গল্পঃ #বেয়ান_যখন_বউ
লেখকঃ Mahbub_Rohman_Shuvo
পর্বঃ১
বিয়ে বাড়িতে গিয়ে সবাই কোরমা পৌলাউ খাই আর আমি খেলেম ক্রাশ তাও আবার আমার ভাইয়ের বউ এর বোনের উপর। কিভাবে তা না হয় গল্পে বললা। চলুন এখন গল্পে শুরু করা যাক।
আমিঃ ভাই রেডি হন নাই কেন এখনো।
ভাইয়াঃ এইতো রেডি আমি চল।
আমিঃ হুম চলেন।
এইবলে আমরা চলে গেলাম গাড়ির কাছে। আমি আর আমার জেঠাতো ভাই মানে যার বিয়ে সে একটা গাড়িতে বসলাম। সাথে ড্রাইভার ও ছিলো।
আমিঃ ভাই এতো খুশি খুশি লাগতাছে কেন আপনাকে।
ভাইয়াঃ আরে তুই বুঝবি না আগে বড় হ তার পর বুঝবি।
আমিঃ হুম প্রেম করে বিয়ে করতাছেন তো তাই এতো খুশি তাই না। চিন্তা করিয়েন না আমি কিন্তু আপনার শালিকেই বিয়ে করমু। এই বলে দিলাম।
ভাইয়াঃ তা পরে দেখা যাবে আগে তো প্রেম কর।
আমিঃ হুম করমু তো।
আরো কথা বলতে বলতে বিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম।
আপনারা সকলেই তো জানেন It's corona time corona তাই বিয়েটা তেমন ধুম ধাম করে হয় নাই।
বাড়ির ভিতরে জেতেই চোখ আটকে গেলো একটা মেয়ের দিকে। আমি কখনো পরি দেখি নাই সেটা দেখার খুব শক ছিলো। কিন্তু মেয়ে টাকে দেখে আমার পরি দেখার সম্পর্ণ শখ মিটে গেছে।
চেহারাটা ফর্সা এবং মায়ায় ভরা। পরনে ছিলো ছাই কালারের একটা জামা। মাথায় ছিলো একটা সাদা হিজাব, হালকা মেকআপ ও ঠোটে হালকা লিপস্টিক। দেখতে জাস্ট অসাম।
এক দেখাতেই ক্রাশ খেলাম।
সে এসে সোজা ভাইয়ার গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে চলে গেলো। আমি তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
হঠাৎ ভাইয়ের ডাকে বাস্তে ফিরে মেয়েটাকে খুজতে লাগলাম কিন্ত কোথাও আর দেখতে পেলাম।
মন খারাপ করে বসে পরলাম ভাইয়ের পাশে তখনি একটা মেয়েলি কন্ঠের কেউ বলে উঠলো।
মেয়েটিঃ দুলা ভাই অনেক দুরথেকে এসেছেন এই শরবত টুকু খেয়ে নেন।
আমি উপরে তাকিয়ে দেখি সেই পরিটা, থুক্কু সেই মেয়েটা। আমি আবারো তার দিকে তাকিয়ে রইলাম তখন বুজলাম সে কিছুটা বিরক্ত অনু ভব করতাছে তাই আর তার দিকে তাকালাম না।
মেয়েটি শরবত দিয়ে চলে গেলো। তখন আমি বললাম।।
আমিঃ ভাইয়া ও ভাইয়া এই মেয়েটি কে একটু বলবেন।(কিছুটা আবদারি কন্ঠে বললাম)
ভাইয়াঃ নাম জেনে তুই কি করবি।
আমিঃ না তেমন কিছুনা। প্লিজ ভাইয়া বলোনা নামটা কি???
