গল্প/::: সিনিয়র বড় আপু।
*
*
* লেখক/:::: রাসেল চৌধুরী 🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
"
*
* পর্ব/::::::::(৮) আট
*
*
*
* বিকালে ঘুমের মধ্যে কেউ একজন জড়িয়ে ধরে কান্না করতে আছে, আমি চোখ খুলে যাকে দেখলাম, আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। হুম এ আর কেউ নয় তিথি।
*
* আমি): কিরে কান্না করছিস কেন। ( আমিও জড়িয়ে ধরে)
*
* তিথি/: ভাইয়া তুই বাড়িতে আসবি, আমাদের বললি না কেন, ।
*
* আমি/: তোদের সারপ্রাইজ দিবো বলে।
*
* তিথি): তাই বলে এভাবে আসবি।
*
* আমি/: আচ্ছা ওসব বাদ দেয়, এখন বল তুই কেমন আছিস।
*
* তিথি): তোরে ছাড়া কেমনে ভালো থাকি বল। আগে ভালো ছিলাম না, এখন তুই এসে গেছিস , আমি ভালো আছি।
*
* তিথির সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে এসে সাদিনকে ফোন দিলাম।
*
* সাদিন/: হ্যালো কে বলছেন।
*
" আমি): তোর দুলাভাই,
*
* সাদিন/: সরি , আপনি রং নাম্বারে ডায়াল করছেন, কারন আমার বোনের বিয়ে হয়ে গেছে, তার দুই হুনুমান আছে, সারা দিন আমাকে জ্বালিয়ে মারে।
*
* আমি): ওই তোকে এতো কথা বলতে বলছি, এখন বল তুই কোথায় আছিস।
*
* সাদিন/: আগে বলেন আপনি কে।
*
* আমি/: তুই তোদের কলেজের সামনে চলে আয়, তার দেখ আমি কে।
*
* সাদিন/: আমি যাবো না, আমার ভয় করে, পরে আমার যদি কিছু হয়, আমার রিয়ার কি হবে।
*
* আমি/: হারামি তুই এতো কথা বলিস কেন, ১০ মিনিট এর মধ্যে যদি না আসিস, আমি তোর বাসা থেকে তুলে আনবো।
*
* বলে ফোনটা কেটে দিলাম, শালা আজকে আসুক , আজকে ওর একদিন আমার যে কয়দিন লাগে। আপনারা হয়তো ভাবছেন সাদিন আমাকে চিনতে পারে নাই কেন, আসলে আমি নতুন সিম কার্ড নিয়েছি, একারনে চিনতে পারে নাই, আমি তাকে সারপ্রাইজ দিবো বলে বলি নাই।
*
* বিশ মিনিট পর দেখি সাদিন বাইক নিয়ে আসতে আছে, আমি আড়ালে চলে গেলাম, সাদিন কলেজের সামনে এসে চার পাশে তাকিয়ে খুজতে লাগলো আমাকে, আমি তার পিছন দিয়ে গিয়ে মাথায় একটা থাপ্পর মেরে দিলাম।
*
* সাদিন/: কোন হারামি রে , আমাকে থাপ্পর মারছে।
*
* আমি/: তাকিয়ে দেখ , আমি তোর দুলাভাই।
*
* সাদিন/: রাসেল তুই। ( বলে জড়িয়ে ধরলো)
*
* আমি/: কেমন আছিস বল।
*
* সাদিন/: তুই আসবি, আমাদের একটু জানাস নাই কেন,
*
* আমি): আমি কাউকে জানাই নাই, সবাইকে সারপ্রাইজ দিবো বলে, এখন বল সবাই কোথায়। আর তোরা সবাই কেমন আছিস।
*
* সাদিন/: তোকে ছাড়া কেউ ভালো ছিলাম না, এখন ভালো আছি।
*
* আমি/: রনি কোথায় এখন,।
*
* সাদিন): এতোক্ষণ আমার সাথে ছিলো। আমার সাথে আসতে বলছি, কিন্তু ওর নাকি বাসায় কি কাজ আছে, তাই বাসায় চলে গেছে।
*
* আমি/: ওকে সমস্যা নেই, পরে কথা বলব।
*
" সাদিনের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম, কলিং বেল চাপ দিলাম, সাদিয়া এসে দরজা খুলে দিল। তাকে দেখে আমি আবার প্রেমে পড়ে গেলাম, আজকে সাদিয়া শাড়ি পরেছে। না না ওকে আমি আর ভালোবাসবো , আমি কোনো কথা না বলে রুমে চলে। সাদিয়া মনে করছে , আমি তাকে কিছু বলবো,
"
* তিথি এসে বললো, আব্বু নাকি অফিস থেকে এসেছে। তাই বসে না থেকে আব্বুর সাথে দেখা করতে নিচে চলে গেলাম। দেখি আব্বু কপি খাচ্ছে।
*
* আমি): কেমন আছো আব্বু। ( সালাম দিয়ে পাশে বসে)
*
* আব্বু): আমি অনেক ভালো আছি, তুমি কেমন আছো।
*
