গল্প : পিচ্চি ছেলের প্রেমে যখন সিনিয়র ম্যাডাম পর্ব : ৭ and last part

  

গল্প : পিচ্চি ছেলের প্রেমে যখন সিনিয়র ম্যাডাম 

পর্ব : ৭  and last part 

লেখক : নিরব আহমেদ কাওছার

............................................................................

.........................................................................

......................................................................

...................................................................

................................................................

.............................................................

.........................................................

.....................................................

..................................................

..............................................

..........................................

.......................................

....................................

................................

............................

.........................

.....................

...................

................

.............

..........

.......

....

..

.

 

 

> আরে করছেন কি নামেন যলদি  আমার কোল থেকে শিশু শিশু হড্ডি সব এখনি ভেঙ্গে যাবে আপনার জন্য ( আমি বললাম )


>  ওই চুপ করো তো তোমার এই আজাইরা কথা  তোমার কোলে বসে এখন আমি তোমায় আইসক্রিম খাইয়ে দিবো আর তুমি খাবে  তাহলে আমাদের ভালোবাসা আরো বেরে যাবে ( ম্যাডাম বললো)  


> ভালবাসা বাড়বে কিনা যানি না তবে তোমাকে বিয়ে করলে কাপড় ধুয়ে জানটা আমার কয়লা কয়লা হয়ে যাবে এটা যানি  ( আমি মনে মনে বললাম)  


তখন ম্যাডাম একটু আইসক্রিম নিয়ে বললো। 


> নাও আইসক্রিম টুকু খেয়ে নাও। ( ম্যাডাম বললো)  


> বিয়ে করলে ঝাড়ুর বারি দিয়ে বলবে কাপড় গুলো ধুয়ে নাও আম্মা বাচাও ( মনে মনে বললাম আমি)  


> কি হলো নাও আইসক্রিম ( ম্যাডাম বললো)  


কি আর বলবো তারপর আইসক্রিম খেতে লাগলাম  কিছুখন পর আমায় বললো। 


> এখন তুমি আমায়  আইসক্রিম  খাইয়ে দাও ( ম্যাডাম বললো)  


আমায় যেহেতু খাইয়ে দিয়েছে তাইলে তো হিসাব অনুযায়ী  আমারও খাইয়ে দিতে হয় আইসক্রিম বাকিটুকু খাইয়ে দিলাম তারপর আরো কিছুখন ঘুরাফেরা করলাম তারপর বাসায় চলে আসলাম বিকেলে সব বন্ধুদের আড্ডা দেওয়ার যায়গায় ডাকলাম কি করে এই সিনিয়র মেয়েকে পিছু ছাড়াবো বুদ্ধি নিতে দেখি কি বুদ্ধি দেয় যাওয়ার পর তখন আমি ফাহাদ  কে বললাম। 


> দুস্ত মায়া ম্যাডাম তো আমার প্রেমের পুকুরে হাবুডুবু খাচ্ছে এখন বল কি করে সেখান থেকে উঠাবো উঠতে চাচ্ছে না ম্যাডাম । ( আমি বললাম) 


> কিহ তর প্রেম মায়া ম্যাডাম পড়ছে এটা বললেই বিস্যাস করে নিবো হা 😀 হা 😀 হা 😀 আর চাপা মারার যায়গা পেলিনা  ( ফাহাদ হাসতে  হাসতে  বললো )  


> সত্যি কথা বলছি না বিস্যাস হলে জাহিদ এর কাছে জিজ্ঞেস কর ( আমি বললাম)  


> কিরে জাহিদ সত্যি কথা বলছে ( ফাহাদ) 


> হুম দুস্ত সত্যি ( জাহিদ বললো) 


> এখন বল আমার পিছু ছুটাবো কি করে এই সিনিয়র ম্যাডাম কে তরা তো যানিস আমি আবার সিনিয়র মেয়ে পছন্দ করি না কারন ভয় করে কিন্তু এই মেয়ে যেই ভাবে জুলে আছে আমায় বিয়ে করে ছাড়বেই ( আমি বললাম)  


