লেখকঃ#Mahbub_Rohman_Shuvo
পর্বঃ অন্তিম
🔰 সোনালিকাঃ হ্যাঁ তো।
আমিঃ তো এখন তার লোকজন ই এই কাজটি করতেছে ।
🔰সোনালিকাঃ রাজিব নামের তুমি কি যেন বলছিলে ??
আমিঃ ও রাজিব। রাজিব হলো গ্যাংস্টার জোকার কিংএর লিডারের নাম।
🔰সোনালিকাঃওহ ।
আমিঃ কেনো জিজ্ঞেস করেছে এটা??
🔰 সোনালিকাঃ আসলে রিয়ার বাবার নামও তো রাজিব তাই।
আমিঃ রিয়ার বাবার নাম রাজীব ভালো।
🔰সোনালিকাঃ আচ্ছা তো এখন জামিনুর এর বাবা মাকে কিভাবে খুজবে??
আমিঃ এটাই তো ভাবতেছি। আচ্ছা তুমি কি বলতে পারবে রিয়ার বাসা কই??
🔰সোনালিকাঃ ফার্মগেট কেন??
আমিঃ ফার্মগেট??
🔰 সোনালিকাঃও কিন্তু কেন??
আমিঃ রাজীবের বাসায় ফার্মগেট। আচ্ছা তুমি কি আমার বাসা চেনো??
🔰 সোনালিকাঃ জি চিনিতো?
আমিঃ আচ্ছা চলো তাহলে।
🔰 সোনালিকাঃ কই যাবে??
আমিঃ রিয়ার বাসায়।
🔰সোনালিকাঃ রিয়ার আাসায় কেনো??
আমিঃ আমার মন বলছে রিয়া কোন নাকোন ভাবে কিডনাপিং এর সাথে জরিতো আছে।
🔰সোনালিকাঃ কিহহহ এখন তুমি রিয়াকে দোষারোপ করছো।
আমিঃ আগে চলো এরপর দেখা যাবে।
🔰সোনালিকাঃ ওকে চলো।
এরপর আমি আর সোনালিকা চলে গেলাম রিয়া দের বাসায় ওখানে যাওয়ার পর যা দেখলাম তা সোনালিকা কখনো আশা করে নি।
ওখানে যাওয়ার পর যখনি বাড়ির ভিতরে গেলাম ঠিক তখন কোথা থেকে যেনো গুলি বর্ষন করতে লাগলো আমাদের দিকে।
আমিঃ সোনালিকা এই দিকে আসো।
বলে সোনালিকা কে নিয়ে আমি সাইডে চলে গেলাম। সেখান গিয়ে আমি মেঘ কে কল করে রিয়াদের বাসার ঠিকানা দিয়ে বললাম,, যত দ্রুত পারে এখানে চলে আসতে।
এরপর কলটা কেটে দিয়ে আমা পিস্তল টা দিয়ে গুলি করতে লাগলাম ছাদের দিকে। কারন ওখান থেকে গুলি আসছিলো।
বেশ কিছু ক্ষন গোলা গুলি চালার পর মেঘ আসলো। এরপর আমারা ২৫ জন মিলে বাড়ির ভিতরে গেলাম।
এক জন একজন করে মারতে মারতে ভিতরের দিকে যাচ্ছি।
পুরা বাড়িটা এখন রক্তে বন্যা হয়ে গেছে৷
আমাদের দলের ৩ জন আহত হয়েছে। সোনালিকা এখনো বাহিরে দাড়িয়ে।
ওদের দলের এখন আর এক জনও বেচে নেই৷ আমি পুরা বাড়ি খুজ লাম কিন্তু কোথাও রিয়া এবং জামিনুরের বাবা মা নেই। কি করবো কিছুই বুজতে পারতাছি না।
হঠাৎ করে কারো গোঙানির শব্দ শুনতে পেলাম। যেটা আমার পাশ থাকা দেওয়াল থেকে আসতাছে।
কি করে ভিতরে যাবো এটা ভাবছি এমন সময় দেখতে পেলাম দেওয়াল সাথে একটা সুইচ লাগানো। আমি ছুইস টা চাপ দিতেই সানে থাকা দেওয়াল টা সরে গেলো। তখন ভিতরের দিকে তাকিয়ে দেখি রিয়া একটা হাতে বন্দুক নিয়ে দড়িয়ে আছে তার সামনে ২ জন মধ্যবয়স্ক লোক একজ পুরুষ ও একজন মহিলা বসে আছে। চেয়ারের সাথে তাদের হাত পা বাধা৷ আমার বুজতে আর বাকি রইলো না যে ওই দুই জন ই জামিনুর এর বাবা মা৷
