মা বাবা হারা ছেলেটা যখন মাফিয়া কিং সর্ব ৩+৪

 গল্প/:: #মা বাবা হারা ছেলেটা যখন মাফিয়া কিং।

*

*

* লেখক/:::: #রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿

*

*

*

* পর্ব/::::::::::::: ( ৩ ) ::::::: ( #তিন ) :::::::::::#

*

*

*

*

*

*

*

* ফ্রেশ হয়ে, একটা জামা গায়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসতেই কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে দুজনে নিচে পড়ে গেলাম। 


যার সাথে ধাক্কা খেলাম। সে আর কেউ নয় পায়েল। পায়েলের ঠোটের সামনে আমার ঠোট। পায়েল ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে, দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি, । 


ইচ্ছে করছে পায়েলের ঠোটের সাথে ঠোঁট লাগিয়ে দিতে। কিন্তু আমি নিজেকে কন্ট্রোল করে, তাড়াতাড়ি উঠে গেলাম। আমি এক হাত বাড়িয়ে পায়েল কে উঠালাম। তখন পায়েল বললো।


পায়েল/: সরি , আমি তোমাকে দেখতে পাইনি। তুমি এখনো ঘুমিয়ে আছো। তাই তোমাকে ডাকতে রুমে ঢুকছিলাম। হঠাৎ তুমিও রুম থেকে বেরিয়ে আসলে। 


আমি/: সমস্যা নেই। আমি কিছু মনে করি নাই। আর রাইসা কোথায়। 


পায়েল/: রাইসা আমার রুমে পড়তে বসেছে। তাকে পড়া দেখিয়ে, তোমাকে ডাকতে আসলাম। 


আমি/: ঠিক আছে, আমি বাহিরে গেলাম। ফিরতে রাত হতে পারে। তুমি রাইসা কে খাবার খাইয়ে দিয়ে, ঘুম পাড়িয়ে দিও। 


পায়েল/: যদি কিছু মনে না করো, একটা কথা বলি। আমি তোমাকে টাকা দিচ্ছি, । আসার সময় আমার জন্য কিছু ক্যাডবেরি নিয়ে এসো , ।


আমি/: তোমার টাকা লাগবে না। আমার কাছে কি টাকা নেই। আমি বসে বসে খেলেও আমার টাকা ফুরাবে না। 


পায়েল আর কোনো কথা বললো না। আমি বাসা থেকে বেরিয়ে আসার পর, রাফি আমার সাথে আসলো। আর আমার লোক সবসময় আমার সাথে থাকে। 


তার একটা কাজে গেলাম। কাজ টা শেষ করে আসতে একটু বেশি রাত হয়ে গেছে। আসার সময় পায়েল এর কথা মতো এক কার্টুন ক্যাডবেরি নিয়ে আসলাম। 


বাসায় আসার পর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর পায়েল এসে দরজা খুলে দিলো। আমি পায়েল কে দেখে বললাম।


আমি/: কি ব্যাপার, তুমি এখনো জেগে আছো কেন। রাইসা কি ঘুমিয়ে গেছে।


পায়েল/: হুম, তাকে খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। খালা এতোক্ষণ ছিলো। আমি ওনাকে রুমে পাঠিয়ে দিছি। 


আমি/: তো তুমি এতো রাতে জেগে আছো কেন। তোমাকে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলছি না, আমার আসতে রাত হবে। 


পায়েল/: ওটা কোনো ব্যাপার না। আর আমার ঘুম আসছিলো না। আমার ক্যাডবেরি কোথায়। 


আমি/: এই যে তোমার ক্যাডবেরি। এক কার্টুন নিয়ে এসেছি, রাইসা আর তুমি খাবে। 


এ বলে কাটুন টা পায়েল এর হাতে দিয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম। ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে মোবাইল টিপতে টিপতে ঘুমিয়ে পড়লাম। 


এবার চলুন পায়েল এর ব্যাপার টা খুলে বলি সংক্ষিপ্তভাবে। 


দিনাজপুর হচ্ছে আমার নানার বাড়ি। নানার বাড়ি টা দিনাজপুর টাউনে ছিলো। আমি ওখানে থেকে পড়াশোনা করছি SSC পর্যন্ত। পায়েল ও আমার সাথে পড়তো। পায়েল ছিলো , বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে। 


তার অনেক অহংকার ছিলো। কিন্তু আমার কোনো অহংকার ছিলো না। পায়েল আমার গায়ে দুই তিন বার হাত তুলেছে। তবে আমি সাথে সাথে তাকে পাল্টা আঘাত করেছি। 


পায়েল স্কূলে সকল ছাত্র ছাত্রী দের সাথে খারাপ ব্যবহার করতো। বাবার ক্ষমতা দেখিয়ে চলতো। এভাবে হাই স্কুল জীবন শেষ করি। তার পর আব্বু আম্মু আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। 


ঢাকায় আসার পর , এখানে একটা কলেজে ভর্তি হই খুব সুন্দর ভাবে চলছিলো আমাদের সংসার। দেখতে আমি ইন্টার পাশ করি‌ এরপর হঠাৎ একটা জড় এসে সবকিছু এলোমেলো করে দেয়। 


