গল্পঃকালো ছেলে Vs সুন্দরী বউ লেখকঃরনি হাসান পর্বঃ২

 


গল্পঃকালো ছেলে Vs সুন্দরী বউ

লেখকঃরনি হাসান

পর্বঃ২

/\---------/\

\/---------\/

!

!

পুরো গ্রামটা ঘুরে দেখলাম!তবে আপনারা যাই বলেন না কেন গ্রামটা কিন্তূ খুব দারুন!তারপর বাড়িতে আসলাম দেখি ইতিমধ্যে ডেকোরেটরের কাজ শুরু করে দিয়েছে, দেখে যা মনে হলো অনেক ধুমধাম করে বিয়ে দিবেন. মনে হয় আর কি!

একদিন পর

আজ ফাইনালি তাহলে বিয়ে হচ্ছে! এই মুহুর্তে অনেক ধুমধাম এবং হৈচৈ চলছে! আর আমি ক্যামেরা নিয়ে বিয়ে কিছু মুহুত ক্যাপন করে রাখছি যাতে পরে সেগুলোকে দেখতে পারি আর কি!

হঠাৎ করে একটা খবর এলো যে বর নাকি তার জিএফকে নিয়ে পালাইছে! আর এদিকে আঙ্কেল অজ্ঞান হবার অবস্থা, খুব সিরিয়ার মুহুত যাই হক সম্মানের ব্যাপার স্যাপার তো একটা আছে

তারপর আব্বু আঙ্কেলের কাছে গেল?

আব্বু:বন্ধু তোর এমন অবস্থা কেন?

আব্বু বন্ধু:দোস্ত আমার একটি মাত্র মেয়ে,আর যে ঘটনা ঘটল সেটা শুনে কেউ আমার মেয়েকে বিয়ে করবে না(কান্না করে)

আব্বু;তুই কোনো টেনশন করিস না!

আব্বু বন্ধু:এখন টেনশন করা ছাড়া আর কোনো রক্ষা নেই! এখন তুই আমার মান সম্মান বাচাতে পারিস?

আব্বু:মানে?

আব্বু বন্ধু:তোর তো ছেলে আছে, এখন তুই আমার একমাত্র মান সম্মান রক্ষা করতে পারিস! নইত আমি এই সমাজে মুখ দেখাতে পারব না!

আব্বু:আচ্ছা ঠিক আছে,আমার বন্ধুর সম্মান রক্ষা করতে এইটু করতে আমার কোনো আপত্তি নেই!

আব্বু বন্ধু:ধন্যবাদ বন্ধু,

আব্বু:এখন শুধু তোর মেয়ে কে জিঙ্গাসা কর? আমার ছেলে সাথে এই বিয়েরব ইচ্ছুক কি না?

আব্বু বন্ধু:ও নিয়ে তোর চিন্তা করতে হবে না| আমি এদিকে দেখি তোর ঐদিকটি মেনেস কর!

আব্বু:ওকে!

তারপর আব্বু জোড়াজোড়িতে না বলতে পারলাম না| অবশেষ মিমিকে বিয়ে করতে হলো! আর হ্যা ওর নাম মিমি আম্মু বলছে! এটাও বলছে অনেক সুন্দরী এবং ব্যবহার খুব ভালো! যাই হক আপনারা আবার মন খারাপ করেননি তো, কি করব বলেন এত তাড়াতাড়ী বিয়ে করব জানা ছিল না| আচ্ছা জীবনে যদি আরেকটা বিয়ে করি তখন দাওয়াত দিমু নে|

তারপর মিমিদের বাসা থেকে বিদায় নিয়ে আমাদের বাসায় চলে আসলাম, আজ আমি বাসর রাত উৎযাপন করব,ভাবতেই অনেক আনন্দ আর, একজানা ভয় কাজ করছে| এখন আমি ছাদে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছি! আর বন্ধু বলছে?

জুবায়ের:কোনো দিন প্রেম তো করলি না আজ হুট করে বিয়ে করে একবারে বউ ঘরে তুলে আনলি,আর আমাদেরকে জানালিও না?

আমি:একটা ঘটনা ঘটে গেছে রে!

শাকিল:কি ঘটনা?

আমি:তাহলে শুন,ওদের বিয়ে বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বললাম!

আশরাফ:অহ এই ঘটনা,আচ্ছা কোনো ব্যাপার না| এখন বল আমাদের ট্রিট কবে দিবি?

আমি:নো প্রবলেম! সময় হলে পেয়ে যাবি!

জুবায়ের:আজ কিন্তূ তোর বিড়ালটা মারতে হবে!

আমি:কেন রে বিড়ালটা আবার কি করল যে বিড়ালটাকে মারতে হবে?