ভাইয়াঃ মেয়েটির নাম মেঘনা আক্তার রিমু।
আমিঃ তাই নাকি।
ভাইয়াঃহুম।
আমিঃ ভালো খুব ভালো আপনি এই খানে বসেন আমি ভিতর থেকে ঘুরে আসি।
ভাইয়াঃ আচ্ছা যা।
তখন আমি ভিতরে এসে রিমু কে খুজতে লাগলাম কিন্তু কোথাও পেলাম না।
তখন হঠাৎ চোখ গেলো একটা রুমের দিকে দেখি এখানে বউ কে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
ভাবির সাথে কিছু পিক নিয়ে ভাই কে দেখালাম।
এর পর বিয়ের সকল কর্য ক্রম শেষ হলো।
এতোক্ষধরে আমার চোখ একজন কেই খুজতেছিলো। আর সে কেউ না সে হলো রিমু।
সুনেছি বউ এর সাথে নাকি বউ এর দুই বোন যাবে। তাতে আমার মাথা ব্যাথা নাই। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে রিমু এসে বরের পাশে বসলো সাথে আরেকটা মেয়েও আছে ।
তার মাননে রিমু ভাইয়ার শালি। মনে মনে অনেক খুশি হলাম। কারন আজকে আমার ক্রাশ আর আমি বিয়ের গাড়িতে করে বাড়িতে যাচ্ছি। বিষয় টা ভাবা যায়।
তখন ভাইকে বললাম।
আমিঃভাই সকালের কথা মনে আছে তো??
ভাইয়াঃ কি কথা।
আমিঃ ঐ যে বললাম আমার শশুড় বাড়ি আর আপনার শশুর বাড়ি একটাই হবে।
ভাইয়াঃ তাই নাকি।।
আমিঃ হুম
চলবে..........
কেমন হলো জানাবেন। ভালো না লাগলে বলবেন আরো ভালো করে লিখার চেষ্টা করবো। লাইক কমান্ট করে পাশে থাকবেন।এতে লেখার অনুপ্রেরনা পাওয়া যায়
গল্পঃ #বেয়ান_যখন_বউ।
লেখকঃ #Mahbub_Rohman_Shuvo
পর্বঃ২
১ম পর্বের পর থেকে।।।।
👇👇👇👇👇👇👇👇👇
আমিঃভাই সকালের কথা মনে আছে তো??
ভাইয়াঃ কি কথা।
আমিঃ ঐ যে বললাম আমার শশুড় বাড়ি আর আপনার শশুর বাড়ি একটাই হবে।
ভাইয়াঃ তাই নাকি।।
আমিঃ হুম।
এর পর নতুন ভাবির সাথে কথা বলতে বলতে বাড়িতে চলে আসলাম।
বাড়িতে এসে আমি রিমুর আশে পাশেই ঘুরতে লাগলাম। কোন কিছুর দরকার আছে কিনা। কিছু লাগবে কিনা। তখন রিমু আমাকে বললো।
রিমুঃ এই যে সুভ ভাইয়া এই দিকে একটু আসেন তো।
আমিঃ জ্বি বলুন কি বলবেন।
রিমুঃ আপনার সমস্যাটা কি একটু শুনি??
আমিঃ কই কোন সমস্যা নাই তো। আমার আবার কি সমস্যা হবে???
রিমুঃ যদি কোন সমস্যাই না থাকে তাহলে আপনি আমার আশে পাশে এতো ঘুরা ঘুরি করতাছেন কেন। আপনার কি খেয়ে দেয়ে আর কোন কাজ নেই।
আমিঃ আছে তো আপনাকে দেখার কাজ।
রিমুঃ কিহহহহহ (রাগান্বিত কন্ঠে)
আমিঃ এইরে কি বলে ফেললাম আমি (মনে মনে বললাম) কই কিছু বলি নাই তো।।
রিমুঃ আপনি না বললেন আমাকে দেখার কাজ নাকি আপনার। তো এই কাজ টা আপনাকে দিলো কে বলুন তো দেখি।
আমিঃ আরে বেয়ান এই সব বাদ দেন তো। আর আপনার কিছু লাগলে আমাকে বলিয়েন। আচ্ছা এখন আমি যাই।
