো দিবোই। আমরা আরো জিনিস তাদের সাথে করবো।
আমি অফিস থেকে বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো। আমাকে দেখে বললো।
আম্মু/: কিরে রাসেল, তুই আজকে এতো তাড়াতাড়ি অফিস থেকে চলে আসলি যে। প্রেমা কোথায়।
আমি/: আম্মু আমি তোমাকে পরে সব কিছু খুলে বলবো। আমি আগে একটু রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নি।
আম্মু/: ঠিক যা।
আমি আর কোনো কথা না বলে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে প্রেমা কে ফোন দিলাম।
প্রেমা/: হুম বলো।
আমি/: অফিসের লোকজন কিছু বলেছে।
প্রেমা/: হুম বলেছে। তারা বললো, তোমার মতো ছেলেকে অফিস থেকে বের করে দিয়ে অনেক ভালো করছি। এদের মতো ছেলেকে পুলিশে দেওয়া উচিৎ।
আমি/: তখন তুমি কি বলেছো।
প্রেমা/: আমি ওদের বলেছি, যার যার জায়গায় গিয়ে কাজ করতে। আমার টা আমি দেখে নিবো। তুমি জানো, ওদের কথা শুনে আমার অনেক খারাপ লাগছে। আমি কেভিনে এসে কান্না করে দিলাম।
আমি/: আরে এতো কান্না করো কেন। পরে সবাইকে বুঝিয়ে বললে, ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ টা শেষ করতে হবে। আর আমাদের সন্তান তোমার পেটে। দুই তিন মাস পর থেকে তো আর তুমি অফিসে আসতে পারবে না।
প্রেমা /: ঠিক বলেছো। আচ্ছা এখন রাখি, ফারহান ফোন দিচ্ছে।
আমি/: ওকে ঠিক আছে। আর আমি যে ভাবে বলছি, সে ভাবে কথা বলে যাবে। আমি সন্ধ্যায় নদীর সাথে দেখা করবো।
প্রেমা/: ওকে ঠিক আছে, আল্লাহ হাফেজ।
আমি/: আল্লাহ হাফেজ।
বলে ফোন টা কেটে দিলাম। দুপুরে আব্বু আম্মুর সাথে বসে খাবার খেতে লাগলাম। তখন আব্বু বললো।
আব্বু/: কিরে , তুই বাসায়, প্রেমা কোথায়।
আমি/: আসলে আব্বু , প্রেমা এক মাসের মতো বাসায় আসবে না।
আব্বু/: কেনো , কি হয়েছে ওর।
আমি/: তার পর আব্বু আম্মু কে সবকিছু খুলে বললাম।
আম্মু): তবে তুই সবসময় প্রেমা কে চোখে চোখে রাখবি। ওই ছেলে যেনো প্রেমার কিছু করতে না পারে।
আমি): সেটা নিয়ে তোমাদের চিন্তা করতে হবে না। আমি প্রেমার পিছনে সবসময় লোক লাগিয়ে রাখবো।
আম্মু/: ঠিক আছে, এখন খাবার খেয়ে নেয়।
আমি খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। সন্ধ্যায় আব্বু আম্মুকে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে রেস্টুরেন্টের সামনে চলে আসলাম।
এবার আপনাদের একটা কথা বলি। নদীর সাথে বন্ধুত্ব করার পরে, নদী আমাকে ভালোবেসে ফেলে। আপনারা হয়তো বলবেন, আমি জানতাম কেমন করে।
আসলে নদী রাইসার বিয়ের সময় একটা মেয়ের সাথে কথা বলতে শুনেছি, আমি তখন এটা ওটা জায়গায় নিয়ে সাজাতে গেলে, তাদের কথা গুলো শুনতে পাই।
নদীর সাথের মেয়েটা নদীকে বলেছে। ওর তো স্ত্রী আছে। দেখে মনে হচ্ছে দুজন দুজনকে পাগলের মত ভালবাসে। তুই তাকে কিভাবে মনের কথা বলবি।
তখন নদী বললো। আমি আগের প্রেমার চোখে , রাসেল কে খারাপ বানাবো। তার পর রাসেল কে আপন করে নিবো।
তখন ওই মেয়েটা বললো। তুই কিভাবে রাসেল কে প্রেমার চোখে খারাপ বানাবি।
