গল্পঃ পিচ্চি মেয়েটি পর্বঃ ৩ লেখকঃ তাসরিফ আহমেদ নীল

 

গল্পঃ পিচ্চি মেয়েটি
পর্বঃ ৩
লেখকঃ তাসরিফ আহমেদ নীল

আমি দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম।।।।।।।।।।।।।।।।। 

কারণ পুরো দেওয়াল জুরে আমার আর নিধীর ছোট বেলার পিক লাগানো। 

আগে মনে করতাম নিধী ছোট তাই হয়তো এমন 
পাগলামি করে বাট এখন মনে হচ্ছে মেয়েটা সত্যিই 
আমাকে ভালোবাসে। 

তারপর ওর রুম ভালো করে দেখতে লাগলাম।
টেবিলে কিছু গল্পেট বই দেখলাম একটা বই 
হাতে নিয়ে পড়তে লাগলাম। 

একটু পড়েই নিধী ভাতরুম থেকে বের হয়ে 
আসলো।  শুদু ওর শরীলে একটা তাওয়াল
জরিয়ে ছিলো। 

আমি যে ওর রুমে আছি ও খেয়াল করে নাই।

তারপর ও আয়নার সামনে গিয়ে তাওয়াল টা খুলে ফেললো।  তারপর নিধী ড্রেস চেইন্জ করলো। 

তারপর নিধী পিছনে গুড়ে, আমাকে দেখে
জুরে একটা চিল্লানি দিয়ে উঠলো। 

আমি সাথে সাথে গিয়ে নিধীর মুখ দরে ফেললাম। 

আমিঃ কি হয়েছে চিল্লান দিলা কেন?

নিধীঃ ইম 

আমিঃ কিসের ইম। 

ওহ আমি ত নিধীর মুখ দরে আছি তারপর 
ছেরে দিলাম। 

নিধীঃ এইভাবে কেউ মুখ আটকে দরে
এখনি ত নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যেতাম। 

আমিঃ স্যরি স্যরি। 

নিধীঃ আপনি আমার রুমে আসছেন নক করে
আসলেন না কেন? আমার সব কিছু দেখে
ফেললেন।

এই বলেই ভ্য ভ্য করে কাদতে লাগলেন। 

আমিঃ এই চুপ পিচ্চি। 

নিধীঃ আবার দমক ও দিচ্ছেন।

 এবার আরো জুরে কাঁদতে লাগলো।

তারপর আমি নিধীর মাথা দরে আমার ঠোঁটের সাথে নিধীর ঠোঁট লাগিয়ে দিলাম। আমার ঠোঁটের ছোয়া পেয়ে নিধীর কান্না স্টপ হয়ে গেলো। আর ও
আমাকে অনেক শক্ত করে জরিয়ে দরলো। 

কিছুখন পড়ে আমি নিধী কে ছেরে দিলাম। 

আমিঃ স্যরি তোমার কান্না বন্ধ করতে এটা ছারা আর কোনো উপায় ছিলো না।
 
নিধীঃ তাই বলে এভাবে কিস করবেন? 

আমিঃ হুম দরকার হলে তাই করবো।  এখন তারাতারি নিচে আসো আম্মু আব্বু খাবার টেবীলে 
অপেক্ষা করতাছে। 

নিধীঃ আমি যাবো না আপনি আমার সব কিছু 
দেখে ফেলেছেন?

আমিঃ আমি ত একদিন তোমার স্বামী হবোই। 

নিধীঃ হুম।
 
আমিঃ তাহলে একদিন ত দেখবোই তাই না। 

নিধীঃ হুম। 

আমিঃ তাহলো এখন চলো। 

তারপর আমি আর নিধী খাবার টেবিলে চলে গেলাম। দেখি আব্বু আম্মু নীলা আমার আর নিধীর জন্য ওয়েট করতাছে। 

নীলাঃ এতোখন লাগে আসতে। 

আমিঃ হুম। 
রোমান্টিক + থ্রীলার + রহস্যময়ী + গোয়েন্দা   টাইপের আরো গল্প পড়তে চাইলে আমাদের গ্রুফে জয়েন করুন।
গ্রুপের লিংক
https://www.facebook.com/groups/1623001364531757/?ref=share

তারপর খাবার খেয়ে যার যার রুমে চলে গেলাম। 

তারপর আমি শুয়ে শুয়ে একটু ফেসবুকিং 
করতে লাগলাম।  বিকালো ফ্রেশ হয়ে নীলার রুমে গেলাম। দেখি নীলা আর নিধী গল্প করতাছে। 

আমিঃ নীলা আমি বাহিরে যাচ্ছি কিছু খেলে 
বল। 

নীলাঃ ভাইয়া ফুচকা আর আইসক্রিম নিয়ে আসিস।
 
আমিঃ ওকে। 

আমিঃ আপনার জন্য কিছু আনবো মিস নিধী। 

নিধীঃ না লাগবে না। 

নীলাঃ ভাইয়া নিধী না চকোলেট ফ্লেভারের আইসক্রিম অনেক পছন্দ করে। 

আমিঃ ওকে। 

তারপর আমি আম্মু কাছে গেলাম। 

আমিঃ আম্মু আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি 

আম্মুঃ কেনো?

