#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺১৩ম পর্ব
❣
❣
তখন জুঁই এর কথা শুনে শিখা একটু চুপ থেকে বলে,
শিখা:-এই সৌন্দর্য দিয়ে আর কি হবে বলো যদি তোমার ভাইকেই জীবনে না পাই,
আমার না খুব করে ইচ্ছে করে ওকে জড়িয়ে ধরে সরি বলি, আমার ভালোবাসা দিয়ে সারাজীবন বুকের মাঝে আগলে রাখি,
শিখার চোখ থেকে টপ টপ করে জল গড়িয়ে গড়িয়ে পরছে,
আসলেই রাসেলের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে তার,
আগের থেকে অনেক শুকিয়ে গেছে, কেদেঁ কেদেঁ চোখের নিচে কালো দাগ স্পষ্ট বোঝা যায়,
জুঁই:-ভাবি তোমার কষ্ট টা আমি বুঝি,
হাজার হলেও আমি তো একটা মেয়ে, তুমি আল্লাহ র উপর ভরসা রাখো তিনি সব কিছু ঠিক করে দিবেন,
শিখা:-হুম সেই আশাতেই আজো বেঁচে আছি,
আত্মহত্যা যদি মহাপাপ না হতো তাহলেই এই কষ্টের বোঝা টাকে কমাতে কবেই আমার শরীর থেকে রুহ টাকে মুক্তি করেদিতাম,
জুঁই:-ভাবি খবরদার এই কথা আর মুখেও আনবেনা,
তাহলে আমার থেকে ভয়ংকর আর কেউ হবেনা
রাগী মুড নিয়ে,
আপনেরা ভাবতেছেন শশুর শাশুড়ির সামনে এতো কথা কি করে বলছে তাহলে আপনেরা ভুল কেননা শিখা আর জুঁই একটা গাড়ি আর রাসেলের আম্মু আব্বু একটা গাড়ি তে যাচ্ছে,
ড্রাইভার আজিজ বলে,
আজিজ:-স্যা আমরা তো চৌদ্দগ্রাম এসে গেছি আপনেরা কি কিছু খেয়ে নিবেন,
আব্বু:-হুম গাড়ি একটা রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড় করাও,
একটু পরে আজিজ একটা ভালো রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি দাঁড় করাই আর সবাই নেমে ভিতরে গিয়ে বসে,
আব্বু:-শিখা মামুনি কি খাবা অর্ডার করো,
শিখা:-না আব্বু আজকে আমার শাশুড়ি আম্মাজান অর্ডার করবে,
আম্মু:-আমি অর্ডার করবো,
তারপর আর কথা না বাড়িয়ে রাসেলের আম্মু সবার জন্য খাবার অর্ডার করে,
আপনেরা আবার ভাবিয়েন না যে ড্রাইভারদের জন্য আলাদা খাবার অর্ডার করছে,
আরেনা তাদের জন্যেও একই খাবার,
আর
এরা এমন ধরনের মানুষ না,ধনী গরিব ভেদাভেদ মনে করেনা,
খাবার খাওয়া শেষে শিখা উঠতে যাবে তখনই সামনে দেখতে পাই তার বান্ধবী অনামিকাকে একটা হুইল চেয়ারে করে অনামিকার বাবা আবির চৌধুরী রেস্টুরেন্টের দিকে নিয়ে আসতেছে,
তাই শিখা তাদের কাছে যায়,
শিখা:- আংকেল আপনেরা এখানে কেনো,
কারো ডাক শুনে সামনে তাকিয়ে দেখে শিখা,
আবির:-ওহহহ মামুনি তুমি,
আর বলিওনা আমরা এখানে থাকি অনামিকার চিকিৎসার জন্য,
শিখা:-ওহহহ আচ্ছা,
অনামিকা কেমন আছিস,
অনামিকা কথা বলতে না পারলেও সব কিছু নিরবে শুনে শুধু চোখের জল ফেলে,
অনামিকা হাতের ইশারায় বুঝিয়ে দিচ্ছে,
আমি কেমন আছি সেটা তো নিজের চোখেই দেখতে পারতেছিস,তবুও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছে,
শিখা:-আমরা নীলার বাসাই যাচ্ছি,
তুইকি যাবি,
চোখে জল নিয়ে,
অনামিকা এবাও মনে মনে বলল আমাকেও দাওয়াত করেছে কিন্তু আল্লাহ আমার ভাগ্যে এইসব রাখেনি,তোরা যা,