একদিন আব্বু আম্মুর সাথে কিছু কথা নিয়ে কাটাকাটি হয়। আব্বু আম্মুর গায়ে হাত তোলে। আম্মু রাতে দুই দিন পর কাউকে কিছু না বলে, কানাডা চলে যায়। এর কিছুদিন পর আব্বু আরেক টা বিয়ে করে, নতুন বউকে নিয়ে আমেরিকা চলে যায়। 


তারা আমার কথা একটা বার চিন্তা করলো না। তারা নিজের স্বার্থ টাই বুঝলো। এরপর থেকে থেকে আব্বু আম্মুর ওপর রাগ এবং গিন্না জম্ম নেয়। 


এরপর আমি খারাপ ছেলেদের সাথে মিলামেশা শুরু করে দিই। আস্তে আস্তে আমি হয়ে যাই একজন মাফিয়া কিং। তবে আমি ভালো মানুষের কোনো ক্ষতি করি না। খারাপ মানুষের ক্ষতি করি। 


বাংলাদেশের বড় বড় নেতার সাথে আমার পরিচয় হয়। কার কোথায় কি আছে, কে কি করে, সবকিছু আমার জানা আছে‌ । যদি আব্বু আম্মু আমার সাথে থাকতো, তাহলে কখনো আমি , এই পথ বেছে নিতাম না। তাদের কারনে আজকে আমি খারাপ হয়েছি। 


এখন হয়তো আপনারা বলবেন, আমি টাকার বিনিময়ে কাজ করি কেনো। এই টাকা দিয়ে আমি কি করি, ‌ । এই টাকা দিয়ে আমি ভালো কাজ করি। তবে কি কাজ করি, সেটা আরেকটু সামনে গেলে জানতে পারবেন। 


দেখতে দেখতে ১৫/২০ দিন চলে গেল। আমি কেমন যেনো পায়েল এর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছি। রাইসা এখন পায়েল কে ছাড়া কিছু বুঝে না। পায়েল রাইসাকে নিজের মেয়ের মতো আদর যত্ম করে। 


এখন আমি বেশি রাত করে বাসায় ফিরি না, । কারন পায়েল সবসময় আমার জন্য রাত জেগে অপেক্ষা করে। তাকে বললেও শুনে না। তাই রাতে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে আসি। 


সকালে সবাই একসাথে বসে নাস্তা করছি। পায়েল নিজ হাতে রাইসা কে নাস্তা খাইয়ে দিচ্ছে। রাইসা আমাকে বললো। 


রাইসা/: আব্বু আজকে তো শুক্রবার। চলো না, আজকে আমাকে আর ম্যামকে বাহিরে ঘুরাতে নিয়ে যাবে। 


আমি/: ঠিক আছে মামুনি। তুমি আর তোমার ম্যাম নাস্তা করে রেডি থেকো। তোমাদের আজকে কয়টা জায়গায় নিয়ে যাবো। 


রাফি/: তুই যদি আজকে ঘুরতে যাস। তাহলে ওই কাজটা করবি না। আমরা কিন্তু বিশ লাখ টাকা নিয়ে নিচি। 


আমি/: সেটা কালকে করবো। আজকে আমার রাইসা মামুনিকে নিয়ে ঘুরতে যাবো। সারাদিন বাসায় থাকে। কোথাও নিয়ে যেতে পারি না, কাজের জন্য। তুই আজকে সবাইকে বলে দেয়, আজকে সবার ছুটি। 


রাফি ঠিক আছে বলে, নাস্তা খেতে লাগলো। আমি নাস্তা করে রুমে চলে আসলাম। তার পর একটা কোট গায়ে দিলাম। কোট গায়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে এসে রাইসা আর পায়েল এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। 


হঠাৎ রাফি আমার সামনে এসে বললো।


রাফি/: রাসেল কিছুক্ষণ আগে, আমাদের লোক ফোন দিয়ে বলছে, রনি নাকি তোকে মারার জন্য রকির সাথে হাত মিলিয়েছে। তুই ওদের নিয়ে একা একা বের হওয়া ঠিক হবে না। যদি পথে তোর ওপর আক্রমণ করে, । 


আমি/: ঠিক বলছিস। তুই আমাদের সব লোক কে বলে দেয়। আজকে যেনো ছুটি না কাটায়। 


রাফি/: সেটা তুই বলার আগেই, সবাইকে আমি বলে দিছি। সবাই বাহিরে গাড়ি নিয়ে তোদের জন্য অপেক্ষা করছে। 


আমি/: খুব ভালো করছিস। তাহলে তুই ও রেডি হয়ে নেয়, আর সাথে আমার জিনিস গুলো নিয়ে নিবি। 


রাফি/: সেটা নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না। আমি এখনি সবগুলো গাড়িতে নিচ্ছি। তুই রাইসা আর পায়েল কে নিয়ে বের হ।


এ বলে রাফি চলে গেল। হঠাৎ সিঁড়ির ওপর চোখ পড়তেই আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম। আজকে পায়েল কে অনেক সুন্দর লাগছে। নীল রঙের একটা শাড়ি পড়েছে। তাহলে সেই বড়লোকের মেয়ে এখন শাড়িও পড়তে পারে। 


