গল্প : রিকশা চালক ছেলেটি যখন কোটি পতির ছেলে
পর্ব : ৪
লেখক : নিরব আহমেদ কাওছার
তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে ঘরে চলে গেলাম গিয়ে সকাল এর রান্না করা খাবার গুলো গরম করে ঘরে নিয়ে গেলাম বোনটা বসে বসে চকলেট খাচ্ছে তখন আমি বললাম ।।
> চকলেট খেলে হবে ঘুসল করতে হবে না চল তকে ঘুরস করিয়ে দেই। তারপর খাবার খাইয়ে দিবো ( আমি বললাম)
> তোমার ঘুসল করিয়ে দিতে হবে না আমি নিজেই ঘুসল করতে পারবো ( লিমা বললো)
> তাই নাকি একা একা ঘুসল করতে পারবি ( আমি বললাম)
> হুম পারবো আমি অনেক বড় হয়েছি এখন ( লিমা বললো )
> বাহহ এখনো নিজের হাতে খাবার খেতে পারে না ঠিক মতো ভালো করে কথা বলতে পারে না ।
অনেক বড় হয়ে গেছে আমার বোন খুব ভালো।
তাহলে চল আমি বালটিতে পানি দিচ্ছি ( আমি বললাম)
> হুম আমি আর ছোট নাই অনেক বড় হয়ে গেছি চলো ( লিমা বললো)
তারপর এক বালটি পানি দিয়ে দাড়িয়ে আছি তখন বোন বললো।
> তুমি যাও আমি ঘুসল করে আসছি ( লিমা বললো)
> ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি তুই ঘুসল করে আয় ( আমি বললাম)
এটা বলে আমি চলে আসলাম কিছু খন পর বোনটা ডাকতে লাগলো আমি যানি একা ঘুসল করতে পারবে না যাওয়ার পর বললো।
> ভাইয়া তুমি ঘুসল করিয়ে দাও ( লিমা বললো )
তারপর আমি আরকিছুই না বলে ঘুসল করিয়ে দিয়ে নিয়ে চলে আসলাম তারপর ঘরে এসে একটা প্লেটে ভাত নেওয়ার পর বোনটা বললো।।
> ভাইয়া আজ আমি তোমায় খাইয়ে দিবো দাও আমার কাছে দাও ( লিমা বললো)
> নারে বোন থাক তর কষ্ট করে খাইয়ে দিতে হবে না আমি তকে খাইয়ে দিচ্ছি আর নিজেও খাচ্ছি ( আমি বললাম)
> নাহ আমি তোমায় খাইয়ে দিবো । দাও বলছি আমার কাছে খাবার দাও ( লিমা একটু রাগি গলায় বললো)
> আচ্ছা ঠিক আছে দিচ্ছি এত রাগ করার কি আছে ( আমি বললাম)
তারপর খাবার এর প্লেট দিয়ে দিলাম বোনটার কাছে তখন বোনটা হাতে অল্প কিছু ভাত নিয়ে বললো।
> আমার লক্ষি ভাইয়া নাও ভাইয়া হা করো খেয়ে নাও যলদি এখন ( লিমা বললো)
>................ ( আমি চুপ করে তাকিয়ে আছি নিমিষেই চোখের পানি ঝড়ে পড়তে লাগলো ।)
