পর্ব : ৩
লেখক : নিরব আহমেদ কাওছার
..
তারপর মেয়েটা উঠে পড়লো আমি চালিয়ে নিয়ে যেতে লাগলাম কিছু খন পর মার্কেট এর পিছনে আসলাম তখন মেয়েটি নেমে বললো।
> ফোন নাম্বার দাও তোমার ( মেয়েটি বললো)
আমিতো কথা শুনে অবাক বলে কি মেয়েটা তখন আমি বললাম।
> কেন মেডাম ফোন নাম্বার দিয়ে কি করবেন ( আমি বললাম )
> কিছুখন দাড়াও আমি আবার যাবো তাই আর এই নাও অগ্রিম একশো টাকা দিলাম এখন দাও ( মেয়েটি)
> আচ্ছা ঠিক আছে এই নিন 013.................এটাই আমার ফোন নাম্বার ( আমি বললাম)
> এখান থেকে কোথাও যাবে না কিন্তু দাড়াও এখানে আমার বান্ধবীকে নিয়ে আসছি আমি ( মেয়েটি বললো)
> ঠিক আছে মেডাম আপনি যান আমি এখানে দাড়িয়ে আছি ( আমি বললাম )
কিছুখন পর সেই মেয়েটি তার বান্ধবীকে নিয়ে আসলো আর তার বান্ধবী এসে বললো।।
> তুই এই রিকশা নিয়ে আসলি কেন ( মেয়েটার বান্ধবী)
> কেন কি হয়েছে রিকশা নিয়ে আসলে ( মেয়েটি)
> তুই যানিস না এদের সরিলে দূরগন্ধ থাকে বেসি আমি রিকশা দিয়ে যাই না ( মেয়েটার বান্ধবী)
> এই প্রচন্ড রোদের মাঝে রিকশা চালাতে গেলে থাকতেই পারে কিন্তু কোথায় আমি তো তেমন কিছু পেলাম না আসার সময় ( মেয়েটি)
> আমি যাবো না এই গুলো রিকশা দিয়ে তুই যাহ ( মেয়েটির বান্ধবী)
> আরে চল তো গেলে কিছু হবে না এত কথা না বলে চল ( মেয়েটি বললো)
তারপর জোর করে রিকশায় উঠালো আমি কোনো কথা না বলে চালিয়ে জেতে লাগলাম কিছু দূর যাওয়ার পর মেয়েটার বান্ধবী বললো।
> ওই তুই রিকশা থামা আমি যাবো না প্রয়োজনে হেঁটে যাবো তবুও যাবো না ( মেয়েটার বান্ধবী)
> কেন কি হলো নেমে যাবি কেন ( মেয়েটা বললো)
> আমার বিতর থেকে সব এখনি বের হয়ে যাবে কি বাজে দূরগন্ধ এর সরিলে ( মেয়েটার বান্ধবী)
> কোথায় আমি তো কোনো কিছু পাচ্ছি না ( মেয়েটি বললো)
> তুই না পেলেও আমি পাচ্ছি তুই নামবি নাকি আমি চলে যাবো ( মেয়েটার বান্ধবী)
> আরে আর একটু গেলে তো চলেই যাবো এখানে নেমে আর কি করবো।। রিকশা থামিয়ে কোনো লাভ নাই ( মেয়েটি )
> আমি নেমে পড়বো বলছি নেমে পড়বো। ওই তুই রিকশা থামা তর কানে কথা যায় না বলছি যে ( মেয়েটার বান্ধবী রাগি গলায় বললো )
তখন আমি রিকশা থামালাম আর মেয়েটার বান্ধবী নেমে কিছুটা দূরে চলে গেলো আর মেয়েটা নেমে বললো।
> সরি কিছু মনে করো না আমার বান্ধবী সব সময় এসির ভেতরে থাকে তাই একটু ( আমি মেয়েটার কথা থামিয়ে দিয়ে বললাম )
> আরে সরি বলার কোনো দরকার নাই মেডাম সমস্যা নাই আমি কিছু মনে করিনাই আর এই নিন ৫০ টাকা আপনার ( আমি বললাম)
> নাহ আমার টাকা লাগবে না এটা রেখে দাও ( মেয়েটা বললো)
এই বলে মেয়েটা যলদি চলে গেলো আমি টাকা দেওয়ার জন্য কয়েক বার ডেকেছি কিন্তু শুনলো না।। তারপর আমি রিকশা নিয়ে চলে আসছিলাম কিছু দূরে যাওয়ার পর তখন একটা মাধ্যম বয়স্ক লোক আমায় ডাকলো কাছে যাওয়ার পর বললো পুরনো মার্কেট যাবে তখন আমি বললাম উঠার জন্য উঠার পর তাকে নিয়ে যাচ্ছিলাম তখন সেই লোকটার ফোনে কল আসলো আসার পর ওপাশ থেকে একটা মহিলার কন্ঠে বললো। । ফোনটা লাউস স্পিকার ছিলো ।রাস্তায় অনেক গাড়ির শব্দ আসছে বলে তাই। তখন মহিলা বললো।।
> কোথায় গেলে তুমি আবার ( ওপাশ থেকে মহিলা বললো).