আমি একপা একপা করে সমনের দিকে এগোচ্ছি,, তাই দেখে রিয়া বললো,,
🔺রিয়াঃ এই এক পাও আগাবি না। এক পা সামনে আসলে তোকে এবং ওনাদের কে মাডার করে ফেলবো।
আমি তার কথা শুনেও না শুনার ভান করে সামনের দিকে এগোতে এগোতে বলতে লাগলাম,,,
অমিঃ এই রিয়া তুই না জামিনুরের বন্ধু তাহলে কি করে পারলি জামিনুর কে গুলি করতে আর ওনাদের কিডনাপ করতে।
🔺রিয়াঃ এই সবি ছিলো তোকে মারা প্লেন।
আমিঃ কেনো আমি আবার কি করলাম।
🔺রিয়াঃ কি করিস নি এটা বল। তুই আমার বাবা কে হত্যা করেছিস। ভার্সিটির সকলের সামনে তো তোর কাছে মাপ চাইছিলো কিন্তু তাই তাকে ক্ষমা করতে পারলি না। তুই তাকে হত্যা করলি সাথে আমাকে করলি পিতা হারা আমার মা কে করলি বিধবা।
আমিঃ এই অমানুষটাকে তুই কি করে বাবা পরি চয় দিস৷ ছিঃ ছিঃ
🔺রিয়াঃ কেন কি করছে আমার বাবা।
আমিঃ তোর বাবা ২০০ জন মেয়েকে পতিতা লয়ে বিক্রি করেছে। ১৫০ জন শিশু কে বিদেশে প্রাচার করেছে। রংপুর বড় বড় ২ টা বোমা ব্লাস্ট করেছে। রাজশাহী তে একটা করেছে ও ঢাকাতে ৩ টা করেছে যেখানে সর্বো মোট ১১০ জন লোক মারা গেছে। এর থেকে বড় কথা কি জানো।
🔺রিয়াঃ কিহহহ??
আমিঃ তোমার বাবা একজন নিকৃষ্ট লোক লোক ছিলো৷
🔺রিয়াঃ না আমি এটা বিশ্বাস করি না।
আমিঃ এই সব কিছুর ফাইল আমার কাছে আছে৷ তাই তো ঐ দিন প্রিন্সিপাল এর কাছ থেকে সব তথ্য নিয়েছি।
🔺রিয়াঃ প্রিন্সিপাল এর কাছ থেকে কেনো??
আমিঃ কারন ওসি আমাকে এই সকল রিপোর্ট দিতে চাচ্ছি লো না তাই প্রিন্সিপাল এর কাছ থেকে নেই। আর প্রিন্সি পাল নেয় ওসির থেকে।
রিয়ার বাবার এই সব কু কির্তির কথা কথা শুনে রিয়ার হাত থেকে ফোনটা পরে যায়৷ আর সে কান্না করতে থাকে।
এরপর আমি আলতো করে ওর হাত থেকে পিস্তল টা নিয়ে বললাম,,,,
আমিঃ মেয়েদের হাতে পিস্তল সোভা পায় না মেয়েদের হাতে সোভা পায় হলো গিয়ে এই খুনতি ঝাড়ু ইত্যাদি৷
রিয়া আমার কতা শুনে সোজা এসে আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো। সাথে বলতে লাগলো।
🔺রিয়াঃ আমি যানতাম না আমার বাবা যে এতো টা খারাপ। প্লিজ আমকে ক্ষমা করে দেও।
আমিঃ জানি তুমি ভুল বুঝে সব করেছো৷ এখন তুমি ওনাদের কাছে ও জামিনুরের কাছে ক্ষমা চাও তাহলে যদি ওনারা ক্ষমা করে আমি ও তোমাকে মাপ করে দিবো।
🔰সোনালিকাঃ ঐ তার তো দেখি মেয়ে দের সাথে জরিয়ে ধরার খুব শখ।
আমিঃ না মানে৷
🔰সোনালিকাঃ আর মানে মানে করতে হবে না।
আমিঃ কেনো??
