গল্প: জুনিয়র Vs সিনিয়র লেখক: শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার পর্ব: ৫


 গল্প: জুনিয়র Vs সিনিয়র

লেখক: শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার 

পর্ব: ৫ 

তারপর আমি ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার আগেই সবাই ছাদে আসার দড়জা টা ভেঙ্গে তারাতারি করে ভিতরে আসে এবং মেঘলা আমার হাত টান দিয়ে গিড়িল থেকে নিচে নামিয়ে 

মেঘলা, ঠাশঠাশঠাঠাশঠাশ করে একের পর এক মোট দশটা থাপ্পর শাহরিয়ারের গালে বষিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো, বিয়ের পরে একজন নারীর সবকিছুই তার শামী এখন তোর সাথে আমার জীবন জড়িয়ে গেছে। 

তোর কিছু হয়ে গেলে আমি কি নিয়ে বাঁচবো একটা বারো ভেবে দেখেছিস। আর ওই ধোকা বাজের জন্য তুই কেনো মরবি।

তোর এতোই মরার শখ হয়ছে তাইনা বলেই আবার ঠাশঠাশ দুটো থাপ্পর শাহরিয়ারের গালে বষিয়ে দেয়।

শাহরিয়ার, তুমি আমাকে মারার সাহস পেলে কোথায়। আম্মু আব্বু দেখো এই মেয়েটা তোমাদের সামনে একের পর এক আমাকে থাপ্পর মেরেছে তোমরা কিছু বলছোনা কেনো।

আম্মু, ও ঠিকি করেছে। নাহলে আমিই তোকে থাপ্পর লাগিয়ে দিতাম।

মেঘলা, আম্মু আব্বু আপনারা যান আমি

ওকে বাসুর ঘরে নিয়ে যাচ্ছি। 

আম্মু, ঠিক আছে মেঘলা মা আর যেতে 

না চাইলে টেনেটেনে নিয়ে যাবে 

,,,,,তারপর আম্মু আব্বু তাদের রুমে চলে গেলো‌,,,,,,,,,,,,,,  

মেঘলা, এই চল

শাহরিয়ার, কোথায়

মেঘলা, কোথায় মানে আমার সাথে বাসুর ঘরে চল তারাতারি।( রাগি গলায়)

শাহরিয়ার, না আমি যাবো না

মেঘলা, তুই যাবি কি যাবিনা

শাহরিয়ার, না যাবো না

মেঘলা, ঠাশঠাশঠাশঠাশ করে শাহরিয়ারের গালে থাপ্পর বষিয়ে দিয়ে বলল, এখন 

বল যাবি কি যাবি না( রাগি গলায়)

শাহরিয়ার, হ্যা হ্যা যাবো তো 

তারপর বাসুর ঘরে গিয়ে ওপাস ফিরে সুয়ে

পরলাম।

মেঘলা, এই আমার দিকে ফিরো আর আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরো

শাহরিয়ার, না পারবো না।

মেঘলা, কি বললি তুই( রাগি গলায়)

শাহরিয়ার, দেখো আমি কিছু বলছিনা মানে

এই নয় যে তুমি যা ইচ্ছা তাই করবে।

তুমি আমাকে জোড় করতে পারোনা।

( ধমক দিয়ে)

মেঘলা, এই তুই ধমক কাকে দিচ্ছিস 

আমি ক্যারাটি, ফাইট সব যানি তাই আমার সাথে বেশি বাড়াবারি করলে না এমন মার

দিবো না সারা জীবন মনে রাখবি।

শাহরিয়ার, .........................

মেঘলা, আমাকে জড়িয়ে ধর 

শাহরিয়ার, পারবো না

মেঘলা, টেবিলের উপরে থাকা একটা চাকু হাতে নিয়ে সোজা শাহরিয়ারের গলায় 

ধরে বলল, সোজা আঙ্গুলে বলছি তো তাই

শুনলি না। তাই আঙ্গুলটা একটু বেকাটে

হলো। এখন বল জড়িয়ে ধরবি নাকি ধরবি না

শাহরিয়ার, এ কেমন মেয়েরে । এমনিই  

প্রেমে ছেক্যা খাইছি। মনের দুঃখ কারে কই

কারে বুঝাই 

আর তারি মধ্যে এই রাগি মেয়ের প্যারা

(মনে মনে)