> এই তো একটু মার্কেটে যাচ্ছি ( লোকটা বললো)
> কিসের জন্য আবার তুমি মার্কেটে গিয়েছো। ( ওপাশ থেকে মহিলা বললো)
> আরে আব্বু এত দিন পর গ্রাম থেকে আসলো কিছু কাপড় কিনে দিতে হবে ( লোকটা বললো)
> আচ্ছা কি রকম কাপড় কিনে দিবে ( ওপাশ থেকে মহিলা বললো)
> বয়স্ক মানুষ তাই একটু কমদামি কাপড় কিনে দিবো আর কমদামি কিছু পাঞ্জাবি কিনে দিবো দেখি ( লোকটা বললো )
> আচ্ছা ঠিক আছে আর আমার জন্য আসার সময় একটা দামি 3 পিছ নিয়ে আসবে ( ওপাশ থেকে মহিলা বললো)
> আচ্ছা ঠিক আছে আমি নিয়ে আসবো এখন রাখছি তাহলে ফোন ( লোকটা বললো)
এই বলে ফোনটা কেটে দিলো লোকটা।। আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম
> হায়রে মানুষ তার নিজের বাবার জন্য সব চেয়ে কমদামি কাপড় নিয়ে যাবে আর তার স্ত্রী জন্য সব চেয়ে দামি কাপড় যে বাবা তাকে এত কষ্ট করে বড় করলো অবশেষে তার মূল্য এটা। ( আমি মনে মনে বললাম)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।।।
সত্যি এই পুরো পৃথিবীটা চিনতে পারলেও একটা মানুষ কে চেনা যায় না ।। সেই মানুষটা ভালো না খারাপ সেটা রুপ দেখে বোজা যায় না যতখন না সে প্রকাশ করে তার ভিতর এর রুপ ।।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।।।
তারপর আমি তাকে মার্কেট এর সামনে নামিয়ে দিলাম লোকটা ভাড়া দিয়ে চলে যাবে তখন আমি বললাম।
> এই যে মামা একটু সময় হবে। একটা কথা বলবো যদি রাগ না করেন । । ( আমি বললাম)
> হুম বল কি বলবি ( লোকটা বললো)
> আচ্ছা মামা তাহলে কিছু জিজ্ঞেস করবো একটু উওর দিয়েন ( আমি বললাম )
> আচ্ছা ঠিক আছে বল ( লোকটা বললো).
> মামা আপনি যখন ছোট্ট ছিলেন। তখন আপনার বেড়ে ওঠার জন্য দায়িত্ব কার ছিলো বেসি। । ( আমি বললাম )
> মায়ের পাশাপাশি বাবার থাকে ( লোকটা বললো)
> হুম আপনি যখন ছোট্ট ছিলেন তখন নাহয় বুঝতে পারতেন না যখন একটু বড় হলেন তখন থেকে বলেন তো আপনি যা চেয়েছেন তা কি পেয়েছেন কি না কান্না করার সাথে সাথে । ( আমি বললাম)
> হুম কান্না করলে সাথে সাথে এনে দিয়েছে ( লোকটা বললো).
> আচ্ছা । বাবা কি কখনো দামি কম দামি পোশাক বেছে পড়িয়েছেন আপনাকে ।। যেটা পছন্দ হয়েছে সেটা পড়িয়েছে আর দামিটাই পড়াতেন ( আমি বললাম).