কতটা বছর পর আমায় এমন আদর করে খাইয়ে দিচ্ছে । মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে এখনো মায়ের হাতে খাবার খাইনি আল্লাহ মনে হয় তা আমার ভাগ্য রাখেনি । আজ যদি মা বাবা থাকতো তাহলে কত আদর যত্ন করতো। যার মা বাবা নেই সে বুঝতে পারে সে কতটা একা । বোনটা আছে বলে এখনো হয়তো বেচে আছি । কথা গুলো ভাবতে ভাবতে চোখের জল গুলো ঝড়ে পড়তে লাগলো।।
________________________________________________
এই পৃথিবীতে হাজারো কোটি লোকের বসো বাস।
৷ তার মধ্যে দুটি মানুষ।
যদি হারিয়ে যায় ।
মা এবং বাবা
তাহলে এই পৃথিবীতে তুমি একা।
মা বাবা না থাকলে যতই কাছের মানুষ থাকুক না কেনো পুরো পৃথিবীটাই ফাকা লাগবে।
________________________________________________
তখন বোনটা দেখলো আমি কান্না করছি বোনটা দাড়িয়ে তার জামা দিয়ে আমার চোখের পানি মুছে দিলো আর বললো।
> তুমি ভালো না একেবারে পচা । তুমি কান্না করো কেন । তুমি তো আমায় খাবার খাইয়ে দাও কোথায় তখন আমি তো কান্না করি না । এখন কান্না না করে সুন্দর করে খাও হুম ( লিমা বললো)
কি বলবো আমি বোনটাকে কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। তখন বোনটার কপালে একটা চুমু দিয়ে জরিয়ে দরে কান্না করে বললাম।
> হুম খাইয়ে দেহ আর কান্না করবো না ( আমি কান্না কন্ঠে বললাম)
> কোথায় তুমি কান্না থামালে তুমি তো কান্না করছো এখনো। ( লিমা বললো)
> আ,,,,,,,,,,,৷ , ( আমি কিছু বলার আগেই লিমা বললো )
> শুনো ভাইয়া আমাদের বাসার পিছনে একটা কালো ভুত আছে ইয়া বড় বড় দাত ভয়ংকর চেহারা । সেই ভুত যদি কেউ খাবার না খায় কান্না করে কেউ তাহলে ভুত এসে নিয়ে যাবে তাকে । এখন কান্না না করে সুন্দর করে খেয়ে নাও তুমি নয়তো কালো ভুত এসে নিয়ে যাবে তোমায় ( লিমা বললো)
কথাটা শুনে ফিক করে হেসে দিলাম আমি প্রতিদিন এটা বলে ভয় দেখিয়ে খাবার খাইয়ে দেই এখন আমায় ভয় দেখাচ্ছে খাওয়ানোর জন্য।
> হুম আচ্ছা আর কান্না করো না খাইয়ে দেহ ( আমি বললাম )
তখন বোনটা খাইয়ে দিতে লাগলো ।
এই ছোট্ট ছোট্ট হাতে অল্প ভাত মুখে দিলেও
এটাই অনেক বেসি আমার জন্য।
আমি কিছু খেয়ে তারপর বোনটাকে খাইয়ে দিলাম।
।।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে তিনটা পর্যন্ত বাসায় থেকে বোনটাকে রেখে চলে আসলাম চাচির জন্য একটা শাড়ি কিনে দিবো তার শাড়ি ছিড়ে গেছে চাচার কাছে টাকা নাই তাই আমি একটা কিনে দেই আমার কাছে অল্প টাকা আছে সেটা দিয়ে একটা কিনে দিবো রিকশা নিয়ে চলে গেলাম পুরনো মার্কেট সেখানে গিয়ে একটা গজ কাপড় এর দোকানে বসলাম একটু কিছুক্ষণ এর জন্য কারণ চাচাকে বলছি আসতে এখানে ।।