রিমু কে কোন কথা না বলতে দিয়ে আমি সেখান থেকে চলে আসলাম।
আমিঃ যাক বাবা বড় বাচান বাচলাম তা না হলে আজ বাবার মার খেতে হতো আমার।
তখন কে যানি পিছন থেকে বলে উঠলো।
লোকটিঃ কিরে সুভ তুই আবার কি গন্ডগোল করচিস। যার কারনে আমি তোকে মারবো।
আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি বাবা দারিয়ে আছে।
আমিঃ ক ককই আ আ আমি আআবার কি করলাম।( এই রে বাবা দেকি এইখানে একন কি করি হালার আজ ভাগ্যটাই খারাপ)
বাবাঃ তাহলে যে তুই বললি যাক বাবা বড় বাচান বাচলাম তা না হলে আজ বাবার মার খেতে হতো আমার।
আমিঃ ওটা কিছু না। তুমি কি আমাকে খুজ তাছিলে নাকি।
বাবাঃ হুম রিমুর নাকি আমাদের গ্রাম টা দেকার খুব শখ হয়েছে। তুই গিয়ে একটু ঘুরে আয়তো রিয়ুর সাথে।
আমিঃ আমি যামু সত্যিইইই ( আমি তো মহা খুশি)
বাবাঃ কেন তুই কি যাবি না রিমুর সাথে।
আমিঃ কি বলো বাবা আমি কি তোমাকে একবারো বলছি আমি যামু না। আমি গিয়ে রেডি হইতাছি তুমি গিয়ে রিমুকে গিয়ে বলো রেডি হইতে।
বাবাঃ তারাতারি রেডি হয়ে আয়।
আমিঃ জ্বি বাবা
এরপর আমি গিয়ে রেডি হয়ে গেলাম। কিছুক্ষনপর আমি নিচে এসে দেখি রিমু বসে আছে পরনে একটা খয়েরি কালারের লম্বা জামা সাদা হিজাব। মুখে হালকা মেক আপ ও ঠোটে হলকা গোলাপি লিপস্টিক লাগানো। যা দেখে আমি আবার ক্রাশ খেয়েছি রিমুর উপর।
আমি হা করে তাকিয়ে আছি রিমুর দিকে। এটা দেখে ভাইয়া বললো।
ভাইয়াঃ কিরে তুই আর রিমু দেখি একই কালারের জামা পরচছ।
আমিঃ আরে ভুল করে মিস্টেক করেছি। আমি কি জানতাম সে খয়েরি কালারের জামা পরেছে??? যদি জানতাম তাহলে কি আর খয়েরি কালারের পান্জাবি টা পরতাম??
তখন ভাই আমার কানের কাছে এসে বললো।
ভাইয়াঃ যাই বলিস তোকে কিন্তু আজকে অনেক সুন্দর লাগতাছে। রাস্তায় সাবধানে চলিস। আর কয়টা প্রপোজ পাস সেটা এসে কিন্তু আমাকে বলবি।।
আমিঃ আরে ভাইয়া তুমিও না। ( কিছুটা লজ্জা পেয়ে)
ভাইয়াঃ হইছে আর লজ্জা পেতে হবে না।
আমিঃ আচ্ছা।
এই বলে আমি আর রিমু বেরিয়ে ঘুরতে পরলাম।
সেখানে এমন কিছু হবে যেটা আমি ভাবতেও পারি নাই।
রিমু এমন কিছু করলো যেটা দেখে আমি অবাকের চরম মাত্রায় পৌছে গেছি।
সেখানে এমন কিছু হবে যেটা আমি ভাবতেও পারি নাই।
রিমু এমন কিছু করলো যেটা দেখে আমি অবাকের চরম মাত্রায় পৌছে গেছি।
আমি আর রিমু রাস্তা দিয়ে হাটতেছিলাম তখন হঠাৎ রিমু বলে উঠলো।।
রিমুঃএই সুভ একটু গাছটার পিছনে চলো তো।
আমিঃ কেন????