🔰সোনালিকাঃ এমনি।
এই বলে আমি সোনালিকা জামিনুরের বাবা মা ও রিয়া মিলে চললাম হাসপাতলের উদ্দেশ্যে।
সেখানে গিয়ে রিয়া জামিনুরের কাছে মাপ চাইলে জামিনুর ও মাপ করে দেয়।
-------------------------
এর পর আমি আমার বাড়িতে চলে যাই ওখানে গিয়ে দেখি বাবা ও আমাকে মেনে নিয়েছে। আমি আবারো আমার পরিবারকে ফিরে পেলাম। আমি আর এখন গ্যাং স্টারে নেই কারন গ্যাং এ সোনালিকা মানা করে দিয়েছে।
এখন গ্যাং এর সকল কাজ করবার মেঘ ই করে। ও আপনাদের তো বলি নি। কাল জামিনুর আর কেয়ার বিয়ে হয়ে গেছে। তারা এখন খুব সুখেই জিবন ।
আমি এখন আমার বাবার কোম্পানিতে কাজ করি। প্রথম প্রথম আমার সৎ মা আমাকে দেখতে পারত না কিন্তু এখন আমাকে দেখতে পারে । আর আমি এখন তার নয়নের মনি।
আমার আর সোনালিকা প্রেম চুটিয়ে চলছে,,,, সোনালিকার বাবা প্রথমে আমার আর সোনালিকা সম্পর্ক মেনে না নিলেও পরে তিনি মেনে নিয়েছে।
---------------------3 মাস পর----------
আজ আমার আর সোনালিকার বিয়ে, আজ কেন যেন অন্যরকম এক ফিলিংস হচ্ছে যা আপনারা বিয়ে করলে বুঝতে পারবেন।
বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয় আমাদের বাসায় আসতে আসতে রাত বারোটা বেজে গেল। এরপর আমি বন্ধুদের সাথে ছাদে বসে আড্ডা দিতে লাগলাম। আড্ডা দিতে দিতে রাত 2 টা বেজে গেল তা আমি খেয়ালই করিনি। তাই আমি ওদের কাছে বললাম,,,
আমিঃ দোস্ত তোরা থাক তাহলে আমি আপাতত নিচে যাই।
জামিনুরঃ না তা হবে না আজকে সারারাত আমরা আড্ডা দিব। তাই না কেয়া।
কেয়াঃ জিহা আমরা সারা রাত আড্ডা দিব।
আমিঃ এই দেখ তোদের বান্ধবী আমাকে ফোন দিতে দিতে অবস্থা খারাপ করে ফেলেছে। এখন আপাতত যাই রাত দুইটা বাজে।
রিয়াঃ বউকে পেয়ে কি আমাদের ভুলে যাচ্ছিস। ভালো তো ভালো খুব ভালো।
আমিঃ তোদের বান্ধবী যে রাগি ।আমি যদি আর একটু লেট করি তাহলে আমাকে জিন্দা কবর দিয়ে দিবে। প্লিজ দোস্ত এখন অন্তত যাই।
কেয়াঃ যা যা তাড়াতাড়ি বউয়ের আঁচলের নিচে গিয়ে লুকা।
আমিঃ তোরা যা ইচ্ছা তাই বল আমি কিন্তু এখনি যাবো।
জামিনুরঃ আচ্ছা যাও তাহলে।
এরপর আমি ভিতরে এসে দেখতে পেলাম আমার বউটি লম্বা একটা ঘুমটা দিয়ে খাটের উপর চুপটি মেরে বসে আছে। আমি তখন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সোনালী কার উদ্দেশ্যে বললাম,,,,
আমিঃ এহেম এহেম। আমি কি ভিতরে আসতে পারি??
🔰সোনালিকাঃ না একদমি না।
আমিঃ কেনো??
🔰সোনালিকাঃ কারন আপনি পুরা ২ ঘন্টা পর এসেছেন৷ আর বাসর ঘরে কি কেউ এতো ক্ষন অপেক্ষা করে।
আমিঃকেউ না করুক আমার লক্ষি বউ টাতো আমার জন্য করেছে। এটাতেই আমি অনেক খুশি??
🔰সোনালিকাঃ ওহহ তাই।
আমিঃ হুম। তো এখন কি বাহিরে রাখবা নাকি ভিতরে আসতে বলবা।
🔰সোনালিকাঃ হুম আসো গো,, আমার বর টা।
এর পর আমি ভিতরে গিয়ে সোনালিকার সামনে বসলাম। তখন সোনালিকা বললো,,,,
🔰সোনালিকাঃ এই তুমি উঠে দাড়াও।
আমিঃ কেনো??