>................... ( লোকটা চুপ করে রইলো হয়তো বুঝতে পেরেছে আমার কথার মানে)
> একজন বাবা শুধু নামে নয় তার অনেক দায়িত্ব থাকে। মাথায় গাম পায়ে ফেলে তার সন্তান কে বড় করে আর ভালো কিছু করার জন্য তার জীবনের অরধেক পরিশ্রম এর টাকা তার সন্তান এর পিছে ব্যায় করে আর অরধেক রেখে যায় । যাতে তার সন্তান ভালো কিছু করতে পারে । আর তারা চিন্তা করে শেষ বয়সে এসে একটু শান্তি পায়। মামা একটা কথা বলছি বাবা মা সারাজীবন তো আর বেচে থাকবে না। একদিন না একদিন এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে। আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। বাবা মাকে যদি কাপড় কিনে দিন তাহলে ভালোটাই দিন । যানেন আমার বাবা মা আছে কিনা তা যানি না খুব কষ্ট লাগে যদি একটা বার মা বাবাকে দেখতে পারতাম আমার মা বাবা কে থাক আর কিছু বলার নাই মামা অনেক সময় নষ্ট করলাম আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন ( আমি বললাম)
আমার কথা শুনে লোকটা মাথা নিচু করে আছে কোনো কথা বললো না। তারপর আমি সেখান থেকে চলে আসলাম দুপুর পযন্ত রিকশা চালিয়ে বোনটার জন্য কিছু চকলেট নিয়ে বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম রিকশা নিয়ে বস্তিতে চলে গেলাম রিকশা রেখে গিয়ে দেখি বোনটা বসে বসে মাটি নিয়ে খেলছে তখন আমায় দেখে দৌড়ে আসতে আসতে বললো।
> আমার ভাইয়া এসেছে চকলেট নিয়া ( লিমা বললো)
তখন আমার কাছে এসে বললো।
> ভাইয়া চকলেট কই দাও যলদি আমি খাবো ( লিমা বললো )
তখন আমি দুষ্টমি করে বললাম।
> ইস আমার একটু ও মনে ছিলো না চকলেট নিয়ে আসতে এখন কি হবে ( আমি বললাম)
> সত্যি তুমি নিয়ে আসোনি আমার জন্য চকলেট ( বোনটা মন খারাপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে বললো)
তখন আমি চকলেট গুলো বের করে সামনে দিয়ে বললাম।
> এইযে তর চকলেট আমার বোনটা চকলেট খাবে আর আমি নিয়ে আসবো না তা কি করে হয় ( আমি চকলেট গুলো দিয়ে বললাম )
চকলেট গুলো পেয়ে খুশিতে লাফাতে লাগলো আর দৌড়ে ঘরে যেতে লাগলো । বোনটার ☺ হাসি মুখ দেখলে নিমিষেই সব কষ্ট গুলো লুকিয়ে যায়।।
।।
কিন্তু মা বাবাকে না পাওয়ার কষ্ট সব সময় থাকবে। যানি না আমার মা বাবা বেঁচে আছে কি না কেমন আছে তাও জানি না ।।
।।
তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে ঘরে চলে গেলাম গিয়ে সকাল এর রান্না করা খাবার গুলো গরম করে ঘরে নিয়ে গেলাম বোনটা বসে বসে চকলেট খাচ্ছে তখন আমি বললাম ।।
> চকলেট খেলে হবে ঘুসল করতে হবে না চল তকে ঘুরস করিয়ে দেই। তারপর খাবার খাইয়ে দিবো ( আমি বললাম)
> তোমার ঘুসল করিয়ে দিতে হবে না আমি নিজেই ঘুসল করতে পারবো ( লিমা বললো)
> তাই নাকি একা একা ঘুসল করতে পারবি ( আমি বললাম)
> হুম পারবো আমি অনেক বড় হয়েছি এখন ( লিমা বললো )
> বাহহ এখনো নিজের হাতে খাবার খেতে পারে না ভালো করে কথা বলতে পারে না অনেক বড় হয়ে গেছে আমার বোন খুব ভালো তাহলে চল আমি বালটিতে পানি দিচ্ছি ( আমি বললাম)
বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন ।
গল্পটা কেমন হচ্ছে কমেন্ট করে বলে দিবেন সবাই
অপেক্ষায় থাকুন তার পরের পর্ব জন্য....