গল্প: জুনিয়র Vs সিনিয়র
লেখক: শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক
সরকার
পর্ব: ৩
আমি বাসায় আসলে আম্মু বলতে লাগলো
আম্মু, কিরে হাপচ্ছিস কেনো
শাহরিয়ার, এমনি তারপর আমি আমার রুমে চলে গেলাম।
,,,,,,,,,গভির রাতে রুপার ঘুম যায়
রুপার মাথায় শুধু শাহরিয়ারের বলা কথা
গুলো ঘুরপাক খাচ্ছে।
রুপা, আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে প্রোপজ
করার সাহস অবদি পায়নি সেখানে সবার
সামনে আমার থেকে জুনিয়র ওই শাহরিয়ার
আমাকে প্রোপজ করে ফেললো।ও কি যে করি
,,,,তারপর রুপা মিতুকে ফোন দেয়,,,,,
মিতু, ফোন রিসিব করে, কিরে কি হয়েছে
রে এত রাতে ফোন কেনো দিলি( ঘুম ঘুম চোখে)
রুপা, তুই এত ঘুম পাশ কই। আমার তো এখন ঘুমি আসছে না। শুধু শাহরিয়ারের
কথাগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে
মিতু, তো কি হয়েছে তুই ও ওকে ভালোবাসিস বলে দিলেই তো হয়।
রুপা, পাগল নাকি ওর মতো একটা জুনিয়র
ছেলেকে কোন দুঃখে ভালোবাসতে যাবো
মিতু, এ পৃথিবীতে অনেক জুনিয়র সিনিয়র
জুটি আছে। আর ছেলেটা ও কত কিউট
একচেপ্ট করে নিলেই তো হয়।
রুপা, ................
মিতু, ভেবে দেখতে পারিস,
বলেই ফোন কেটে দেয়।
,,,,,,,,,,পরের দিন স্কুল ছুটি হওয়ার পর শাহরিয়ার কলেজের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকে।
শাহরিয়ার, কিছুক্ষন রুপা ও তার
বান্ধুবীরা কলেজ থেকে বের হয়ে আমাকে
দেখেও না দেখার ভান করে চলে যেতে
লাগলে আমি পিছন থেকে বলে উঠলাম
এই সুনছো
রুপা, কি
শাহরিয়ার, তোমার সামনে এত সুন্দর একটা কিউট ছেলে দাড়িয়ে আছে পাত্তা না দিয়েই চলে যাচ্ছো।
রুপা, তুই কেরে যে তোকে পাত্তা দিতে হবে
শাহরিয়ার, আমি তোমার রাজ্যের রাজা আর তুমি আমার রাজ্যের রানি তোমার
আমার সম্পর্ক থাকবে চিরদিন ।
মিতু, এই তোমার কি আর খেয়েদেয়ে কোনো কাজ নেই
শাহরিয়ার, আছে তো আমার তো শুধু একটাই কাজ সারাদিন রুপাকে দেখা
রুপা, দেখা হয়েছে তাহলে যা
শাহরিয়ার, তাহলে একটু কাছে আসো একটা কথা বলার ছিলো
রুপা, শাহরিয়ারের কাছে এসে, কি ,,,,,,
শাহরিয়ার, I love youবলেই চলে আসতে
যাবো তখনি রুপা পিছন থেকে ডাক দিলো
আহা তারমানে আমাকেও I love you 2
বলবে ওরে কি মজা রে
রুপা, একটু পিছনে ফির
শাহরিয়ার, না লজ্জা করছে
রুপা, ফির বলছি
শাহরিয়ার, হ্যা তারাতারি বলে ফেলো আমার কি রকম কি রকম লাগছে( পিছনে ফিরে)
রুপা, বলবো কি হারামযাদা দিবো বলেই
শাহরিয়ারের গালে ঠাশঠাশঠাশ করে থাপ্পর
বসিয়ে দিয়ে চলে যায়।
শাহরিয়ার,কি ভেবেছিলাম আর কি হলো
বেশি ভাবলে মনে হয় এটাই হয় ধুর
তারপর আমি আমার বাসায় চলে আসলাম
শুনেছি ভালোবাসলে নাকি অনেক কিছু করতে হয়। তাই রাতে নিজের রুমের জানালা দিয়ে পাইপ বেয়ে বেয়ে নিচে নেমে
দেওয়াল টপকিয়ে রুপাদের বাসার সামনে
এসে রুপাকে একটা ফোন দিলাম
রুপা, ফোন রিসিব করে, কে বলছেন
শাহরিয়ার, এতো তারাতারি ভুলে গেলে গো
আমি তোমার আসিকি কিউট হবু জামাই
রুপা, তুই........
