পর্ব : ৬
লেখক : নিরব আহমেদ কাওছার
....
> আজ কোনো দোষ না করেও মার খেতে হলো ( কান্না করে মনে মনে বললাম আমি)
তারপর বাসায় চলে আসলাম আর এসে কান্না করছিলাম তখন বোনটা ঘরে আসলো আর এসে দেখে কান্না করছি আমি তখন বোনটা আমার কাছে এসে চোখের পানি মুছে দিলো আর কপালে একটা চুমু দিয়ে বললো।
> আমার লক্ষি ভাইয়া তুমি কাঁদছো কেনো হুম ( লিমা বললো)
তখন আমি একটু হাসতে চেষ্টা করলাম আর সত্য লুকিয়ে মিথ্যা কথাটা বললাম বোনটাকে।
> এমনি চোখে একটা ছোট্ট পোকা পড়ছে আর একটু ঝালাপোড়া করছে তাই চোখ দিয়ে পানি পড়ছিলো ( আমি বললাম)
> তার জন্য আমার ভাইয়া কাদছিলো পোকাটা খুব খারাপ আমি বকে দিবো পোকাটাকে। তোমায় কষ্ট দিয়েছে অনেক আর কান্না করো না ( লিমা বললো)
এটা বলে কপালে আরেকটা চুমু দিলো। তখন আমি বললাম।
> আচ্ছা ঠিক আছে আর কান্না করবো না ( আমি বললাম)
তখন বোনটা আমার কোলে বসে বললো।
> আচ্ছা ভাইয়া পোকা কি এখনো আছে তোমার চোখে ( লিমা বললো)
> নাহ বেরিয়ে এসেছে তুই চোখের পানি মুছে দেয়ার সময় ( আমি বললাম)
তখন বোনটা হেসে বললো।
> দেখছো পোকাটি আমার ভয়ে বেরিয়ে এসেছে ( লিমা হেসে বললো)
বোনটার এই হাসি টুকু যথেষ্ট মনটা ভালো করার জন্য বোনটার হাসি মুখ দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়
তাই তো এখনো হাজারো কষ্ট গুলো একটু চাপা দিয়ে বেচে আছি।।
।।
তখন বোনটা আবার বললো।
> ভাইয়া খিদে পেয়েছে আমায় খাইয়ে দাও যলদি ( লিমা বললো)
> ঠিক আছে চল আগে তকে গোসল করিয়ে দেই তারপর খাইয়ে দিবো ( আমি বললাম)
> আচ্ছা ঠিক আছে চলো ভাইয়া ( লিমা বললো)
তারপর বোনটাকে নিয়ে চলে গেলাম। গোসল করিয়ে নিয়ে আসলাম এসে কিছু খাবার নিয়ে বোনটাকে খাইয়ে দিতে লাগলাম খাওয়ার মাঝে হঠাত হাতে কামড় দিলো জোরে বোনটা তখন আমি বললাম।
> ওফ কিরে কামর দিচ্ছিস কেন ( আমি বললাম)
> হি 😁 হি 😁 হি 😁 এমনি ( বোনটা দুষ্ট হাসি দিয়ে বললো)
>ওরে দুষ্ট বোন ভালোই দুষ্ট হয়ে গেছিস ( আমি বললাম)
> হবোই তো দেখতে হবে যে কার এই পিচ্চি বোন ( লিমা বললো)
> হুম হয়েছে এখন চুপ করে খাবার খেতে থাক ( আমি বললাম)
এটা বলে আর কিছু ভাত মুখে দিলাম বোনটার তখন আবার কামড় দিলো কিছু বললাম না আবার কিছু ভাত নিয়ে মুখে দিতেই আবার কামড় দিলো কেমনডা লাগে তখন বলেন তো থাক কিছু বললাম না বোনটা তো আমার তখন আর কিছু ভাত নিয়ে মুখে দিলাম এবার কামড় দিয়ে দরে রাখলো। আর বোনটা হাসতে লাগলো। তখন আমি বললাম।
> ওফ লিমা কামড় ছাড় ব্যাথা পাচ্ছি বোন আমার কামড় ছাড় এটা আমার হাত তর খাবার নাহ ( আমি বললাম)
তখন অনেক কষ্টে হাত ছাড়িয়েছি আর আমি বললাম।
> কি হয়েছে তর কামড় দিচ্ছিস কেন আমার হাতে বলতো ( আমি বললাম)