এইদিকে রাসেলের পরিবারের সবাই এসে দাঁড়িয়ে দেখছে সবকিছু,
আবির:-শিখা মামুনি কাকে কি বলছো ও তো কথা বলতে পারেনা জানোই,
তখনই অনামিকা হাতের ইশারায় তার বাবা কে একটা কাগজ আর পেন দিতে বলে,
আর আবির সেইটা বুঝতে পেরে একটা পেন আর কাগজ বের করে দেয়,আর তাতে অনামিকা যা বলথে চাই সেইটা লিখে শিখার হাতে দেয়,
শিখা:-কি এটা আর কি লেখা আছে,
অনামিকা:-ইশারায় পড়ে দেখ,
থাহলেই বুঝতে পারবি,
তখন শিখা কাগজ টা পড়তে শুরু করে,
অনামিকা:-শিখা আমাকে ক্ষমা করে দিস,
আমার জন্যই সেদিন তুই রাসেলের মতো ভালো মানুষের সাথে অমন করেছিলি,
আমি যে পাপ করেছিলাম আল্লাহ তার শাস্তি আমাকে দিয়েছে,
আমরা যদি সেইদিন আদালতে অমন মিথ্যা কথা না বলে সত্যি বলতাম তাহলে হয়তো আজ রাসেল ভাইয়া তোর সাথেই থাকতো,
আমাকে পারলে মন থেকে ক্ষমা করে দিস,
শিখা:-কি বলবো তোকে সেইটা আমার জানা নেই তবে আমিও যে কম দোষি না,
আজ আমার একটা ভুলের জন্য এসব হয়েছে,
এইভাবে অনেক সময় কথা বলে সবাই আবার যাত্রা শুরু করে,
দির্ঘসময় পরে নীলার বাসার সামনে এসে পৌঁছে যায়,
নীলা দাঁড়িয়ে আছে তার একমাত্র বান্ধবীর জন্য,
শিখা গাড়ি থেকে নামলেই নীলা দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে,
নীলা:-কেমন আছিস,
আর শরীরের কি অবস্থা করেছিস হুম,
শিখা:-ভালো আছি,
তুই কেমন আছিস,আর আমি কেনো এমন সেইটা তো তোর অজানা নয়,
এইভাবে সবার সাথে কথা বলে বাড়ির ভিতরে চলে আসে,নীল বাসাই নেই রাসেল বলার পরে কি যেনো একটা কাজে বাইরে গেছে,
নীলা:- আংকেল আন্টি আপনেরা যান ঐ রুমে গিয়ে রেস্ট নিন,
আম্মু:-হুম মামুনি,
বলেই রাসেলের আব্বু আম্মু সেই রুমটাতে চলে যায়,
এইখানে শিখা আর জুঁই আছে,
শিখা:-আচ্ছা নীলা নীল ভাইয়া কে দেখছি না যে,
নীলা:-ভাইয়া কি যেনো একটা আর্জেন্ট কাজে গেছে ভাইয়ার বন্ধু বলার পরে,
একটু পরেই চলে আসবে,
শিখা:-ওহহহ আচ্ছা তা তোর ভাইয়ের সেই বন্ধু টা কোথায় দেখছিনা যে,
আসলে নীলা শিখার সাথে এই সব নিয়ে আগে আলোচনা করেছিলো,
নীলা:-রাসেল ভাইয়া তো গতকাল লন্ডনে চলে গেছে একটা জরুরি কাজে,
তিন মাস পরে আসবে,
রাসেল নামটা শুনেই শিখার কলিজাটা নোরে ওঠে,
শিখা:-রাসেল
অনেক টাই অবাক হয়ে,
নীলা:-আরে বোকা এই ভাইয়াটার নাম ও রাসেল,
বিএসসি ইন্জিনিয়ার, পানি উন্নয়ন বোর্ডে জব করে,
শিখা দেখলো এটা তার রাসেল হবে না কেননা রাসেল তো আর বিএসসি শেষ করেনি,
শিখা:-ওহহহ আচ্ছা,
এখন চল সবাই ফ্রেস হয়ে নি,
তারপর তারা সবাই একসঙ্গে ফ্রেস হয়ে নেই,
একটু ফরে নীল বাসাই চলে এসে দেখে ছোফায় এককা হিজাব করা মেয়ে মসে আছে,
চোখ দুটোই শুধু দেখা যাচ্ছে, যেই চোখের মায়াই নীল পরে যায়,
নীল:-নীলা ঐ নীলা কোথায় তুই,
এই দেখ তোর জন্য কত কি এনেছি,
তখন নীলা শিখা দৌড়ে নিচে চলে আসে,
সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে,
নীলা:-কি হয়েছে,
নীল:-এইনে তোর সব জিনিস,