> শুন দুস্ত সিনিয়র মেয়ে হোক আর জুনিয়র মেয়ে হোক তাতে ভয় পাওয়ার কি আছে মেয়েটা যদি সত্যি করে ভালবাসে তাহলে আর ছাড়িস না কারন তারা  ভালাবাসার  জন্য সব কিছু করতে পারে তুই যা বলবি তাই করবে কিন্তু  ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে নিশ্চয় আত্যাহতা করবে আর সত্যি কারের ভালবাসা পাওয়া এখন ভাগ্যের বেপার দুস্ত  তকে খুব ভালবাসে ম্যাডাম  তাই তকে প্রথমে বলে দিছে  ভালবাসে এটা সব মেয়েরা বলে না মুখ ফুটে   যারা খুব ভালবাসে তারাই বলে ফেলে ।   আমি পারবো কিছু বলতে এই নিয়ে আমিও একজনকে ভালবাসতাম কিন্তু সে এক্সিডেন্ট করে মারা গেছে কত কষ্ট করে এখনো বেচে আছি আমি যানি আর তরা তো যানিস সরি দুস্ত আমি পারবো না বুদ্ধি দিতে  পারলে ম্যাডাম কে ভালবেসে তর বুকে সারাজীবন এর জন্য আঁকড়ে ধরে রাখিস দেখিস খুব ভালবাসবে ( ফাহাদ বললো)  


এটা বলে উঠে  চলে গেলো ফাহাদ  তখন জাহিদ বললো। 

 


> সরি দুস্ত আমিও পারবো না কিছু বলতে তবে এতটুকু বলতে পারি  ।  ভালবাসা জীবনে একবার আসে আর আসলে  বলে আসে না যখন আসবে তখন দু'হাতে আঁকড়ে ধরে রাখিস যাতে ছুটে চলে না যায় দেখিস খুব যত্ন করে রাখবে আর ম্যাডাম তকে খুব ভালবাসে এই গুলো সিনিয়র নিয়ে না ভেবে গিয়ে বাকি জীবন এর সঙ্গী করে ফেল ( জাহিদ বললো) 


এটা বলে জাহিদ চলে গেলো শুধু আমি বসে আছি কি করবো এখন আমি মাথা কাজ করছে না তারপর আমিও উঠে  বাসায় চলে গেলাম গিয়ে কিছু খেয়ে রুমে চলে গেলাম যাওয়ার পর বসে বসে ভাবছিলাম তখন হঠাত ফোনটা বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখি গতকাল রাতে  যে মেয়ে কল দিছে সে মেয়েটা কল দিছে  দরলাম না কিন্তু কল দিতেই আছে বিরক্ত হয়ে কলটা দরলাম আর বললাম । 


> এত বিরক্ত করেন কেন আপনি কেন কল দেন বলেন তো ( আমি বললাম)  


> আমি আমার বর এর কাছে কল দেই তা তোমার কি হুম ( মেয়েটা বললো)  


> তোমার বর এখানে নাই ফোন রাখো ( আমি বললাম)  


> কে বলছে নাই এইতো কথা বলছি আমার বর এর সাথে  ( মেয়েটা বললো)  


> শয়তান মাইয়া দূরে গিয়ে মর আজাইরা কথা শুনার সময় নাই ( আমি বললাম )  


> এই তুমি  এত রাগ করছো কেনো শুনো না আমার ঘুম আসছে না ( মেয়েটা বললো)  


> তাহলে একটা কাজ করো এক কেজি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে শুয়ে  পড়ো ( আমি বললাম)  


এটা বলে ফোন কেটে দিলাম তারপর ফোনটা বন্ধ করে ঘুমিয়ে গেলাম সকালে উঠে কলেজে চলে গেলাম প্রতিদিন এর মতো আজও ম্যাডাম এসে হাজির ঘুরতে নিয়ে যাবে এই বাবে কেটে গেলো ছয়টি দিন এই ছয়টি দিন প্রতিদিন  ম্যাডাম এর সাথে  ঘুরাফেরা করেছি তার সাথে ঘুরতে আমারও অনেক ভাল লাগে তার হাতটা দরে হাটতে খুব ভালো লাগে এখন আমিও ম্যাডাম কে ভালবেসে ফেলেছি সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন আমি বললাম 


