গল্প: জুনিয়র Vs সিনিয়র
লেখক: শাহরিয়ার ইফতেখায়রুল হক সরকার
পর্ব: ৬ এবং শেষ
তারপর আমি মেঘলাদের বাড়ি থেকে
বের হয়ে দৌড়ে দৌড়ে রুপাদের বাসার
উদ্দেশ্যে যেতে লাগলাম
হঠাৎ মনে হলো মেঘলাদের বাড়ি থেকে তো রুপাদের বাড়ি অনেক ধুর
তাই আবার দৌড়ে দৌড়ে মেঘলাদের বাসায় এসে মেঘলাদের গাড়ি নিয়ে
রুপাদের বাসায় চলে গেলাম ।
রুপাদের বাসায় গিয়ে আমি রুপা রুপা
বলে চিৎকার করতে থাকি।
রুপা, শাহরিয়ারের গলার কন্ঠ শুনে তারাতারি তার রুম থেকে বের হয়ে শাহরিয়ারকে দেখতে পেয়ে জড়িয়ে ধরে,
আমাকে মাপ করে দেও আমি অনেক
বড় ভুল করে ফেলছি। আমি যেই ছেলেটাকে ভালোবেসে তার সাথে পালিয়ে ছিলাম সে ও একটা ধোকাবাজ। আমি আমার ভুল বুঝতে
পেরেছি প্লিজ আমাকে আবার
তোমার বুকে টেনে নেও। কথা দিচ্ছি
আর তোমাকে কখনো আমি ছেড়ে যাবো না । বিশ্বাস করো এখন আমি
মন থেকে শুধু তোমাই ভালোবাসি
আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না ।
শাহরিয়ার, এখন আমি কি করবো।আমার প্রথম ভালোবাসা
রুপাকে কি আমি আবার আমার বুকে টেনে নিবো না নিবো না। অন্য দিকে
মেঘলার জন্য ও খুব মায়া হচ্ছে।
আমার মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে কি তো কি
করবো আমি ।( মনে মনে)
রুপা, কি হলো কিছু বলো
শাহরিয়ার, জাটকা মেরে রুপার কাছ
থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলতে লাগলাম।বিশ্বাস তো তোকে ভালোবেসে করেছিলাম। কিন্তু
তুই নিজেই আমার বিশ্বাসটা ভেঙ্গে দিছিস
তুই ভাবলি কি করে যে তোকে আমি
দিতীয় বার বিশ্বাস করবো। ভুল তো
অনেকেই করে আবার ভুল থেকেই
শিক্ষা গ্রহন করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। ভুল আমিও করেছি যে
তোকে ভালোবেসে কিন্তু আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
আমি সুখে আছি । মেঘলাকে নিয়ে
আমি অনেক সুখে আছি।
তোর মতো বেইমানকে আমার জীবনে
কোনো দরকার নেই।
তারপার আমি যখন চলে যেতে যাবো
তখনি রুপা পিছন থেকে আমার
হাত টেনে ধরে।
আমি পিছনে ফিরে একটা জোড়ে জাটকা মেরে আমার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে ঠাশঠাশঠাশঠাশ করে রুপার গালে থাপ্পর বষিয়ে দিই।
রুপা, গালে হাত দিয়ে, তুমি আমাকে
মারতে পারলে।
শাহরিয়ার, হ্যা।
আর আমার এই হাত ধরার অধিকার
তোর নেই । আমার হাত ধরার অধিকার
আছে শুধু একমাত্র মেঘলার।
রুপা, তোমাকে না পেলে আমি কিন্তু
আত্যোহত্যা করবো।
শাহরিয়ার, তো কর না।তোকে নিষেদ
করেছে কে। তুই যদি ভেবে থাকিস
এসব কিছু করে আমাকে পাবি । তাহলে তোর ধারনা ভুল আমাকে তুই
কোনোদিনি পাবিনা।
তরপর আমি রুপাদের বাসা থেকে বের হয়ে গাড়ি ড্রাইব করে মেঘলাদের বাসায় চলে আসলাম। গাড়ি থেকে নেমে বাসায় গিয়ে সব জায়গায় খুজেছি কিন্তু মেঘলাকে কোথাও পাইনি
শাশুরি আম্মু, কি বাবা সেই কখন থেকে কাকে এভাবে খুজে চলেছো
শাহরিয়ার, মেঘলা কোথায়
শাশুরি আম্মু, ও মেঘলাতো ছাদে আছে।
শাহরিয়ার, তারপর আমি ছাদে গিয়ে
দেখলাম মেঘলা কিসের যেনো পেপার
হাতে নিয়ে ছাদের এক পাশে দাড়িয়ে
আছে। মেঘলা .............
মেঘলা , পিছনে ফিরে, ও তাহলে তুমি এসেছো
শাহরিয়ার, হ্যা আমি এসেছি
মেঘলা, ...................
শাহরিয়ার, আমি তোমাকে কিছু বলতে
চাই।
মেঘলা, যানিতো তুমি এখন কি বলবে
এটাই তো বলবে যে আমাকে ডিবোর্স দিয়ে দেও। আমি আমার ভালোবাসার
মানুষকে আবার ফিরে পেয়েছি এবং
তার সাথেই আমার জীবনটা কাটিয়ে
দিতে চাই। এটাই তো বলবে তাই তো
শাহরিয়ার, আগে আমার কথাটা তো
একবার শুনো
মেঘলা, কিছু শুনতে চাইনা আমি
এই নেও ডিবোর্স পেপার । তোমাকে
আমি মুক্ত করে দিলাম ।
তারপর শাহরিয়ারের মুখে পেপার ছুড়ে মারে।
শাহরিয়ার, তারপর কোনো কিছু না বলে আমি মেঘলাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে
ধরি আর আমার চোখ থেকেও জল
গড়িয়ে পরতে থাকে। কি ভেবেছো তুমি
হ্যা তোমাকে আমি ছেড়ে যাবো । কখনো ও না
তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না। আমি তোমাকে ভালোবাসি । তারপর মেঘলার কপালে একটা চুমু দিয়ে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরি
মেঘলা ও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে
ধরে।
মেঘলা, আমাকে যদি কোনো দিন
কষ্ট দেওনা তাহলে তোমার খবর আছে।
শাহরিয়ার, আমি কি তোমার মতো একটা মিষ্টি মেয়েকে কখনো কষ্ট
দিতে পারি ।
মেঘলা, হু।
,,,,,,,,তারপর চলতে লাগলো শাহরিয়ার আর মেঘলার সুখের সংসার,,,,,,,,,,,,,,
..................সমাপ্ত......................
👉গল্প কেমন হয়েছে বলতে ভুলবেন না👈