তখন শিখা বলে,
শিখা:-নীল ভাইয়া কেমন আছেন,
নীল:-আমি ভালো আছি তুমি কেমন আছো,
আর কখন এসেছো তোমরা,
শিখা:-আমরা অনেক আগেই এসেছি কিন্তু আপনে বাসাই ছিলেন না,
নীল:-আসলে একটা কাজ থাকাই সেখানে চলে যেতে হয়ে ছিলো,
আচ্ছা ঐ মেয়েটা কে,
জুঁই কে উদ্দেশ্য করে বলে আর এতো সময় ধরে জুঁই এদের সব কথা শুনছিলো,
নীলা:-ভাইয়া এ হলো জাকিয়া ইয়াসমিন জুঁই,
সবাই জুঁই বলেই ডাকে,
আর সবথেকে বড় কথা জুঁই হলো শিখার একমাত্র ননোদ, মাদ্রাসাতে পড়তো পাকিস্তান তাই কখনো দেখতে পাসনি,
জুঁই:- আসসালামুয়ালাইকুম ভাইয়া কেমন আছেন,
নীলের মুখে কোনো কথা নেই শুধু মুগ্ধ হয়ে জুঁই এর দিকে তাকিয়ে দেখতেছে আর কথা শুনতেছে,
জুঁই তো লজ্জায় শেষ,
তাই নীলা বলে,
নীলা:-ভাইয়া এই ভাইয়া তোর আবার কি হলো হুম, জুঁই কিছু বলেছে শুনতে পাসনি,
নীল:-ওহহ হ্যা,
ওয়ালাইকুমাসালাম,আমি ভালো আছি আপনে কেমন আছেন,
জুঁই :-আমিও অনেক ভালো আছি,
বলেই জুঁই উপরে চলে যায়,আসলে জুঁই এইসব পছন্দ করেনা কিন্তু নীলের তাকানো তার কাছে খুব ভালো লাগছিল,
এইদিকে,
রাসেল অফিসে বসে একটা কাজ করতেছিলো তখনই পিছন থেকে একজন বলে ওঠে,
লোকটি:-মিস্টার রাসেল এইখানে আপনার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো আবার অসুবিধা হলে কিন্তু আমাকে জানাতে ভুলবেন না,
আমি এখানকার দায়িত্বে আছি,
রাসেল:-আরে না আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না, কোনো সমস্যা হলেই আপনাকে জানাবো,
ধন্যবাদ আপনাকে,
বলেই আবার ও গভীর মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে লাগল,
কাজ করতে করতে কখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে সেই দিকে কোনো খেয়ালি নেই,রাসেলের
সবুজ:-স্যার সন্ধ্যা হয়ে গেছে এখনো কি আপনে কাজ করবেন নাকি হুম,
চলেন হোটেলে ফিরে যায়,
সবুজের কথায় রাসেলের কাজের থেকে ধ্যান সরে যায়,
রাসেল:-ওহহ হ্যা আমার তো মনেই নেই যে আমি অফিসে কাজ করতেছি,
আর চলো মনে হয় অনেক দেরি হয়ে গেছে,
সবুজ:-হুম চলেন স্যার চলেন স্যার,
তারপরে দুইজন হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেই,
এইভাবে দেখতে দেখতে দিনটি পেরিয়ে যায়,
সকালে শিখা হাটতে হাটতে রাসেলের রুমের কাছে চলে আসে, রুমের দিকে তাকিয়ে ভিতরে দেখার লোভ সামলাতে পারেনা,
তাই ভিতরে প্রবেশ করতে যাবে অমনি,
নীল:-খবরদার ঐ রুমে যাবেনা,
শিখা চমকে ওঠে,
আচমকা এইভাবে পিছন থেকে ডাকার কারণে,
শিখা:-কেন ভাইয়া,
আর রুমটা বাইরে থেকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো তাই একটু ভিতরে দেখতে চাইতেছিলাম,
নীল:-সরি আসলে রুমটা আমার বন্ধু রাসেলের আর ঐ রুমে কারো যাওয়া মানা,
শিখা:-আচ্ছা ঠিক আছে,
উমমমম কি আমার রুম রে তাই সেখানে যাওয়া আবার মানা হুম যাবই না,মনে মনে,
নীল:-শিখা তোমার ননোদের কি বিয়ে হয়েছে,
একটু লজ্জা মুখ করে,
শিখা:-বাহ ছেলেরাও লজ্জা পাই,
