গল্পঃ মিথ্যা অপবাদী যখন কোটিপতি
Part: 6 and Last
লেখকঃJahidul Islam
আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলো আসলাম।আজকে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না।রাইসা আমাকে সান্ত্বনা দিল। ডিনার করে রাতে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে উঠে পুরাই অবাক...........
।
।
।
।
।
।
কারণ ঘরে আম্মু, আব্বু,ভাইয়া, ভাবি,নীলিমা, আর ছোট একটা ছেলে(ভাইয়ার ছেলে হবে) বসে আছে।আমি তো ভাবতেছি স্বপ্ন দেখতেছি না তো??রাইসাকে বললাম-
আমিঃ রাইসা এসব অপরিচিত মানুষকে ঘরে জায়গা দেওয়ার মানে কি??(কিছুটা ধমক দিয়ে)
রাইসা কিছু বলার আগেই আব্বু আমার কাছে এসে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল আর বলতে লাগল-
আব্বুঃ আমরা না জেনে তোর সাথে অন্যায় করেছি আমাদের ক্ষমা করে দে।
(এরকম গল্প পড়তে হলে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে সাথেই থাকুন প্লিজ)
আমিঃ স্যরি আমাদের কিসের অন্যায়, কিসের ক্ষমার কথা বলছেন?? আমি তো আপনাদের চিনি না।আর আপনাদের এখানে কি এখন আসতে পারেন।(কথা গুলো বলতে বুক ফেটে যাইতেছে তবুও বলে ফেললাম)
আম্মুঃ প্লিজ বাবা তোর এই মা-বাবাকে ক্ষমা করে দে।(কেঁদে কেঁদে)
আমিঃ প্লিজ আপনারা এখান থেকে যান।আর আমার কোনো মা-বাবা নেই আমি এতিম। আপন বলতে কেউ নেই শুধু এই মেয়েটি ছাড়া(রাইসাকে দেখিয়ে)এখন আপনারা আসতে পারেন।
ভাইয়াও ক্ষমা চাইছে কিন্তু নীলিমা আর ভাবি অপরাধীর মতো নিচের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলাম। আর রাইসাকে বললাম আমি আসার পর যেন এদের আর না দেখি।চলে গেলাম বাগানে।কেউ দেখবে সেখানে। বসে থাকতে থাকতে অনেকক্ষন কেটে গেল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ১২ টা বেজে গেছে।এতক্ষণে নিশ্চয়ই তারা চলে গেছে তাই ঘরে গেলাম।রুমে গিয়ে গোসল করে বের হতেই দেখি নীলিমা দাড়িয়ে আছে।ওকে দেখে মাথাটা পুরোই গরম হয়ে গেল।
আমিঃ আপনি এখানে কেন?? আর আপনাকে আমার রুমে আসার সাহস কে দিল??(রেগে)
নীলিমাঃ(সরাসরি আমার পায়ে পড়ে গেল)প্লিজ জাহিদ আমাকে ক্ষমা করে দাও..
আমিঃ উপরে উঠিয়ে ঠাস ঠাস। কিসের ক্ষমা তোর জন্য আমি আজকে ৫ বছর আমার পরিবার থেকে দুরে,সবাই আমাকে ভুল বুঝে আর বলছিস তোকে ক্ষমা করতে??দুর হো আমার সামনে থেকে।(চিৎকার করে)
নীলিমা রুম থেকে চলে গেল।কিছুক্ষন পর আমি নিচে নেমে দেখি ও এখনো নিচে।গিয়ে ঠাস ঠাস তোকে বলছি না এইখান থেকে যেতে এখনো যাস নাই কেন?? ও কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।
(এরকম গল্প পড়তে হলে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে সাথেই থাকুন প্লিজ)
এভাবেই কেটে গেল ৭ দিন।এই কয়দিন সবাই অনেকবার ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু রাগের কারণে ক্ষমা করিনি।নীলিমা তো ৩০ টার উপরে থাপ্পর খেয়েছে এই কয়দিনে।তারপরও ক্ষমা চাওয়ার জন্য আসে। আজকে আবারো আসলো...
