গল্পঃ ভয়ংকর রাগী ছাত্রী যখন রোমান্টিক পাত্রী পার্ট : ৯ | Bengali Romantic Story

 

**ভয়ংকর রাগী ছাত্রী যখন রোমান্টিক পাত্রী **

 লেখক-আকাশ খান

 পার্ট : ৯

**পরের দিন আমি কলেজে আসতেই রাত্রি এসে আমার পথ আটকে দাড়ায়।তখন আমি রাত্রিকে বললাম,,,,

আমি : এ কী রাত্রি তুমি আমার পথ আটকে দাড়ালে কেন,,,,?(হালকা দমক দিয়ে বললাম)

**কিন্তু আমার দমক যেন রাত্রির গায়েই লাগে নি।উল্টা একটা হাসি দিয়ে আমাকে বলল,, 

রাত্রি : স্যার আপনিতো বলে ছিলেন আমাকে পড়াবেন না।তাই না স্যার,,,

আমি : আমি কখন বললাম তুমাকে পড়াব না।আমি বলছি আমি তুমাকে বাসায় গিয়ে পড়াতে পারব না, যদি পড়তে চাও তাহলে কলেজ ছুটির পরে সবার সাথেই পড়তে হবে,,। না হলে আমার কিছু করার নাই।কারণ শিক্ষকতা ছাড়াও আমার একটা পরিবার আছে, আর তাই আমার উচিত আমার পরিবারের সদস্যদেরও সময় দেওয়া। যেটা তুমাকে বাসায় গিয়ে পড়ালে আমি দিতে পারব না,,,,

রাত্রি : আমি যেহেতু একবার বলছি আমাকে বাসায় গিয়ে পড়াতে হবে তাহলে আপনাকে তা করতেই হবে।আর আমি সব ব্যবস্থা করে ফেলছি যা আপনি একটু পরেই বুঝতে পারবেন।আর কি যেন বললেন পরিবাবের সদস্যদের সময় দেওয়া, হুম একদম ঠিক বলছেন স্যার। আমাকেও একটু সময় দেন কারণ আমিও তো আপনার পরিবারের একজন মুল্যবান সদস্য হতে পারি,,(বলেই রাত্রি মুসকি মুসকি হাসতে থাকে)

**রাত্রি এতক্ষন যা বলল প্রতিটি কথা যেন আমার মাথার ওপর দিয়ে ২৪০কি,মি স্পিডে চলে গেল।আমি কিছুই বুঝতে পারি নি।তখন আমি অভাক হয়ে রাত্রিকে বললাম,,,

আমি : রাত্রি তুমি এসব কী বলছ আমি তুমার কথা কিছুই বুঝতে পারি নি।আর তুমি আমার পরিবারের মুল্যবান সদস্য হবে এর মানে কী,, ?

রাত্রি : স্যার এত কিছু বুঝে আপনার লাভ নাই।সময় হলে সব আমিই আপনাকে বুঝিয়ে দিব।এখন আপনি অফিসে যান, আর সন্ধ্যায় আমাকে পড়াতে যাচ্ছেন এটা মনে থাকে যেন,,,

**এ কথা বলেই রাত্রি হন হন করে চলে গেল। আমাকে কিছু বলার সুযোগই দিল না।আর ইদানিং রাত্রির হাব ভাবও আমার কাছে সুবিধার মনে হয় না,কেমন জানি আমার ওপর একটা অধিকার ফলাতে চায়। আমি এ সব ভাবতে ভাবতে অফিস রুমের দিকে যাচ্ছি,জানি না আমাকে বাসায় নেওয়ার জন্য কোন প্লেইন রেড়ি করে রাখছে।

**আমি অফিসে এসে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে চুপচাপ বসে আছি কারো সাথে তেমন কোন কথা বলছি না।আর বলব কেমন করে মাথাতো আমার চক্রবৃদ্ধি হারে গোল গোল হয়ে ঘুরছে।আর এমন সময় আমার সহকর্মী অন্তরা ম্যাম এসে বলল,,,

অন্তরা ম্যাম : কী আবির তুমার কী মুড অফ নাকি,,? কোন কিছু নিয়ে চিন্তায় আছ,,,,(আসলে আমি আর অন্তরা ম্যাম প্রায় সমবয়সী তাই তিনি আমাকে নাম ধরে আর তুমি করেই সম্ভোধন কর )

আমি : না, আসলে রাতে খুব একটা ভাল ঘুম হয় নি। তাই মাথাটা একটু জিম দরে আছে,,যার জন্য একটু অন্য রকম লাগছে,,(আসল কাহিনী না বলাই ভাল তাই মিথ্যা বলে আড়াল করলাম)

অন্তরা ম্যাম : তাহলে চলো কেন্টিন থেকে কফি খেয়ে আসি তাহলে দেখবে একটু ভাল লাগবে,,,

আমি: হুম,কথাটা মন্দ বলেন নি। চলুন কফি খেয়ে আসি(আসলে কফিটা খেলে মাথাটাও হালকা হবে আর সাথে অন্তরা ম্যামের হাজারটা প্রশ্ন থেকে বাচাও যাবে তাই রাজি হয়ে গেলাম)

**আমি আর অন্তরা ম্যাম কেন্টিনের এক কর্ণারের টেবিলে সামনা সামনি বসে কফি খাচ্ছি আর টুকটাক বিভিন্ন বিষয় কথা বলছি।হঠাৎ আমার চোখ পড়ে আমাদের ঠিক এক টেবিল পরেই রাত্রি আর ওর বান্ধুবীরা বসে আছে।আর রাত্রি আমার দিকে এমন ভাবে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে যেন পারলে এখনি আমাকে চোখ দিয়ে গিলে খাবে। আমার  কাছে রাত্রির ভাবে তাকিয়ে থাকাটা মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না, তারপর অন্তরা ম্যাম বার বার কথা বলার সময় আমার হাত ধরছে। যেটা হয়তো রাত্রির কাছে একদম পছন্দ হয় নি।যেই রাত্রিকে দেখলাম ও টেবিল থেকে ওঠে আমাদের দিকে আসতে যাচ্ছে, তখনি আমি অন্তরা ম্যমকে নিয়ে আবার অফিসে চলে আসি।

**আমি অফিসে আসার কিছুক্ষণ পরি আমার ক্লাসের সময় হয়ে যায়।তাই আমি ক্লাস করতে রাত্রিদের ক্লাসে যাই।ক্লাসে গিয়ে আমি আমার মত করে সবাইকে পড়াতে থাকি। কিন্তু একটা বিষয় আমি খেয়াল করি রাত্রি মনে হয় পুরোটা ক্লাসের সময় আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে ছিল। কারণ আমি যত বার ওর দিকে তাকিয়েছি ততবার দেখলাম রাত্রি আমার দিকে চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে।তাই আমি আজকে রাত্রিকে ইচ্ছে করেই কোন পড়া দরি নি।আর এভাবেই ক্লাসটা করে আমি অফিস রুমে চলে আসি।

**আমি অফিস রুমে আসতেই আমাদের প্রিন্সিপাল স্যার আমাকে বলল,

প্রিন্সিপাল স্যার : আবির তুমার সাথে কিছু কথা ছিল,,,(খুবই নরম সুরে বলল)

আমি : জ্বী স্যার বলুন কী বলবেন আমি শুনছি(একটা হাসি দিয়ে বললাম)

**আমার এ কথা বলার পর স্যার যা বলল,,,, চলবে

কেমন হল জানাবেন প্লিজ
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post