সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ পর্ব/::::::::: ( ৫ ) :::::: পাঁচ

  

গল্প/::: সিনিয়র চাচাতো বোন যখন বউ।

*

*

* লেখক/::: রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿

*

*

" পর্ব/::::::::: ( ৫ ) :::::: পাঁচ 

*

*

*

*

*কলেজের গেট দিয়ে ঢুকে, যেটা দেখলাম, সেটা দেখে মাথা খারাপ হয়ে গেল। এটা আমি কি দেখেছি। 


ভিতরে ঢুকে দেখি মারিয়া আপু , একটা ছেলের সাথে দাঁড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে। ছেলেটা কিছুদিন হয়েছে, অন্য জায়গায় থেকে টিসি নিয়ে , এই কলেজে মারিয়া আপুর সাথে ভর্তি হয়েছে। 


হঠাৎ পিছন থেকে নীলা আপু বললো।


নীলা/: কিরে, এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো। ক্লাসে যাবি না।


আমি/: আপু আমি মারিয়া আপুকে হারিয়ে ফেললাম। সামনে দেখো, আপু ওই নতুন ছেলেটার সাথে কি ভাবে হেসে হেসে কথা বলছে।


নীলা/: তোকে আমি আগেই বলছি, যতো তাড়াতাড়ি পারিস, মারিয়াকে তোর মনের কথা খুলে বল। এখন দেখছিস, নতুন ছেলেটার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।


আমি/: তোমার কি মনে হয় আপু। মারিয়া আপু কি ওই ছেলেটা কে ভালোবাসে।


নীলা/: ওদের দেখে তো সেটাই মনে হচ্ছে। তুই এখন মারিয়ার আসা ছেড়ে দেয়। মারিয়া তার জীবন সঙ্গী পেয়ে গেছে। 


আমি/: আচ্ছা আপু, আমি একটা বার আপুকে মনের কথা খুলে বলবো। দেখি আপু কি বলে।


নীলা/: আমার মনে হয় না, মারিয়া এখন আর তোকে ভালোবাসবে। তার পরেও একটা চেষ্টা করে দেখতে পারিস।


আমি/: ঠিক আছে, আজকে কলেজ ছুটি হওয়ার পর, আপুকে আমার মনের কথা খুলে বলবো।


নীলা/: বলে দেখ কি হয়। আমার মনে হয় তোকে মারিয়া অপমান করতে পারে। যা কিছু করবি, ভেবে চিন্তে করবি। আমি এখন ক্লাসে গেলাম।


এ কথা বলে নীলা আপু তার ক্লাসে চলে গেল। আমি আর দাঁড়িয়ে না থেকে ক্লাসে চলে আসলাম। আজকে আমি পিছনের সিটে গিয়ে বসলাম। 


মনটা পুরো খারাপ হয়ে গেল। আপু কি তাহলে ওই ছেলেটা কে ভালোবাসে। যদি তাই হয়, তাহলে আমি মরেই যাবো। না না এটা আমি কখনো হতে দিবো না। মারিয়া শুধু আমার। তাকে আমি অন্য কারো সাথে সয্য করতে পারবো না। 


কিছুক্ষণ পর রাফি ক্লাসে এসে দেখে, আমি পিছনের একটা সিটে বসে আছি। তখন রাফি পিছনে এসে, আমার সাথে বসলো। তার পর রাফি বললো।


রাফি/: কিরে, আজকে সামনে না বসে, পিছনে এসে বসলি কেনো। 


আমি/: এমনেই, আজকে সামনে বসতে ভালো লাগছে না। তাই পিছনে এসে বসলাম।


রাফি/: তোর চেহারা বলে দিচ্ছে, তোর কিছু একটা হয়েছে। আমাকে বল, তোর কি হয়েছে। 


আমি/: আজকে কলেজে আসার পর দেখলাম, মারিয়া আপু ওই নতুন ছেলেটার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।তাই দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। 


রাফি/: আমার মনে হয়, তারা হয়তো বন্ধু। তাই হয়তো হেসে হেসে কথা বলছে। এখানে মন খারাপ এর কি আছে। 