মনে মনে,
না ভাইয়া জুঁই এর এখনো বিয়ে হয়নি,
কেনো ভাইয়া,
যদিও শিখা ধরতে পেরেছে জুঁই কে নীল পছন্দ করতে শুরু করেছে,
মেয়ে মানুষের চোখ বলে কথা,
নীল:-আরে এমনি,
আচ্ছা তুমি ঘুরে দেখো আমি যায়,কিন্তু ঐ রুমে আর যাইও না,
শিখা:- আচ্ছা ভাইয়া আপনার কথা মনে থাকবে,
নীল কথাগুলো বলেই চলে আসে,
নীল যখন যাচ্ছিল তখনই জুঁই ওর রুম থেকে বের হয়তে নিছে অমনি এক টা ধাক্কা লেগে দুজনেই পরে যায়,
নীল জুঁই এর উপরে শুয়ে থেকে শুধু ঐ মায়াই ভরা চোখটাই দেখছে,
এইদিকে জুঁই তো লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে,
বুঝতে পেরে নীল তাড়াহুড়া করে উঠে পরে,
নীল:-সরি সরি আমি আসলে খেয়াল করিনি তো তাই এই ঘটনা টা ঘটেছে,
প্লিজ কিছু মনে করবেননা,
নীল ছেলে হয়েই যেই লজ্জা পাইছে তাহলে ভাবেন জুঁই মেয়ে হয়ে লজ্জায় লাল টমেটো কেন হবেনা,
জুঁই:-না ভাইয়া সরি বলতে হবেনা ঠিক আছে,
আসলে আমার ও দেখে চলা উচিৎ ছিলো,
এইদিকে এই রোমান্টিক দৃশ্য দেখে শিখা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে আর ভাবছে,
শিখা:-যা বাবা রোমান্টিক মুডটাই শেষ হয়ে গেলো,তবে দুইজন কে হ্যাব্বি মানাবে বাবা মা আর নীলা কে বলে এদের একটা ব্যবস্থা করতে হবে,
কিন্তু কি ভাবে করবো,
নীলা:-কিরে শিখা এইরকম একলা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি এমন চিনতা করতেছিস শুনি,
শিখা চমকে ওঠে আচমকা এমনটা হওয়াই,
শিখা:-আরে কিছুনা,
আচ্ছা নীলা তুই কি দেখেছিস নীল ভাইয়া আর আমাদের জুঁই কে কিন্তু হ্যাব্বি মানাবে,
শিখার কথা শুনে নীলা অনেক টাই অবাক হয়,
কেননা নীলা এই কথাটাই শিখাকে বলতে চাচ্ছে বেশ কিছু সময় ধরে কিন্তু বলার সাহস পাচ্ছে না,
নীলা:-হুম অনেক মানাবে আমি তোকে এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম,
শিখা:-আচ্ছা এদের বিয়ে দিলে কেমন হয়,
নীলা:-খুব ভালো হয়,
কিন্তু তোর ননোদ শশুর শাশুড়ি এই বিষয়ে মানবেতো,
শিখা:-হুম আমার বিশ্বাস আছে তারা মানবে আর নীল ভাইয়া ছেলে হিসাবে অনেক ভালো,
নীলা:-সেইটা ঠিক আছে কিন্তু রাসেল ভাইয়া ছাড়া তো ভাইয়া তো কোনো কথা বলবেনা,
শিখা:-কিরে নীলা সব জায়গায় শুধু শুধু রাসেল রাসেল ওকি তোদের গার্ডিয়ান নাকিহুম,
নীলা:-তার থেকে ও বড় কিছু বলতে পারিস,
ভাইয়া বলেছে রাসেল ভাইয়া মানুষ টা খুব ভালো,
তবে নিজ চোখে দেখার ভাগ্য এখনো হয়নি আমার,
শিখা:-ওহহহ আচ্ছা,
তারপর সবাই নিচে চলে যায়,
আজকে বাড়ি টাকে অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে বোনের জন্মদিন বলে কথা,
তার উপরে রাসেলের অর্ডার আনন্দের যেনো কোমতি না হয়,ধিরে ধিরে বিকালের দিকে মেহমানরা আসতে শুরু করে,
নীল ব্যস্ত সবাইকে মেহমানদারি করার জন্য,
কাজ করার সময় হটাৎ নীলের চোখ আটকে যায় সিড়িতে,
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝..........চলবে........