আশরাফ:আজ ঘরে গেলেই বুঝতে পারবা||

আরো কিছুক্ষন বন্ধুদের সাথে আড্ডার পর তারা আমাকে জোড় ঘরে পাঠাই দিল, আর বাহির থেকে দরজা আটকে দিলো|

তারপর আমি লক্ষ্য করলাম মিমি খাটে বসে আছে! আমি একটু কাশি দিলাম, আর মিমি খাট থেকে নেমে আমাকে সালাম করতে আসলো! আর আমাকে দেখে কেন জানি সালাম করতে চেয়েও করল না|

বুঝতে পারলাম আমাকে হইত সে পছন্দ করে নাই। তো অবাক হবার এর কোনো কারন নেই| কালো ছেলেকে কে বা পছন্দ করবে|তারপর সালাম না করেই মিমি খাটে গেল| আর আমি খাটে বসতেই বলতে শুরু করল?

মিমি:প্লীজ আমার কাছে আসবেন না!

আমি:কেন?

মিমি:কারন এই বিয়ে আমি মানি না|

আমি:কেন মানেন না?

মিমি:আপনাকে দেখে!

আমি:মানে...?

মিমি:আপনাকে আমার পছন্দ হয়নি!

আমি:তাহলে কেন বিয়েতে মত দিলেন?

মিমি:বাবার মুখের উপর কথা বলার সাহস আমার নেই!

আমি:তাহলে কেন আমাকে বিয়ে করলেন| আমি এতকিছু বুঝতে চাই না আমার অধিকার আপনাকে দিতে হবে!

মিমি:আপনি যদি স্বামীত্ব ফলাতে আসেন তাহলে আমি আত্তহত্যা করতে বাধ্য হব

মিমির কথা শুনে আকাশ ভেঙ্গে যেন মাথাই পড়ল! আমি তো এই কথা শুনে একদম চুপসে গেলাম| তারপর নিজেকে সামলে বললাম?

আমি:মহান আল্লাহ তায়ালার দেওয়া কালাম পড়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি| সুতরাং আমার আপনার প্রতি সম্পূর্ন অধিকার আছে| তাহলে কেন আত্তহত্যা করবেন|

মিমি:কারন আপনাকে আমি মন থেকে স্বামী বলে মেনে নেইনি|

আমি:আচ্ছা যখন মেনে নিবেন তখন নই আমার অধিকারটা দিয়েন|

মিমি:সেটা কোনো দিন ও সম্ভব না|

আমি:আচ্ছা ঠিক আছে এবার সরেন তো আমি ঘুমাব!

মিমি:কোথায়?

আমি:কোথায় আবার খাটে!

মিমি:না আপনি খাটে ঘুমাতে পারবেন না|

আমি:কেন?

মিমি:কেন আবার কি? ঘুমের ঘোরে উল্টাপাল্টা কিছু করতে পারেন তার জন্য এক বিছানাই থাকতে পারবেন না|

আমি:তাহলে আমি ঘুমাব কোথায়?

মিমি:সোফাই গিয়ে ঘুমান!

আমি:ঘুমাতে পারি একটা শর্ত আছে!

মিমি:কি শর্ত বলেন?

আমি:আমার বাবা মা যেন আমাদের এমন সম্পকের কথা না জানতে পারে! আপনি রাজি থাকলে সোফাই ঘুমাব!

মিমি:আমি রাজি! তবে ভুলেও আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না!

আমি:আমি এতটা খারাপ নই যে জোড় করে আদায় করব| আর আপনি নিশ্চিতে ঘুমান|

তারপর আমি বাধ্য হয়ে একটা বালিশ, কাথা নিয়ে সোফাই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম!

সকালে

মিমি:এই যে উঠুন!

আমি:হুমমম!

মিমি:উঠেন অনেক বেলা হয়ছে!

আমি:আর মাত্র ১ঘন্টা ঘুম পারব| তারপর ঘুম থেকে উঠব(মিমিকে একটু রাগানোর জন্য বললাম)

মিমি:কি ১ঘন্টা আপনি কিছুই মনে করেন না|

আমি:না...!

মিমি:এবার উঠুন প্লীজ নইত বাড়ির লোকেরা খারাপ ভাববে...

আমি:ভাবলে আমার কি! আমি তো আপনাকে এখনো ছুয়েও দেখিনি!

মিমি:উঠলে উঠুন,না উঠলে সুয়ে থাকুন| আমি বাহিরে গেলাম!

আমি:যাহা মনে চাই তাই করুন আমাকে কেন, বলেন আমাকে তো আপনি স্বামী হিসেবে মানেন না|

মিমি:নিশ্চুপ,কোনো কিছু না বলে বাহিরে গেল

আমি:ভেবেছিলাম বিয়ে করে, বউকে অনেক আদর করব, কিন্তু সেটা আর কপালে নাই| ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ফোনে গেম খেলছি এরি মধ্যে মিমির আগমন!

!

!

(চলবে)

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post