পায়েল দেখে ইচ্ছে করছে, তাকে একটা বার জড়িয়ে ধরি। কিন্তু আমি ওকে কোন অধিকারে জড়িয়ে ধরবো। সে তো আমার ভালোবাসার মানুষ না। আমার বউ না। তাহলে কেনো আমি তাকে জড়িয়ে ধরবো। 


হঠাৎ রাইসার ধাক্কায় দেন ভাংলো। তখন রাইসা বললো। 


রাইসা/: আব্বু দেখো তো, আমাকে এবং ম্যামকে কেমন লাগছে। ম্যাম আমাকে সাজিয়ে দিছে। 


আমি): অনেক সুন্দর লাগছে মামুনি। এখন চলো আমরা বেরিয়ে পড়ি। 


পায়েলের হঠাৎ মুখটা কেমন হয়ে গেলো। পায়েল মনে করছে, আমি তাকে বলবো , শাড়িতে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। তার রুপের প্রশংসা করবো। 


আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে আমার গাড়িতে উঠলাম। আজকে আমি নিজে গাড়ি চালাবো। পায়েল আর রাইসা , আমার সাথে সামনের সিটে বসলো। 


রাফি সহ আমাদের সাথে মোট দশ গাড়ি আসছে । প্রথমে একটা হাসপাতালের সামনে গেলাম। তার পর পায়েল এবং রাইসা কে গাড়ি থেকে নামতে বললাম। 


রাইসা আর পায়েল গাড়ি থেকে নামার পর সিকিউরিটি গার্ড আমাকে দেখে সালাম দিলো। সবাইকে নিয়ে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকলাম। হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ম্যানেজার এর কেবিনে গেলাম। ম্যানেজার আমাকে দেখে দাঁড়িয়ে সালাম দিলো। আর বললো।


ম্যানেজার/: স্যার আপনি আসবেন। আমাকে একটা বার বলতেন। আমি নিজেই আপনার বাসায় চলে আসতাম। 


আমি/: আমি এখানে আসছি হাসপাতাল টা দেখার জন্য। কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো। রোগিদের খেয়াল ঠিক মতে রাখেন তো। 


ম্যানেজার/: আমরা সবাই রোগিদের খেয়াল রাখছি। তাদের সবসময় সেবা যত্ম করি। তাদের কোনো কিছুর কমতি রাখছি না। আপনি রোগিদের সাথে কথা বললে বুঝতে পারবেন। 


আমি/: আমি আপনার কথা বিশ্বাস করি বলে, আপনাকে ম্যানেজারের দায়িত্ব দিছি। আমার আর দেখা লাগবে না। রাফি ম্যানেজার কে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে দেয়।


এ বলে রাইসা আর পায়েল কে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসলাম। তার পর গাড়িতে উঠে একটা এতিম খানার সামনে গেলাম। আসার সময় ওদের জন্য কিছু জামা কাপড় , এবং খাবার নিয়ে আসলাম। 


সবাইকে জামা কাপড় দিলাম, আর সবার সাথে বসে, খাবার খেলাম। তার পর সবার থেকে বিদায় নিয়ে একটা বিদ্যাশ্রমে চলে আসলাম। 


পায়েল কোনো কথা বলছে না। শুধু দেখে যাচ্ছে। আর অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। 


বিদ্ধাশ্রমের সামনে গাড়ি থামিয়ে সবাই ভিতরে ঢুকলাম। আমাকে দেখে সবাই এসে জড়িয়ে ধরলো। আসার সময় মহিলাদের জন্য একটা করে শাড়ি, এবং পুরুষদের জন্য লুঙ্গি পাঞ্জাবী নিয়ে আসলাম। 


তাদের সবাইকে সবটা বুঝিয়ে দিলাম। এই বিদ্যাশ্রম যারা দেখাশোনা করে। তাদের বললাম। 


আমি/: এখানে কি সবঠিক মতো চলছে। খাওয়া দাওয়ার কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো। যদি শুনি আমার আব্বু আম্মু রা কষ্ট পাচ্ছে। তাহলে কাউকে আমি ছাড়বো না। যখন যার যেটা লাগবে , দ্রত এনে দিবে। 


আরো কিছুক্ষণ কথা বললাম। এবং বিদ্যাশ্রমের সবাইকে বলছি, কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো। সবাই বললো কেনো অসুবিধা হচ্ছে না। 


তার পর ওদের থেকে বিদায় নিয়ে মার্কেটে গিয়ে পায়েল এবং রাইসার জন্য কিছু মার্কেট করলাম। তার পর একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে খাবার খেলাম। তার পর বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসতে আসতে রাত দশটা বেজে গেছে। 


এতোক্ষণ সময় পায়েল একটা কোথাও বলে নাই। শুধু আমার কাজ কাম দেখছে। বাসায় আসার পর রাইসা কে বললাম। 


আমি/: মামুনি আজকে ঘুরা ঘুরি করে, তোমার কাছে কেমন লাগছে। 


রাইসা/ অনেক ভালো লেগেছে আব্বু। তুমি সবার গরীব দুঃখী মানুষের খেয়াল রাখো। এটা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। 