> আমার চকলেট কোথায় হুম আজ নিয়ে আসোনি কেন তাই কামড় দিয়েছি হুম ( লিমা বললো)
> ওহ বুলেই গিয়েছি আজ একটুও মনে ছিলো না চকলেট নিয়ে আসতে তর জন্য ( আমি বললাম)
> হুম তাই তো কামড় দিলাম যাতে মনে থাকে পরের বার আর না ভুল হয় যদি ভুল হয় তাহলে এমন কামড় দিবো পরে বুঝতে পারবে আজ একটু কম দিলাম পরের বার আরো বেসি করে দিবো হুম ( লিমা বললো)
> আচ্ছা ঠিক আছে আর ভুল হবে না খুব মনে থাকবে যেই কামড় দিয়েছিস খুব মনে থাকবে ( আমি বললাম)
> হুম মনে থাকে যেন ( লিমা বললো)
এইভাবে কেটে গেলো কয়েকটি দিন।
আজ কলেজে ভর্তি হতে যাবো তাই সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছিলাম কলেজে যাওয়ার জন্য তখন বোনটা দেখে আমি রেডি হচ্ছি তখন বোনটা আমায় বললো।
> ভাইয়া কোথায় যাও তুমি ( লিমা বললো)
> কলেজে ভর্তি হতে যাচ্ছি খুব তারাতাড়ি চলে আসবো তুই ঘরে বসে থাক আমি আসছি ( আমি বললাম )
> আচ্ছা ঠিক আছে যাও আর আাসার সময় আমার জন্য চকলেট নিয়ে আসবে ( লিমা বললো)
> আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে আসবো ( আমি বললাম)
তারপর চলে আসলাম যানি না কত টাকা লাগবে ভর্তি হতে আমার কাছে অল্প কিছু টাকা আছে গিয়ে দেখি যদি ভর্তি হতে পারি তাহলে ভালো আর না হতে পারলে আর লেখাপড়া করবো না রিকশা চালাবো ।।
।।
কলেজটা খুব ভালো আমার বাসা থেকে কিছুটা দূরে হেটে হেটে নিচের দিকে তাকি যাচ্ছিলাম তখন হঠাত পিছন থেকে কেউ ওই বলে ডাকলো আমি আর তাকালাম না রাস্তায় অনেক মানুষ হতে পারে অন্য কাউকে ডেকেছে আমি হেটে যেতে লাগলাম তখন দৌড়ে একটা মেয়ে আসলো আমার সামনে আর এই মেয়েটা হচ্ছে। সেদিন আমার রিকশা দিয়ে ঘুরতে চাইছে সে তখন মেয়েটা বললো।
> ওই তুমি কোথায় যাও ( মেয়েটি বললো )
> কলেজে ভর্তি হতে যাচ্ছি ( আমি বললাম)
> ওহ কোন কলেজে যাচ্ছো ( মেয়েটি বললো)
> এই সামনের.................. এই কলেজে যাচ্ছি ( আমি বললাম)
> ওহ আমিও এই কলেজে যাচ্ছি তোমাকে দেখলাম হেটে যাচ্ছো তাই আমিও আসলাম চলো তোমার সাথে হেটে যাবো ( মেয়েটি বললো)
> কেন আপনি আমার সাথে হেটে যাবেন কেন।
একটা রিকশা নিয়ে চলে যান ( আমও বললাম)
> নাহ আমি তোমার সাথে হেটে যাবো চলো আর এখন থেকে আমায় তুমি করে বলবে এই আপনি করে ডাকাটা শুনতে ভালো লাগে না আমার নাম মায়া বুঝতে পারছো ( মায়া বললো)
> আ......( আমি কিছু বলতে যাবো তার আগে মায়ার বান্ধবী আসলো তার গাড়ি নিয়ে আর বললো)
> কিরে তুই এই ছোটলোক এর সাথে হেটে যাচ্ছিস( মায়ার বান্ধবী বললো )
> নিলা চুপ কর ছোটলোক কাকে বলছি সে একজন রিকশা চালক আর আমি তার সাথেই হেটে যাবো তুই চলে যাহ ( মায়া বললো)
