বেয়ান_যখন_বউ পর্বঃ4

 গল্পঃ #বেয়ান_যখন_বউ। 
লেখকঃ #Mahbub_Rohman_Shuvo
পর্বঃ4

3ম পর্বের পর থেকে।।।।

     👇👇👇👇👇👇👇👇👇

দুপুরে বৌভাতের কার্য ক্রম শেষ হইছে।  খুব ব্যাস্ত থাকার কারনে দুপুরবেলা রিমুকে খাইয়ে দিতে পারিনি।  যার কারনে সে যাওয়ার সময় আমাকে বলে যায়নি।

ভাবির লোকেরা চলে গেলো ভাবি আর ভাইয়া  কালকে যাবে।

আমিঃ এই রে কতো বোকা আমি।  আমি তো রিমুর কাছ থেকে তার ফোন নাম্বার কিংবা ফেসবুক আইডি কিছুই নি নাই তাহলে আমি তার কাছ থেকে ক্ষমা চাইবো কি ভাবে।  নাহহ কালকে যে করেই হোক রিমুদের বাড়িতে গিয়ে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবেই হবে।  (মনে মনে বললাম) 

দিনটা কোনে রকমে পার করলাম সারাদিন রিমুকে প্রচুর মনে পরলো৷

রাতে আমি আমার ব্যাগ গুছিয়ে। ভাইয়ার আশে পাশে ঘুরতে লাগলাম যদি একবার আমাকে বলে
 "কিরে সুভ যাবি আমাদের সাথে গেলে চল"
কিন্তু ভাইয়া একবারে বললো না তারা তাদের মতন ব্যাগ গুছানোয়ে ব্যাস্ত।  আমি যেই আমার রুমে আসতে যাবো তখনি ভাইয়া আমাকে ডাক দিলো। 

ভাইয়াঃ এই সুভ শুন।। 

আমিতো খুব খুশি হয়ে ভাইয়াকে বললাম কি বলালাম। 

আমিঃ হুম ভাইয়া আমি যামু।  

ভাইয়াঃ তুই কই যাবি।  

আমিঃ না কিছু না কি বলবে বলো আমার ঘুম পাচ্ছে। (মুখটা কালো করলো) 

ভাইয়াঃ আসলে আমার খুব পানির পিপাসা পেয়েছে আর এই খানে পানিও নেই।  এখন যদি তুই আমাকে একটু পানি পান করাতি তোর ওনেক সোয়াব হতো আর কি। 

আমিঃ তুই আসলেই একটা বজ্জাত৷ আমি সেই কখন থেকে তোমার আশেপাশে ঘুরঘুর করছি আমাকে তোমাদের সাথে নিবে বলে।  তা না আমাকে বলতাছে এখন তাকে পানি খাওয়াতে।  ধুর ভালো লাগে না। (মনে মনে বললাম )

ভাইয়াঃ কিরে জানা একটু। 

আমিঃ জাচ্ছি তো। ( এক গাদা বিরক্তি নিয়ে ভাইয়া কে বললাম) 

ভাইয়া তো আমার কাহিনি দেখে মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো।  আমি বুজলাম না এখানে হাসির কি হলো। 

এর পর ভাইয়াকে পানি গনে দিয়ে আমি আমার রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম। 

আজ কেন জানি ঘুম আসছে না বারবার শুধু রিমু কথাই মনে পরে যাচ্ছে। অন্যদিন হলে এতো ক্ষনে ঘুমিয়ে যেতাম।  

রিমুকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম সেটা যানি না। 

সকালে ভাবির ডাকে ঘুম ভাংলো। আমি চোখ খুলে  ভাবিকে দেখেই।  ভাবিকে বলতে লাগলাম। 

আমিঃ কি ভাবি এখনো যাওনি কেন। 

ভাবিঃ কি আর করার দেবর তোমার ভাই তো আমাকে নিয়ে যায় নি এখনো তাই।  আর যাওয়া হয় নি। 

আমিঃ ও আচ্ছা। 

এরপর আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম  ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে দেখি ভাইয়া রেডি হয়ে বসে আছে।  ভাবিও রেডি।  তাদের দেখে আমার মুখটা কালো হয়ে গেলো।  আমি যেতে পারবো নাতো তাই আর কি। 

ভাইয়াঃ কিরে তুই এখনো রেডি হসনি কেন। 

আমিঃ আমি রেডি হবো কেনো। 

ভাইয়াঃ কেন হবি মানে তুই যাবি না?? 

আমিঃ আমি আবার কই যামু??? 

ভাইয়াঃ কেন আমাদের সাথে তুই যাবি না। 

আমিঃ ভাইয়ার কথা শুনে তো আমার তো খুব আনন্দ লাগতাছে৷ লুঙ্গি ডান্স দিতে ইচ্ছা করতাছে।  আমার পরনে লুঙ্গি ছিলো ভাব ছিলাম একবার লুঙ্গি ডান্স দিয়েই দি তারপর ভাবলাম এখনে অনেক
লোক আছে আমি না হয় আমার রূমে গিয়েই দিমুনি এখানপ দেওয়া যাবেনা। (মনে মনে বললাম)

আমিঃ আমি ওখানে গিয়ে কি করমু। 

ভাইয়াঃ কিছু করা লাগবোনা। তুই গিয়ে তারা তাড়ি রেডি হয়ে নে।  এমনি তেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। 

আমি আর কিছু না বলে সোজা আমার রুমে চলে আসলাম।  এসেই প্রথমে আমার লুঙ্গি ডান্সটা কম্পিট করে রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম।