সোনালিকাঃ উঠে দাঁড়াতে বলছি ওটা তোর এত প্রশ্ন করো কেন হুম ??
সোনালিকার কথা মত আমি উঠে দাঁড়ালাম,, আমি উঠে দাঁড়াতেই সোনালিকা আমাকে বলল।
সোনালিকাঃ এখন তুমি তোমার কানে ধরো।
আমিঃ কেনো।
সোনালিকাঃ কারন তুমি লেইট করে এসেছো৷
আমিঃ তাই বলে কানে ধরতে হবে??
সোনালিকাঃ হুম একশো বার ধরতে হবে। শুধু কানে ধরলে হবে না। কানে ধরে ১০০ বার উঠবস ও করতে হবে৷
আমিঃ কিহহহ। না আমি এটা পরবো না।
সোনালিকাঃ ওকে তাহলে আমি তোমার বউ এর অধিকার দিতে পারবো না এই বলে দিলাম।
আমিঃ রাগ করে না লক্ষিটি৷ এই দেখো আমি কানে ধরছি৷
সোনালিকাঃ হুম ধরো। তে আমি কি না করছি নাকি??
আমিঃ এই দেখো কানে ধরে উঠ বস ও করতাছি। এই ১ এই, ২ এই,,, ৫ এই
সোনালিকাঃ তুই কি আমকে বোকা পেয়েছিস৷
অমিঃ নাতো কেনো??
🔰 সোনালিকাঃ তাহলে তুই আমা১,২এর পরে ৩ না বলে ৪ না বলে ৫ এ গেলি কেনো।
আমিঃ আচ্ছা সরি।
🔰 সোনালিকাঃহুম যা তো এখন তাহলে১৫০ বার কর।
আমিঃ কিছু কম হয় না।
🔰 সোনালিকাঃ না আর এইটাই তোর উপযুক্ত শাস্তি
কি আর করার এক বার একবার করে ৫০ বাস কান ধরে উঠবস করলাম৷ ৫১ বারের সোনালিকা বললো।
🔰 সোনালিকাঃ সারা রাত কি তুই শুধু কান ধরে উঠবস করবি না কি৷
আমিঃ চাই নাতো করতে। কিন্তু ওসির মেয়ের আদেশ, পালন না করে যাবো কোথায় ।
🔰 সোনালিকাঃ আচ্ছা আর করতে হবে না। এবার সোজা হয়ে দাড়াও।
আমিঃ আাবার কিহলো??
🔰সোনালিকাঃ এই আমি তো তোমাকে সালামই করলাম না। তো এখন সালাম করবো।
আমিঃ ওহহহ তো এখন করো।
এরপর আমি উঠে দাড়ালে সোনালিকা আমাকে সালাম করে। উঠে দাড়িয়ে আমাকে বলতে লাগে,,,,,
🔰সোনালিকাঃ আমি কিন্তু ওসির মেয়ে আমাকে যদি কখনো কষ্ট দেও তাহলে তোমাকে জেলে ডুকিয়ে দিবো।
আমিঃ মাইয়া কয় কি।
🔰সোনালিকাঃ হুম।
আমিঃ তো আমার বউ টাকে কি বমি জরিয়ে ধরতে পরি??
🔰সোনালিকাঃ আমি কি মানা করেছি নাকি??
এরপর সোনালিকাকে খাটে শুইয়ে দিয়ে। আমি তার উপরে শুয়ে পরলাম। এর পর তার ঠোঁটর সাথে আমার ঠোঁট মিসিয়ে দিয়ে সোনালিকার ঠোটের স্বাদ গ্রহন করতে লাগলাম৷
৫ মিনিট স্বাদ নেওয়ার পর সোনালিকা বলবো৷
🔰সোনালিকাঃ রায়হান কথা দেও কখনো ছেড়ে যাবে নাতো আমায়।
আমিহঃ তুমি আমার পাঠক পাঠিকাকেই জিজ্ঞেস করো??
কি পাঠক পাঠিকা আমি কি ওকে ছেড়ে যেতে পারবো কখনো?? আপনাদের মনে হয় তা প্লিজ কমান্ট বক্সে জানান।
সমাপ্ত,,,,,,,,, ৷
সব কিছু ঠিকঠাক আছে কিন্তু বানান অনেক ভুল, সো বানানের দিকে এখটু খেয়াল রাখবেন
ReplyDelete