💝
🌺আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,
আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🌺Wait for next part coming tomorrow 6am to 7am🌺
#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺১৪ম পর্ব
❣
❣
কাজ করার সময় হটাৎ নীলের চোখ আটকে যায় সিড়িতে,
সিড়ি দিয়ে নামতেছিলো শিখা নীলা আর জুঁই,
সবগুলারেই পরীর মতো লাগছিলো,
নীলের চোখে তো জুঁই কে জান্নাতের পরী মনে হচ্ছে,
কালো বোরকা হাতে মোজা পায়ে মোজা,
এক কথায় অসম্ভব সুন্দর লাগতেছে,
নীল এক ধ্যানে জুঁই এর দিকে তাকিয়ে আছে নীলার যে ওকে ডাকছে সেইদিকে কোনো খেয়ালি নেই,
নীলা:-ভাইয়া কি বেপার ঐ দিকে কি দেখছিস,
হুম,
নীল:-কৈ কিছু নাতো,
নীলা:-আমি মনে হয় কিছুই বুঝিনা তাইনা ,
জুঁই এর দিকে তাকিয়ে আছিস কি বেপার ভাই কুছ কুছ হোতা হে,
নীল:-চুপ কর তুই খুব বুজিস তাইনা,
আমি ওকে কেনো দেখবো হুম,
নীলা:-ভাইয়া তুই যতই বাহানা করিস না কেনো আমি কিন্তু বুঝি,
তুই যদি চাস তবে জুঁই কে বলে দেখতে পারি,
নীল:- সত্যি দেখবিতো,
নীলা:-হুম আমার ভাইয়ের জন্য এইটুকু করতেই হবে তাইনা,
থাক আমি দেখছি,
নীলা আবার শিখাদের কাছে চলে যায়,
শিখা:-কিরে নীল ভাইয়ার সাথে কি বললি,
নীল:-কি আর বলবো আমার ভাইতো তোর ননোদের প্রেমে পাগল হয়ে আছে,
শিখা:- সত্যি বলছিস তো নাকি,
অনেকটাই খুশী হয়ে,
নীলা:-হুম এখন জুঁই যদি রাজি হয় তাহলেই হয় নাহলে তো ভাই আমার শেষ,
শিখা:-আরে আমার ননোদ ও রাজি হবে তুই দেখিস আচ্ছা চল আগে কেকটা কেটে নে সবাই অপেক্ষা করতেছে,
নীলা:-হুম চল,
তারপর সবাই কেক কাটার জন্য গেলো,
নীলা কেক কেটে সবাই কে খাইয়ে দিলো,
দেখতে দেখতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায়,
রাতে শিখা ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আনমনে কিছু একটা ভেবেই চলেছে,
এইদিকে রাসেল বেলকুনি তে দাঁড়িয়ে তার সাথে আগে ঘটে যাওয়া সবকিছু চিন্তা করতেছে,
রাসেল:-শিখা আজ তোমার জন্য আমি আমার পরিবারের কাছে ধর্ষক,
সবাই অবহেলা করে, শুধু তোমার জন্য কি দোষ ছিলো আমার,
আমি কখনো তোমাকে ছাড়বো না আমিকে যেই অপবাদ দিছো তার জন্য তোমাকে হাজার গুণ বেশি কষ্ট পেতে হবে,
তৈরি থাকো,
এইসব ভাবতেছে আর এক হাত দিয়ে চোখের জল মুছতেছে,
সবুজ:-স্যার আপনার চোখে পানি যে,
কান্না করছেন কেনো,
রাসেল:-আরে না এমনি,
সবুজ:-স্যার চলেন ডিনার করে নিবেন,
রাত ভালোই তো হলো,
রাসেল:-হুম তুমি রেডি করো আমি আসতেছি,
সবুজ চলে যায় খাবার রেডি করতে,
একটু পরে রাসেল এসে খাবার খেয়ে তার রুমে চলে আসে,
শুয়ে থেকেই ভাবে,
রাসেল:-এইরে নীলা কে তো তার জন্মদিনে উইশ করা হয়নি,