মেঘলা, কি হলো সোনা

শাহরিয়ার, ধরছি ধরছি আগে তারাতারি আমার গলা থেকে চাকু সরিয়ে ফেলো

মেঘলা, শাহরিয়ারের গলা থেকে চাকু সরিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে মারে, এই তো আমার জামাইটা লাইনে আসছে এখন জড়িয়ে ধরো 

শাহরিয়ার, তারপর আস্তে করে জড়িয়ে ধরলাম।

মেঘলা, এই শক্ত করে জড়িয়ে ধরো

শাহরিয়ার, পারবো না আমি

মেঘলা, পারবিনা মানে( চিৎকার দিয়ে)

শাহরিয়ার, আরে রাগো কেনো ধরছি তো

তারপর বাধ্য হয়ে মেঘলা কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম।

পরের দিন সকালে মেঘলার ডাকে আমার

আরামের ঘুম ভেঙ্গে গেলো।

‌মেঘলা, তারাতারি ফ্রেস হয়ে নিচে খেতে আসো।

শাহরিয়ার, আমি আসবো ও না আর কিছু

খাবো ও না

মেঘলা, শাহরিয়ারের কাছে এগোতে এগোতে ,তুই আসবি না তাই না ( রাগি গলায়)

শাহরিয়ার, এই এই আর সামনে এগোবেনা 

আমি আসতেছি। তারপর ফ্রেস হয়ে নিচে গিয়ে

খাবার টেবিলে বসে দেখি সবাই যারযার মতো খেতে শুরু করে দিছে। আর আমিই 

শুধু খাবার না খেয়ে নারাচারা করছি

আম্মু, কি হলো তুই খাচ্ছিস না কেনো

শাহরিয়ার, আমার খেতে ইচ্ছে করছে না 

আমি খাবোনা

মেঘলা, খাবি না মানে।এখান থেকে খেয়ে না উঠলে তোর দাত ভেঙ্গে দিবো।

শাহরিয়ার, আরে সবসময় ভয় কেনো দেখাও খাচ্ছি তো তারপর খেতে শুরু করে 

দিলাম আর সবাই হাসতে থাকে ।

খেয়েদেয়ে আমি আমার রুমে এসে নিজে নিজেই বলতে লাগলাম না না এই মেয়ের 

সাথে আমি কিছুতেই সংসার করতে পারবো

না। সংসার তো ধুরের কথা এই মেয়ের সাথে আমি একসাথে কিছুতেই থাকতে পারবো না। ডিবোর্স দিয়ে দিবো হ্যা মেঘলাকে আমি ডিবোর্স দিয়ে দিবো

মেঘলা, পিছন থেকে বলল, কাকে ডিবোর্স দিবে সোনা 

শাহরিয়ার, পিছনে ফিরে দেখলাম মেঘলা

  তু তু তুমি( কাপা কাপা গলায়)

মেঘলা, দু হাত দিয়ে শাহরিয়ারের গাল চেপে ধরে বলল, আমাকে ডিবোর্স দিয়ে দেওয়ার চিন্তা করলে কি হবে যানিস

শাহরিয়ার, কি ( ভয়ে ভয়ে)

মেঘলা, তোকে কুচি কুচি করে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিবো কথাটা তোর মাথায়

ভালো করে ডুকিয়ে নে। 

,,,,,,,,তারপর মেঘলা নিচে চলে গেলো,,,,,, শাহরিয়ার, এতো দেখছি রুপার থেকেও

বেশি চালু ।মেঘলা আমার জীবনে থাকলে জীবনটা আমার ছাড়খার করে দিবে।

তারপর আমি বেলকুনিতে গিয়ে ‌ভাবতে 

লাগলাম রুপা কেনো আমার সাথে এরকম

করলো সেদিন কতোই না হাসিখুসি ছিলাম আমি ।সবাই তো সুখী হতে চায় জীবনে।

মনে মনে স্বপ্নের জাল বুনে।

সুখী হতে আমি পারি নি

ভেঙ্গে যাবে স্বপ্ন আমি বুঝি নি

ব্যার্থ প্রেমের ব্যার্থ আমার জীবন কাহিনি...

