লেখক-আকাশ খান
পার্ট : ৩
**তারপর আমি অফিস রুমে আসতেই প্রিন্সিপাল স্যার বলল,,
প্রিন্সিপাল স্যার : আবির কেমন লাগল ক্লাস করতে। শিক্ষক হিসাবে জীবনের প্রথম ক্লাসের অভিগ্যতা কেমন হল,,(স্যার একটা হাসি দিয়ে বলল)
আমি : জ্বি স্যার, খুব ভাল অভিগ্যতা হইছে।সারা জীবনও ভুলতে পারবা না আমার শিক্ষক জীবনের প্রথম দিন,,(একটা হাসি দিয়ে বললাম)
প্রিন্সিপাল স্যার : বাহ্ তাহলে খুব ভাল অভিগ্যতা হইছে তুমার। স্টুডেন্টরা মনে হয় খুব সহজেই তুমাকে আপন করে নিছে।দোয়া করি তুমার শিক্ষকতা জীবন ঠিক এ ভাবেই যাক।(স্যার আবরো হাসি দিয়ে বলল)
**আমি মনে মনে বললাম,(আল্লাহ যেন আপনার দোয়া কখনো কবুল না করে স্যার। তাহলে আমার আর শিক্ষকতা করা লাগবে না) তখন আমি বললাম,,
আমি : জ্বি স্যার দোয়া করবেন যাতে সম্মানের সাথে এই দায়িত্বটা পালন করতে পারি,,,
প্রিন্সিপাল স্যার : তাতো অবশ্যই, Best of luck Abbir
**তারপর আমি স্যারের সাথে আরো কিছু কথা বলে আমার অন্যান্য ক্লাসে গিয়ে সবার সাথে পরিচিত হই।আমার প্রথম দিনটা ঠিক এভাবেই চলে যায়।তারপর কজেল ছুটি হলে আমি বাসায় দিকে যেতে লাগি।
**এখন বাসায় যেতে যেতে রাত্রির পরিচয়টা একটু আপনাদের দিয়ে দেই। রাত্রি আমার গল্পের নায়কি। বাবা -মার খুব আদরের বড় মেয়ে।পড়াশুনায় খুবই ভাল। কিন্তু অতিরিক্ত ভয়ংকর রাগী একটা মেয়ে রাত্রি। আর রাত্রির বাবা হল আমাদের কলেজের বর্তমান প্রিন্সিপাল স্যার। আর ঠিক তার জন্যই রাত্রি কলেজের কাউকে ভয় পায় না।উল্টা সবাই রাত্রিকে ভয় পায়। আর রাত্রির একটা ছোট বোন আছে।বাকিটা গল্প পড়লেই বুঝতে পারবেন।
**আপনাদের কাছে রাত্রির পরিচয় দিতে দিতে আমি বাসায় চলে আসছি।আর আমি বাসায় আসতেই আম্মু,,,
আম্মু : আবির তুই চলে আসছিস বাবা, তুই সোফায় বস আমি তোর জন্য সরবত নিয়ে আসছি
**এ কথা বলেই আম্মু চলে গেল সরবত আনতে। আর আমিতো ক্লান্ত হয়ে সোফায় বসে পড়লাম।একটু পরে আম্মু সরবত এনে আমার হাতে দিল।আর বলল,,
আম্মু : তা বাবা প্রথম দিন কেমন কাটল তোর? কোন সমস্যা হয়নিতো,,, (একটু চিন্তিত চেহারা নিয়ে বলল)
**আমি সরবতটা খেয়ে আম্মুর দিকে তাকিয়ে দেখি আম্মু চেহারায় কেমন যেন একটা চিন্তার ছাপ দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে আজ সারাদিন আমাকে নিয়ে খুব চিন্তায় ছিল,।তখন আমি বললাম,,,
আমি : না আম্মু সমস্যা কেন হবে। খুব ভাল কাটছে আজকের দিনটা। যা আমি সারা জীবন মনে রাখব(একটা হাসি বললাম)
**আমার কথা শুনে মুহূর্তেই আম্মু মুখ থেকে চিন্তার ছাপটা সরে গিয়ে মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে।তখন আম্মু হাসি মুখে বলল,,
আম্মু : যা বাবা গিয়ে ফ্রেস হয়ে আয়। আমি খাবার রেডি করছি,তোর জন্য এখনো আমরা না খেয়ে বসে আছি।