রিমুঃ আগে চলতো সেখানে।
এরপর আমি আর রিমু একটা গাছের পিছনে গেলাম তখন রিমু কাকে যনি কল করছে। তার কথাটা ছিলো এইরকম।
রিমুঃ ঐ রাজ তুমি এখন কই আছো।।
রাজঃ (কি বললো তা সুনতে পাই নি।)
রিমুঃ ও আচ্ছা তো তুমি কি এখন একা আছো নাকি তোমার সাথে আরো কোন মেয়ে আছে।
রাজঃ (কি বললো তা সুনতে পাই নি।)
রিমুঃ ও আচ্ছা ভালো।
এই বলে আমি আর রিমু চলে গেলাম একটু সামনে। সেখানে একটা ছেলে ও একটা মেয়ে রাস্তার পাশে বসে আছে। রিমু সেখানে গিয়েই ঐ ছেলেটার গালে ২ টা থাপ্পর দিয়ে বলতে লাগলো।
রিমুঃ এই তোর পরিক্ষার পড়া। এই তুই একা একা বসে পরতাছস।
রাজঃ তুমিইইই এখানে কি করো।
রিমুঃ তুই আর আমাকে তুমি করে বলবা লা। আর আজকেই আমাদের ব্রেক আপ। তুই আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ করবি না।
রাজঃ তুমি আমার কথা টা একটু শুন।
রিমুঃ কি শুনবো তোর কথা হু কি শুনবো।
এই বলে আরেকটা থাপ্পর মারলো তখন রাজের পাশের মেয়েটা বলতে লাগলো।
মেয়েটিঃ আরে রিমু আপু তুমি আমার জামাইকে এই ভাবে মারতাছো কেন।
রিমুঃ কিইইই রাজ তোমার জামাই।
মেয়েটাঃ হুম গতো মাসে আমাদের বিয়ে হইছে।
রিমুঃ ও ভাই মারো মুজে মারো। মারো মুজে মারো এ কেয়া মাজাক হো রাহাহে।
মেয়েটাঃ কি হলো তোমার আপু।
রিমুঃ এই বাটপার টার বউ থাকার পরেও আমার সাথে প্রেম করছে।
মেয়েটিঃ কিইইই। তুমি রিমুর সাথে প্রেম করছো।
এই বলে রাজকে একটা থাপ্পর মেরে চলে।
আমি তো বেক্কলের মতন তাদের কাহিনি দেখতাচি। আর হাসতাচি☺☺। এবং রাজকে মন থেকে ধন্যবাদ দিতে থাকি কারন তার,আজকের কাহিনির জন্যই রিমু আবার সিঙ্গেল হয়ে গেছে। তখনি রিমু আমাকে ডাক দিলো।
রিমুঃ এই সুভ এই খান থেকে চলো এই খানে থাকতে আমার ভালো লাগতাছেনা।
এই বলে হাটা শুরু করলো। আমি রিমু চোখের কোনে পানি দেখতে পেলাম।
কিছুদূর যাওয়ার পর রিমুকে বললাম।
আমিঃ রিমু প্লিজ মন খারপ করো না। দেখো যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।😣😣
এই টা বলার সাথে সাথে রিমু আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো। 😢😢
রিমু যখন আমাকে জরিয়ে দরলো তখন আমার কাছে মনে হতে লাগলো যেন আমার শরির শরির দিয়ে কারেন্ট প্রভাহিতো হয়ে গেছে। আমি নির্বাক হয়ে গেচি। আমি রিমু কে সান্তনা দিয়ে বললাম।
আমিঃ দেখো রিমু তুমি আর কান্না করো না যা হওয়ার তা হয়ে গেছে সে তোমাকে ভালো বাসতো না তাই তোমার সাথে এই রকম ছলনা করতে পারছে। তুমি প্লিজ কেদো না। আর তুমি আবার প্রথম থেকে শুরু করো দেকবে সব ঠিক হয়ে যাবি।
রিমুঃ কিন্তু আমি তো তাকে খুব ভালো বেসেছি নিজের থেকে বেশি বিস্বাশ করতাম তাকে আর সে কিনা আমার সাতে।(কান্না করতে করতে)
আমিঃ প্লিজ রিমু কান্না থামাও। দেখো লোকে কি বলবে। তারা তো খারাব বলবে। তাই বলছি একন আপাদত ঐ দিকটায় চলো সেখানে গিয়ে না হয় কান্না করবে।
