গল্প: জুনিয়র Vs সিনিয়র লেখক: শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার পর্ব: ৪

 গল্প: জুনিয়র Vs সিনিয়র

লেখক: শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার

পর্ব: ৪


পরের দিন বিকেলে আমি পার্কে গিয়ে 

দেখি রুপা ও তার বান্ধুবীরা পার্কে বসে আছে। তারপর আমি রুপার সামনে গিয়ে 

এক নজরে রুপার দিকে তাকিয়ে আছি 

কি অপূরুপ মায়াবতি সুন্দর মেয়ে।চোখে কাজল মুখে হাসি ঠোটে লিবিস্টিক।পড়নে শাড়ি আরে মানুষ নাকি পরি।

মিতু, তুমি কি এ দুনিয়ায় আছো না অন্য

দুনিয়ায়।

শাহরিয়ার, নিজের মনের সাজানো স্বপনের দুনিয়ায়

রুপা, এই এমন করে কি দেখো

শাহরিয়ার, তোমাকে দেখি

ও গো রুপবতী বলোনা পরি নাকি মানুষ তুমি

রুপা, .................

শাহরিয়ার, এই নেউ গোলাপ এটা আমি

তোমার জন্য নিয়ে এসেছি তুমিকি আমার

হাত ধরে পথ চলার জীবন সঙ্গি হবে । 

আমি তোমাকে ভালোবাসি তুমিকি আমার

ভালোবাসা কবুল করবে নাকি আমি এখনি

কচু গাছের সাথে ফাস টানাবো

রুপা, হ্যা কবুল করলাম তোমার ভালোবাসা

শাহরিয়ার, আমার মনে হয় কানের ডাক্তার দেখাতে হবে। আজকাল একটু বেশিই শুনছি।

রুপা, ডাক্তার দেখাতে হবেনা যা শুনছো ঠিকি শুনছো

শাহরিয়ার, তারপর রুপা কে জড়িয়ে ধরলাম। তোমার হাতটা যখন একবার ধরেছি তখন ছাড়বোনা কোনোদিন।

তারপর অনেকক্ষুন ঘুরাঘুরি করে রুপাকে

রুপাদের বাসায় পৌছে দিয়ে 

আমি আমার বাসায় চলে আসি ।

রাতে খেয়েদেয়ে রুপার সাথে ফোনে কথা বলতে লাগলাম

ও গো কি করো গো ....

রুপা, তোমার সাথে কথা বলি

শাহরিয়ার, তুমি কি যানো আমার রিদয়ে

কার বসবাস

রুপা, কার গো শুনি

শাহরিয়ার, সে হলো আমার জান আমার 

আমার ভালোবাসা 

রুপা, তো কে সে

শাহরিয়ার, সে হলো তুমি 

তারপর রুপার সাথে অনেক রাত পর্যন্ত 

কথা বলে ফোন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম

আস্তে আস্তে আপুর বিয়ের দিনও এসে গেলো আজ আপুর বিয়ে । বাড়িটা ঝাকঝমক ভাবে সাজানো হয়েছে।

লোকজন ও আসা শুরু ‌করে দিছে 

আমি আর মুন্না বাড়ির গেটের সামনে দাড়িয়ে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি কিছুক্ষন  

পর রুপা লামিয়া আপু ও তার মা বাবা আসলো আমি রুপা কে ইশারা দিয়ে 

ছাদে যেতে বলি ।

মুন্না, তুই তো এখন ছাদে যাবি যা আর আমি দেখি কাউকে পটাতে পারি কিনা

শাহরিয়ার, তারপর আমি ছাদে গিয়ে দেখি 

রুপা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে

হালকা হালকা বাতাসে রুপা র চুল গুলো উরছে । চাদের আলো রুপার মুখে পড়ায় 

রুপা কে খুব মায়াবী লাগছে। 

ও গো মায়াবতি বলোনা কি ভাবছো

রুপা, কিছুনা গো

শাহরিয়ার, যানো আমি যখনি আকাশের দিকে তাকাই তখনি আকাশের তারার মাঝে তোমাকে দেখতে পাই