> দুস্ত আমিও ম্যাডাম কে ভালবেসে ফেলেছি  গতকাল  খালার বাসায় যাবো সেখান থেকে এসে বলে দিবো ভাবছি  ( আমি বললাম )  


> সত্যি বলছিস তাহলে তো খুব ভালো তাড়াতাড়ি তর আর ম্যাডাম এর  বিয়ে খেতে পাড়বো ( জাহিদ বললো)  


> আরে এত তারাতাড়ি না বিয়ে আরেকটু দেড়ি করে করবো ( আমি বললাম)  


> তার আগেই আমরা বিয়ের কথা বলতে যাবো তর মাকে নিয়ে ( ফাহাদ বললো)  


> এই না না এমন করিস না আগে খালার বাসা থেকে আসি তারপর না হয় যা করার করিস ( আমি বললাম)  


> আচ্ছা ঠিক আছে ( দুজন মিলে বললো)  


তারপর আরো কিছুখন আড্ডা দিয়ে চলে আসলাম বাসায়  এসে খেয়ে রুমে চলে গেলাম গিয়ে তারপর ঘুমিয়ে গেলাম সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে অল্প কিছু খেয়ে রেডি হয়ে আব্বু আম্মুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলাম বাস ইস্টিশন গিয়ে একটা টিকেট কাটলাম কুমিল্লার তারপর বাসে উঠে গিয়ে সিটে বসে পড়লাম কিছুখন পর বাসটা ছেড়ে দিলো। 


এদিকে। 


ম্যাডাম কলেজে এসে আমায় খুজতে লাগলো আমায় না পেয়ে জাহিদ এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো  তখন জাহিদ বললো আমি খালার বাসায় গিয়েছি এটা শুনে ম্যাডাম মন খারাপ করে কলেজ থেকে চলে আসলো বাসায় আসার পর মায়ার আম্মু বললো। 


> কিরে আজ এত যলদি চলে এলি যে মন খারাপ মনে হচ্ছে কিছু হয়েছে ( মায়ার আম্মু বললো)  


> নাহ আম্মু কিছু হয়নি এমনি ভালো লাগছে না তাই চলে আসছি ( মায়া বললো)  


এটা বলে ঘরে চলে গেলো মায়া এদিকে আমি বাস থেকে নেমে  খালার বাসার রাস্তা চিনতে পারছি না কোন দিকে অনেক আগে গিয়েছিলাম তাই চিনতে পারছি না তখন খালা কে ফোন দিলাম । 


> হ্যালো খালা কই তুমি তোমাদের বাসা কোথায় এখানে তো গাড়ি ছাড়া কিছুই দেখতে পারছি না ( আমি বললাম)  


> শয়তান তুই আবার ফাজলামো শুরু করছিস ( খালা বললো) 


> আরে ফাজলামো না সত্যি এখানে তো গাড়ি ছাড়া আর কিছু নাই ( আমি বললাম ) 


> তুই কি সত্যি আসছিস নাকি ( খালা খুশি হয়ে বললো)  


> হুম সত্যি আসছি এখন বাস ইস্টিশন এসে নিয়ে যাও ( আমি বললাম)  


> তুই একটা রিকশাকে বল............... এই ঠিকানা অনুযায়ী নিয়ে আসতে তারপর আমি নিয়ে যাবো ( খালা বললো)  


> আচ্ছা ঠিক আছে খালা ( আমি বললাম)  


তারপর ফোনটা কেটে একটা রিকশা নিয়ে চলে আসলাম ঠিকানা অনুযায়ী তারপর  খালাকে কল দেওয়ার পর আমায় নিয়ে গেলো এসে খালার কোনো ছেলে নেই দুটি মেয়ে নাম তাহনা আর তানজিলা তানহা হচ্ছে বড় এবার  কলেজে উঠছে ইন্টারে পড়ে আর তানজিলা হচ্ছে ছোট এবার ক্লাস দশম শ্রেণির ছাএী আর খালুর একটা কাপড় এর দোকান আছে  যাওয়ার পর সবাই খুশি অনেক দিন পর আসছি তাই যাওয়ার পর তানজিলা বললো। 