* আমি/: আমি ও ভালো আছি।
*
* আরো কিছুক্ষণ কথা বলার পর আম্মু খাবার খেতে ডাকলো। টেবিলের সামনে গিয়ে একটা চেয়ার টেনে বসলাম।
*
* আব্বু/: তা পড়ালেখা কি আরো করবি , না কি অফিসে বসবি।
*
* আমি/: না আর করবো না, এখন থেকে তোমার অফিস দেখাশোনা করবো।
*
* আব্বু/: তাহলে তো ভালোই। আমি এখন রেষ্ট নিতে পারবো।
*
* আমি): হুম।
*
* খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম। সাদিয়া খাবার টেবিলে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।
*
* এভাবে দেখতে দেখতে পাচ দিন চলে গেল। এই পাঁচ দিনে সাদিয়া আমার কাছে অনেক বার মাফ চেয়েছে, কিন্তু আমি তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দিছি। আর বলছি আমার বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে, ।
*
* সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম, সাদিয়া প্রতিদিন আমাকে ঘুম থেকে ঠেকে উঠাতো, কিন্তু আজকে উঠালো না কেন, আমি বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো সাদিয়াকে দেখলাম না।
*
* আম্মু/: আম্মু সাদিয়া আপু কোথায়।
*
* আম্মু/: এখন কেন তার কথা বলছিস, তোর আপদ দূর হলো, তুই তো এখন খুশি থাকার কথা।
*
* আমি): মানে কি বলতে চাচ্ছো তুমি।
*
* আম্মু/: সাদিয়াকে তার আব্বু আম্মু সকালে এসে নিয়ে গেছে। আর তাকে না জানিয়ে বিয়ে ঠিক করেছে।
*
* আমি/: ওহ,।
*
* আমি আর কোনো কথা না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে সাদিনকে ফোন দিয়ে আসতে বললাম। কিছুক্ষণ পর সাদিন আসলো , দুজনে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে নাস্তা করে , সারাদিন ঘুরলাম। তার পর সন্ধ্যায় বাসায় আসার সময় সাদিনকে বললাম চলে যেতে, আমি হেঁটে বাসায় যাবো।
*
* সাদিন বাসায় চলে গেল, আমি হেঁটে হেঁটে বাসায় আসতে লাগলাম। হঠাৎ দেখি কিছু ছেলে, একটা ছেলে কে মারতে আছে রাস্তার মধ্যে রেখে। আমি দৌড়ে তাদের সামনে যেতে লাগলাম, আমাকে আসতে দেখে ছেলে গুলো পালিয়ে গেল।
*
* আমি ছেলেটার কাছে গিয়ে, তার চেহারা দেখে অবাক হয়ে গেলাম। হুম ঠিকই ধরেছেন এটা সিলা আপুর বড় ভাই।
*
* আমি/: আপনার কোথাও লাগে নি তো।
*
* ছেলেটা): না তেমন মারতে পারে নাই, তুমি আসাতে পালিয়ে গেল। আর তোমাকে চেনা চেনা লাগছে। তোমাকে আমি কোথায় যেনো দেখেছি।
*
* আমি): আমি রাসেল। এতো দিন দেশের বাহিরে ছিলাম। ইন্টার কমপ্লিট করে দেশে আসলাম কিছু দিন হলো। আর আপনি আমাকে দেখছেন, আপনার বোনের বিয়েতে, সাদিয়া আপুর সাথে কথা বলতে।
*
* ছেলেটা/: ওহ মনে পড়েছে। এখন চিনতে পেরেছি, ।আর আমি জীবন। ওই দিন তুমি বড় একটা ভুল করেছো।
*
* আমি/: আমি কোনো ভুল করি নাই, ভুল করেছে সাদিয়া আপু। আমার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করেছে। আর ও একটা খারাপ মেয়ে।
*
* জীবন/: তোমার ধারনা পুরোটাই ভুল ছিল। আমি সাদিয়াকে নিজের বোনের চোখে দেখি, আর ওই দিন সাদিয়া আমার সাথে রুমে গেছে , আমার মোবাইল দিয়ে তোমাকে ফোন দিতে, হঠাৎ সাদিয়ার চোখে কি যেনো পড়েছে, তাই আমি ওটা বের করে দিতে গিয়েছিলাম, তার মধ্যে তুমি রুমে ঢুকে গেলে। আর থেকে বড় কথা হলো আমি একজন বিবাহিত ছিলাম।
*
* আমি/: আমি তো নিজের চোখে দেখলাম, আপনি ওনাকে কিস করতে।
*