না এখন নীল কে ফোন করে বলতেই হবে,
যেই ভাবা সেই কাজ,
রাসেল নীলের নাম্বারে কল দেই,
কিরিং কিরিং কিরিং,
করে কল হচ্ছে,
কিন্তু কেউ ফোন তুলছেনা,
একবার কল কেটে যায় আবার দিতেএ রিসিভ করে, নীলা,
রাসেল:-নীল কেমন আছিস,
নীল:-আমাকে আপনার কোন দিক থেকে ছেলে মানে নীল মনে হয় হুম,
রাসেল:-কি বেপার নীলের কন্ঠ মেয়ে মেয়ে হয়ে গেলো নাকি,মনেমনে,
এই কে আপনে,
নীলা:-আমি নীলের বোন,
রাসেল:-ওহহহ,
মেনি মেনি হ্যাপি রিটার্নস অব দ্যা ডে,
দোয়া করি আপনার আগামী দিনের পথচলা শুভ হোক,
আর সরি দেরিতে উইশ করার জন্য আসলে আমার একটু খেয়াল ছিলোনা,
নীল:-ইট্স ওকে,
আর আমি তো আপনাক নিজে থেকে দাওয়াত করিনি তাই রাগটাও দেখাতে পারলাম না,
নাহলে আপনার খবর ছিলো,
রাসেল:-ওরে বাবারে এই মেয়ে দেখি আবার ভয় ও দেখাই,
কি ডেন্জারাজ মাইরি,
আস্তে আস্তে,
নীলা:-এই আপনে আস্তে আস্তে কি বলেন হুম,
রাসেল:-এই মেয়ে কি হুম আমার মনের কথা কি করে বুঝতে পারলো যে আমি কিছু বলছি,
আচ্ছা আমি যে কিছু বলছি আপনে বুঝতে পারলেন কি ভাবে,
নীলা:-এমনি বোঝা যায় মিস্টার,
আচ্ছা কি করেন,
রাসেল:-কিছুনা সুয়ে আছি,আপনি কি করেন শুনি,
নীলা:-আমিও কিছু করিনা তবে বসে বসে কিছু একটা ভাবতাছি,
এইভাবে তাদের মাঝে আরো বেশ কিছু সময় কথা হয় তারপর রাসেল কল কেটে দেয়,
এইদিকে শিখা ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতে না পেড়ে ধিরে ধিরে নিচে নেমে আসে,
শিখা:-আচ্ছা জুঁই তুমি কি কাউকে ভালোবাসো,
শিখা নীলার দিকে তাকিয়ে জুঁই কে উপরের উক্তি টা বলল,
নীলা:-হ্যা বলেন ম্যাডাম আপনে কি কাউকে ভালোবাসেন,
জুঁই কিছুই বলছেনা,
ভালোবাসার কথা শুনে যেনো লজ্জায় লাল হয়ে গেছে,
শিখা:-আরে এতে লজ্জার কি আছে আমরা আমরাই তো তাইনা,
জুঁই:-হুম ভাবি তুমি জানোনা বিয়ের আগে প্রেম ভালোবাসা হারাম,
তাহলে আমি জেনে শুনে এই পাপের দিকে নিজেকে ঠেলে দেই কি করে বলো,
শিখা:-হারাম তবে আমাদের মন সেইটা মানতেই চাইনা, তবুও কাওকে না কাওকে মনের ঘরে ঠিকই জায়গা দিয়ে বসে,
জুঁই:-সেইটা ঠিক বলেছো,
মনটা বড়ই অদ্ভুত নিজের খেয়ে খেয়ে নিজের পরে অন্যের জন্য বাসা বাধে,আমিও তো কাওকে মনে মনে পছন্দ করি কিন্তু বিয়ের আগে আমি এই সবে জড়াতে চাইনা,
তোমাদের পছন্দের ছেলেকেই আমি আমার গলার মালা করে নিবো,
শিখা:- সত্যি,
আচ্ছা তোমার মনে মনে পছন্দের মানুষ টা কি আমাদের নীল ভাইয়া নাকি,
এইটা শুনে জুঁই তো লজ্জায় শেষ ফর্সা মানুষ গাল যে লালে ফুটে উঠেছে,
নীলা:-হ্যা আপু বলো তুমি কি আমার ভাইয়াকেই পছন্দ করো,
জুঁই:-হুম জানিনা কেন জানি তাকে আমার খুব ভালো লাগে,