আমি/: আমার কাছে, তাদের কে বন্ধুর মতো লাগছে না। আমি আগে কয়দিন দেখছি, আপু ওই ছেলেটার সাথে বসে কথা বলতে। আজকে দেখি দুজনে হাত ধরে হেসে হেসে কথা বলছে। 


রাফি/: তাহলে, এবার তুই মারিয়া আপুকে তোর মনের কথা খুলে বল। যদি মানা করে, তাহলে বুঝবো, আপুর ওই ছেলেটার সাথে লাইন আছে। 


আমি/: এটা আমি কখনো মানতে পারবো না।। যদি আপু ওই ছেলেকে ভালবাসে, তাহলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো। আমি এতো দিন অনেক কষ্ট পেয়েছি। আপু আমাকে এড়িয়ে চলে, আমার সাথে ঠিক ভাবে কথা বলে না। রাতে ঘুমাতে পারি না। 


রাফি/: আগে তোর মনের কথা খুলে বল। তার পর দেখ কি হয়। 


আমি/: ঠিক আছে, 


কিছুক্ষণ পর স্যার ক্লাসে ঢুকলো। তার পর পড়া শুরু করলো। হঠাৎ স্যার আমাকে আর রাফি কে পিছনের সিটে দেখে বলল।


স্যার/: কি ব্যাপার, রাসেল আর রাফি। তোমরা আজকে পিছনের সিটে গিয়ে বসলে কেনো। 


রাফি/: আসলে স্যার, সবসময় তো সামনে বসি, তাই ভাবলাম আজকে দুই বন্ধু পিছনে বসি। 


স্যার/: তোমরা হচ্ছো এই কলেজের মেধাবী ছাত্র। তোমাদের পিছনের সিটে মানায় না। তোমরা সামনে এসে বসো। 


কি আর করার, স্যার আমাকে আর রাফি কে অনেক ভালোবাসে। কারন এই কলেজে সবসময় আমি আর রাফি পাস হই। আমি আর রাফি পিছন থেকে, সামনের সিটে গিয়ে বসলাম। 


তার পর সব ক্লাস শেষ করে বাহিরে আসলাম। রাফি আর আমি মারিয়া আপুর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি আপু এবং সাথে রিয়া, নীলা, আবার ওই ছেলেটা ও আছে। তারা বাহিরে আসছে। 


ওরা আমাদের সামনে আসার পর, রাফি এবং রিয়া চলে গেল। নীলা আপু হাতের ইশারায় বললো, মারিয়া আপুকে মনের কথা খুলে বলতে। আমি আপুর সামনে গিয়ে বললাম। 


আমি/: আপু তোমার সাথে, আমার কিছু কথা আছে। প্লিজ তুমি না করো না। 


মারিয়া/: ঠিক আছে, তাড়াতাড়ি বল। আমার হাতে সময় নেই। আজকে আকাশ কে নিয়ে ঘুরতে যাবো। 


আকাশ হচ্ছে , নতুন ছেলেটার নাম। ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল। তার পরেও আমি বললাম। 


আমি/: ওনার সাথে ঘুরতে কোথায় যাবে। আমাকে সাথে করে নাও। আমি ও তোমাদের সাথে ঘুরতে যাবো। 


মারিয়া/: আমাদের সাথে তুই যেতে পারবি না। আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি। তাই ভাবলাম দুজনে আজকে ঘুরতে যাবো। তুই কি কথা বলবি, তাড়াতাড়ি বল।


আমি/: তাহলে তুমি একটু চাইডে আসবে। ওনার সামনে বলতে পারবো না। 


তখন আপু কি জানি চিন্তা করে, আমার সাথে একটু চাইডে আসলো। আপু বলল।


মারিয়া/: এবার বল, কি বলবি। বেশি দেরি হলে আকাশ রাগ করবে। 


আমি/: আপু তুমি আমাকে এড়িয়ে চলো কেনো। আমার সাথে ঠিক ভাবে কথা বলো না কেনো। আগের মতো আমার কেয়ার করো না। আমি কি কোনো অপরাধ করছি, যার কারণে তুমি আমার সাথে এরকম করছো। 


মারিয়া/: তুই আমাকে এ কথা বলার জন্য চাইডে নিয়ে আসলি। হুম তখন তোর পাশে কেউ ছিলো না, তাই তোর এতো খেয়াল রাখছি, কিন্তু এখন তো , তোর জীবন সাথী পেয়ে গেছিস। তাই এখন ও তোর খেয়াল রাখবে, আমাকে আর দরকার নেই। 