> ভাইয়া এইবার কিন্তু অনেক দিন থাকবে তুমি অনেক দিন পর আসছো। ( তানজিলা বললো)  


> নারে বোন বেশি দিন থাকতে পারবো না কলেজ আছে  ( আমি বললাম )  


> কলেজ আছে বলে কি হইছে তুমি অনেক দিন পর আসছো কিন্তু ( তানজিলা বললো) 


> আচ্ছা এক সাপ্তাহ থাকবো হয়েছে ☺ খুশি এবার ( আমি বললাম ) 


তারপর আরো কিছুখন আড্ডা দিয়ে আমায় একটা রুম দেখিয়ে দিলো সেটাতে এসে ফ্রেশ হয়ে বসে আছি তখন খাবার খাওয়ার জন্য এসে ডাকলো খেয়ে এসে কিছু খন বাসার আসে পাসে ঘুরাঘুরি করে চলে আসলাম রাতে খেয়ে  দিলাম একটা ঘুম। 


এদিকে সকালে উঠে মায়া  কলেজে গিয়ে দেখে আজও আমি আসিনাই মন খারাপ করে চলে আসলো এই ভাবে কেটে গেলো তিন দিন মায়া আর না দেখে থাকতে পারছে না পাগল হয়ে যাচ্ছে দেখার জন্য প্রতিদিন জাহিদ কে গিয়ে জিজ্ঞেস করে কবে আসবো কিন্তু বলে কিছু দিন পর পরের দিন দুপুরে মায়া তার রুমে শুয়ে আছে তখন তার আম্মু এসে বললো। 


 

> মায়া মা আমার উঠে একটু রেডি হয়ে নে তকে দেখতে কিছু লোক আসছে  ( মায়ার আম্মু) 


এটা শুনে মায়া লাফ দিয়ে উঠে পড়লো তখন অবাক হয়ে বললো। 


>কিহ বলছো তুমি আম্মু   আমায় দেখতে আসছে মানে ( মায়া অবাক হয়ে বললো)  


> হুম দেখ মা তর লেখা পড়া শেষ হয়েছে অনেক আগে এখনতো তকে বিয়ে করতে হবে  ( মায়ার আম্মু) 


> বিয়ে তো করবো কিন্তু এই ভাবে না বলে নিয়ে আসছো কেন  ( মায়া একটু রাগি গলায় বললো) 


> আমি কিছু যানি না সব তর আব্বু যানে তর আব্বু নিয়ে আসছে ( মায়ার আম্মু বললো) 


> আমি এই বিয়ে করবো না ( মায়া বললো) 


> সেটা তর আব্বু কে গিয়ে বল আমায় বললে কোনো লাভ হবে না ( মায়ার আম্মু বললো)  


> আমি আমার জানটাকে ছেড়ে কাউকে বিয়ে করবো না প্রয়োজন হলে আত্যাহতা করবো ( মনে মনে বললো মায়া)  


তারপর দৌড়ে নিচে চলে গেলো মায়া গিয়ে সোজা তার আব্বুকে  বললো। 


> আব্বু আমি এই বিয়ে করবো না  আমি একজনকে ভালবাসি আর তাকেই  বিয়ে করবো যদি তোমরা যোর করো তাহলে আমি আত্যাহতা করবো  ( মায়া রাগী গলায় বললো )  


> সে কিরে মা এই ছেলে গুলো বললো তুই নাকি এই ছেলেকে ( হাতে একটা ছবি নিয়ে ) বিয়ে করতে রাজি তাই তার আব্বু আম্মু আসছে। ( মায়ার আব্বু বললো) 