তখন নদী বললো। সেটা সময় হলে জানতে পারবি।
আরো অনেক কাহিনী আছে। সাথে থাকেন দেখতে পাবেন। এখনো আপনাদের মাথায় কিছুই ঢুকবে না।
আমি রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে ঢুকে একটা টেবিলের সামনে গিয়ে চেয়ার টেনে বসলাম। কিছুক্ষণ পর নদী আসলো। আমার সামনের চেয়ারে বসে বললো।
নদী/: বলো কেনো ডেকেছো।
আমি): তোমার জন্য তো প্রেমা আমাকে ভুল বুঝেছে। আমাকে আজকে অফিস থেকে বের করে দিছে। এখন আমি কি করবো।
নদী): সমস্যা নেই। তুমি আমাদের অফিসে কাজ করো। দুজনে মিলে অফিস টা চালাবো।
আমি/: তোমার আব্বু কিছু বলবে না।
নদী/: আমার ওপরে আব্বু কখনো কথা বলে না।
আমি): আজকে তোমাকে আমি একটা সত্যি কথা বলি। আসলে আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসি। কিন্তু প্রেমার কারনে বলতে পারি না। প্রেমা সারাক্ষণ আমাকে প্যারার ওপরে রাখে।
নদী/: কিহ, তুমি সত্যি বলছো।
আমি): হুম আমি সত্যি বলছি।
নদী/: তুমি জানো, আমি ও তোমাকে অনেক আগে থেকে ভালোবাসি। কিন্তু প্রেমার জন্য বলতে পারি নাই।
আমি/: আসলে প্রেমা কে আমার একটুও ভালো লাগে না। ওর থেকে মুক্তি পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। প্রেমার আগে যদি তোমাকে দেখতাম, তাহলে তোমাকে বিয়ে করতাম।
নদী/: তাহলে আমার কাজ টা করা ঠিক হয়েছে।
আমি): মানে , কি কাজ।
।নদী/: আরে তোমাকে জড়িয়ে ধরা, তা না হলে তো প্রেমা তোমাকে ছেড়ে দিতো না।
আমি/: একদম ঠিক কাজ করেছো। এখন আমি তোমাকে বিয়ে করে নিবো।
নদী/: ঠিক আছে। আমি আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলবো।
আমি/: এখন বলো না। আগে তোমার অফিসে কাজ করি এক মাসের মতো, তোমার বাবার মন জয় করি। তা হলে তোমার আব্বু বিয়েতে রাজি হবে।
নদী/: ঠিক বলেছো। তুমি কালকে আমাদের অফিসে চলে এসো।
আমি/: আচ্ছা ঠিক আছে।
তার পর আরো কিছুক্ষণ কথা বলে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে নদীকে বিদায় দিয়ে, আমার এক বড় ভাইয়ের কাছে গেলাম। তিনি সবসময় ভালো কাজ করে ।
বড় ভাই/: আরে রাসেল, তুমি হঠাৎ আমার এখানে।
আমি): ভাইয়া, আমার কয়জন লোক লাগবে। আমার স্ত্রীকে চোখে চোখে রাখার জন্য।
বড় ভাই/: কেনো। তোমার পিছনে কেউ লাগছে। আমাকে শুধু একবার বলো। একবারে উচিত শিক্ষা দিয়ে দিবো।
আমি/: আসলে ভাইয়া , তেমন কিছু না। ( তার পর ভাইয়াকে সবকিছু খুলে বললাম)
ভাইয়া/: সমস্যা নেই। আমার লোক সব সময় তোমার বউয়ের পিছনে পিছনে থাকবে।
আমি): ভাইয়া তোমাকে কতো দিতে হবে।
ভাইয়া/: একটা থাপ্পড় দিবো। তুই ভাবলি কি করে, আমি তোর কাছ থেকে টাকা নিবো। তুই না থাকলে, আমি এতোক্ষণ ওপরে থাকতাম।
আমি/: ঠিক আছে ভাইয়া। আমি ঠিকানা দিয়ে যাচ্ছি, সকালে বলবেন, এই বাসার সামনে চলে যেতে। আমার বউ লোক দেখে চিনে ফেলবে। কিন্তু ফারহান যেনো বুঝতে না পারে।
ভাইয়া/: সমস্যা নেই। তুই এখন বাসায় চলে যা। সকালে আমার লোক তোর বউয়ের বাসার সামনে চলে যাবে।
