গল্প:জুনিয়র Vs সিনিয়র লেখক:শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার পর্ব:১

 


গল্প:জুনিয়র Vs সিনিয়র

লেখক:শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক

সরকার

পর্ব:১

শাহরিয়ার: কিরে কি অবস্থা

মুন্না: ভালো নারে।

শাহরিয়ার, কি হয়ছে আর তোর মুখে মাইরের দাগ কেনো। 

মুন্না: বন্ধু আমারে কালকে সবাই মিলে মারছে[কান্না কান্না কন্ঠে] 

শাহরিয়ার:কি কার এত বড় বুকের পাঠা হয়েছে আমার বন্ধুকে মারছে কোন ছেলেরা মেরেছে তোকে ।শুধু একবার নাম বল 

তাদের আমি পিচপিচ করে কেটে ফেলবো

মুন্না:আরে ভাই তুই থাকতে কোন ছেলেরা আমার গায়ে হাত দিবে।

শাহরিয়ার: তো কারা

মুন্না :কলেজের মেয়েরা মারছে। 

শাহরিয়ার, একটু তো লজ্জা হওয়ার উচিত তোর শেষ পর্যন্ত ‌তুই মেয়েদের হাতে মার 

খেলি(হাসি দিয়ে বললাম।) 

মুন্না: আসলে কলেজের এক মেয়ের প্রেমে পড়ে গেছিলাম তাই তাকে প্রপোজ করছি

বলে ওর হাতে ঠাশঠাশ করে থাপ্পরতো খেয়েছি সঙ্গে ওর বান্ধুবীদের হাতেও স্প্যেসাল ভাবে গরম ধোলাই খাইলাম।মানে মার খেয়েছি।

 শাহরিয়ার: হা হা হা মারতো খাবিই ও তোর সিনিয়র ছিলো। 

মুন্না:....???

শাহরিয়ার: যাইহোক তুই দেখ শুধু কালকে ওদের কেমনে টাইট দিই।কত বড় সাহস আমার গুলুমুলু বন্ধুরে মারছে

মুন্না: হুম

শাহরিয়ার: তারপর আমি মুন্নার সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

রাতে খেয়েদেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ি আর ভাবতে থাকি যে কিভাবে কলেজের মেয়েদের টাইট দেওয়া যায় এগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম সকালে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙ্গে।

আম্মু: উঠ উঠ তারাতারি উঠ স্কুলে যাবি উঠ তারাতারি।

শাহরিয়ার:আর একটু ঘুমাইনা 

আম্মু: তারাতারি উঠ নাহলে তোর আব্বুকে ডাক দিচ্ছি।

শাহরিয়ার:না থাক ডাকার দরকার নাই ।কি আর করার তারপর ওঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে স্কুলে চলে গেলাম

যাই হোক আগে পরিচয়টা দিয় আমি শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার 

দশম শ্রেণীতে পড়ি। 

তারপর স্কুল ছুটি হওয়ার পর কলেজের সামনে গিয়ে আমি মুন্নাকে বললাম কোন মেয়েগুলো মারছে।

মুন্না:‌একদল মেয়েকে দেখিয়ে দিয়ে, ওই যে দেখ সবার মাঝখানে যে বসে আছে ওর নাম রুপা ও হলো ওদের দলের লিডার 

খুবি ভয়ংকর আর ওর পাশে যে বসে আছে

ও মিতু যাকে প্রপোজ করছিলাম। শাহরিয়ার: তুই এখানেই থাক। তারপর আমি মেয়েগুলোর সামনে গিয়ে বললাম হাই বেবে কেমন আছো জান।