আমি/: ঠিক আছে মামুনি, তুমি একটু রুমে যাও। আমি তোমার ম্যামের সাথে একটু কথা বলবো। 


রাইসা ঠিক আছে বলে, রুমে চলে গেল। এবার আমি পায়েল কে বললাম। 


আমি/: আচ্ছা পায়েল। তোমাকে সেই সকালবেলা আমাদের সাথে বের হয়ে যাওয়ার পর, তুমি একটা কথাও বলো নাই কেনো। কি হয়েছে তোমার। 


পায়েল/: আমার কিছু হয়নি রাসেল। আমি তোমার কাজ কাম দেখে আজকে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তোমার এসব কাজ আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কি বলবো তোমায়। 


আমি/: তুমি মনে করছো কি, আমি এতোটাই খারাপ। আসলে তুমি যতোটা খারাপ ভাবছো, এই রাসেল এতোটা খারাপ না। আমি এসব কাজ করে , যে টাকা নি, সব টাকা এই গরীব দুঃখী মানুষের পিছনে খরচ করি। এখন হয়তো তুমি বলবে, এসব হারাম টাকা। আমি বলবো একটা টাকাও হারাম না, কারন এসব টাকা গরীবদের হকের টাকা। বড় বড় নেতা গরীবদের পেটে লাথি দিয়ে এসব টাকা নিচে। আর সেই টাকা আমি কাজের বিনিময়ে নিয়ে আসি। আর সেই টাকা দিয়ে তাদের জন্য হাসপাতাল, এতিম খানা, স্কুল, বিদ্যাশ্রম , এগুলো করে দিছি। 


হঠাৎ দেখি পায়েল এর চোখে পানি। তখন আমি বললাম। 


আমি/ এই পায়েল, তুমি কান্না করছো কেন। আমি কি খারাপ কিছু বলেছি। আমার কথায় কি কষ্ট পেয়েছো। 


এ কথা বলার সাথে সাথে পায়েল আমাকে জড়িয়ে ধরল। কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে তার রুমে চলে গেল। আমি তো কিছুই বুঝতে পারলাম না। 


এতো কিছু বুজে লাভ নেই। আমি আমার রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। 


পরের সকালে রাফি এবং কিছু লোক নিয়ে রকির আস্তানায় গেলাম। রকি হয়তো আমাকে এভাবে তার এখানে দেখবে, আসা করে নাই। রকির সাথে রনিও আছে। তখন রকি বললো। 


রকি/: আরে ভাই , আপনি আমার এখানে। আপনি একটা ফোন দিলে তো, আমি আপনার কাছে চলে আসতাম। আপনি শুধু শুধু কষ্ট করে আসতে গেলেন কেনো। ওই তোরা ভাইকে চেয়ার দেয়। 


আমি/: আমি এখানে বসতে আসি নাই। শুধু তোকে আর রনিকে একটা ওয়ার্নিং দিতে আসছি। শুনেছি রনি নাকি আমাকে মারার জন্য তোর কাছে এসেছে। তুই যদি আমার বা আমার লোকদের ওপর একটা আঘাত করিস। তাহলে তোদের দুইটাকে দুনিয়া বাঁচিয়ে রাখবো না। কথাটা মনে রাখিস। 


রকি/: ভাই আপনি মানুষের কথা বিশ্বাস করবেন না। কোথায় আপনি, আর কোথায় আমি। আমি তো আপনার একটা হসম ছিঁড়তে পারবো না। 


আমি/: তাহলে রনি তোর কাছে এসেছে কেনো। তোর তো ওর সাথে ভেজাল ছিলো। 


রকি/: ভাই রনি আমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছে। সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই আমিও তাকে ক্ষমা করে দিছি। দুজনে এখন আগের মতো হয়ে গেছি। 


আমি/: আগের মতো হয়েছিস ভালো কথা। যদি কখনো আমায় ক্ষতি করার চেষ্টা করিস। তাহলে রনির ছোট ভাইকে যে ভাবে মেরেছি, তোদের কেউ সে ভাবে মারবো। কথাটা মনে রাখিস। 


এ কথা বলে রকির আস্তানা থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর পায়েল এসে দরজা খুলে দিলো। আমাকে দেখে বললো। 


পায়েল/: তুমি এতো সকাল সকাল কোথায় গেছো। আর নাস্তা টাও করে যাওনি। তুমি তো এতো সকাল ঘুম থেকে উঠো না। 


আমি/: আসলে সকালে একটা কাজ ছিলো। সেটা শেষ করে আসছি। খালাকে বলো টেবিলে নাস্তা দিতে। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। 


পায়েল/: খালা রান্না ঘরে, তুমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো। আমি টেবিলে নাস্তা দিচ্ছি। 


আমি ঠিক আছে বলে রুমে চলে আসলাম। তার পর ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে আসলাম। পায়েল আমার সামনে নাস্তা দিলো। 


হঠাৎ পায়েল যেটা বললো, সেটা শুনে আমার মনটা পুরো খারাপ হয়ে গেল। পায়েল এটা কি বলছে। 


 প্রানের চেয়েও তোমায়, আমি ভালোবেসেছি। তাই তো এ প্রাণ উজাড় করে, তোমায় দিয়েছি।


  প্রেমে তোমার জড়িয়েছি, কেমনে বোঝাই বলো... একবার শুধু কাছে এসে ভালোবাসি বলো...

