Lady police যখন romantic girlfriend
🥰...........................🙄.............................🥰
(মুহিন)
পর্বঃ ৫ম
ভাই কল দিয়েছে।। অনেক গুলো।। তাহলে চল ওই খানে বসে গল্প করি।।। আচ্ছা চল।।
।
আমরা সবাই মাঠের এক কোনে বসে।। গল্প করছিলাম।।
এমন সময় কোথায় থেকে।। বন্ধুদের জি এফ চলে আসলো।।।
।
এই তোরা কোথায় ছিলি এত দিন (রুবি আমাদের পাশে এসে বললো)
।
রানা বললো।।। এই চল।।। সবাই ব্যাগ নিয়ে যখন চলে আসতে যাবো।। তখন ।। নীলাদ্রি নিবিরকে ধরে বললো।।
।
বিশ্বাস করো নিবির আমি তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত ও থাকতে পারছি না।।। আমি তোমাকে আমার নিজের চেয়ে ও বেশি ভালোবাসি (নীলাদ্রি)
।
তুমি তো বলছিলা।। আমাকে আমার মতো থাকতে।। আর যেনো তোমাকে ডিস্টার্ব না করি।। তাই তোমাকে ডিস্টার্ব করতে চাই না।।(নিবির)
।
ওই কথা গুলো তো আমি রাগের বশে বলে ছিলাম।। (কথাটা বলে নীলাদ্রি নিবির কে জড়িয়ে ধরলো)
আর কখনো আমাকে ভুল বোঝবে না তো (নিবির)
।
না।। আর কখনো তোমাকে ভুল বোঝবো না (নীলাদ্রি )
।
এমন করে করে সবাই আবার এক হয়ে গেলো।।।
আর
আমার তো Bindas লাইফ।। কোনো গার্লফ্রেন্ড নাই প্যারা নাই।। খেয়ে দেয়ে ঘুমানো।। আর মন চাইলে মাথায় তেল দিয়ে ঘুরা।।।
।
তোরা থাক আমি আজকে ক্লাস করবো না।।।
কেন কি হয়েছে নিলয়(রাফি).
।
ভালো লাগতেছে না।।।।। এই নিলয় তোমাকে একটা মেয়ে খোঁজতে আসছিলো (বৃষ্টি)
।
আমি তো বৃষ্টির কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।। আমার জানা মতে তো আমাকে খোঁজার জন্য কোনো মেয়েকে আশার কথা না।।
।
কোথায় থেকে আসছিলো।।। আর মেয়েটা কে (আমি)
মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর আর গালে একটা তিল ও আছে।। তার ভয়েস ও অনেক সুন্দর (বৃষ্টি)
।
এমন মেয়ে তো আমি কখনো দেখিনি।। এমনকি আমার সাথে কোনো মেয়ের সম্পর্কোও নাই । তাহলে ওই মেয়েটা কে।। আচ্ছা বৃষ্টি মেয়েটার নাম কি (আমি)
।
মেয়েটা প্রায়ই দশদিন তোমাকে খোঁজতে আসছিলো।।
আর তার চোখটা যেনো ফোলা ফোলা লাগছিল।। কালকে দেখলাম তার চোখের নিচে কালো হয়ে গেছে।।
মেয়েটার নাম পায়েল।। মেয়েটা কি তোমার গার্লফ্রেন্ড (বৃষ্টি)
।
[ পায়েল মনে হয় আমাকে আবার হাজতে দিবে হাজতে না দিলে দশ দিন ধরে কেন খোঁজবে ] ধ্যাত ওটা আমার গার্লফ্রেন্ড হতে যাবে কেন।।। (আমি)
তাহলে ওই মেয়েটা তোমাকে খোঁজ ছিলো কেন (বৃষ্টি)
।
তা আমি জানি না।। আচ্ছা তোমাদের সাথে পরে কথা হবে ।। আমি কলেজ থেকে বাসায় চলে আসলাম।।
ফ্রেশ হয়ে।। রুমে এসে পায়েলের কথা ভাবতেছি।।।
।