 রুপা:কি কইলি হারামযাদা।

শাহরিয়ার:ওই ময়দা মাখার দল চল বিয়া করি হানিমুনে শশুর বাড়ি নিয়া যামু।

,,,,কুত্তার বাচ্চা এই বলে সবাই শাহরিয়ারকে গিরে ফেললো ,,,,,

শাহরিয়ার, আজ মনে হয় গরম গরম ধোলাই খেতে হবে।।

কে কোথায় আছো গো বাচাও আমাকে

এই মেয়েরা আমার ইজ্জত কেরে নিচ্ছে বাচাও বাচাও

রুপা:এই এই এই এগুলো কি বলছিস চুপ চুপ আমাদের মানসম্মান সব শেষ হয়ে যাবে

চুপ চুপ কর বলছি

শাহরিয়ার: তাহলে আমার পথ ছেড়ে আমাকে সসম্মানে যেতে দেও সুন্দরি

মিতু,রুপা কলেজের অনেক স্টুডেন্ট এদিকেই তাকিয়ে আছে তাই ওকে যেতে দেওয়ায় ভালো

রুপা, আচ্ছা এবারের মতো ছেড়ে দিলাম 

যা ভাগ

শাহরিয়ার, আমি সেখান থেকে চলে যেতে লাগলাম হঠাৎ কি ভাবে যেনো থেমে গেলাম

মিতু: কি হলো থামলি কেনো।

শাহরিয়ার: আমার বন্ধু মুন্নাকে কেন মেরেছিলে তোমরা 

মিতু: আচ্ছা তুই তাহলে সেই আবুলের বন্ধু

শাহরিয়ার: কানের নিচে দিবো একটা 

আবুল কাকে বলছিস।ও আমার বন্ধু আমার কলিজা ।

রুপা:এই তুই আমার বান্ধুবীকে ধমক দেওয়ার সাহস পেলি কোথায়


শাহরিয়ার: ঠাশঠাশ করে রুপার গালে থাপ্পর

বষিয়ে দিই।আমি মিতুর সাথে কথা বলছি মাঝখানে কোন সাহসে কথা বললি।

রুপা, গালে হাত দিয়ে অবাক হয়ে শাহরিয়ারের দিকে তাকিয়ে রইলো

শাহরিয়ার, সবাই আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে

তাকিয়ে আছে তারমানে এখানে আবহাওয়া

তেমন সুবিধার না এখান থেকে কেটে পড়াই ভালো। তারপর দিলাম উরাধুরা দৌড়। 

রুপা: পালাচ্ছিস কোথায় তোকে একবার শুধু হাতের কাছে পাই।

দেখে নিবো তোকে।

শাহরিয়ার, আরে আমারে আর পাইলে তো

এক দৌড়ে কলেজের বাহিরে চলে আসলাম । 

মুন্না, আরে তুই তো ফাটিয়ে দিয়েছিস গুরু

শাহরিয়ার, দেখতে হবেনা ছেলেটা কে

মুন্না:হুম 

শাহরিয়ার: তারপর যে যার বাড়ি চলে গেলাম।বাসায় আসলে আম্মু বলতে লাগলো 

আম্মু:এতক্ষন কোথায় ছিলি তোর স্কুল ছুটি হয়ছে আরো ১ঘন্টা আগে।সারা দিন শুধু ঘুরেবেড়াছ ঠিকমতো পড়ালেখাও করছিস না ঘুরঘুর যত ইচ্ছা ঘুর আজকেই তোর শেষ ঘুরাফিরা।

শাহরিয়ার:কেন আম্মু কি হয়েছে।আম্মু:কেন তুই জানিস না  

শাহরিয়ার: কি

আম্মু: তোর বোন পড়াশুনা শেষ করে কালকে বিদেশ থেকে দেশে ফিরবে 

,,,,,তারপর আম্মু চলে গেল,,,,,,,।

শাহরিয়ার, আমি আপনাদের বলতেই ভুলে গেছি যে আমার বড় বোন আছে এবং তার নাম ইশরাত। আমার বোন খুব রাগী

এবার আমার সব স্বাধীনতা শেষ।

 তারপর আমি আমার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে মুন্নাকে ফোন দিলাম।

দোস্ট কালকে থেকে আমি আর আড্ডা দিতে পারবো না।

মুন্না:কেন কি হয়ছে।

শাহরিয়ার:কালকে আমার বড় বোন বিদেশ

থেকে আসছে।

মুন্না: ভাই তাহলে আমিও তোদের বাড়ির আর আশেপাসে যাচ্ছিনা ।

শাহরিয়ার: যানি না কালকে কি হয়।

তারপর ফোন কেটে দিলাম।

পরের দিন সকাল সকাল আম্মুর ডাকে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রেডি হচ্ছি আপুকে এয়ারপোর্ট থেকে নেয়ে আসার জন্য।তারপর আমি আর আব্বু গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি এয়াপোর্টে পৌছে হঠাৎ আব্বুর এক পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হলো আমার সাথেও আব্বু পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর আব্বু আমাকে বলল

আব্বু:তুই এয়ারপোর্টের ভিতরে যা আমরা ওই সামনের রেস্টুরেন্টে আছি তোর আপু আসলে আমাকে ফোন দিস।বলেই চলে গেলো।

শাহরিয়ার: তারপর আমি এয়ারপোর্টের ভিতরে গেলাম হঠাৎ কার সাথে যানি ধাক্কা খেয়ে হাত থেকে আমার ‌মোবাইলটা পড়ে 

যায়।ভাগ্য ভালো মোবাইলটা ভেঙ্গে যায়নি

তারপর আমি মেয়েটিকে পেছন থেকে বলি ওই কানা দেখে চলতে পারেন না কিন্তু

মেয়েটি কিছইু বলল না সামনের দিকে দাড়ায় আছে।আমি আবার পিছন থেকে বললাম ওই পাগল ঠিকমতো দেখে চলতে পারেন না নাকি এ কথা শুনে মেয়েটি পিছনে ফিরে আমার দিকে তাকালো ।