।।
আমি দোকানটাতে বসে ছিলাম তখন একটা বয়স্ক লোক আসলো এই দোকানে কাপড় কিনতে এসে দোকান দারকে বললো।
> বাবা আমায় একটু মোটা কাপড় দেখাও তো ( বয়স্ক লোকটা বললো।)
দোকানদার ছেলেটার বয়স কম একেবারে তখন ছেলেটা বললো।
> কি করবেন চাচা মোটা কাপড় দিয়ে ( দোকানের ছেলেটা)
> রাতে একটু শীত করে তাই একটু কম দামি মোটা কাপড় কিনে সেটা উপরে দিয়ে শুয়ে থাকবো ( বয়স্ক লোকটা বললো)
> ওহ আপনি কোথায় থাকেন চাচা ( দোকানের ছেলেটা)
> রাস্তায় থাকি এখন মোটা কাপড় আছে থাকলে দাও ( বয়স্ক লোকটা বললো)
আমি লোকটার কথা শুনে অবাক হয়ে গেছি ।
একমাত্র গরিব মানুষ গুলো বুঝতে পারে কেমন করে তার জীবনটা গড়া। গরিব মানুষের ঘরে একটু শুখ আনতে কতটা লড়াই করে জীবন এর সাথে।
অনেক কষ্ট করতে হয়।
তখন দোকানের ছেলেটা বললো
> আছে গজ ৪০ টাকা পড়বে ( দোকানের ছেলেটা বললো)
> আচ্ছা ঠিক আছে দেও তিন গজ ( বয়স্ক লোকটা বললো)
> আচ্ছা চাচা আপনি কি করেন রাস্তায় । আর কোথা থেকে আসছেন ( দোকানের ছেলেটা বললো)
> আমি গ্রামের মানুষ গ্রামে কাজ পাচ্ছিলাম না বলে ঢাকা আসছিলাম একটা কাজ খুজতে কিন্তু পাইনি আাসার সময় ১৫০০ টাকা ছিলো আমার কাছে সেটা নিয়ে আসছি । আমার একটা মেয়ে আছে আসার সময় বলে দিয়েছে একটা কম্বল নিয়ে যেতে সামনে শীত তাই বলে দিয়েছে আমি আর পাচ দিন থেকে চলে যাবো কিছু টাকা আছে সেটা দিয়ে আর পাঁচ দিন কাটবে তাই কমদামি কাপড় দিয়ে রাস্তায় থেকে চলে যাবো কাজ না পেলে ( বয়স্ক লোকটা বললো)
> এই পাতলা কাপড় দিয়ে থাকতে পারবেন আপনি ( দোকানের ছেলেটা বললো)
> বাবা কষ্ট হলেও থাকতে পারবো সেই ধৈর্য আছে এই গরিবের এর চেয়ে ঠান্ডায় কিছু ছাড়া কাটিয়ে দিয়েছি ( বয়স্ক লোকটা বললো)
বানান গুলো ভুল হলে ক্ষামা করে দিবেন।
সরি গল্পটা লেট করে দেওয়ার জন্য কারণ আমার আম্মু অসুস্থ ছিলো তাই লিখতে পারিনি এখন সুস্থ হয়েছে একটু তাই এখন থেকে আবার লিখবো খুব তাড়াতাড়ি পরে পর্ব দিবো।
চলবে..........
গল্প : রিকশা চালক ছেলেটি যখন কোটি পতির ছেলে
পর্ব : ৫
লেখক : নিরব আহমেদ কাওছার
.