আমি : আচ্ছা তুমি রেডি কর, আমি এখনি ফ্রেস হয়ে আসছি,,
**বলেই চলে গেলাম আমার রুমে, গিয়ে ফ্রেস হয়ে চলে আসলাম খাবার টেবিলে। তারপর পরিবারের সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়ার সময় আব্বুও আজকের দিন সম্পর্ক অনেক কথা জিঙ্গাসা করে।তারপর আমি আমার রুমে চলে আসি।তবে একটা কথা বুঝলাম সন্তান যত বড়ই হোক না কেন প্রতিটা বাবা মার কাছে তার সন্তান সব সময় সেই ছোটই রয়ে যায়।যা আজ আমি খুব ভাল করেই উপলব্দি করতে পারছি।আর এভাবেই আমার সেই দিনটা পার হয়ে যায়।
**পরের দিন আমি সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে সবার সাথে নাস্তা করলাম।পরে বাবা মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমার ছোট বোনকে নিয়ে বেরিয়ে পারলাম কলেজের উদ্দশ্য।যাওয়ার পথে বোনকে ওর স্কুলে নামিয়ে দিয়ে চলে আসলাম কলেজে। কিন্তু আজকেও দেখি রাত্রি আর ওর বান্ধবীরা একসাথে দাড়িয়ে আছে। আর আমি কলেজে ডুকতেই দেখি ওরা সবাই আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আমি কিছু না বলেই চলে গেলাম অফিস রুমে।
অন্যদিকে,
**রাত্রি আর ওর বান্ধবীরা একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। আর আবিরকে কলেজে আসতে দেখেই রাত্রির বান্ধুবি তন্নি বলল,,
তন্নি : দোস্ত তোরা দেখছিস আমাদের নতুন টিচারটা কত হেন্ডস্যাম আর কিউট দেখলে মনেই হয় না এটা আমাদের টিচার ( হেসে হেসে বলল)
""তন্নির কথা শুনে তয়া বলল,,,
তয়া : তুই একদম ঠিক বলছিস রে, স্যারকে দেখলেই আমার কেমন কেমন জানি লাগে। ইচ্ছে স্যার কে নিয়ে পালিয়ে যাই।
তন্নি : শুধু কী তাই, স্যার দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি নামটাও কিন্তু জোস রে, আআআবির (একটু দম নিয়ে নামটা বলল)সবকিছুতে পারফেক্ট বেটা,, । এত সুন্দর হয়ে কলেজ টিচার হওয়ার কী দরকার ছিল রে হুম (খুব আবেগ নিয়ে বলল)
তখন সামিয়া বলল,,
সামিয়া : আবির স্যার মনে হয় আমাদের পড়াতে আসে নি। আসছে আমাদের পাগল বানাতে,,,
**বলেই সবাই মিলে হাসতে থাকে। কিন্তু রাত্রি চুপ চাপ তাদের কথা শুনছিল। তখন রাত্রির চুপ থাকা দেখে তয়া বলল,,,,
তয়া : কিরে আমরা সবাই স্যার কে নিয়ে কত কথা বলছি কিন্তু দেখ আমাদের রাত্রি মেডাম কেমন চুপ করে বসে আছে,,,
তখন সামিয়া বলল,,
সামিয়া : আমার মনে হয় আমাদের রাত্রি মেডাম স্যারের প্রেমে বোবা হয়ে গেছে যে এখন কথাই বলতে পারছে না,, (বলেই সবাই এক সাথে হাসতে থাকে)
**আর তখন রাত্রি বলল,,,,,
চলবে,,,