*

*

*

*

* চলবে। 


*

*আজকের পর্বে সবকিছু ক্লিয়ার করে দিলাম।তবে কিছু রহস্য গোপন রাখলাম। আর কালকের পর্বে রোমান্টিক এবং একশন আসবে। 

*

* তো কেমন হয়েছে জানাবেন। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন। ভালো না লাগলে এড়িয়ে চলে যাবেন। 

*

*

*

* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷


গল্প/::: মা বাবা হারা ছেলেটা যখন মাফিয়া কিং।

*

*

*

* লেখক/:::: রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷

*

*

*

* পর্ব/:::::::: ( ৪ ) ::::::::: ( চার ) :::::::?

*

*

*

*

*

* হঠাৎ পায়েল যেটা বললো, সেটা শুনে আমার মনটা পুরো খারাপ হয়ে গেল। পায়েল এটা কি বলছে। 


পায়েল/: রাসেল, আমি কালকে সকালে বাড়িতে চলে যাবো। সিমার আম্মু এখন সুস্থ আছে। আব্বু কালকে গাড়ি পাঠিয়ে দিবে। 


আমি/: আরো কিছুদিন থেকে যাও। আর সিমা স্কুলে আসলে সমস্যা কোথায়। তুমি আমার বাসায় আরো কিছুদিন থাকো। আমার মনে হয় রাইসা , তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। আমার থেকে এখন তোমাকে ভালোবাসে। 


হঠাৎ রাইসা আমাদের সামনে এসে বললো। 


রাইসা/: ম্যাম আপনি যাবেন না। আপনাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। আপনি চলে গেলে, আমার সাথে কে খেলবে, কে আমাকে খাইয়ে দিবে। কে আমাকে আদর করবে , কে আমাকে সুন্দর করে পড়াবে। প্লিজ আপনি যাবেন না। 


পায়েল/: রাইসা এটা হয়না। আমি তো আর সারাজীবন এর জন্য তোমাদের বাসায় আসি নাই। আর বাহিরের মানুষ খারাপ বলবে।


রাইসা/: তাহলে আপনি আমার আম্মু হয়ে যান। তাহলে আর কেউ কিছু বলবে না। আপনাকে ছাড়া আমি এক মিনিট থাকতে পারবো না। 


রাইসার কথা শুনে আমি আর পায়েল দুজন দুজনের দিকে তাকালাম। তখন আমি বললাম।


রাইসা/: রাইসা , তুমি এটা কি বলছো। ওনি তোমার ম্যাম হয়। ওনার কাছে ক্ষমা চাও। 


পায়েল/: রাইসা , তোমার আব্বু যদি রাজি থাকে। তাহলে আমি বিয়ে করতে রাজি আছি। 


আমি/: পায়েল এ তুমি কি বলছো। তোমার আব্বু আম্মু কখনো আমার কাছে তোমাকে বিয়ে দিবে না। তারা যদি আমার নাম শুনে, কখনো তোমাকে আমার হাতে তুলে দিবে না। 


পায়েল/: কেনো তুলে দিবে না। তুমি তো আর খারাপ কাজ করো না। তুমি গরীব দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছো। আর একটা সত্যি কথা বলো তো। তুমি কি আমাকে ভালোবাসো না। 


আমি পায়েল এর কথা শুনে কি বলবো, কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। কি করে বলবো পায়েল। আমি ও যে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু আমি যে কাজ করি, এটা শুনে তোমার আব্বু আম্মু কখনো আমার কাছে বিয়ে দিবে না। তখন আমি বললাম।


আমি/: হুম, আমি তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু তোমার আব্বু আম্মু কি আমাকে মেনে নিবে। 


পায়েল/: সেটা তুমি আমার ওপর ছেড়ে দাও। তাদের রাজি করার দায়িত্ব আমার। 


আমি/: যদি তারা রাজি না হয়। তখন তুমি কি করবে। সব বাবা মা চায়, মেয়েকে ভালো ছেলের সাথে বিয়ে দিতে। কিন্তু আমার মতো মাফিয়া এবং খুনির কাছে কি , তোমার আব্বু আম্মু বিয়ে দিবে। 


পায়েল/: আমার আব্বু আম্মু, আজ পর্যন্ত আমি যা চেয়েছি, তাই এনে দিছে। সত্যি কথা বলতে আমিও তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। 


রাইসা/: তাহলে আমি এখন তোমাকে ম্যাম বলে ডাকবো না। আম্মু বলে ডাকবে। আজকে আমার আব্বু আম্মু সবাই আছে। কেউ বলতে পারবে না, তোর আব্বু আম্মু মারা গেছে। 


পায়েল/: কে বলেছে, তোমার আব্বু আম্মু মারা গেছে। আজকে থেকে আমিও তোমার আম্মু। 


রাইসা আর কোনো কথা না বলে পায়েল কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো। হঠাৎ রাফি এসে বললো। 


রাফি/: রাসেল তোর সাথে পার্সোনাল কিছু কথা আছে। তুই যদি একটু শুনতি। 


আমি/: পায়েল, তুমি রাইসা কে নিয়ে একটু রুমে যাও। আমি রাফির সাথে কথা বলে আসছি। 


পায়েল ঠিক আছে বলে, রাইসা কে নিয়ে রুমে চলে গেল। তার পর আমি রাফি কে বললাম। 


আমি/: এবার বল। কি এমন পার্সোনাল কথা। 


রাফি/: আজকে সকালে ওই লোকটা ফোন করে বলেছে। ওই খুনিদের নাকি ওনি দেখছে। এবং খুনিদের পিছনে পিছনে গিয়ে তাদের আস্তানা চিনে আসছে। 