মেয়েটিকে দেখে আমার ভয়ে পা কাপতে থাকে কারন ওই মেয়েটি আর কেউ না আমার আপু।তারপর আপু আমার কাছে এসে আমার হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে ছুরে মারে আর আমার স্বাদের মোবাইলটা

ভেঙ্গেচুরে টছমস হয়ে যায়।

আপু: কি শিখেছিস এতদিন এই ভাবেই কি

তুই সবার সাথে কথা বলিস।

শাহরিয়ার:না মানে আমি জানতাম না যে ওটা তুমি।

আপু: চুপ কর একটা কথাও বলবি না এখন চল।

শাহরিয়ার, তারপর আমরা এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে আমি আব্বুকে ফোন দিলাম তারপর আব্বু আসলো।তারপর আমরা গাড়িতে উঠি আব্বু গাড়ি ড্রাইব করছে আর আমি আর আপু পিছনের ছিটে গিয়ে বসলাম। একটু পর আমি আপুকে বললাম তুমি যে আমার মোবাইল ভাঙ্গে ফেলছো এখন আমি কথা বলবো কি দিয়ে গেম খেলবো কি দিয়ে।

আপু: মোবাইল মোবাইল করলে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দিবো[রাগি গলায়]

শাহরিয়ার: আমি ভয়ে চুপ হয়ে যাই 

এখনো আপুর রাগী স্বভাবটা যায় নায়।

তারপর বাসায় এসে আমি আমার রুমে

চলে আসলাম। আর আপু আম্মু আব্বুর

সাথে কথা বলতে লাগলো।

 দুপুরে আম্মু খেতে ডাকলো তারপর আমি খাবার টেবিলে গিয়ে বসলাম আর দেখি আপু খাওয়া শুরু করে দিছে আমাকে একটু দেরি করে ডাক দিছে।আসলে বড় মেয়ে আসছেতো এ কারনে ছোট ছেলেকে মনে হয় ভুলেই গেছে কি আর করার আমিও খাওয়া শুরু করে দিলাম সবার খাওয়া শেষ আমিও খাওয়া শেষ করে 

আমি আমার রুমে চলে আসলাম বিকালে আপু আমার রুমে এসে বলতে লাগলো

আপু, রেডি হয়ে তারাতারি নিচে আস পার্কে যাবো।বলেই চলে গেলো।

শাহরিয়ার: ধুর তাছাড়া আর উপায় নাই না বলে দিলে ঠাশঠাশ করে থাপ্পর দিতো।তারপর আমি রেডি হয়ে নিচে চলে যাই। তারপর আপু গাড়িতে উঠতে বলল 

আমি গিয়ে গাড়িতে উঠলাম। একটু পর আপু গাড়িতে উঠে ড্রাইব করতে লাগলো কিছুক্ষন পর একটা পার্কে আপু গাড়ি থামালো তারপর গাড়ি থেকে নেমে 

তাকিয়ে দেখি একটু ধুরে রুপা ও তার বান্ধুবী এবং তাদের সাথে অচেনা একজন মেয়ে দাড়িয়ে আছে আমি রুপা কে দেখেও না দেখার ভান করলাম তারপর আমি আপুকে বললাম কি আপু কার জন্য দাড়ায় আছি আমরা 

আপু: আমার এক বান্ধুবীর জন্য 

শাহরিয়ার: তারপর দেখলাম রুপা ও তার বান্ধুবী এবং তাদের সাথে থাকা মেয়েটা আমাদের দিকেই আসছে।আমি তাতে পাত্তা না দিয়ে তারপর আমি আপুকে বললাম আপু তুমিতো বিদেশ থেকে পড়ালেখা শেষ করে এসেছো।

আপু:হুম।

আমি:তাহলে বিয়া করে ফেলো।

আপু:কেন।

শাহরিয়ার:তোমার বিয়া হলে তো তার কয়েক বছর পর আমারো ইয়ে মানে বিয়াটা ও হতো আরকি।

আপু : ঠাশঠাশ চারটা থাপ্পর শাহরিয়ারের

গালে বসিয়ে দেয়, হারামযাদা মাএ দশম

শ্রেনিতে পড়িস আর এখনি তোর মুখে বিয়ার কথা আবার ঠাশঠাশ দুটো থাপ্পর মারলো।

শাহরিয়ার:আমার আপুর কারনেই আমি কারো সাথে আমি প্রেম করতে পারি না কবে যে এই রাগি বোনটার থেকে মুক্তি পাবো।

,,,,,,,,,,,,,,,,চলবে,,,,,,,,,,,,,

ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post