> এই পাতলা কাপড় দিয়ে থাকতে পারবেন আপনি ( দোকানের ছেলেটা বললো)
> বাবা কষ্ট হলেও থাকতে পারবো সেই ধৈর্য আছে এই গরিবের এর চেয়ে ঠান্ডায় কিছু ছাড়া কাটিয়ে দিয়েছি ( বয়স্ক লোকটা বললো)
> চাচা আপনি এত কষ্ট করে রাস্তা থাকেন
আপনি বাসায় চলে যান এত কষ্ট করে না থেকে এখানে আ......( ছেলেটা আরো কিছু বলতে যাবে তার আগে বয়স্ক লোকটা বললো)
> বাবা আমি যদি বাসায় চলে যাই কোনো কাজ না পাই তাহলে আমার স্ত্রী আর মেয়ে না খেয়ে থাকবে।
আমি না খেয়ে থাকতে রাজি আছি কিন্তু আমার স্ত্রী আর মেয়ে কে না খাইয়ে কি করে রাখবো নিজের কষ্ট হলেও আমার পরিবার কে কোনো কষ্টে থাকতে দিবো না ( বয়স্ক লোকটা বললো)
তখন ছেলেটা চুপ হয়ে গেলো কথাটা গুলো শুনে।
এমন হাজারো মানুষ আছে যারা নিজের পরিবার এর কথা চিন্তা করে নিজের কথা না ভেবে তিন বেলা খাবার এর জন্য একটু সুখের জন্য এমন হাজারো কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে রাখে সব সয্য করে যাতে তার পরিবার একটু সুখের হাসিটা হাসে ☺।।
।।
তখন বয়স্ক লোকটা কাপড় নিয়ে চলে গেলো টাকা দিয়ে আমি শুধু শুনছিলাম তার কথা আর তাকিয়ে দেখছিলাম কথা গুলো শুনে খুব কষ্ট লাগলো। আমার কাছে যদি কাজ থাকতো তাহলে কাজ দিতাম কিন্তু আমি নিজেই রিকশা চালাই থাকার মতো ছোট্ট একটা ঘর আছে একজন থাকা যায় সেখানে আমি আর বোন থাকি থাকার মতো যায়গা নেই যে তাকে দিবো। কোনো ভাষা নেই তাকে কি বলবো আজ যদি কোটি পতির ছেলে থাকতাম তহলে নিসচয় লোকটার জন্য কিছু করতাম।।
।।
এইবাবে অনেক খন সময় কেটে গেলো কিন্তু চাচা এখনো এলো না তাই আমি চাচার জন্য অপেক্ষা না করে একটা শাড়ির দোকানে গিয়ে চাচির জন্য একটা শাড়ি নিলাম আমার কাছে ৭০০ শত টাকা ছিলো সেখান থেকে ৬০০ টাকা দিয়ে নিলাম নিয়ে মার্কেট এর বাহিরে চলে আসলাম এসে চাচা কে ফোন দিলাম রিসিভ করার পর বললাম
> চাচা কোথায় তুমি এখনো । সেই কখন থেকে বসে আছি ( আমি বললাম)
> ওহ ভুলে গিয়েছিলাম আমি তো মাএ চায়ের দোকানে এসে বসলাম যেখানে তুই বলে গিয়েছিলি বসতে ( চাচা বললো)
> আমি তোমায় তখন কি বলেছিলাম পুরনো মার্কেট আসতে আর তুমি গিয়ে চায়ের দোকানে বসে আছো আচ্ছা তুমি বসো আমি আসছি ( আমি বললাম)
> আচ্ছা ঠিক আছে আয় আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি এখানে বসলাম তুই আয় ( চাচা বললো)
তারপর আমি রিকশা নিয়ে চলে আসছিলাম।
হঠাত কিছু সামনে যেতেই দেখলাম সামনে সেই ১০০ টাকা দিয়ে চলে যাওয়া মেয়েটা পড়লো আর আমায় দেখে ডাকলো তারপর কাছে যাওয়ার পর বললো।
> যাক তাহলে পেয়ে গেলাম তোমাকে অনেক খন দরে অপেক্ষায় ছিলাম কখন আসবে ( মেয়েটি বললো)
> কিসের জন্য দাড়িয়ে আছেন বলুন তো আমার জন্য ( আমি অবাক হয়ে বললাম)
