লেখকঃ #Mahbub_Rohman_Shuvo
পর্বঃ3
৩ম পর্বের পর থেকে।।।।
👇👇👇👇👇👇👇👇👇
রিমুঃ সুভ আমার হাত তো কাটা প্লিজ তুমি একটু আমাকে খাইয়ে দেওনা প্লিজ।
ওরে আল্লা এই মেয়েকে নিয়ে আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারতাছি না। সে নাকি আমার হাতে ভাত খাবে।।
আমি একটু বিরক্ত হইছি কারন এর আগে আমি কাউকে খাইয়ে দেই নাই তাই।কিন্তু খুশি তার থেকে বেশি হইছি কান আমার ক্রাশ আমার হাতে খেতে চাইছে তাই।
তখন রিমু আমাকে ডাক দিলো।
রিমুঃ এই সুভ কি হলো খাইয়ে দিবে না।
আমিঃ হুম দিচ্ছি।
এরপর রিমুকে খাইয়ে দিতে লাগলাম।
কিছুক্ষনপর রিমুর খাওয়া শেষ হলো। তখন তাকে পানি খাইয়ে দিতে যাবো তখন দেখিয়ে সে তার ডান দিয়ে পানি খাইতাছে।
আরে রিমুর তো বা হাত কেটেছিলো। আর সে তো ডান হাত দিয়ে সহজেই খেতে পার তো। তখন আমি কিছুটা রাগি কন্ঠে রিমু কে বললাম।
আমিঃ এটা কি হলো।।
রিমুঃ কই কি আবার হবে।
আমিঃ তোমার ডান হাত টা তো ভালো তহলে তুমি আমার হাতে খেলে কেনো।
রিমুঃ ওমা তাই তো। ( এই বলে একটা হাসি দিলো।)
রিমুর এই হাসি দেখে আমার সমস্ত রাগ চলে গেলো। এবল আমি তার হাসি দেখতে লাগলাম। রিমু এট বুজতে পেরে হাসিটা বন্দ করে আমাকে বললো।
রিমুঃ কি দেখতাছেন এই ভাবে।
আমিঃ তোমার হাসি টাকে।
রিমুঃ সুদুই কি হাসি দেখতাছেন নাকি আরো কিছু দেখতাছেন।
আমিঃ তোমাকে ও দেখতাছি। কত সুন্দর তুমি সুন্দর তোমার এই হাসিটা যেটা দেখে হাজার বছর কাটিয়ে দিতে পারবো আমি।
রিমুঃ তাই নাকি????
আমিঃ এই রে এটা কি বললাম আমি। সে যদি এখন কিছু মনে করে তাহলে তো প্রেম করার আগেই আমার ব্রেকআপ নিশ্চিত । (মনে মনে বললাম)
রিমুঃ কি হলো চুপ করে আছেন কেন।
আমিঃ এটা বাদ দেন আগে বলেন আপনি আমার হাতে খাবার খেলেন কেনো। আপনার হাত তো ঠিকি আছে।
রিমুঃ আসলে আমার না নিজের হাতে খেতে একদমি ভালে লাগতাছিলো না তাই আমি আপনার হাতে খেলাম। প্লিজ রাগ করিয়েন না। কাল থেকে তো আর খাবো না।
আমিঃ কেন খাবেনা।
রিমুঃ বাহরে কালকে তো আমরা চলে যাবো তাহলে খাবো কি ভাবে।
আমিঃ ও তাই তো (মনটা খারাপ করে বললাম)
রিমুঃ হুম। আর যদি আপনি চান তাহলে কিন্তু সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার খেতে পারু আপনার হাতে।
আমিঃ সত্যিইইই।
রিমুঃ হুম ১০০%সত্যি। তো এতো আপনি আপনি করতাছেন কেনো আমরা তো ফ্রেন্ড হতে পারি তাইনা।
আমিঃ আপনি চাইলে আরো কিছু হতে পারি। (বির বির করে বললাম)
রিমুঃ কি হলে বলেন আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারিনা???
আমিঃ হুম অবশ্যই।
রিমুঃ তাহলে নো আপনি অনলি তুই।
আমিঃ আচ্ছা।
এই বলে আমি প্লেট রাখতে উঠতে যাবো তখনি ভাবি এসে রিমু কে ঠাসসস ঠাসসস করে দুইটা থাপ্পর মেরে রিমুকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো।
ভাবিঃ এই তোকে কে বলছিলো হাত কাটতে হুম। যদি সুভ না দেখতো তখন কি হতো তুই বল।তোর যদি কিছু হতো তাহলে তোর দুলা ভাই কি করে আমাদের বাড়িতে মুখ দেখাতো। হুম বল কিরে চুপ করে আছিস কেন। বল (কান্না করতে করতে)
রিমুঃ আপু সরি রে আসলে আমি তাকে খুব বেশিই ভলো বসছিলাম কন্তু সে সেতো আমাকে খুব বড় একটা ধোকা দিলো। আমি কখনো ভাবতে পারি নাই সে আমাকে এই ভাবে ধোকা দিবে।
ভাবিঃ তাই বলে কি তোকে মরতে হবে।
রিমুঃ তখন আমার মাথা একটু ও কাজ করতাছিলো না তাই এই রকম একটা ভুল পদ ক্ষেপ নিয়েছি।
আমিঃ ভাবি যেটা হয়ে গেছে সেটা কে নিয়ে আর কথা বলে কি হবে। বাদ দেন তো। আর আপনি গিয়ে এখন ভাইয়ের কাছে যান। আর আজকে আপনাদের জিবনের সুখের দিন। এই দিনে কি কেউ কান্না করে। আর এম নিতেই এখন রাত প্রায় ১:৩০ বাজতে চললো। কাল সকালে আবার উঠতে হবে তো।