আমি/: বিশ্বাস করো আপু, । আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমার আর নীলা আপুর মধ্যে কিছু নেই। আমি আর নীলা আপু এতো দিন অভিনয় করছি, দেখতে চেয়েছি তুমি আমাকে ভালোবাসো নাকি। তোমার মুখ থেকে ভালোবাসার কথা বের করার জন্য, আমি নীলা আপুর সাথে কথা বলে, এই প্লান করি। 


মারিয়া/: তুই আমার মুখ থেকে ভালোবাসার কথা বের করার জন্য এই প্লান করছিস। আরে আমি তো ,তোকে ভালোই বাসি না। তাহলে ভালোবাসার কথা বের হবে কেমন করে। 


আমি/: আমি জানি তুমি আমার সাথে মিথ্যা কথা বলছো। তুমিও আমাকে ভালোবাসো। তাহলে কেনো নিজেকে প্রথম প্রথম এতো কষ্ট দিচো। 


মারিয়া/: কোথায় আমি নিজেকে কষ্ট দিছি। আমি কখনো তোর জন্য নিজে কষ্ট পাইনি। আর একটা কথা শুনে রাখ, তোকে আমি চাচাতো ভাই বলে, এতো খেয়াল রাখছি। আর অন্য কিছু নয়। আমি তোর মতো ছোট ছেলেকে কখনো ভালোবাসি নাই, আর ভালো বাসবো না। আমি এখন আকাশ কে ভালবাসি। তুই আর কখনো আমার সামনে ভালোবাসার কথা বলতে আসবি না। সবসময় চাচাতো ভাইয়ের মতো থাকবি। বায়। 


এ কথা বলে আপু আকাশ ছেলেটার সাথে কলেজ থেকে বেরিয়ে গেল। তার মানে আপু আমাকে চাচাতো ভাই হিসেবে এতো দিন খেয়াল রাখছে। আমাকে কখনো ভালোবাসে নাই। 


নিজের চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগল। তাহলে আপু এখন আমার আর নেই। সে এখন অন্য কারো। নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু পারছি না, আমি ছাড়া আমার মা বাবাকে দেখার মতো কেউ নেই। আমি তাদের একমাত্র সন্তান। 


কলেজ থেকে বেরিয়ে একটা নদীর পাড়ে চলে গেলাম। নদীর কিনারায় বসে ইচ্ছে মতো কান্না করতে লাগলাম। তার পর সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আসলাম। কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো। আমাকে দেখে আম্মু বললো। 


আম্মু/: কিরে তুই এতোক্ষণ কোথায় ছিলি। সেই দুপুরে তোর কলেজ ছুটি হয়েছে। আর তোর চোখ দুটো লাল হয়ে আছে কেনো। 


আমি/: আসলে আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম। ওর আব্বু আম্মু আমাকে দুপুরে খাবার না খেয়ে ছাড়ে নাই। আর চোখে কি যেনো পড়ছে। তাই লাল হয়ে আছে।


আম্মু/: তাহলে আমাদের একটা ফোন করে বলবি না। রাফির কাছে ফোন দিছি, সে বললো , তার সাথে নেই। এখন রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়।


ঠিক আছে বলে নিজের রুমে চলে আসলাম। আম্মুকে সত্য টা বললাম না। আম্মু শুনলে রাগ করবে। রুমে এসে ওয়াস রুমে ঢুকে ঝর্না ছেড়ে দিয়ে অনেক কান্না করলাম। প্রায় এক ঘন্টা ধরে গোসল করলাম। তার পর বের হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। 


দেখতে দেখতে আরো কিছুদিন চলে গেল। মারিয়া আপু এখন আমার সাথে একদম কথা বলে না। সে সবসময় আকাশ ছেলেটার সাথে থাকে। এসব দেখে আড়ালে গিয়ে কান্না করি। 


সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নিচে আসলাম। দেখি আব্বু আম্মু আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি একটা চেয়ার টেনে বসলাম। তখন আব্বু বললো। 