> তোমার রিকশা দিয়ে একটু ঘুরে ফিরে আসবো ( মেয়ে একটু হাসি দিয়ে বললো)
> আমি এখন কোথাও যাবো না সরি আপনি অন্য কোনো রিকশা নিয়ে যান ( আমি বললাম,)
> তাহলে যাবে না তুমি আমি তোমার জন্য দাড়িয়ে আছি সেই কখন থেকে ( মেয়েটি মন খারাপ করে বললো)
> দেখুন আমি যাবো না আমার কাজ আছে একজন এর জন্য শাড়ি কিনেছি তাকে দিতে হবে আর বাসায় চলে যেতে হবে। আজ নয় আগামীকাল যদি পারি তাহলে যাবো ( আমি বললাম)
তখন মেয়েটি মনে হয় এই শাড়ির কথা শুনে আরো মন খারাপ করলো আর বললো
> শাড়ি মানে তুমি কার জন্য শাড়ি কিনেছো ( মেয়েটি মন খারাপ করে বললো)
> কি ভেপার এই মেয়ের আবার কি হলো এমন ব্যাবহার করছে কেন ( আমি মনে মনে বললাম )
তখন মেয়েটি বললো
> কি হলো বলো কার জন্য কিনছো ( মেয়েটি মন খারাপ করে বললো)
> আমার একটা চাচা আছে সকালে এসে বললো চাচির নাকি শাড়ি ছিড়ে গেছে তাই তার জন্য একটা শাড়ি কিনেছি চাচার কাছে টাকা নাই বলে এখন সেটা দিতে যাচ্ছি ( আমি বললাম)
> আমি বিস্যাস করি না আমি যাবো তোমার সাথে গিয়ে দেখবো ( মেয়েটি বললো)
> আচ্ছা আমি যাকে মন চায় শাড়ি দিবো তা আপনার কি আর আপনি বিস্যাস করেন বা না করেন তা দিয়ে আমি কি করবো আর আমি আপনাকে নিয়ে যাবো না ( আমি বললাম)
এই বলে রিকশা নিয়ে চলে আসলাম চাচার কাছে এসে দেখি চাচা বসে আছে তখন চাচার কাছে গিয়ে শাড়ির বেগটা দিয়ে বললাম
> নাও চাচা এই শাড়িটা চাচির জন্য তোমার কাছে দিলাম নিয়ে চাচিকে দিবে জিজ্ঞেস করলে বলবে তুমি নিয়ে আসছো আমার কথা বলবে না ( আমি বললাম)
চাচা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কিছুখন পর আমি লখ্য করলাম চাচার চোখের কোনে পানি জমে আছে তখন আমি কিছু বলতে যাবো তার আগে চাচা বললো
> বাবা তুই কেন এটা করলি তর কাছে তো এমনিতেই টাকা নাই শুধু শুধু এই টাকা খরচ করলি কেন এখন তুই চলবি কি করে। নাহ আমি এই শাড়ি নিয়ে যাবো না লাগবে এই শাড়ি তুই এই শাড়ি ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে আয় এই শাড়ি আমি নিতে পারবো না ( চাচা বললো)
তখন আমি বললাম
> চাচা তুমি সেদিন কি বললে আমি তোমার ছেলের মতো ( আমি বললাম)
> হুম বলেছি ( চাচা বললো)
> তাহলে এই শাড়টা নিয়ে যাও আর ভাবো এটা তোমার ছেলে দিয়েছে। আর আমার কাছে যা টাকা আছে তা দিয়ে আরো বসে বসে দুইদিন খেতে পারবো এই শাড়িটা নিয়ে এখন যাও আর তোমার জন্য কিছু কিনতে পারলাম না চাচা টাকা ছিলো না ( আমি বললাম)
তখন চাচা আমায় জরিয়ে দরে বললো।
> যানি না তর আব্বু আম্মু কে নিসচয় তারা খুব ভালো আল্লাহর কাছে দোয়া করি তর আব্বু আম্মু কে যে তর কাছে খুব তারাতাড়ি ফিরিয়ে দেয়। ( চাচা বললো)
>......... ( আমি চুপ করে রইলাম)
তখন চাচা আবার বললো