ভাবিঃ আচ্ছা আপনি যান।
এর পর ভাবি চলে গেলো। কিন্তু
রিমু কান্না করেই যাচ্ছে। যেটা আমার মটেও সহ্য হচ্ছে না। তাই আমি আবার রিমুর পাশে গিয়ে বসলাম। এবং বলতে শুরু করলাম।
আমিঃ এই তুমি এই ভাবে কান্না করতাছো কেন। যা,হওয়ার হয়ে গেছে তুমি এখন ঘুমাও।
রিমুঃ আমার ঘুম আসছে না।
আমিঃ আমি মাথায়,হাত বুলিয়ে দেই।
রিমুঃ হুম দেও।
আমি রিমুর মাথায় জাত বুলিয়ে দিচ্ছি আর রিমুর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। তার চেহারাটা কত মায়াবি। এই মায়াবি কন্যাকে যদি আমার বউ হিসেবে পেতাম তাহলে খুব ভালোবাসতাম তাকে। কিন্তু সে কি কখনো আমাকে ভালো বাসবে। এই সব ভাবতাছি তখন দেখিযে রাত ২:১৩ বাজে এই দিকে রিমু ও ঘুমিয়ে গেছে আমারো খুব ঘুম পাচ্ছে তাই আমি আমার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে কারো ডাকে ঘুম ভাংলো আমার। তাকিয়ে দেখি। আব্বু ডাকছে।
বাবাঃ এই সুভ তোর এতো ঘুম কিসের। রাতে কি ঘুমস নি চুরি করতে গেছিলি নাকি।
আমিঃ হুম না তো এই যে উঠতেছি।
আমি ঘরিতে তাকিয়ে দেখিযে এখন ৯:৩৩ বাজে তাই তারাতারি ফ্রেশ হয়ে রিমুকে দেখতে গেলাম। দেখি রিমু খাটের উপর বসে আছে আর কার সাথে যেন কথা বলতাছে। আমি তার চেহারাটা দেখতে পাচ্ছি না। তখন আমি রিমুকে উদ্দেশ্য করে বললাম।
আমিঃ এই যে মিছ রিমু আমি কি ভিতরে আসতে পারি।
রিমুঃ আরে সুভ তুই। আয় ভিতরে আয়।
আমি ভিতরে গিয়ে দেখি রাজ বসে এবং পাশে রাজের বউ বসে আছে। তাদের দেখে আমার মন টা খারাপ হয়ে গেলো কিন্তু রিমুর কথা শুনে বুঝলাম রাজ ক্ষমা চাইতে আসছে এবং রিমুও তাকে ক্ষমা করে দিয়েছে।
রিমু মন থেকেও খুব ভালো কারন যদি ভালো না হতো তা হলে কি ক্ষমা দিয়েছে হয়তো এইকানে অ্যকোন মেয়ে হলে ক্ষমা করতো না।
তারা চলে গেছে আমি রিমুকে জিগাস কারলাম।
আমিঃ এই তুই হাত ফ্রেশ হইচছ।
রিমুঃ হুম আপু করিয়ে দিয়েছে।
আমিঃ নাস্তা করচছ।
রিমুঃ নারে একটু করে দেতো। এই যে খাবর।( হাতদিয়ে দেখিয়ে দিয়ে) আপু সকাল ৮ টার সময় খাবার দিয়ে গেছে। তুই খাইয়ে দিবি বলে এখনো খেতে পারি নি এখন তারাতারি খাইয়ে দেতো ঔষুধ খাওয়া লাগবে তো।
আমিঃ হুম দিচ্ছি।
এই বলে রিমুকে খাইয়ে দিতে লাগলাম। তাকে খাইয়ে দিতে আমার খুব ভালো লাগতাছিলো। আমি ভাব তাছিলাম যদি সার জিবন এই ভাবে তাকে খাইয়ে দিতে বললে আমি তাকে খাইয়ে দিতে পারবো।
আমিঃ আউচচচ ব্যাথা পাইছি তো। ((রিমু আমার হাতে কামর দিছে)
রিমু সয়তানি হাসি হাসতাছে যেটা দেখে আমি আবার রিমুর প্রেমে পরে গেলাম।
রিমুঃ আচ্চা সরি আর দিমু না।
আমিঃ ওকে।
খাবার শেষে ঔষুধ খেলো। এবং তাকে ঘুমাতে বলে আমি নিচে এসে নাস্তা করতেছি এমন সময় ভাইয়া এসে বললো।
ভাইয়াঃ কিরে আমার শালিকা কে তোর বুঝি খুব পছন্দ হইছে।
আমিঃ (আমি কিছুটা লজ্জা মিশ্রি কন্ঠ বললাম) আরে ভাইয়া তুমিও না।
ভাইয়াঃ বুঝি বুঝি সব বুঝি। চিন্তা করিছ না হেল্প লাগলে বলবি। হেল্প করার চেষ্টা করবো।
আমিঃ আচ্ছা। ভাইয়া দেখো তোমাকে ভাবি ডাকছে।
ভাইয়াঃ হুম যাচ্ছি।
দুপুরে বৌভাতের কার্য ক্রম শেষ হইছে। খুব ব্যাস্ত থাকার কারনে দুপুরবেলা রিমুকে খাইয়ে দিতে পারিনি। যার কারনে সে যাওয়ার সময় আমাকে বলে যায়নি।
ভাবির লোকেরা চলে গেলো ভাবি আর ভাইয়া কালকে যাবে।
চলবে............
কেমন হলো জানাবেন। ভালো না লাগলে বলবেন আরো ভালো করে লিখার চেষ্টা করবো। লাইক কমান্ট করে পাশে থাকবেন।
ধন্যাবাদ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,