গল্প: জুনিয়র Vs সিনিয়র
লেখক: শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক
সরকার
পর্ব: ২
আসেপাশে থাকা অনেকেই দেখেছে আপু যে আমাকে থাপ্পর দিছে রুপা ও তার বান্ধুবী এবং তাদের সাথে থাকা মেয়েটাও হেসে হেসে আমাদের দিকে আসতাছে তারা এসেই রুপাদের সাথে থাকা অচেনা মেয়েটা আমার আপুকে জড়িয়ে ধরে বলে
কিরে কেমন আছিস
আপু: ভালো
শাহরিয়ার: তারপর আপু তার বান্ধুবীর সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দেয়।তারপর জানতে পারলাম যে রুপা আমার আপুর বান্ধুবীর ছোট বোন আপুর বান্ধুবীর নাম লামিয়া।তারপর লামিয়া আপু আমার আপুকে বলল
লামিয়ে: কিরে তুই তোর ভাইকে থাপ্পর মারলি কেন।
আপু:আর বলিস না দিন দিন যে ফাজিল হয়েছে না।
লামিয়া:তাই বলে তুই ওকে মারবি।
আপু: হয়েছে হয়েছে তোকে আমার ভাইয়ের পক্ষ হয়ে আর কিছু বলতে হবেনা।
এখন চল আমরা রেস্টুরেন্টে যাবো।
রুপা: তাহলে তোমরা যাও আপু আমি আর আমার বান্ধুবিরা একটু ঘুরে আসি
লামিয়া: আচ্ছা যা।
রুপা: শাহরিয়ারের উদ্দেশ্যে বলল, তুমিও কি আমাদের সাথে ঘুরতে যাবে
শাহরিয়ার, এমন ভাব করছে যানি আমাকে চিনেইনা।(মনে মনে)
আপু : হুম নিয়ে যাও
শাহরিয়ার: না আপু আমি ওদের সাথে যাবো না
আপু: আমি তোকে যেতে বলছি যাবি( ধমক দিয়ে)
শাহরিয়ার: কি আর করার আমি বাধ্য হয়ে রুপাদের সাথে ঘুরতে গেলাম আর আপু ও তার বান্ধুবি রেস্টুরেন্টে গেলো আমি রুপাকে বললাম কোথায় যাচ্ছি আমরা
রুপা: গেলেই বুজতে পারবা(হাসি দিয়ে)
শাহরিয়ার: রুপার মুখের হাসি দেখে কিছু একটা গোলমাল লাগছে।তারপর দেখি আমাকে নদীর পারে নিয়ে এসে আমার কলার দরে
রুপা: ঠাশঠাশ ৫টা থাপ্পর শাহরিয়ারের গালে বসিয়ে দেয়
শাহরিয়ার: মারলে কেনো।
রুপা: তুই সেদিন আমাকে থাপ্পর মেরেছিলি না আজকে তার জবাব পাবি
শাহরিয়ার: দেখো আমার মতো একটা বাচ্চা
ছেলেকে একা পেয়ে মারধর করা কিন্তু ঠিক
না।
রুপা: তাই নাকি
শাহরিয়ার: তারপর রুপা ও তার বান্ধুবীরা আমাকে গিরে ফেলে চর থাপ্পর কিল গুসি লাত্তি দিতে লাগলো আরে ভাই এতো মাইর দিছে ওঠে দাড়াতেই পারছি না ।মেয়েদের হাতের মাইর এক বছরেও ব্যাথা যাবে কি না সন্দেহ ।আহ মইরা গেলাম গো
রুপা: মর না নিষেদ করছে কে
শাহরিয়ার, কি গুন্ডি মেয়ে রে
রুপা: কি বললি
শাহরিয়ার , না না কিছু না
মিতু, আমাদের সাথে টক্কর দিলে এরকমই
হয় বুঝলি।
শাহরিয়ার, হু
রুপা: জুনিয়র কোথাকার
শাহরিয়ার, আমাকে জুনিয়র বলোনা গো কেউ
আমাকে জুনিয়র বললেনা আমার বুকের
ডানপাশের ফাকা জায়গাটায় না বড্ডো চাপ লাগে গো।( উঠে দাড়িয়ে)
রুপা, মার খেয়েও দেখছি তোর মুখ বন্ধ হয়নি।
শাহরিয়ার, কিছু বলার আগেই দেখতে পেলাম আপু আর লামিয়া আপু এদিকেই
আসছে।
রুপা: এই আমার আপুকে যদি কিছু বলিসনা তাহলে তোকে গলা টিপে মেরে
ফেলবো।
শাহরিয়ার, না না কিছু বলবোনা।
তারপর আপু আর লামিয়া আপু আমাদের
কাছে এসে আমার আপু বলতে লাগলো।
আপু: ওই চল
শাহরিয়ার, হ্যা হ্যা তারাতারি চলো
তারপর আমি তারাতারি করে গাড়িতে উঠে
বসে পড়লাম। আপু ওদেরকে বিদায় দিয়ে
গাড়ি ড্রাইব করতে লাগলো। বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে যায়।বাসায় এসেই
আমি আমার রুমে চলে যাই।
কিছুক্ষন পর আপু আমার রুমে এসে বলতে লাগলো
আপু, এই নে তোর নতুন ফোন
শাহরিয়ার, এটা কখন কিনলে
আপু, তোকে রুপাদের সাথে পাঠিয়ে আমি আর লামিয়া রেস্টুরেন্টে যাই। তারপর সেখান থেকে মার্কেটে গিয়ে কিনে আনলাম
শাহরিয়ার, আমাকে নিয়ে গেলেও তো হতো
আপু, তোকে সারপ্রাইজ দিবো তাই নিয়ে যাইনি।
শাহরিয়ার, তারপর আপু আমাকে ফোনটা দিয়ে নিচে চলে গেলো।
যাইহোক নতুন ফোন কি আনন্দ হচ্ছে না
বলে বুঝাতে পারবো না। তারপর ফেসবুকে
লগইন করে একটা স্টেটাস দিলাম
সিনিয়র মেয়ের সাথে প্রেম করার মজাটাই
আলাদা আমি প্রেম আর বিয়ে করলে তো
সিনিয়র মেয়েকেই করবো
স্টেটাসটা দিয়েই অফলাইনে চলে গেলাম
তারপর আমি মুন্নাকে ফোন করে বলতে লাগলাম ।সব শেষ রে বন্ধু
মুন্না, কি হয়েছে
শাহরিয়ার, আজকে রুপা আর তার বান্ধুবীরা মিলে আমাকে যে মার টা না দিছে
মুন্না, কি????????????