> আমার জন্য নিয়ে আসিস নাই খুব ভালো কাজ করছিস নিয়ে আসলেও আমি নিতাম না ( চাচা বললো)
> সেটা পরে দেখা যাবে এখন বাসায় যাও গিয়ে শাড়িটি চাচির কাছে দাও ( আমি বললাম)
তারপর কিছুখন পর চাচা চলে গেলো আমিও কিছুখন পর চলে আসলাম সেখান থেকে এই ভাবে চলে গেলো কয়েকটি দিন ।।
।।
একদিন দুপুরে আমি রিকশা রেখে রাস্তার এক সাইটে দাড়িয়েছিলাম প্রচন্ড রোদ তাই একটা শপিং মলের সামনে দাড়িয়ে ছিলাম রাস্তায় কোনো লোক নেই আজ শুধু কিছু গাড়ি আছে ।।
।।
তখন হঠাত পিছন থেকে কেউ এসে ধাক্কা খেলো তাকিয়ে দেখি সৈই দিন এর মেয়েটা যে বলেছিলো আমার সরিল থেকে দূর গন্ধ বের হচ্ছে এটা বলে রিকশা থেকে নেমে গিয়েছিলো তখন দেখলাম হাতের ফোন নিচে পড়ে আছে মনে হয় কথা বলছিলো খেয়াল না করায় আমার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেছে তখন আমি দেখলাম রাগি চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে তখন আমি ভাবলাম সরি বলি দোষ তার থাকলেও আমার মনে করবে তাই ফোনটা উঠিয়ে বললাম।
> সরি ম্যাডাম এই নিন আপনার ফোন ( আমি বললাম)
তখন মেয়েটি লাথি মারলো আমায় আর দুটি চড় দিয়ে বললো।
> ছোটলোক এর বাচ্চা কু,,,,,,,তা,,,,,,,র,,,,,,,,,বা,,,,,চ্চা চোখে দেখিস না তুই আমার ফোন তুই ভেঙ্গে ফেলছিস এখন এই ফোনটার ডিসপ্লে চলে গেছে তর জন্য তকে আজ মেরেই ফেলবো ( মেয়েটি বললো)
এই বলে আরো চরটি চর দিলো তখন আমি বললাম।
> ম্যাডাম আপনি দেখে হাটলেই তো আর পড়ে না আপনি নিজে এসে ধাক্কা খেয়েছেন আর ফোনটা পড়ে গিয়েছে আমি ভাঙ্গলাম কখন দোষ আপনার ( আমি বললাম)
> ছোটলোক এর বাচ্চা তর কত সাহস তুই মুখের উপর কথা বলিস দোষ করে আবার ( মেয়েটি বললো)
এই বলে লাথি মারলো আর চর দিতে লাগলো তখন পাসের একটা দোকানদার এসে মেয়েটাকে বুজিয়ে নিয়ে গেলো দোকানদার হয়তো সব দেখেছে কার দোষ এখানে তাই আমায় কিছু বললো না শুধু এতটুকু বললো চলে যেতে আর ফোনটার কিছু হয়নি দেখলাম ।
> আজ কোনো দোষ না করেও মার খেতে হলো ( কান্না করে মনে মনে বললাম আমি)
তারপর বাসায় চলে আসলাম আর এসে কান্না করছিলাম তখন বোনটা ঘরে আসলো আর দেখে কান্না করছি আমি তখন বোনটা আমার কাছে এসে চোখের পানি মুখে একটা কপালে চুমু দিয়ে বললো
>........
বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।
গল্পটা লেট হওয়ার কারন আমি অনেক দিন গল্প না লেখায় কিছু গল্প ছিলো রানিং আমার দৃতীয় এবং তৃতীয় আইডিতে সেগুলো লিখে রানিং করেছি তাই লেট হলো আর লেট হবে না।
আগামীকাল সন্ধ্যায় পরের পর্ব আপলোড করবো
গল্পের কাহিনি কিন্তু শুরু এখন মজা পাবেন পড়ে।
যারা গল্প পড়ে লাইক না দিয়ে চলে যান প্লিজ লাইক দিবেন।
আর গল্পটা কেমন হচ্ছে কমেন্ট করে বলে দিন
অপেক্ষায় থাকুন পরের পর্ব জন্য।