এই মেয়ে আমাকে খুঁজ ছিলো।। কেন..? এই মেয়েকি আমাকে আবার হাজতে রাখবে নাকি।।। তার চেয়ে বড় কথা হলো৷ পায়েল কান্না করছিলো কেন।। হয় তো বা তার কোনো ব্যাক্তিগত কারণে কাঁদছিলো।।।
।
আমি কেন এই সব ভাবছি।।। অতঃপর ঘুমিয়ে গেলাম।। ঘুম ভাঙ্গলো।।। মাগরিবের পরে।।। আমার তো একটা মিশন আছে।।।
।
তারাতাড়ি বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে।। বাসা থেকে বের হয়ে পরলাম।। অতঃপর প্ল্যান অনুযায়ী ওই গন্তব্যে চলে আসলাম।।।
।
প্ল্যান হলো পুলিশ কে মারবো।। চাইলে বন্ধুদেরকে নিয়ে আসতে পারতাম।।। আমি চাই না ওরা ও এই সবে জরাক।। তাই আমি একা চলে আসলাম।।। এক হাতে একটা এস ফ্রাইয় আছে ।। আরেক হাতে একটা পলিথিন আছে।।
।
যাতে তার মুখে দিয়ে ইচ্ছে মতো মারতে পারি।।। একটা দোকানে বসে আছি।।। তার বাসা হলো।। এই দিকে।
কারণ সেই এই দিক দিয়ে বাসায় যাবে।।।
।
প্রায় তিন ঘন্টা মশার কামড় খায়লাম। অতঃপর তার আগমন ঘটলো।। সেই আসতেছে।।। প্রায় আমাকে পেরিয়েই সেই আগে চলে গেছে।।।
।
আমি তার পিছ থেকে এস ফ্রাইয় টা মেরে থাকে অজ্ঞান করে পেললাম।।। পলিথিন টা দিয়ে তার মুখটা বেঁধে পেললাম।।।
।
বাসায় এনে।। তার জ্ঞান ফিলালাম।। আমার মুখে একটা কাপড় বানলাম যাতে সেই চিনতে না পারে অতঃপর ইচ্ছে মতো থাকে অনেক মারলাম।।।। তার পরে একটা হসপিটাল নিয়ে গিয়ে।। তাকে দিয়ে আসলাম।।
।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে।।। খাবার খেলাম।। মোবাইলটা অন করে।। দেখলাম মা কল দিয়েছিল।।।
তাই মাকে কল দিলাম।।।
হ্যালো মা কেমন আছো (আমি)
হুম ভালো আছি।। তোর মোবাইল বন্ধ ছিলো কেন (মা)
আসলে মোবাইলটা নষ্ট হয়ে গিয়ছিলো তাই বন্ধ ছিলো(ডাহা মিছা কথা বললাম)
।
তোকে একটা মেয়ে খুজতে আসছিল(মা)
[ মার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।। পায়েল যায় নাই তো আবার আমাদের বাসায়৷ কিন্তু পায়েল আমাদের বাসার ঠিকানা কোথায় পাবে ]মেয়েটার নাম কি মা।।। (আমি)
।
মেয়েটার নাম নাকি পায়েল(মা)
আচ্ছা ঠিক আছে।।
অতঃপর মায়ের সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে পড়লাম।।। সকালে কলিং বেলের শব্দেই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।।।
।
গিয়ে দরজা টা খুলে দিলাম।। আমি তো পুলিশ দেখে অবাক।। তবুও স্বাভাবিক হয়ে বললাম আপনারা এই খানে (আমি) আপনাকে ম্যাডাম নিয়ে যেতে বলেছে (একটা পুলিশ বললো )
।
আচ্ছা ঠিক আছে আমি ফ্রেশ হয়ে আসি (যখন পিছনে ফিরে যাচ্ছি তখন একজন বলে উঠলো)
কোনো ফ্রেশ হওয়া যাবে না।।। আমাদের সাথে এই ভাবে চলো)
এটার কোনো মানে হলো (আমি)
।
মানে টানি বোঝিনা।। যদি বেশি কথা বলিস তাহলে তোর হাতে হাত করা লাগাবো (পুলিশ)
[ শালা তুই ও মজা বুঝবি পরে)