হঠাৎ পিছন থেকে কে যেনো আমার কাদে

হাত রাখে। পিছনে ফিরে দেখি মেঘলা

মেঘলা, রুপার কথা ভাবছো

শাহরিয়ার, না মানে হ্যা

মেঘলা, তুমি ওর মতো বেইমানের কথা 

কেনো ভাববে তুমি সবসময় আমার কথা

ভাববে। তুমি আমার শামি বুঝতে পেরেছো

শাহরিয়ার, .....................

,,,,,,,আস্তে আস্তে কেটে যায় এক মাস 

শাহরিয়ার মেঘলার সাথে আস্তে আস্তে এক মায়ার বাধনে জড়িয়ে পড়তে থাকে,,,,,,,,,

মেঘলা, ওই চলো শপিং করতে যাবো

শাহরিয়ার, আমার ভালো লাগছে না আ‌মি

যাবো না।

মেঘলা, বাবু তুমি কি সত্যিই যাবেনা( রাগি গলায়)

শাহরিয়ার, হ্যা হ্যা যাবো তো ।

না যানি কি না কি করে বসে তাই হ্যা বলে দিলাম

তারপর রেডি হয়ে শপিং করতে চলে গেলাম। শপিং করা শেষ হলে আমরা 

বাসায় এসে পড়ি।

পরের দিন সকাল সকাল চলে গেলাম

শশুর বাড়ি ।শশুর বাড়ি গিয়ে শশুর 

আব্বা আম্মার সাথে অনেকক্ষুন কথা বলে

 আমি মেঘলার রুমে চলে যাই।

বাহ এটা রুম নাকি অন্য কিছু কত সুন্দর

সাজানো গুছানো আমার আবার সাজানো

গুছানো রুম ভালো লাগে না বাঙালি পোলা তাই রুমের সব জিনিস পত্র উল্টাপাল্টা অগোছালো করে

বিছানায় হাত পা ছেড়ে দিয়ে গা এলিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম

হঠাৎ ঘুমের মধ্যে কে যেনো আমার মুখে

পানি ডেলে দেয়। চোখ মেলে দেখি মেঘলা

ঝাটা নিয়ে আমার সামনে দাড়িয়ে আছে।

কি হয়েছে 

মেঘলা, কি হয়েছে মানে রুমের এ অবস্থা

কেনো করেছো।( ধমক দিয়ে)

শাহরিয়ার, ইচ্ছে হয়েছে তাই করছি

মেঘলা, ও আচ্ছা আমার ও এখন ইচ্ছে 

হয়েছে তোমাকে ঝাটার বারি দিতে

শাহরিয়ার, আমারে আর পায় কে দিলাম 

দৌড় এক দৌড় নিচে চলে গেলাম।

আস্তে আস্তে শশুর বাড়িতে কেটে যায় দু দিন।

,,,,,,,,,সকাল সকাল শাহরিয়ার ঘুম থেকে 

ওঠে ফ্রেস হয়ে এসে দেখে মেঘলা মন মরা হয়ে দাড়িয়ে আছে,,,,,,,

শাহরিয়ার, কি আজকে মন মরা হয়ে দাড়িয়ে আছো কেনো। 

মেঘলা, রুপা আপু ফোন দিছিলো

শাহরিয়ার, কি.....

মেঘলা, রুপা আপু ফিরে এসেছে তোমাকে

রুপা আপু তাদের বাসায় যেতে বলছে রুপা

আপু আবার তোমার জীবনে ফিরতে চায়।

শাহরিয়ার, কি সত্যি তারপর আমি যখন রুম থেকে বের হতে যাবো তখন মেঘলা পিছন থেকে আমার হাত শক্ত করে

ধরে মায়াবী দৃষ্টিতে তাকায় মেঘলার চোখের জল টলমল করছে

আমি এক জাটকা মেরে আমার হাত থেকে মেঘলার হাত সরিয়ে নিই

আজ কোনো বাধা আমাকে রুপার কাছে যেতে আটকাতে পারবে না। ঘুমন্ত সিংহ 

আবার জেগে উঠেছে । ও গো আমার 

মায়াবতি রুপা আমি আসছি তোমার কাছে 

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post