আব্বু/: কিরে রাসেল, তুই দিন দিন কেমন জানি হয়ে যাচ্ছিস, আগের থেকে চেহারা অনেক খারাপ হয়ে গেছে। তোর কি কিছু হয়েছে। 


আমি/: না আব্বু, আমার কিছু হয়নি। আমি ঠিক আছি। আম্মু আমাকে নাস্তা দাও। 


আব্বু/: রাসেল তুই আমাদের কাছে কথা লুকাচ্ছিস। তোর কিছু হয়ে গেলে, আমরা কি নিয়ে বাঁচবো। তোর কষ্ট আমাদের সয্য হচ্ছে না। আগের মতো খাওয়া দাওয়া করিস না। তোর বড় আম্মুর বাসায় যাস না। সারাদিন রুমে থাকিস। 


আমি/: আব্বু বলছি তো আমার কিছু হয়নি। আমাকে নিয়ে তোমাদের চিন্তা করতে হবে না। আম্মু তুমি কি আমাকে নাস্তা দিবে। নাকি না খেয়ে চলে যাবো।


আম্মু/: দিচ্ছি বাবা। আমাদের আবার তোর বড় আম্মুর বাসায় যেতে হবে। আজকে মারিয়াকে দেখতে আসবে। ছেলে নাকি মারিয়ার পছন্দ আছে। 


আমি/: এখানে আমাকে বলার কি আছে। তোমাদের যেতে বলছে যাবে। 


আমি হালকা নাস্তা করে বাসা থেকে বেরিয়ে আসলাম। কথাটা শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। মারিয়ার আপুর পছন্দের ছেলে তো আকাশ ছেলেটা। না আমি বাসায় থেকে আপুর বিয়ে দেখতে পারবো না। 


আমি আর এই দেশে থাকবো না। আমি বাহিরে গিয়ে পড়াশোনা করবো। এই দেশে থাকলে আপুর মায়া কাটাতে পারবো না। 


কলেজে গিয়ে সোজা প্রিন্সিপাল স্যার এর অফিস রুমে অনুমতি নিয়ে ঢুকলাম। ভিতরে ঢুকে প্রিন্সিপাল স্যার কে সালাম দিয়ে বললাম।


আমি/: স্যার আমি আর এই কলেজে থেকে পড়াশোনা করবো না। আমি চাই বাহিরে গিয়ে পড়াশোনা শেষ করতে। তাই আপনি আমাকে টিসি টা দিয়ে দেন। 


প্রিন্সিপাল/: সবকিছু বুঝলাম। কিন্তু তোমার এই কলেজে পড়তে সমস্যা কোথায়। কেউ কি তোমাকে কিছু বলছে। শুধু একবার তার নাম বলো। গাড় ধাক্কা দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দিবো।


আমি/: না স্যার, কেউ আমার সাথে কিছু করে নাই। আমি এমনি এই কলেজে পড়তে চাই না। আমি বাহিরে পড়ালেখা করবো। 


প্রিন্সিপাল/: কি আর করার, তুমি না থাকলে তো, জোর করে রাখা যাবে না। ঠিক আছে এই নাও। 


ধন্যবাদ আর সালাম দিয়ে প্রিন্সিপাল স্যার এর অফিস থেকে বেরিয়ে আসলাম। হঠাৎ রাফি আর রিয়া আপু আমার সামনে পড়লো। তখন রিয়া আপু বললো। 


রিয়া/: কেমন আছো রাসেল। তোমাকে তো ঠিক মতো দেখা যায় না। কোথায় থাকো তুমি।


আমি/: আমি ভালো আছি আপু। আর আমি আর এই কলেজে পড়বো না। আমি বাহিরে গিয়ে পড়াশোনা শেষ করবো। 


রাফি/: আমি জানি, তুই কেনো কলেজ থেকে বাহিরে চলে যাবি। তোর কষ্ট আমি বুঝি রে। তোকে কিছু বলার নাই। শুধু একটা কথাই বলবো, তোর এই বন্ধু টাকে একটু সরন করিস। 