রুপা, তাই এতো ভালোবাসো আমায়

শাহরিয়ার, হু বড্ড ভালোবাসি তোমায় ।

রুপা, আমিও তোমায় খুব ভালোবাসি।

শাহরিয়ার, এখন চলো আপুর বিয়ে বলে কথা হৈচৈ তো করবোই

রুপা, হু তুমি যাও আমি পড়ে আসছি

শাহরিয়ার, তারপর আমি নিচে চলে গেলাম 

অবশেষে ধুমধাম করে আপুর বিয়েটা হয়ে

গেলো।

তারপর আপু সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে

তার শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যায়।

তারপর আস্তে আস্তে বিয়ে খেতে আসা

সব লোক যার যার বাসায় চলে যেতে লাগলো 

পরের দিন স্কুল ছুটি হওয়ার পর কলেজের

সামনে গিয়ে রুপার জন্য দাড়িয়ে থাকলাম

কিছুক্ষন পর রুপা ও তার বান্ধুবীরে কলেজ

থেকে বের হলো।

মিতু, ওই দেখ তোর হিরো দাড়িয়ে আছে

কত কিউট লাগছে।

শাহরিয়ার, কিউট ছেলেকে তো কিউট লাগবেই । ও গো শুনছো চলো কোথাও

ঘুরে আসি

রুপা, হ্যা গো চলো 

শাহরিয়ার, তারপর রুপা কে নিয়ে অনেক্ষন

ঘুরাঘুরি করে রুপা কে রুপাদের বাসায় পৌছে দিয়ে আমি আমার বাসায় চলে আসলাম 

আমার আর রুপার প্রেম ও চলতে লাগলো

খুব ভালো ভাবে। আস্তে আস্তে কেটে গেলো দু বছর । এ দু বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায় রুপার বোন লামিয়ার। লামিয়া আপুর বিয়েতে তো আমি পাগলু ডান্সে স্টেজি ভেঙ্গে ফেলছি তাহলে ভেবে দেখুন আমি কত ভালো ডান্সার।

অবশেষে আমার আর রুপার ব্যাপারেও 

সবাই সব কিছু যেনে যায়।

আর আমার আর রুপার বিয়ের ব্যাপারেও

পাকাপাকি হয়ে যায়।

আগামী সপ্তাহে বিয়ে ওরে ওরে কি যে 

মজা হচ্ছে না। 

বিকেলে আমি আর রুপা দুজন দুজনের

হাত ধরে পার্কে বসে আছি।

 বিয়ের পরে কিন্তু আমাকে খুব খুব ভালোবাসতে হবে আর একদম বকাবকি 

করতে পারবে না হু।

রুপা, তোমাকে বকা দিবো নাতো আর কাকে দিবো গো। বিয়ের পরে আমার কথা

না শুনলে না পিটাবো

শাহরিয়ার, এ বললেই হলো 

রুপা, এখন চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে 

শাহরিয়ার, হুম

তারপর রুপাকে তার বাসায় পৌছে দিয়ে 

আমি আমার বাসায় চলে আসলাম

অবশেষে বিয়ের দিন ও চলে এলো 

আমি জামাই সেজে রুপা দের বাড়ি হাজির

হোলাম।বিয়ে করার সময় রুপার মুখ ঘোমটা দিয়ে ডাকা ছিলো আমি রুপাকে ইশারা দিয়ে অনেকবার 

বললাম ঘোমটা সরাতে একটু দেখবো কিন্তু

কিছুতেই ঘোমটা সরালো না মনে হয় 

লজ্জা পেয়েছে। অবশেষে বিয়ের কাজ সম্পুর্ন হলো। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে

আমরা গাড়িতে উঠলাম কিন্তু এখনো রুপা তার ঘোমটা সরালোনা এই সুনছো গো 

তোমার ঘোমটা তা সরিয়ে ফেলোনা তোমার

ওই মায়াবী মুখ খানি একটু দেখি 

কি হলো এতো বলার পর ও যখন ঘোমটা

সরালো না তাই আমি ও আর ঘোমটা সরানোর জন্য জোড় করলাম না।

গাড়ি চলতে চলতে আমাদের বাসায় এসে

থামে বাসায় এসেই আমি ছাদে গিয়ে 

লুঙ্গি ডান্স দিতে লাগলাম ওই লুঙ্গি ডান্স লুঙ্গি ডান্স মুলা ডান্স মুলি ডান্স

হঠাৎ পিছন থেকে আপু এসে বলল

আপু,খুব ভালোবাসিস রুপাকে তাই না


শাহরিয়ার, হু আপু রুপাকে ছাড়াতো আমি আর কিছু ভাবতেই পারছিনা।

আপু, অনেক রাত হয়ে গেছে যা বাসুর ঘরে

যা( কান্না জড়িত কন্ঠে)