আমিঃ ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা করবো। 

আম্মুঃ ওকে তারাতারি এসে পড়বি কিন্তুু। 

তারপর আমি বাসার বাহিরে আসলাম। 
তখনি আবার নিধী আসলো। 

নিধীঃ এই যে শুনছেন?

আমিঃ হুম বলো।

নিধীঃ আপনার ফোন নম্বর টা দিয়ে জান।
 
আমিঃ ওকে। 

তারপর নাম্বার দিয়ে দিলাম। 

নিধীঃ সাবদানে যাবেন আর তারাতারি ফিরে 
আসবেন কিন্তুু। 

আমিঃ ওকে। 

তারপর আমি গাড়ি নিয়ে বরে হলাম। 
তারপর আমার ফ্রেন্ড রনি রানা জয় কে ফোন দিলাম।  

রনিঃ হ্যলো। 

আমিঃ কই তরা? 

রনিঃ আগে যেখানে আড্ডা দিতাম সেখানেই। 

তারপর আমাদের সেই পুরনো আড্ডা খানায় গেলাম। দেখি আমার সব ফ্রেন্ড রাই আছে। 

সবাই দৌড়ে এসে আমাকে জরিয়ে দরলো। 

একে একে সবার সাথে হেন্ডসেক করলাম। 

রনিঃ আচ্ছা নীল তর ত পড়াশুনা শেষ হয় নাই 
তাহলে চলে আসলি যে। 

আমিঃ আসলে কি আম্মুর নাকি আমাকে ছারা 
ভালো লাগে না। তাই চলে আসলাম আর পড়াসোনা  দেশে থেকে শেষ করবো।

জয়ঃ তাহলে আরো ভালো হলো আমাদের আগের 
গ্যং লিডার আবার গ্যং এ ফিরে এসেছে। 

আমিঃ হুম। 

তারপর ওদের সাথে অনেক খন আড্ডা দিলাম।
আড্ডা শেষে ওদের কাছে বিদায় নিয়ে
 বাসায় আসার জন্য রোওনা দিলাম। 

মাঝ পথে একটা আইসক্রিমের দোকানের সামনে গিয়ে গাড়ি রাখলাম। তারপর নিধীর আর নীলার জন্য আইসক্রিম নিলাম। 

তারপর একটা ফুচকা শপে গেলাম ওখান থেকে 
নিধী আর নীলার জন্য ফুচকা ও নিয়ে নিলাম। 

তারপর আমি বাসায় আসার জন্য গাড়িতে বসলাম 
তখনি একটা ফোন আসলো ফোন রিসীভ করে দেখি নিধী ফোন দিয়েছে। 

নিধীঃ কোথায় আপনি?

আমিঃ ড্রাইভিং করছি। 

নিধীঃ বাসায় আসবেন কখন?
আমিঃ একটু লেট হবে।
 
নিধীঃ ওকে আপনার বাসায় আসতে হবে না। 

আমিঃ হ্যলো হ্যলো। 

ফোন কেটে দিলো। 

পিচ্চির ত ভালো রাগ আছে দেখা যায়। 

বাসায় আসতে আসতে আমার রাত বাড়োটা বেজে গেলো।  বাসায় এসে কলিংবেল দিলাম কাজের মেয়েটি এসে দরজা খোলে দিলো আম্মু আব্বু হয়তো গুমিয়ে পড়েছে। 

তারপর আমি ডাইরেক্ট নীলার রুমে গেলাম। 
দেখি নীলা শুয়ে শুয়ে বই পড়ছে। 

আমিঃ আসবো? 

নীলাঃ আরে ভাইয়া তর আবার অনুমতি নিতে হয় নাকি?

আমিঃ আরে না আমার বোনটা ত অনেক বড় হয়েছে। 

নীলাঃ দেখ ভাইয়া আমি যতই বড় হয় তর কাছে 
পিচ্চি ছিলাম পিচ্চি আছি পিচ্চি থাকবো। 

আমিঃ ওকে ওকে।

তারপর নীলার জন্য আনা আইসক্রিম নীলাকে দিলাম। 

নীলাঃ ধন্যবাদ ভাইয়া। 

আমিঃ হুম। 

নীলাঃ তর রুমে খাবার রাখা আছে ভাইয়া। 
নিধী রেখে আসছে। 

আমিঃ ওকে।

তারপর আমি নীলার রুম থেকে চলে আসলাম। 

এখন ত আবার পিচ্চি মহারানি রাগ করে আছে
যাই রাগটা ভাংগিয়ে আসি। 

তারপর নিধীর রুমে গেলাম। 

নিধীর রুমে গিয়ে দেখলাম। 

#চলবে
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post