তারপর মায়া তাকিয়ে দেখে জাহিদ ফাহাদ আর আমার আম্মু আব্বু আদিবা বসে আছে তখন বললো। 


>সরি আব্বু না দেখে বললাম  হুম আব্বু ঠিক বলেছে আর আগামীকাল আমাদের বিয়ের আয়োজন করো ( মায়া বললো) 


> আলহামদুলিল্লাহ তা বেয়াই বউমা যখন বলে দিছে তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নাই আপনি কি বলেন ( আমার আব্বু বললো)  


> আমি আর কি বলবো মেয়ে যখন বলে দিছে তাহলে তাই হোক আগামীকাল বিয়ে ( মায়ার আব্বু বললো) 


তারপর জাহিদ আর ফাহাদ উঠে ম্যাডাম এর কাছে গিয়ে বললো। 


> ওফ কত কষ্ট করতে হলো আমাদের ম্যাডাম এখন আমাদের কিছু  টিট্ট দিন চলে যাই একে ভারে বিয়ের ডেড ফাইনাল করে দিলাম দিন ( জাহিদ বললো) 


> ধন্যবাদ তোমাদের এই নাও এখানে দশ হাজার টাকা আছে সব নিয়ে নাও ( ম্যাডাম খুশি হয়ে  টাকা দিয়ে বললো)  


তারপর জাহিদ আর ফাহাদ টাকা নিয়ে খুশিতে লাফাতে লাফাতে চলে গেলো এদিকে  রাতে শুয়ে আছি তখন আব্বু কল দিয়ে বললো আগামীকাল যেন তাড়াতাড়ি চলে আসি  জিজ্ঞেস করলাম কেন বললো সারপ্রাইজ দিবে সাথে খালা কে নিয়ে আসতে সবাইকে।  তারপরের দিন দুপুরে রওনা দিলাম সবাই মিলে সন্ধ্যায় চলে আসলাম আসার পর দেখি বাসাটা লাইট দিয়ে সুন্দর করে সাজানো কিসের জন্য বুঝতে পারছি না আব্বুর অনেক বকা খেতে হলো দেড়ি করে আসার জন্য তারপর একটা পাঞ্জাবি পায়জামা দিয়ে বললো তারাতাড়ি পড়ে আসতে আমিও গিয়ে পড়ে আসলাম কোনো কথা না বলে তারপর একটা গাড়িতে করে নিয়ে যেতে লাগলো ম্যাডাম এর বাসার সামনে গিয়ে থামালো আমি অবাক হয়ে আছি এখানে আসলো কেন তখন জাহিদ পাসে ছিলো আমি বললাম। 


> কিরে দুস্ত ম্যাডাম এর বাসা সাজানো আমাদের বাসা ও সাজানো বুজলাম না আর আমরা এখানে আসলাম কেন ( আমি বললাম)  


> আজ তর আর ম্যাডাম এর বিয়ে ( জাহিদ বললো) 


> কিহহহ কি করে হলো এটা ( আমি অবাক হয়ে বললাম) 


> তুই যেদিন থেকে কলেজে যাসনি সেদিন থেকে ম্যাডাম মন খারাপ করে কলেজে আর গিয়ে ক্লাস করায় নি তাই আমি আর ফাহাদ মিলে তদের বিয়ে ঠিক করে দিলাম ( জাহিদ বললো) 


>  শালা আমি বলছিলাম আসার পর সব করিস কিন্তু তদের বিয়ে খাওয়ার আর তর সইছে নাহ  ( আমি বললাম) 


> এটা না করলে দশ হাজার টাকা মিস হতো ম্যাডাম খুশি হয়ে আমাদের দশ হাজার টাকা দিয়েছে  ( জাহিদ বললো) 


> যাক ভালো কাজ করছিস দুস্ত আমায় কিন্তু সেখান থেকে কিছু টাকা দিস ( আমি বললাম) 


> শালা বিয়ে তর ঠিক করলাম আমরা কোথায় তুই আমাদের টাকা দিবি টিট্ট দিবি তা না করে উল্টো আমাদের কাছ থেকে টাকা চাইছিস ( জাহিদ বললো)  