তবে তোমাদের পছন্দ না হলে আমার ও পছন্দ না বলে দিলাম,
কথাটা বলেই জুঁই এক দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে রায়,
শিখা:-পাগলি একটা,
আমাদের কাছে বলতে ও সরম করে,
নীলা:-দোস্ত মিয়া বিবি রাজি তো আব কিয়া করেগা কাজি,এখন শুধু আন্টি আংকেল রাজি হলেই হয়,
তখনই পিছন দথেকে বলে ওঠে,
আম্মু:-আমরা ও রাজি,
রাসেলের আম্মুর গলা শুনে শিখা আর নীলা রিতিমতো চমকে ওঠে,
আসলে রাসেলের আম্মু আর আব্বু নীলার রুমের পাশদিয়ে রাওয়ার সময় ওদের কথাগুলো শুনতে পাই,
শিখা:- সত্যি আম্মু তোমরা রাজি,
আব্বু:-হ্যারে মা আমরা এই কথাটা তোকে বলতেই চাইছিলাম, আর নীল ছেলেটা অনেক ভালো আর আমার অনেক পছন্দের,
আম্মু:-আমার ও অনেক পছন্দ,
আমার মেয়েকে নীল খুব সুখে রাখতে পারবে,
নীলা:-আন্টি এই নিন মিষ্টি মুখ করেন,
আমি আমার ভাবি পাইলাম,
তার জন্য,
সবাই হাসিতে মাতোয়ারা এই মেয়ের কান্ড দেখে,
তারপর কথা বলে সবাই চলে যায় ঘুমাতে,
সকালবেলা নাস্তার টেবিলে,
আব্বু:-নীল বাবা আমরা আসার পরে তোমার সাথে তো তেমন কথা হয়নি,
তবে তুমি যদি কিছু মনে না করো তাহলে একটা কথা বলবো,
নীল:-হ্যা আংকেল বলেন এতে অনুমতি নেওয়ার কি আছে আপনে আমার পিতার মতোই তাইনা,
আব্বু:-হুম সেইটা ঠিক বলেছ,
তাহলে বলেই ফেলি,
আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমার আর আমার মেয়ের বিয়ে দিবো,
এইকথা শুনে জুঁই তো দৌড়ে রুমে চলে গেলো আর নীল নীলার দিকে তাকিয়ে,
ইশারায় বলছে,
নীল:-আংকেল কি বলছে এইসব হুম,
নীলা:-ঠিকই বলছে ভাইয়া রাজি হয়ে যা এখন ন্যাকামি না করে,
নীল দেখলো না সুযোগ এসেছে হাত ছাড়া করা যাবেনা পরে যদি আবার পাখি অন্য খাঁচাই বন্ধি হয়,
নীল:-দেখেন আমার আপন বলতেই এবোনটাই,
ও যখন আপনার মেয়ে কে পছন্দ করেছে আর আপনেরাও আমাকে পছন্দ করেছেন তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই,
আব্বু:-তাহলে শুভ কাজে দেরি কিসের,
আজকেই তাহলে কাজটা সেরে ফেলি,
নীল:-না আমার বন্ধু কে ছাড়া আমি কিছুতেই বিয়ে করবনা,
আম্মু:-তোমার বন্ধু কে তো দেখছিনা,
সে কোথায়,
নীলা:-আন্টি ভাইয়া লন্ডন গেছে অফিসের কাজে,
তিন মাস থাকবে,
আম্মু:-ওহহহ আচ্ছা তুমি যখন তাকে ছাড়া বিয়ে করবেইনা তাহলে কাবিনটা করে রাখলেই কিন্তু মন্দ হতোনা,
নীল কিছু বলতে যাবে তখনই নীলের ফোনে রাসেলের কল আসে,
নীল:-এক মিনিট প্লিজ আমার বন্ধু কল করেছে,
হ্যা বন্ধু তারপর বল কেমন আছিস,
রাসেল:-হ্যা আমি ভালো আছি তুই কেমন আছিস,
নীল:-আমি ভালো আছি,
দোস্ত তোর ভাবি ঠিক করেছি,
রাসেল:-কি বলছিস তুই ভাবি ঠিক করেছিস,
নিশ্চয়ই আমার ভাবি অনেক সুন্দরী তাইনা,