আমি/: তাহলে আজকে ওই খুনিদের শেষ দিন। একটা মেয়েকে তারা এতিম করেছে। ওদের বাঁচিয়ে রেখে লাভ নেই। তুই বাহিরে গিয়ে সবকিছু রেডি কর। আমি পায়েল এবং রাইসা কে বলে আসছি। 


রাফি ঠিক আছে বলে বাহিরে চলে গেল। আপনারা হয়তো ভাবছেন কিসের খুনি, একটু অপেক্ষা করুন। তাহলে সব জানতে পারবেন। 


আমি পায়েল এর রুমে গিয়ে দেখি, পায়েল রাইসা কে পড়াচ্ছে। তখন আমি বললাম। 


আমি/: পায়েল, আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি। আজকে তুমি রাইসা কে স্কুলে নিয়ে যাও। তোমাদের সাথে আমার লোক গাড়ি নিয়ে যাবে। 


পায়েল/: কি কাজে বাহিরে যাবে, সেটা জিগ্গেস করবো না। শুধু বলবো, সাবধানে কাজ করো। তোমার যেনো, কোনো ক্ষতি না হয়। 


আমি/: আমাকে নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না। এই রাসেল এর কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তুমি রাইসা কে নিয়ে স্কুলে যাও। 


বলে বাসার বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে এসে দেখি রাফি সবকিছু রেডি করে রাখছে। তার পর পাঁচ টা গাড়ি লোক নিয়ে ওই খুনিদের আস্তানায় যেতে লাগলাম।


আসার সময় বাকি লোকদের বলে আসছি, পায়েল আর রাইসা কে স্কুলে নিয়ে যেতে, স্কুল ছুটি হলে , তাদের নিয়ে বাসা যেতে। 


আমরা ওই খুনিদের আস্তানায় চলে আসলাম। গাড়ি নিয়ে সোজা আস্তানার ভিতরে ঢুকে গেলাম। গাড়ি থেকে নেমে দেখি , রনি এবং রকি , দুজনে বসে গল্প করছে। 


আসার সময় ওই লোকটা কে সাথে করে নিয়ে আসলাম। ওই লোকটা বললো। 


লোকটা/: ভাই , এরা ওইদিন রাতে, ওই মেয়েটার আব্বু আম্মু মেরেছে ‌ আমি নিজের চোখে দেখেছি। 


রনি আর রকি আমাকে দেখে, রকি বললো।


রকি/: ভাই , আপনি এখানে। কোনো সমস্যা। আপনি আমাকে বলুন। এখনি সব সমস্যা সমাধান করে দিবো। 


আমি/: তুই কি সমস্যা সমাধান করবি। তোরা পাঁচ মাস আগে, রাতে দুই জন লোক কে মেরে ফেলছিস। এখন বল তাদের কেনো মারছিস। 


রকি/: ভাই আপনি ওই স্বামী স্ত্রীর কথা বলছেন। তারা আমাদের কাজে বাধা দিছে। তাই বসের কথায় তাদের মেরে ফেলছি। আর তাদের মেয়েকে বাঁচিয়ে রাখলাম। 


আমি/: প্রথম কথা হচ্ছে, তোদের বস কে। আর কি কাজে ওদের মারছিস, । 


রনি/: আমরা একটা বাসার পাঁচ তলায় , ইয়াবা ব্যবসা করতাম। একদিন তারা স্বামী-স্ত্রী দেখে ফেলে, পরে পুলিশের কাছে গিয়ে বলে দেয়। তারা ওই বাসার নিচ তলায় ভাড়া থাকতো। পুলিশ এসে আমাদের সব ইয়াবা এবং আমাদের লোক গুলোকে নিয়ে যায়।আমাদের বস বলেছে , ওদের মেরে ফেলতে । তাই ওইদিন রাতে তাদের রাস্তায় আটকে , কুপিয়ে মারি। 


আমি/: ও আচ্ছা। এবার বল , তোদের বস কে। সে কোথায় থাকে। আমাকে তো বললি না, তোদের বসের কথা। 


রকি/: আমাদের বস কে, সেটা আমরা কখনো বলবো না। ওনি রাতের আঁধারে কাজ করে। ওইদিন আমাদের সাথে বস ও ছিলো। 


আমি/: তোরা যদি , তোদের বসের কথা না বলিস। আজকে তোদের কেউ বাঁচাতে পারবি না। তাই বলছি , তোদের বস কে। এবং থাকে কোথায়। 


রনি/: এতোক্ষণ তোর সাথে ভালো ভাবে কথা বলছি। এখন আর বলবো না। তোর যদি সাহস থাকে, আমাদের মেরে দেখা। তুই সাথে কতোজন লোক নিয়ে এসেছিস। আর তোর চার পাশে তাকিয়ে দেখ। আমাদের লোক, তোর লোকের চেয়ে তিন গুণ বেশি। আজকে তুই এবং তোর লোক কেউ বেঁচে যেতে পারবি না। 