আমিঃ ঠাস ঠাস।তোর কানে যায় না তোকে আমার সামনে আসতে মানা করছি।তারপরেও কেনো আসোস??? আজকের পর থেকে তুই আমার সামনে আসলে তোর খবর আছে।বেড়িয়ে যা এখান থেকে। (অনেকটা রেগে)
নীলিমাঃ আচ্ছা আমি চলে যাচ্ছি আর আসবো না।বিশ্বাস করো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।ওইদিন ওইটা করেছি আপুর কথায়। আপু আমাদের রিলেশনের কথা কিভাবে জেনে গেছিলো আর আপু বলেছিল যদি এটা না করি তাহলে তোমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দিবে।((কেঁদে কেঁদে বলছিল) ওকে যাও আর আসবো না তোমার সামনে।
আমি ভাবতে লাগলাম আসলেই তো ও তো আমাকে বাচাতে এসব করছে।সব দোষ তো ওই ভাবির।নীলিমাকে যেতে দেওয়া যাবে না শত হলেও ওকে এখনো ভালোবাসি।
নীলিমা চলে যেতে ধরলেই আমি ওর হাত ধরে ফেললাম।টান দিয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলাম। ও আমাকে জড়িয়ে ধরে আরো জোড়ে জোড়ে কেঁদে দিল। ওকে কান্না থামাতে বললাম ও আরো জোড়ে কেঁদে দিল। আমি ওর চোখ মুছে বললাম -
আমিঃ আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি তোমাকে এই কয়দিন অনেক কষ্ট দিয়েছি।
নীলিমাঃ তুমি আমাকে মাফ করে দাও আমার কারণে তুমি ৫ টা বছর কষ্ট পেয়েছো।
আমিঃ ওকে।এখন আমাকে একটু মিষ্টি খাওয়াও।(দুষ্ট হাসি দিয়ে)
নীলিমাঃ এখন মিষ্টি পাব কই??
আমিঃ তোমাকে দিতে হবে না আমি নিয়ে নিচ্ছি।
বলেই ওর ঠোট দুটো দখল করে নিলাম।২ মিনিট পর ছেড়ে দিলাম।ও লজ্জায় আমার বুকে মুখ লুকালো।কোথা থেকে রাইসা এসে বলল- দরজা খুলে কিসের রোমাঞ্চ করো ভাইয়া??( হাসতে হাসতে)
আমিঃ তুই যাবি এখান থেকে।
ও চলে গেল।নীলিমাকে বললাম আমরা কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ে করবো।ও বলল- ওকে।আবার বলল-
নীলিমাঃ তোমার আব্বু- আম্মুকে ক্ষমা করে দিবে প্লিজ।মানুষ তো মাত্রই ভুল করে।
আমিঃ ওকে করে দিব। তবে আমরা আর ওই বাড়িতে যাব না।আর আগের মতো হতে পারব না ওদের সাথে।
নীলিমাঃ এ কেমন কথা।আমি বুঝি আমার শশুর বাড়িতে যাব না??
আমিঃ ওকে মাঝে মধ্যে যাব।এবার খুশি??
নীলিমাঃ হুম।খুব খুশি।(জড়িয়ে ধরে)
আমিঃ আচ্ছা তোমরা আমার ঠিকানা জানলে কিভাবে??
নীলিমাঃ যেদিন সবার সাথে তোমার দেখা হয়েছিল তখন আমি তোমার পিছু নি।তখনই জানতে পারি তুমি এখানে। থাক।বুঝলে??
আমিঃ হুম।সবই বুঝলাম।
কিছুদিনের মধ্যেই আমার বিয়ে করে নিলাম। সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি কিন্তু আগের মতো হই নাই।(বিয়ে সম্পর্কে কিছু বলি নাই কারণ এখনো বিয়ে করি নাই ব্যাচেলর তো😜 তাই বিয়ে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেই😁)
এইভাবেই কাটতে লাগলো আমাদের এই সুখী জীবন।
🥰[{সমাপ্ত}]🥰
(সবাই পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন।আমাদের গল্পের সাথেই থাকুন)
লেখকের নাম ও আইডি লিংক ছাড়া কপি করলে কপি রাইট আইন লঙঘন করা হবে....
আপনাদের সব সময় পাশে পেয়েছি আপনারা লাইক কমেন্ট করে উৎসাহ দিয়ে গেছেন....
আর আশা করি ভয়বিষ্যতেও এরকম ভালোবাসা পেয়ে যাবো
আপনারা আমার গল্পের পাঠক/পাঠিকা অর্থাৎ আমার কলিজারা যারা গল্পটি পড়ছেন....
ভালো লাগলে💖
অবশ্যই
লাইক 👍
কমেন্ট✏
ও
শেয়ার করবেন.....📲
আপনাদের প্রত্যেকের মতামতই আমার জন্য মুল্যবান...💖