।
অতঃপর থানায় চলে আসলাম।। পায়েলের রুমে ডুকে পড়লাম।।। আমাকে এই খানে কেন নিয়ে আসলেন আমার অপরাধ টা কি (নরম সুরে বললাম ]
।
তোর অপরাধ তাই না।।। পায়েল চেয়ার থেকে উঠে আমার কলার ধরে।। সবার সামনে এনে একটা থাপ্পড় দিলো।।। আমি তো এই মেয়ের কান্ড দেখে অবাক হয়ে গেলাম)
।
আমাকে থাপ্পড় মারলেন কেন।। আর আমার অপরাধ টা কি (আমি)
তোর অপরাধ তাই না।।। তুই কাব্যকে কেন মারলি (পায়েল)
কাব্যকে।। আমি তো কোনো কাব্যকে চিনিই না (আমি)
।
চিনস না তাই না।।। তাহলে তুই তাকে হসপিটালে নিয়ে গেলি কি ভাবে।।। তোর সাথে একটু খাবাপ ভাষায় কথা বলছে বলে তুই একটা লোককে এই ভাবে মারবি (পায়েল)
।
আপনি ওই লোকটার কথা বলছেন।। আমি কেন তাকে মারতে যাবো।। আমি তো বাজার থেকে আসার সময় দেখলাম....চাচা একটা কাজ করেন তো। কথার মাঝে হাবিলদার কে বললাম হাবিলদার একটু বয়স্ক তাই চাচা বললাম ]
।
কি করতে হবে।।। আচ্ছা মনে করেন আমি একটা পুলিশ কে মারছি তাহলে আমাকে কত বছর হাজতে থাকতে হবে (আমি)
।
হয় তো বা চার পাঁচ বছর।। থাকতে হবে (চাচা)
যাই হোক একটা কাজ করুন আপনি হাজতটা খোলা রাখেন।। আমি আপনার ম্যাডামকে কিছু কথা বলে হাজতে চলে যাবো [আমি)
।
আচ্ছা ঠিক আছে (চাচা) অতঃপর কথা শুরু করলাম সে রাস্তা মোরে অজ্ঞান হয়ে পরে ছিল।। তাই আমি তাকে হসপিটালে নিয়ে আসছিলাম।। যদি আমি তাকে মারতাম।। তাহলে আমার বাড়ির ঠিকানা।। আর
।
মোবাইল নাম্বার কেন ডাক্তার কে দিয়ে আসছিলাম।।
যাইহোক আজকে একটা শিক্ষা তো পেয়েছি।। জিবনে যদি কোনো দিন ও কোনো পুলিশকে কোনো বা কোনো ভাবে।। বা কোনো অবস্থায় বা কেউ কিছু করে তাহলে কোনো ভাবে সহায়তা করবো না।।
।
এটায় হলো আজকের সব চেয়ে বড় শিক্ষা।। যাই হোক আমি একজনকে খুন করেছি।। আমাকে তো একটু ফ্রেশ হতে সময় দিবেন।। এই ভাবে নিয়ে আসার মানি কি।।। আপনারা কি মানুষ নাকি অন্য কোনো ভিন দেশী প্রাণী( বাহ আজকে আমার মাঝে এমন শক্তি কি ভাবে আসলো একটা পুলিশকে শিক্ষা দিচ্ছি ] কথা গুলো বলে হাজতে চলে আসলাম।। (শালার শাঁকচুন্নিকে বোকা বানায়ছি হি হি হি)
।
পায়েল দেখছি কান্না করছে।। কি হয়েছে এই মেয়ে আবার কান্না করছে কেন।।। বেশি বলে ফেলি নাই তো ।। যাই হোক পায়েল তার রুমে চলে গেলো।।।।
।
কিছুক্ষণ পরে পায়েল আমার সামনে আসলো।। কিন্তু আমি তার দিকে তাকায় নি।। আমি দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে আছি।।। চাচা এই দিকে আসো তো।।।
ইভা যেই কথাটা বললো আমি শুনে তো অবাক......
.পরবর্তী পর্ব জন্য লাইক দিয়ে সাথে থাকুন
..............ভুল ক্রমেই ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন...............
চলবে,🙄