আমি/: ধন্যবাদ ভাইয়া, আমি এখন আসি।
এ বলে ভাইয়ার ওখান থেকে চলে আসলাম।
আসলে আমি একদিন অফিস থেকে আসার সময় রাস্তায় দেখি, ভাইয়া কে কিছু ছেলে মারতে আছে। তখন আমি ওখানে ছুটে গেলাম। আমি ওদের সবাইকে মারতে লাগলাম। ছেলে গুলো মার খেয়ে দৌড় দিয়ে পারালো। সে থেকে ভাইয়ার সাথে পরিচয়।
রাতে সবার সাথে খাবার খেয়ে রুমে এসে বিছানায় শুয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি, প্রেমা অনেক গুলো ফোন দিছে। তাই ফোন বেগ করলাম।
আমি/: হুম বলো। এতো ফোন দিচো কেনো।
প্রেমা/: তুমি এতোক্ষণ কোথায় ছিলে। আমি কতো গুলো ফোন দিছি।
আমি/: আসলে আমি খাবার খাচ্ছিলাম। মোবাইল রুমে ছিলো।
প্রেমা/: ওহ , তা এখন কি করো।
আমি/: এই তো রুমে এসে, বিছানায় শুয়ে তোমার সাথে কথা বলছি। তুমি কি করো।
প্রেমা/: খাবার খেয়ে রুমে এসে তোমাকে ফোন দিচ্ছি। কিন্তু তুমি ফোন রিসিভ করো নাই। আমার একা একা ঘুমাতে ভালো লাগছে না। তুমি একটু আসবে।
আমি/: এখন তোমার বাসায় গেলে, । তোমার আব্বু আম্মু কি বলবে।
প্রেমা/: আরে , আব্বু আম্মু তো ঘুমিয়ে গেছে মনে হয়। তুমি প্লিজ আসো তোমাকে ছাড়া আমার ঘুম আসছে না।
আমি/: ঠিক আছে আসছি।
বলে ফোন কেটে দিলাম। আমি বিছানা থেকে নেমে একটা জামা গায়ে দিয়ে বাইক টা নিয়ে শশুর বাড়িতে চলে আসলাম। দারোয়ান আমাকে দেখে বললো।
দারোয়ান/: আরে রাসেল বাবা, তুমি এতো রাতে আসলে যে।
আমি/: আসলে চাচা, প্রেমার সাথে দেখা করতে এসেছি। ওকে না দেখে থাকতে পারি না।
দারোয়ান): ঠিক আছে যাও।
আমি/: তবে চাচা, শশুর শাশুড়ি যেনো এটা কখনো জানতে না পারে।
দারোয়ান): সমস্যা নেই। কেউ জানবে না।
আমি/: ধন্যবাদ চাচা। আর এই এক হাজার টাকা রাখুন।
দারোয়ান): লাগবে না বাবা। এমনে তুমি আমাকে অনেক টাকা দিয়েছো।
আমি/: আরে রাখুন চাচা। মনে করেন, আপনার ছেলে দিয়েছে।
চাচা টাকা টা রাখলো। তার পর আমি দরজার সামনে এসে প্রেমা কে ফোন দিয়ে বললাম, দরজা খোলার জন্য।
কিছুক্ষণ পর প্রেমা এসে দরজা খুলে দিলো। আমার হাত ধরে ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে , রুমে নিয়ে আসলো। তার পর এমন কিছু করবে, সেটা আমি কখনো ভাবিনি।
- খারাপ কেউ জন্মগত হয় না।
- খারাপ বানায় কিছু বেইমান আর আশেপাশের পরিস্থিতি।
হয়তো আমার থেকেও ভালো কাউকে পাবে।
কিন্তু তার মাঝে কখনো আমার ভালোবাসাটুকু খুঁজে পাবে না।
*
*
*
* চলবে
*
*
*
* আপনাদের আগেই বলেছি, গল্পটায় অনেক কাহিনী বাকি আছে। এবং রহস্য আছে। এখন হয়তো আপনাদের মাথায় কিছুই ঢুকবে না। গল্পের সাথে থাকুন সব জানতে পারবেন।
তো কেমন হয়েছে জানাবেন, ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, আমি গল্প লিখি আমার মনের অনুভূতি থেকে, বাস্তবের সাথে কোনো মিল নেই। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন।
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