আমি/: আচ্ছা তাই নাকি। তোরা হয়তো আমার সমন্ধে ভালো করে জানিস না। এই রাসেল এর সব লোক ট্রেনিং প্রাপ্ত। ওই তোরা দাঁড়িয়ে আছিস কেন। ওদের মেরে ফেল। 


আমি কথাটা বলার সাথে সাথে , আমার লোক গুলি করা শুরু করে দিছে। রনি আর রকির লোক চার পাশে লুকিয়ে গুলি করা শুরু করে দিছে। 


আমরা আসার সময় সবকিছু রেডি করে আসছি। মানে আমাদের শরীরে যেনো গুলি না লাগে, সে ব্যবস্থা করে আসছি। 


রনি আর রকির সব লোক গুলি খেয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আমি রনি আর রকির পায়ে গুলি করলাম। ওরা সাথে সাথে মাটিতে বসে পড়লো। 


তাদের সব লোক মারা গেছে। আমি এবার রনি আর রকির সামনে একটা চেয়ার নিয়ে বসলাম। তার পর বললাম।


আমি/: বেঁচে থাকতে চাইলে, তোদের বসের নাম বল। সে থাকে কোথায়। যদি না বলিস, তাহলে আজকে তোদের শেষ দিন। 


আমার কথা শুনে দুজনেই ভয় পেয়ে গেল। তখন রকি বললো। 


রকি/: আমাদের বস আর কেউ নয়। আমজাদ খান। সে আগে বাহিরে ছিলো। সাত মাস আগে বাংলাদেশে আসে। তার পর অবৈধ ব্যাবসা শুরু করে। তবে আমাদের বসকে কেউ এখনো দেখে নাই। ওনি বাংলাদেশের শেষ বডারে থাকে। 


রনি/: আর ওইদিন স্বামী স্ত্রী কে আমরা মারি নাই। মেরেছে আমাদের বস। কারন পুলিশ তার এক কোটি টাকার ইয়াবা নিয়ে গেছে। 


আমজাদ খান এর কথাটা শুনে বুকের ভিতর কেমন মছড় দিয়ে উঠলো। কে এই আমজাদ খান। আমি যাকে চিনি, সে আবার নয়তো। যদি সে হয়, তার পরেও তাকে আমি বাঁচিয়ে রাখবো না। তার প্রতি আমার অনেক রাগ আছে। তখন আমি রাফি কে বললাম। 


আমি/: রাফি , আমি গাড়িতে গিয়ে বসছি। তুই ওদের কি করবি, করে আয়। 


রাফি/: ঠিক আছে, তুই গিয়ে গাড়িতে বস। ওদের ব্যবস্থা আমি করে আসছি। 


আমি আর কোনো কথা না বাহিরে এসে গাড়িতে গিয়ে বসলাম। দশ মিনিট পর রাফি সবগুলো লোক নিয়ে বেরিয়ে আসলো। 


সব লোক গাড়িতে উঠে বসলো। রাফি আমার সাথে সামনের সিটে বসলো। তখন রাফি বললো। 


রাফি/: দুজনের একটা করে হাত এবং একটা করে পা কেটে দিলাম। আর আমজাদ খানের ঠিকানা নিয়ে আসলাম। ওই সালা নাকি সিলেটের শেষ মাথায় থাকে। 


আমি/: ঠিক আছে। ওর ব্যবস্থা পরে করবো। এখন বাসায় চল। 


আমার কথা শুনে রাফি আর কোনো কথা বললো না। তার পর আমরা বাসায় যেতে লাগলাম।


আপনারা হয়তো সবকিছু বুঝতে পারছেন। যদি কেউ না বুঝেন, তাহলে আমি বুঝিয়ে বলছি। আমি যাদের খুনের কথা বলছি, তারা আর কেউ নয় রাইসার আব্বু আম্মুর কথা বলছি। 


ওইদিন রাতে রাইসার আব্বু আম্মু কে গাড়িতে করে কবর স্থানে আসার সময় একটা লোক আমাকে এসে বলে‌ । সে নাকি ওই খুনিদের চেহারা দেখেছে। তাদের একবার দেখলে চিনে ফেলবে। এর পর ওই লোকটাকে নিয়ে খুনিদের খুঁজতে থাকে। 


ওই লোকটা একটা অফিসে চাকরি করে। ওইদিন অফিসে কাজের চাপ বেশি থাকায় , অফিস থেকে আসতে অনেক রাত হয়ে যায়। কোনো গাড়ি না পেয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলো। 


আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম। আমি গাড়ি থেকে নেমে দরজার সামনে এসে কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর পায়েল এসে দরজা খুলে দিলো। আমাকে দেখে বললো। 


পায়েল/: যাক তোমার কিছু হয়নি। আমি তো অনেক চিন্তা করছিলাম তোমার জন্য। 


আমি/: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া, এই রাসেলের গায়ে কেউ আঘাত করতে পারবে না। আমার যে ক্ষতি করতে আসবে, সবগুলো কে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিবো। 


পায়েল/: ঠিক আছে, এখন কথা না বলে, রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো। আমি তোমাদের টেবিলে খাবার দিচ্ছি। 