নীল:-দূর বেটা সুন্দরী কি হুম পরী বল পরী,
রাসেল:-ওরে বাবা তাই নাকি,
নীল:-হুম তবে একটা সমস্যা হয়ে গেছে,
রাসেল:-কি সমস্যা বল,
নীল:-তারা সবাই বলতেছে এখনি বিয়ে করেনিতে কিন্তু তোকে ছাড়া তো আমি বিয়ে করবোনা,
রাসেল:-আরে বেটা আমি তো আসবই তখন ভাবি কে দেখবো এখন তুই বিয়ে করে নে,
নীল:-না না না তোকে ছাড়া বিয়ে করবো না,
ব্যাস,
রাসেল:-আচ্ছা তাহলে বিয়ের কাবিন টা করে রাখ যেনো পাখি তোর নামে জব করে,
নীল:-এইটা মন্দ বলিস নাই এটা করা যায়,
আর তুই আসলেই ধুমধাম করে বউ আনবো কি বলিস,
রাসেল:-হুম দোস্ত সেটাই কর,
আচ্ছা দোস্ত আমি এখন রাখছি,পরে কথা হবে খোদা হাফেজ,
তারপর কল কেটে দিয়ে সবার সাথে কথাগুলো শেয়ার করে সিদ্ধান্ত নেই আজকেই বিয়ের কাবিনটা করে ফেলবে,
সবাই রাজি হয়, বিকালে নীল আর জুঁইএর বিয়ের কাবিনটা হয় ,
যদিও জুঁই তার ভাই ছাড়া বিয়ে করতে রাজি হচ্ছি লো না পরে শিখার জোড়াজুরিতে রাজি হয়েছে,
এইভাবে কেটে যায় তিনটি মাস,
রাসেল এয়ারপোর্টে এসে বিমানে বসে আছে,
একটু পরেই বিমান বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে উড়াল দিলো,অনেক সময় জার্নি করার পরে বিমান বাংলাদেশের মাটিতে অবতরণ করে,
ফুল নিয়ে সবাই দাঁড়িয়ে আছে,
সবার আগে নীল দৌড়ে গিয়ে রাসেল কে জড়িয়ে ধরে,
নীল:-বন্দু কেমন আছিস,
রাসেল:-তোকে ছাড়া কি করে ভালো থাকতে পারি বল,
তুই তো আমার বেঁচে থাকার একমাত্র উৎস,
তারপর সবার থেকে ফুল নিয়ে সবার সাথেই কৌশল বিনিময় করে বাসাই চলে আসে,
রাসেল:-দোস্ত তোর হাতে সরবত খাইনা কতো দিন হলো তোর কি মনে নেই হুম,
নীল:-আরে বেটা মনে আছে, কিন্তু আজকে আমি বানাবো না,
রাসেল:-তাহলে কি আমি বানাবো নাকি হুম,
নীল:-আরেনা আমার আদরের বোন তোকে সরবত বানিয়ে খাওয়াবে,
নীলা এই নীলা আমার বন্ধুর জন্য তোর হাতের স্পেশাল সরবত বানিয়ে আনেক,
নীলা:-আনতাছি ভাইয়া,
রাসেল আর নীল ছোফায় বসে কথা বলতেছে
কিছু সময় পরে নীলা ট্রে তে করে সরবত নিয়ে তাদের সামনে আসে,
নীলা:-ভাইয়া এইনিন আপনার জন্য স্পেশাল সর**,
যখনই রাসেল নীলার দিকে তাকালো তখনই নীলার কথা বলার ভাষা টাই যেন কোথাও উধাও হয়ে গেলো,
রাসেল তো অবাক হয়ে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে,,,,নীলার দিকে✍✍✍
❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
💝..........চলবে........
💝
🌺আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,
আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো প্রকার ভুল ক্রটি হয় তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🌺Wait for next part coming tomorrow 6am to 7am🌺