শাহরিয়ার, হু। তারপর মুন্নার সাথে আরো
কিছুক্ষন টুকটাক কথা বলে ফোন কেটে
দিলাম। কিছুক্ষন পর আম্মু খেতে ডাক দিলো তারপর আমি নিচে গিয়ে খাবার টেবিলে বসে খেয়েদেয়ে আমার রুমে চলে আসলাম। তারপর কিছুক্ষন গেম খেলে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন আপুর ডাকে
ঘুম ভাঙ্গলো। তারপর ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে রেডি
হয়ে কিছু খেয়ে স্কুলে চলে গেলাম।
মুন্না, শেষ পর্যন্ত তুই ও আমার মতো মার খেলি
শাহরিয়ার, হু।
আমার ক্যারিয়ার বলতে সবি গেলো রে কেউ যদি এসব যানে তাহলে সবাই আমাকে নিয়ে মজা করবে।
মুন্না, জানবে মানে যেনেও গেছে
শাহরিয়ার, কি?????????
মুন্না, হু আমি নিজেই স্কুলে আসার সময়
সবাইকে বলে বলে আসছি।
শাহরিয়ার, তাই তো বলি সবাই আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছে কেনো।
মুন্না, হু
শাহরিয়ার, তুই বন্ধু নাকি শত্রু
মুন্না, বন্ধুর বিপরীত শব্দতো শত্রুই
শাহরিয়ার, হালা তোরে বলেই দিলাম এক দৌড়ানি ।দৌড়ানি খেয়ে মুন্না ক্লাসে চলে গেলো
তারপর আমিও ক্লাসে চলে গেলাম
স্কুল ছুটি হলে আমি আর মুন্না কলেজের
সামনে যাই।
চল ভিতরে
মুন্না, একবার মার খেয়েছি আর খেতে চাইনা তুই একাই যা আমি এখানেই আছি
শাহরিয়ার, তুই যাবি কিনা বল
মুন্না, রাগিস কেনো যাবো তো
শাহরিয়ার, তারপর আমি আর মুন্না কলেজের ভিতরে গিয়ে দেখি
রুপা ও তার বান্ধুবীরা বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে। আমাদেরকে দেখে সবাই দাড়িয়ে যায়।
রুপা, কিরে ছোটু তুই আবার এখানে
মিতু, আরে সঙ্গে তো ওই ছেলেটাও আছে
যে আমাকে প্রোপজ করেছিলো। কিরে আবার মার খেতে চাস নাকি
মুন্না, ..............
রুপা,এই তুই না কালকে ফেসবুকে স্টেটাস দিছিস কি যেনো মনে পড়ছে না হ্যা মনে পড়েছে সিনিয়র মেয়ের সাথে প্রেম করার
মজাটায় আলাদা তাই না।
শাহরিয়ার, আরে তুমি জানলে কেমনে
রুপা, যেভাবেই যানি। আর যাইহোক তুই এখানে কেনো এসেছিস
শাহরিয়ার, কিছু বলতে
রুপা, কি
শাহরিয়ার, তারপর আমি কলেজের সবার সামনে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলাম যেদিন তোমায় প্রথম দেখেছি
সেদিন থেকেই তোমাকে নিয়ে বুনেছি অনেক স্বপ্নো ।যেদিন তোমাকে প্রথম
দেখেছি সেদিন থেকেই তোমাকে ভালোবেসে গেছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি কি আমার ভালোবাসা কবুল করবে।
,,,,,,কলেজে থাকা সকল স্টুডেন্ট অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। রুপাকে এ কলেজের
সবাই ভয় পায়। রুপাকে আজ পর্যন্ত কেউ
প্রোপজ তো ধুরে থাক রুপার সাথে কথা
বলতেও সবাই ভয় পায় সেখানে একটা জুনিয়র ছেলে এসে সবার সামনে প্রোপজ করে দিলো।রুপার তো রাগে মাথাই গরম
রুপা আস্তে আস্তে করে শাহরিয়ারের দিকে
এগোতে লাগলো
মুন্না, কি বলে ফেললি রে।বাচতে চাইলে চল এখান থেকে পালাই
শাহরিয়ার, নিষেধ করছে কে দৌড়া
তারপর আমি আর মুন্না দৌড়াতে দৌড়াতে
যে যার বাসায় চলে গেলাম।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন
Nice
ReplyDelete