> ঠিক আছে তর কাজে খুশি হয়ে আমি এক কেজি কাঁচা মরিচ উপহার দিবো আগামীকাল  তদের ( আমি বললাম)   


> শালা আর কিছু দেওয়ার জন্য পেলি না থাক লাগবে না যাহ গিয়ে বিয়ে করে নে ( জাহিদ বললো)  


তারপর ভিতর চলে গেলাম কিছুখন পর কাজি এসে বিয়ে পড়িয়ে চলে গেলো যখন বিদায় নিয়ে চলে আসবো তখন মায়া একটু কাদলো না বোজলাম না 

 সব মেয়েরা কাদে কিন্তু মায়া কাদলো না কেন মনে হয় মেকাপ নষ্ট হয়ে যাবে বলে তারপর মায়াকে নিয়ে চলে আসলাম আসার পর মায়াকে বাসার ঘরে নিয়ে বসানো হলো আমি এসে আড্ডা দিচ্ছিলাম কিন্তু হারামি বন্ধু  গুলো বেসি খন থাকলো না মেয়েদের সাথে ফাজলামো করতে  চলে গেলো আমিও আর বসে না থেকে চলে গেলাম ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে মাএ ফিরলাম এমনি দৌড়ে মায়া আসলো এসে টান দিয়ে খাটে ফেলে পাগলের মতো কিস করতে লাগলো সারা মুখে তখন আমি বললাম  


> আরে থামো থামো কিস পরিক্ষায় তুমি পাস করছো এখন থামো  আগে নামাজ পড়ে নেই চলো দুই রাকাত ( আমি বললাম)  


তারপর মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো তারপর দুই রাকাত নামাজ পড়ে উঠতেই আবার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো বিছানায় আর সারা মুখে কিস করতে লাগলো আর বললো। 


> তুমি যানো তোমায় এতদিন না দেখতে পেয়ে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম প্রায় তোমায় তো প্রতিদিন রাতে আমি কল দিয়ে দুষ্টমি করতাম  ( মায়া বললো) 


> ও এই কথা তাই তো বলি এই পাগল মাইয়া আবার কেডা ( আমি বললাম)  


> হুম তবে সেটা তোমার পাগল সিনিয়র বউ ( মায়া বললো) 


এই বলে আবার কিস করতে লাগলো তখন আমি বললাম 


> এই দাড়াও থামো আমার একটা শর্ত আছে ( আমি বললাম) 


> হুম বলো কি শর্ত সব আমি রাজি ( মায়া বললো) 


> আমায় কোনো ঘরের কাজ করতে বলবে না যে গুলো তোমার কাজ আর বিশেষ করে কাপড় কাচাড় ( আমি বললাম) 


> তোমার কিছু করতে হবে না আমি সব করবো এখন আমায় রোমান্স করতে দাও চুপ করে ( মায়া বললো) 


> যাক কাপড় ধুয়ে দেওয়া থেকে বেচে গেলাম ( মনে মনে আমি) 


তারপর মায়া আমার বুকের উপর উঠে বললে। 


> আমার পিচ্চি বর এর ঠোঁটটা পুরো স্ট্রবেরি আজ সারা রাত খাবো ( মায়া আমার ঠোঁটের মাজে হাত দিয়ে দরে বললো) 


এটা বলে সারা মুখে কিস করতে লাগলো তারপর ঠোঁট গুলো সে টেনে রাবার এর মতো খেতে লাগলো কিছুক্ষণ পর পাগলের মতো খেতে  লাগলো তারপর আমিও মায়ার সাথে সাড়া দিতে লাগলাম। 


আপনারা তো খুব দুষ্ট এখনো বসে আছেন শুনতে। 


যান আর বলা যাবে না বাকিটা ইতিহাস । 


কেমন হয়েছে পুরো গল্পটা কমেন্ট করে বলে দিন। 


বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। 


ধন্যবাদ সবাইকে  পুরো গল্পের মাজে উৎসাহ দেয়ার জন্য আমায় আসা করি পরের গল্প গুলোর মাজে ও এমনি উৎসাহ দিয়ে যাবেন সাপটা করবেন।

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post