রিয়া/: আমি তো , তোমাদের কথা কিছুই বুঝতে পারছি না। কি হয়েছে রাসেল। 


রাফি/: আমি তোমাকে সব খুলে বলবো। আর যেদিন যাবি, আমার সাথে দেখা করে যাস। 


আমি ঠিক আছে বলে বাসায় চলে আসলাম। কলিং বেল চাপ দেওয়ার পর আম্মু এসে দরজা খুলে দিল। আম্মু দেখি কেমন খুশি খুশি লাগছে। আমাকে দেখে বলল।


আম্মু/: তুই আজকে তাড়াতাড়ি চলে আসলি যে। তোর শরীর খারাপ নাকি। 


আমি/: না আম্মু। আমি ঠিক আছি। আর তোমাকে দেখি খুশি খুশি লাগছে। ব্যাপার কি।


আম্মু/: আরে আমার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। আর দশদিন পর মারিয়ার বিয়ে। ছেলেটা মারিয়ার সাথে পড়ে। সবার ছেলেকে পছন্দ হয়েছে। 


আমি/: ওহ আচ্ছা। ঠিক আছে আমি রুমে গেলাম। 


এ কথা বলে নিজের রুমে চলে আসলাম। আপুর বিয়ের কথা শুনে চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগল। আপুকে ভুলতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারছি না। 


নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম। 


রাতে সবাই মিলে খাবার খেতে লাগলাম। তখন আমি আব্বু আম্মু কে বললাম। 


আমি/: তোমাদের আমি একটা কথা বলতে চাই। আমার কথা শুনে তোমরা কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। আমি যে ভাবে বলবো, সেভাবে কাজ করবে। 


আব্বু/: তুই কি কথা বলবি। যে কথা শুনে তোকে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। 


আমি/: আমি আর এই দেশে থেকে পড়াশোনা করতে চাই না। আমি বাহিরে গিয়ে পড়াশোনা শেষ করতে চাই। আব্বু আম্মু আমাকে কোনো কারন জিজ্ঞেস করবে না। আগামী সাত দিনের ভিতরে আমার বাহিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করো। 


আব্বু/: ঠিক আছে, তুই যেভাবে বলবি, আমি সেভাবেই করবো। তোকে কোনো কারণ জিজ্ঞাসা করবো না। শুধু একটা কথা, তোকে ছাড়া আমরা থাকবো কেমন করে। 


আমি/; আব্বু আম্মু এই কয়টা বছর একটু কষ্ট করে থেকো। আমি খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবো। এসে তোমাকে রেষ্ট দিয়ে, তোমার অফিসের দায়িত্ব পালন করবো। 


আম্মু/: বাবা তুই তো কোনো প্রশ্ন করতে মানা করছিস। তবে তোর এই মায়ের সাথে সবসময় কথা বলবি। তোকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। 


আমি/: ঠিক আছে আম্মু। আর একটা কথা, আমি যে বাহিরে যাবো। এটা বড় আব্বু, আম্মু তারা যেনো কেউ না জানে, এবং কি মারিয়া আপুও যেনো , না জানে। 


আব্বু আম্মু ঠিক আছে বললো। আমি খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম। তার পর বিছানায় শুয়ে পড়লাম। 


আজ পাঁচ টা বছর পর। 


যদি কর সুখের আশা করিও না ‘ভালবাসা’

ভালবাসা অতি ‘কষ্ট, এতে হয় জিবন’নষ্ট,

ভালবাসার শেষ ‘ফল’ বুকে বেথ্যা চোখে ‘জল.হায়রে ভালবাসা


আজ নিজে নিজে নীরবে কাঁদছি, যে কান্না হয়তো মরণ হলে শেষ হবে ।তবে সত্য বলতে কি জানো আমি তোমাকে আজও ঠিক আগের মতই ভালোবাসি ।

*

*

*

* চলবে

*

*

*

* শেষ করতে পারলাম না। আগামী পর্বে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করবো। তো কেমন হয়েছে জানাবেন। ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই লাইক এবং কমেন্ট দিয়ে পাশেই থাকবেন। আর ভালো না লাগলে ইগনোর করবেন। 

*

*

* বি দ্র/: প্রমান ছাড়া গল্প কপি বললে। কোনো কথা ছাড়া ব্লক মারতে বাধ্য হবো। 

*

*

* ধন্যবাদ সবাইকে পরবর্তি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿 রোমান্টিক গল্প লেখক রাসেল চৌধুরী 🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿🌷🌿

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post