শাহরিয়ার, হ্যা আমি
রুপা, তুই আমার নাম্বার পেলি কোথায়
শয়, আরে তোমার জন্য আমি সাত নদী বিশ খাল পার করে আসতে পারি সেখানে তো তোমার একটা নাম্বার জোগার করা আমার সামনে কিছুই না
রুপা, ফোন কাট বলছি
শাহরিয়ার, আহা গো ওমন করে বলোনা
না গো বুকের বা পাশে বড্ডো চাপ লাগে
যাইহোক আমি এখন তোমার বাসার সামনে
আছি
রুপা, কি ,,,,,,,,,,,,,
শাহরিয়ার, হ্যা শুধু মাত্র তোমাকে দেখার
জন্য সুন্দরি
রুপা, বেলকুনি থেকে শাহরিয়ার কে বাসার
সামনে দেখতে পেয়ে তারাতারি করে বাসা থেকে
বের হয়ে শাহরিয়ার কে বলতে লাগলো
তুই এখানে কেনো এসেছিস
শাহরিয়ার, তোমার জন্য আমি চাঁদ থেকে গোলাপ ফুল আনতে পারি। তোমার জন্য আমি চাঁদ থেকে হাসতে হাসতে পৃথিবীতে
লাফ দিতে পারি। ও গো সুন্দরি শুধু একবার বলে দেখো
ও গো ফুলটুশি বলো না ভালোবাসি
রুপা, না বলবো না। তুই এখান থেকে যাবি( রাগি গলায়)
শাহরিয়ার, না যাবো না ।একবার বলো ভালোবাসি।
রুপা, তুই কি পাগল
শাহরিয়ার, ধরো আমি তুমি আর তুমি আমি
এখন বলো পাগল আমি না তুমি
রুপা, আমি তুমি ওওও আমার মাথা গরম
হয়ে যাচ্ছে।এই আমার কাছে আয় তো
শাহরিয়ার, না আসবো না
রুপা, কেনো
শাহরিয়ার, তুমি মারবে
রুপা, শাহরিয়ারের কাছে এগোতে এগোতে
বলল, দাড়া আমিই আসছি
শাহরিয়ার , আমারে আর পায় কে দিলাম উরাধুরা দৌড়। এর জন্যই বলি প্রেমের বাতাসে লুঙ্গি আকাশে।
দৌড়াতে দৌড়াতে আমি আমার বাসার সামনে এসে আবার দেয়াল পার হয়ে ভিতরে ডুকে পাইপ বেয়ে বেয়ে আমার
রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম
পরের দিন আর স্কুলে গেলাম না কারন
আপুকে দেখার জন্য পাত্র পক্ষ বাড়িতে
আসছে। অবশেষে আপুর বিয়ের দিন তারিখ ও ঠিক করা হয়েছে।
পরেরদিন বিকেলে সবার বাড়িতে বাড়িতে
গিয়ে আমি আর মুন্না বিয়ের কার্ড দিয়ে আসলাম এখন রুপাদের বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছি কিন্তু ভিতরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। তারপর কলিংবেল বাজানোর
কিছুক্ষন পর রুপা দড়জা খুললো
রুপা, আবার তুই।
শাহরিয়ার, হ্যা আমি ।যাইহোক এই নেউ
বিয়ের কার্ড
রুপা, কার বিয়ে( কার্ড হাতে নিয়ে)
শাহরিয়ার, আপুর
রুপা, সত্যি( খুশি হয়ে)
শাহরিয়ার, হ্যা মহারানি
রুপা, কে তোর মহারানি
শাহরিয়ার, কেনো তুমি
রুপা, তুই কিন্তু দিনদিন তোর সিমা লংঘন
করছিস।
শাহরিয়ার, আমি তোমাকে অনেক অনেক লাভ করি তুমি
কি বুঝো না
রুপা, না
শাহরিয়ার, ও গো সুন্দরি বলো না আমি কি
করি।
রুপা, ঘাস খা
শাহরিয়ার, ঘাস এনে দেও
রুপা, আমাদের বাগানে প্রচুর ঘাস হয়েছে তুই সেগুলো খেয়ে শেষ কর।
শাহরিয়ার, ঘাস কেনো তোমার হাতে আমি
বিষ ও হাসতে হাসতে খেয়ে নিবো।
রুপা, বিষ খেতে পারবি তো
শাহরিয়ার, হ্যা পারবো
রুপা, তাহলে তুই এখানেই চুপটি করে দাড়িয়ে থাক আমি তোর জন্য বিষ নিয়ে আসছি, বলেই চলে গেলো
শাহরিয়ার, আরে এতো সত্যি সত্যি বিষ আনতে গেছে
মুন্না, বেশি চাপা মারলে এরোকমটাই হয়।
শাহরিয়ার, হু
কিছুক্ষন পর রুপা একটা ছোট কাচের বোতল এনে বলল
রুপা, এই নে বিষ এখন খেয়ে ফেলতো দেখি
শাহরিয়ার, কোথায় ফেসে গেছিরে(মনেমনে)
রুপা, তুই যদি এটা খেতে পারিস তাহলে
আমি তোর ভালোবাসাকে কবুল করে নিবো
শাহরিয়ার, এখন কি করি
যা হবার হবে তারপর আমি রুপার হাত থেকে বিষের বোতলটা নিয়ে বলতে লাগলাম রুপা রুপা গো তোমাকে আমি
খুব ভালোবাসি হয়তো তুমি বুঝলেনা গো
মুনু মুনু
মুন্না, আরে মুনু না মুন্না
শাহরিয়ার, যাইহোক বন্ধু আমার ভালো থাকিস বলেই বোতলে থাকা বিষ খেয়ে
ফেললাম কিন্ত আশ্চর্য আমার কিছুই হলো না।
রুপা, বাহ বাহ তোমার ভালোবাসা দেখছি
খাটি যেটা তুমি বিষ ভেবে খেয়েছো সেটা
আসলে কাশির ঔষুধ।কাল বিকালে পার্কে দেখা
করো।
তারপর রুপা দড়জা বন্ধো করে দেয়।
শাহরিয়ার, আরে বন্ধু আজ তো আমার
ভাগ্য খুলে গেছে রে........
মুন্না, হু
শাহরিয়ার, তারপর মুন্না তার বাসার উদ্দেশ্যে চলে গেলো আর আমি আনন্দে গান গেয়ে গেয়ে বাসায় যেতে লাগলাম
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে..
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন
Nice
ReplyDelete