এরপর আমি আর রিমু একটা খালি জায় গায় বসলাম।
প্রায়,২ঘন্টা কান্না করার পর তার কান্না থামলো।
আমিঃ রিমু তোমার হয়েছে। এবার তো বাড়িতে চলো দেখো রাত ৮টা বাজে।
রিমুঃ আচ্ছা চলো।
এরপর আমি আর রিমু বাড়িতে চলে আসলাম। রিমুও কিছু টা স্বাভাবিক হয়েছে।
এরপর রাতে খাবারর খাওয়ার সময় হলো আরেক বিপত্তি ।
ভাইয়া আমাকে বললো।
ভাউয়াঃ সুভ তুই একটু রিমুকে ডেকে আনতো খাওয়ার জন্য।
আমিঃ আচ্ছা ভাইয়া।
এই বলে রিমুর ঘরের দিকে গেলাম রিমুকে ডাকার জন্য। যেই আমি রিমুর ঘরে ডুকলাম তখন দেখলাম রিমু তার হাতে ব্লেড দিয়ে একটা আচড় দিছে। এবং টপ টপ করে রক্ত পরা শুরু হয়ে গেছে।
আমি তাড়াহুড়া করে আমর পকেট থেকে রুমাল বের করে রিমুর হাতে পেচিয়ে দিলাম। যাতে একটু রক্ত পরা কমে।
কিন্তু রক্ত পড়া যেন বন্ধই হচ্ছে না। আমার সাদা রুমালটা রক্তে পুরটা লাল হয়ে গেছে।
আর এই দিকে রিমু কান্না করে যাচ্ছে। আমি রিমু কে ঠাস করে একটা থাপ্পর মারলাম এবং বললাম।
আমিঃ চুপ থাক এখন এতো কান্না কিসের। যে চলে গেছে সে তো গেছে। তার জন্য নিজের জিবন শেষ করা লাগবে নাকি।
আমার কথা শুনে রিমু কছু,টা শান্ত হলো। এরপর আমি রিমু কে কোলে তুলে নিচে চলে গিয়া ভাইয়াকে বললাম।।
আমিঃ ভাইয়া তাড়া তাড়ি গাড়ি বের করো। রিমু কে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হবে।
ভাইয়াঃ কেন কি হইছ।
আমিঃ আগে তুমি গাড়িটা বের করো।
এরপর আমি আর ভাইয়া মিলে রিমুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।
ওখানে যাওয়ার পর ডাক্তার রিমুর হাতে সিলাই করে।
অনেক খানি কেটে গেছে হাতটা। তাই ৫টা সিলাই দেয়। এর পর বেন্ডিজ করে দেয়।
রাত ১২ এর দিকে আমরা বাড়ি চলে আসি।
বাড়িতে আসার সাথে সাথে সবাই জিগাস করতে থাকে কিভাবে কেটেছে। তখন আমি বললাম।
আমিঃ আরে তেমন কিছু না ব্লেড দিয়ে নোক কাটতে যায় তখন হাতটা কেটে যায়।
ভাবিঃ কিরে তুই না.....
ভাইয়া আর কিছু বলতে না দিয়ে ভাবিকে নিয়ে ঘরে চলে যায়।
ভাইয়াকে আজ ঘটে যাওয়া সকল বলে দিয়েছি তাই ভাইয়া ভাবিকে নিয়ে যায়।
কিছু ক্ষন পর ভাবি রিমু কে ভাত দিয়ে যায় খেতে। তারও তো আজ বাশর রাত। সেখানে ও তো কিছু নিয়ম আছে সেগুলা পুরন করতে ভাবি চলে যায় বাসর ঘরে।
তখন রিমু বললো।
রিমুঃ সুভ আমার হাত তো কাটা প্লিজ তুমি একটু আমাকে খাইয়ে দেওনা প্লিজ।
ওরে আল্লা এই মেয়েকে নিয়ে আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারতাছি না। সে নাকি আমার হাতে ভাত খাবে।
চলবে..........
কেমন হলো জানাবেন। ভালো না লাগলে বলবেন আরো ভালো করে লিখার চেষ্টা করবো। লাইক কমান্ট করে পাশে থাকবেন। আর যদি খুব বাজে হয় তখন ও বলিয়েন আর লিখবো না। প্লিজ লাইক কমান্ট করুন
ধন্যাবাদ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,