* জীবন/: মাঝে মাঝে চোখের দেখাও ভুল হয়। তুমি কি করে ভাবলে নিজের বউ থাকতে , আমি সাদিয়াকে কিস করবো। সিলার বিয়েতে গিয়ে সাদিয়া পুরো ভেস্ত ছিল, সিলার পুরো বিয়ের দায়িত্ব সাদিয়া নিয়ে ছিলো, তাই তোমাকে ফোন দিতে পারে নাই।
*
* আমি/: এ আমি কি করলাম, ভালো করে জাছাই না করে সাদিয়াকে আমি খারাপ মেয়ে বললাম। এখন কি সে আমাকে ক্ষমা করবে। তাকে তো আমি অনেক অপমান করছি, একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে , তার দুই বছর দূরে ছিলাম।
*
* জীবন): সাদিয়া মেয়েটা তোমাকে অনেক ভালোবাসে। তুমি তাকে আপন করে নাও, মেয়েটা তোমাকে কাছে পাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করেছে। তুমি তাকে আর কষ্ট দিয়ো না।
"
* আমি): হুম ঠিকই বলছেন, আমি তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি, আমি তাকে আপন করে নিবো, যদি আসতে না চায়, তার পা জড়িয়ে ধরবো। আচ্ছা সিলা আপুর কেমন আছে। এখন কি আপনাদের বাড়ি না কি জামাইর বাড়ি।
*
* আমার এ কথায় শুনে জীবন ভাইয়া চুপ হয়ে গেল। তখন আমি আবার বললাম।
*
* আমি): কি হয়েছে ভাইয়া, আপনি চুপ হয়ে গেলেন কেন।
*
* জীবন/: তুমি কিছু শুনো নাই।
*
* আমি/: আমি তো কিছুই শুনি নাই, কি হয়েছে।
*
* জীবন/: সিলার বিয়ে হয় নাই,
*
* আমি): মানে ।( অবাক হয়ে)
*
* জীবন): সিলার বিয়ের দিন, তার জামাই আসতে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে, আর ওখানে মারা যায়। তার পর সিলা আর বিয়ে করে নাই,। এখন বাবার অফিস দেখা শুনা করে।
*
* আমি/: ওহ, আচ্ছা ঠিক আছে ভাইয়া, আমি না বুঝে আপনার মনে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি, আপনাকে ভুল বুঝেছি, প্লিজ আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
*
* জীবন/: ক্ষমা চাওয়া লাগবে না, আমি তোমার জায়গায় থাকলে সেম কাজ করতাম। এখন দেখো সাদিয়াকে আপন করে নিতে পারো কি না।
*
* আমি): ঠিক বলছেন ভাইয়া।
*
* জীবন): ওকে তোমার জন্য শুভকামনা রইল,।
*
* বলে গাড়ি নিয়ে চলে গেল, আমি দাঁড়িয়ে না থেকে বাসায় চলে আসলাম, ও আপনাদের তো বলতে ভুলে গেছি, রিয়া আমি বাহিরে যাওয়ার পর তাদের বাড়ি চলে যায়, আর ওখানে কলেজে ভর্তি হয়,
*
* আমি বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিলাম, যে দরজা খুলে দিল, তাকে দেখে তো অবাক হয়ে গেলাম।
*
*Vulinito Ami, Tomar Mukhe Hasi, Amar Gaouya Ganey, Tomake Valobasi... Aso Abaro Kache, Hatta Dhoro Pashe, Tomay Niye Jabo Amar Prithibite..❤❤
*
*❤❤Valobashai Kuno Sorto Thakte Nei, Sorto Thakle Bepar Ta Goniter Moto Hoye Jai, Ami Kokhono Asha Korini J Tomake O Amak Valobashte Hobe, Ami Shudu Tmk Akber Blte Chai, Ami Tomake Valobashi.. I ❤ You...❤❤
*
*
*
* চলবে
*
*
*
* কেউ রাগ করবেন না, রাতে আরেক পর্ব দিব, আমি এখন অনেক টা কাজে বিজি থাকি, প্রবাশে থাকি তো, এখন কাজ কাম একটু বেশি, ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে জানাবেন কেমন হয়েছে।
*
*
* ধন্যবাদ সবাইকে পাশেই থাকবেন 🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡🧡
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
"
* পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷🌿🌷🌷🌷🌿🌷