> ছি তুই সামান্য এই রিকশা চালক ছেলের সঙ্গে হেটে যাচ্ছিস কি বাজে পোশাক এর সরিল থেকে দূর গন্ধ আসছে তর সরিলে ময়লা আসবে চলে আয় আমায় গাড়িতে এই ছোটলোক এর কাছ থেকে ( মায়ার বান্ধবী বললো)
তখন মায়া বললো একটু রাগি গলায় বললো ।
> নিলা তুই চুপ কর রিকশা চালক হয়েছে বলে কি হয়েছে সে কি মানুষ না আর ছোটলোক কাকে বলছিস সে গরিব তাই রিকশা চালায় পেটের ক্ষুধা মেটাতে তাই বলে ছোটলোক বলে গালি দিচ্ছিস কেন মানুষ কে সম্মান দিতে শেখ ( মায়া বললো)
> কি বেপার তুই ওই ছোটলোক এর পক্ষে কথা বলিস কেন ও ছোটলোক তাই বলেছি এই গুলো ছোটলোক কে আমি দেখতে পারি না সরিল থেকে কি দূরগন্ধ বের হয় আমার তো এদের দেখলেই বিতর থেকে সব উল্টে আসে । ( নিলা বললো)
> নিলা তুই চলে যাহ আমার রাগ হচ্ছে আমি উল্টো পাল্টা কিছু বলে দিবো ( মায়া রাগি গলায় বললো)
তখন নিলা চলে গেলো আর মায়া তাকিয়ে দেখে আমি চলে যাচ্ছি তখন দৌড়ে আমার কাছে গেলো আর হাটতে হাটতে বললো।
> নিলার কথায় কিছু মনে করো না আসলে বড়লোক বাবার মেয়ে তো তাই একটু অহংকারী ( মায়া বললো)
> নাহ কিছু মনে করি নাই ঠিকি বলছে আমি তো ছোটলোক তাই বলছে ( আমি বললাম)
> আবার তুমি সেই একি কথা বলছো আর একবার ও এইকথা বলবে না ( মায়া বললো)
তারপর আর কিছু না বলে চলে আসলাম কলেজে এসে প্রিন্সিপাল এর রুমে চলে আসলাম ভর্তি হতে আসার পর শুনলাম ভর্তির জন্য ছয় হাজার টাকা লাগবে আর পাঁচশত টাকা একস্ট্রা দিতে হবে তখন আমি প্রিন্সিপালএর রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম এসে হাটছি আর মনে মনে ভাবছি।
> এত টাকা কোথায় পাবো এখন ভর্তি হতে ছয় হাজার পাঁচশত টাকা লাগবে আরো বই কিনতে হবে তারমানে অনেক টাকার প্রয়োজন। রিকশা চালিয়ে কি এত টাকা পাওয়া যায় যা পাই তা দিয়ে তিনবেলা খাবার জুটেনা সত্যি গরীব এর ভাগ্যে সব কিছু মিলে না থাক লেখাপড়া আর করবো না এখানেই লেখাপড়া শেষ করে দেই রিকশা চালাই ( আমি মনে মনে বললাম)
মনে মনে ভাবছিলাম আর হেটে যাচ্ছিলাম তখন হঠাট কারো সাথে ধাক্কা লাগলো তাকিয়ে দেখি নিলা আর রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এখন সরি বললেও মারবে না বললেও মারবে একেতো আমায় দেখতেই পারে না সয্য করতে পারে না তারউপর আবার ধাক্কা লেগেছে তখন আমি বললাম।
> সরি আমি দেখে ধাক্কা দেইনি ক্ষমা করে দিবেন আমায় ( আমি বললাম)
তখন নিলা ঠাসস করে দুটি চর দিয়ে বললো।
> কু,,,,,,,,,তা,,,,,,,,,,র,,,,,,,,বা,,,,চ্চা,,,,,,তুই ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে এখন বলছিস দেখিনি মেয়ে মানুষ দেখলেই শুধু ধাক্কা খেতে মন চায়....................
বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।
অপেক্ষায় থাকুন তার পরের পর্ব জন্য।