শাহরিয়ার, কি হয়েছে আপু 

আপু, কিছু হয় নি এখন যা

শাহরিয়ার, তরপর আমি বাসুর ঘরে চলে গেলাম । বাসুর ঘরে গিয়ে বউয়ের ঘোমটা

তুলে যাকে দেখি তাতে আ‌মি মোটেও 

প্রস্তুত ছিলামনা।

কে কে তুমি আর আমার রুপা কোথায়

মেঘলা, আমি মেঘলা চৌদুরী রুপা আপুর চাচাতো বোন তোমার সাথে আমারি বিয়ে

হয়েছে।

শাহরিয়ার, না এ হতে পারে না

মেঘলা, এটাই সত্যি যে তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। আর রুপা আপু

তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে গেছে।

তাই বড় চাচার সম্মান বাঁচাতে বাধ্য হয়ে তোমাকে আমায় বিয়ে করতে হলো।

শাহরিয়ার, না এসব মিথ্যে রুপা শুধু আমায় ভালোবাসে।( কান্না করতে করতে)

মেঘলা, রুপা আপুর লেখা এই চিঠিটা পড়ো তাহলেই বুঝবে

শাহরিয়ার, তারপর আমি চিঠিটা নিয়ে পড়তে লাগলাম

চিঠিটে লেখা ছিলো..

জানি আমাকে তুমি হয়তো কোনোদিন ক্ষমা করতে পারবেনা। আমার বয়ফ্রেন্ড আছে যা কেউ যানে না আমি তোমাকে কোনো

দিনি ভালোবাসি নি। তোমার সাথে আমি 

শুধু ভালোবাসার অভিনয় করছি । তোমার সাথে যা ছিলো সেটা জাস্ট টাইমপাশ ছিলো

তোমাকে আমি সত্যিটা বলে দিতেও চেয়ে

ছিলাম কিন্তু কোন মুখ নিয়েই বা তোমার

সামনে গিয়ে এসব কথা বলবো। আমাকে ভুলে যাও। নিজেকে নতুন করে গুছিয়ে নেউ আবার নতুন করে সবকিছু শুরু করো আর পারলে আমায় ক্ষমা করে দিও

চিঠিটা পরে আমার চোখের জল টলমল করছে । রুপা এটা করতে পারলো ভালোবাসা নিয়ে আমার সাথে এতো বড় 

অভিনয় করলো। ভালোবাসা কি খেলা করার জিনিস নাকি।

মেঘলা, শাহরিয়ারের হাত ধরে,

দেখো যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন তোমায় আমাকে মেনে নিতেই হবে।

শাহরিয়ার, জাটকে মেরে আমি হাত ছাড়িয়ে নিই।তোকে আ‌মি কিছুতেই মেনে নিবো না

আমার মনে সবটা জুড়েই শুধু রুপার 

বসবাস সেইখানে আর কেউ ঠাই পাবেনা

বলেই বাসুর ঘর থেকে বের হয়ে আব্বু আম্মু সবাইকে দেখতে পেলাম

আম্মু, কিরে বাবা কোথায় যাচ্ছিস।

শাহরিয়ার, তোমরা তোমরা সব কিছু জানতে তাও আমাকে একটু বার ও বলার

প্রয়োজন বোধ করনি।

আব্বু, দেখ বাবা পরিস্থিতিতাই এমন ছিলো

যে....

শাহরিয়ার, থাক তোমাদের আর কিছু বলতে হবেনা ।তারপর আমি ছাদে গিয়ে 

ছাদে আসার দড়জাটা বন্ধো করে দিই এ

জীবন আর রাখবো না

তারপর আমি ছাদের গিড়িলে ওঠে দাড়িয়ে

চিৎকার করে বলতে লাগলাম

এ জীবন আর রেখে কি হবে যে জীবনে ভালোবাসার মানুষটিকে পেলাম না 

এ বুকেই ছিলো যারি নাম আজ সে বুকেই শুধুই যন্ত্রনা। এতো কষ্ট বুকে ধারন করে আমি বেঁচে থাকতে পারবো না তারপর

আমি ছাদ থেকে লাফ.....................🏃

,,,,,,,,,,,,,,,,,,চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,

ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post