  নিচে যাওয়ার পর ভাবি বলতে লাগলো। 

ভাবিঃ দেখি দেখি আমার দেওর টাকে নজর ফোটা দিয়ে দেই যাতে কেউ নজর বা দেয়। 

আমিঃ আরে ভাবি তুমি ও না। (লজ্জা পেয়ে)

ভাইয়াঃ হইছে হইছে আর লজ্জা পেতে হবে না চল তারাতারি। 

এরপর আমারা চলে আসলাম ভাবিদের বারিতে। আমিতো ভাবিদের বাড়িতে এসে রিমুকে খুজতে লাগলাম। কিন্তু কোথাও দেখতে পেলাম না।  

আমিঃ দুর যার জন্য এইখানে আসলাম তাকেই তো দেখতে পাচ্ছি না । 

তখনি কে জানি পিছন থেকে বলে উঠলো।

লোকটিঃ বাবা তুমি কেমন আছো৷

আমি পিছন ঘুরে তাকিয়ে দেখি।  ভাবির আব্বু। 

আমিঃ জ্বি আংকেল ভালো আপনি কেমন আছেন৷ 

আংকেলঃ হুম ভালো আছি।  তোমাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দিবো সেটা আমার জানা নেই । 

আমিঃ কেন আংকেল ধন্যবাদ কেনো। 

আংকেলঃ বাবা তোমার জন্যই তো আজ আমার মেয়েটা বেঁচে আছে। 

আমিঃ থাক না আংকেল ঐ বিষয় টা বাদদেন। 

আংকেলঃ আচ্ছা। 

আমিঃ আচ্ছা আংকেল রিমু এখন কেমেন আছে। 

আংকেলঃ হুম আগের থেকে অনেকটা সুস্থ আছে।  কিন্তু........

আমিঃ কিন্তু কি আংকেল। 

আংকেলঃ আসলে বাবা রিমু আসার পরে থেকে কারো সাথে কথা বলে নাই এবং কালকে  থেকে এখন পর্যন্ত কিছুই খায় নাই৷

আমিঃ কি বলেন আংকেল এখনো খায় নাই। 

আংকেলঃ হুম। 

আমিঃ আচ্ছা আংকেল একটা প্লেটে খাবার এনে দেন আমি গিয়ে ওকে খাইয়ে দিচ্ছি। 

 এরপর আংকেল খাবার এনে দিয়ে রিমুর রুমে নিয়ে গেলে৷  

আমি আংকেলকে চলে যেতে বললাম তাই আংকেল ও চলে গেলো। 

এরপর আমি রিমুকে উদেশ্য করে বলতে লাগলাম। 

আমিঃ কিরে ঘরে আসতে দিবি। 

রিমু আমার দিকে তাকিয়ে আবার অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বললো৷ 

রিমুঃ কেন এসেছেন এইখানে??(অভিমান করে বললো)

আমি রিমুর কাছে এসে হাটু গেরে বসে আমার কান ধরে বললাম. 

আমিঃ এই দিকে তাকাও আমি সরি আর হবে না। 

রিমুঃ হইছে হইছে আর কানে ধরতে হবে না যাও ক্ষমা করে দিয়েছি।( মুচকি একটা হাসি দিয়ে)

আমিঃ গো তুই নাকি আজকে কিছুই খাসনাই আর কালকেও নাকি কিছুই খাছ নাই। 

রিমুঃ নিশ্চুপ। 

আমি খবার খাইয়ে দিতে দিতে বলতে লাগলাম। 

আমিঃ দেখ যা হওয়ার তা হয়ে গেছে এখন মন খারাপ করে কি হবে তুই যদি এমন করছ তোর বাবা মাও তো কষ্ট পাবে তাই না৷ 

রিমুঃ নিশ্চুপ হয়ে খাচ্ছে আর আমার কথা মাথা নারাচ্ছে। 

খাবার শেষে আমি রিমুকে বললাম।

আমিঃ এই বার আমি আর তোকে খাইয়ে দিতে পারবো না ২ দিন পরতো তোর জামাইয়ের বাড়িতে যাবি তখন যদি সে যানতে পারে আমি তোকে খাইয়ে দিছি তখন সে তো আমাকে মেরে ফেলবে। 

রিমুঃ কিছুই বললো না শুধু একটা জোর পূর্বক হাসি দিলো। 

আমি রিমুর রুম থেকে চলে আসলাম। 

--------------------------------------------------------------
বিকাল বেলা ছাদে দোলনায় বসে আছি।  ছাদটা খাব সুন্দর করে সাজানো আছো।  এক পাশে ফুল গাছ দিয়ে ভরপুর আর অন্যপাশে কিছু সবজি গাছ লাগানো।  আর এই পাশে ১টা দোলনা আছে আর চেয়ার রাখার জায়গা আছে। এখানে বসে আড্ডা দিতে খুব মজা হয় বলে মনে হইতাছে। 

এই সব ভাবতাছি ঠিক তখনি রিমু আমার পাশে এসে বসলো এবং বললো। 

রিমুঃ কিরে কি ভাবিস। 

আমিঃ কিছুনা৷ 

রিমুঃ একটা কথা বলি। 

আমিঃ হুম বল।।

রিমুঃ সত্যি কথা বলবি কিন্তু। 

আমিঃ হুম বল কি বলমু। 

রিমু এমন কিছু বললো যা আমি ভাবতেও পারি নাই। 

রিমুঃ................ 

চলবে............

আর কেমন হলো জানাবেন।  ভালো না লাগলে বলবেন আরো ভালো করে লিখার চেষ্টা করবো। লাইক কমান্ট করে পাশে থাকবেন।

ধন্যাবাদ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post