আমি ঠিক আছে বলে রুমে চলে আসলাম। ওয়াস রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে একটা জামা গায়ে দিয়ে নিচে আসলাম। একটা চেয়ার টেনে বসলাম। কিছুক্ষণ রাফি এসে বসলো। 


পায়েল আমাদের দুজনকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে। তখন আমি বললাম। 


আমি/: আচ্ছা পায়েল। খালা কবে আসবে। সেটা কি তোমাকে বলেছে। 


পায়েল/: আমার কাছে তো কিছুই বলে নাই। যাওয়ার সময় বলে গেছে। কিছুদিন থেকে তার পর চলে আসবে। 


আমি/: ওহ। ঠিক আছে, তুমি ও আমাদের সাথে বসে পড়ো। আর রাইসা কোথায়। ওকে তো দেখছি না। 


পায়েল/: রাইসা কে খাবার খাইয়ে দিয়ে, ঘুম পাড়িয়ে দিছি। সে এখন ঘুমাচ্ছে। 


আমি আর কোনো কথা না বলে, খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ পর পায়েল আমার রুমে এসে বিছানায় শুয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল। 


আমি/: এই পায়েল, তুমি এটা কি করছো। আমাদের এখনো বিয়ে হয়নি। তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরলেন কেনো। 


পায়েল/: আমার মন চাইছে, তাই তোমাকে জড়িয়ে ধরেছি। আর বিয়ে হয়নি তো কি হয়েছে। বিয়ে তো একদিন হবে। আমরা তো খারাপ কিছু করতে যাচ্ছি না। 


আমি/: আগে আমাদের বিয়ে হোক। তার পর তুমি যা খুশি করো। আমি তোমাকে বাধা দিবো না। আমাদের ব্যাপারে তোমার আব্বু আম্মুকে সবকিছু খুলে বলছো। 


পায়েল/: এখনো কিছু বলি নাই। আগে তোমার সাথে কিছুদিন প্রেম করবো। তার পর আব্বু আম্মু কে বলবো। 


আমি/: ঠিক আছে। এখন আমাকে ছাড়ো। 


পায়েল/: না ছাড়বো না। আমাকে এখন একটা কিস করো। তার পর চেয়ে দিবো। 


আমি/: আচ্ছা পায়েল। হঠাৎ তোমার কি হলো। তুমি আগে আমার সাথে কি ভাবে কথা বলতে। আর এখন কি ভাবে কথা বলছো। 


পায়েল/: আগে তো তোমার কথা মতো চলছি। এবং তোমার সাথে আমার কিছু ছিলো না। এখন তুমি আমার ভালোবাসা। তাই এখন সাহস বেড়ে গেছে। 


আমি/: তুমি আমার মতো মাফিয়া কে কেনো ভালোবাসালে। আমার এই জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। কখন শত্রু এসে আমাকে মেরে ফেলে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। 


পায়েল/: তোমাকে যদি কেউ মেরে ফেলে। তাহলে সেইদিন আমিও তোমার সাথে মরে যাবো। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ভালোবেসেছি শুধু মাএ গরীব দুঃখীদের পাশে দাড়ানোর জন্য। আর আমি জানি, তুমি ভালো মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না। তুমি খারাপ মানুষের ক্ষতি করবে। 


আমি/: তুমি জানো পায়েল। যখন রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাই। তখন এই সব গরীব দুঃখীদের রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখি। তখন নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগে। তাই ওদের জন্য এই কাজ গুলো করে যাচ্ছি। আর আমার এই খারাপ কাজ করার কোনো ইচ্ছে ছিলো না। একমাত্র আব্বু আম্মুর কারনে , এই পথটা বেঁচে নিতে বাধ্য হয়েছি। 


পায়েল/: আমি বলি কি, তুমি এসব কাজ ছেড়ে দাও। আমরা দুজনে বিয়ে করে, আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করবো। 


আমি/: এখন আমি, এই কাজ ছাড়তে পারবো না। আমি তখনি এই কাজ ছেড়ে দিবো। যখন বাংলাদেশ থেকে সব ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে পারবো। সেইদিন আমি নিজেই এসব কাজ ছেড়ে দিবো। এখন ছেড়ে দিলে, খারাপ লোক গুলো চান্স পেয়ে যাবে। রাস্তা ঘাটে মানুষ নিরাপদে চলতে পারবে না। একমাত্র আমার কারনে এই দেশের মানুষ নিরাপদে চলতে পারে। 


আমার কথাটা শেষ হতে না হতেই পায়েল এমন কিছু করবে, সেটা আমি কখনো ভাবতে পারিনি। পায়েল আমার সাথে এটা কি করলো। 


   তুলসী তলায় সাঁঝের বেলায়, প্রদীপ যখন জ্বালো। দূর থেকে আমি চেয়ে দেখি তোমার রূপের আলো।


  আমার উপর রাগ করলে, আমি যাবো কোথায় ?? তুমিই আমার সব কিছু গো, করো ক্ষমা আমায়।

*

*

*

*

* চলবে

*

*

*

*

* আমার শরীর টা কেমন খারাপ লাগছে। তার পরেও লিখলাম। জানি না কেমন হয়েছে। যদি ভালো লাগে, তাহলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন। ভালো না লাগলে ইগনোর করবেন। 

*

*

* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post