গল্পঃ মামাতো বোনের সাথে বিয়ে পর্বঃ ০৯


 মামাতো বোনের সাথে বিয়ে
পর্বঃ৯
#আবির হাসান নিলয়

ঘুম থেকে উঠে জবের জন্য ইন্টার্ভিউ দিতে গেলাম।
অনেকক্ষণ ধরে বাইরে বসে আছি।হঠাৎ পিয়ন
এসে বলল ভিতরে স্যার আমাকে ডাকছেন।
তারপর আর বাইরে না থেকে ভিতরে গেলাম।
ভিতরে তাকাতেই অনেকটা অবাক হয়ে গেলাম।
কারণ ভিতরে আতিক ভাই রয়েছে।কিন্তু সেদিকে
তওয়াক্কা না করে বললাম।
আমিঃস্যার আসবো?
স্যারঃইয়েস।প্লিজ সিট।(আতিক ভাই অন্য দিকে
তাকিয়ে ফোনে কথা বলছে)
আমিঃধন্যবাদ
আতিক ভাই কলটা কেটে দিয়ে আমার দিকে
তাকাতেই চোখ যেনো তার কপালে উঠে গেলো।
তিনি এই জায়গায় আমাকে দেখবে সেটা হয়তো
কখনো কল্পনাও করতে পারেনি।

অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর আতিক ভাই স্বাভাবিক
হয়ে আমাকে জিজ্ঞাস করলো।
স্যারঃনিলয় তুই এখানে?
আমিঃচাকরির জন্য ইন্টার্ভিউ দিতে আসছি স্যার।
—স্যার আপনি এনাকে চেনেন?(পাশে থাকা লোকটি)
স্যারঃরেজাউল সাহেব,আপনি চুপ করুন
রেজাউলঃসরি স্যার।
স্যারঃনিলয় তুই কি আমার সাথে মজা নিতে
আসছিস এখানে,যদি মজাই হয় তুই একটু বাইরে
অপেক্ষা কর আমি একটু পর আসছি
আমিঃস্যার আমি জবের জন্যই এসেছি
স্যারঃকিন্তু কেনো

আতিক ভাইয়ের দুপাশের দুজনের দিকে চোখ
ভুলাইলাম। হয়তো আতিক ভাই বুঝতে পারছে
আমার চোখ কি বলতে চাইছে।
স্যারঃরেজাউল আর মির্জা সাহেব আপনারা দয়া
করে বাইরে যান
—ঠিক আছে স্যার(তারা দুজন চলে গেলো)
স্যারঃনিলয় এখন বল
আমিঃকিন্তু স্যার...(থামিয়ে দিয়ে)
স্যারঃকি স্যার স্যার করছিস?আগে যেটা বলতি
এখনো সেটাই বলবি
আমিঃঠিক আছে।
আতিক ভাইঃএখন বল তুই এখানে কেনো?
আমিঃচাকরির খোঁজে
আতিকঃতোর আব্বুর এতো বড় বড় কোম্পানি
ছেড়ে আমাদের ছোট খাটো কোম্পানিতে কেনো?
(আতিক ভাই লিখতে অনেক বড় হয়ে যায় তাই
শুধু আতিক লিখছি।কেউ খারাপ ভাববেন না)
আমিঃবেচে থাকার জন্য
আতিকঃমানে...?
আমিঃআমাকে আর জান্নাতকে বাসা থেকে বের 
করে দিছে
আতিকঃজান্নাত মানে তোর মামাতো বোন?
আমিঃহ্যা
আতিকঃজান্নাতকে বের করে দিবে কেনো?
আমিঃকারণ আমার আর জান্নাতের বিয়ে হয়েছে
আতিকঃকিন্তু বের করে দিবে কেনো?
আমিঃভাই সেসব অনেক কথা। এখন আপনি
আমার সার্টিফিকেটগুলো দেখেন।
আতিকঃতুই বলবি কি না বল?

আতিক ভাইয়ের জোরাজুরিতে সব বলতে লাগলাম।
আমিঃএকদিন আমি আর জান্নাত ঘুরতে যায়
সেখানে................. (সব বললাম)
আতিকঃ........(বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল)
আমিঃএখন বেচে থাকার জন্য রাস্তায় নামতে
বাধ্য হয়েছি।গত পাচ দিন অনেক জায়গা ইন্টার্ভিউ
দিয়েছি।সবাই বলতো রাতে কল দিবে।অপেক্ষা
করেছি কিন্তু কেউ কল দেয়নি।
আতিকঃতোর ভাইয়া ভাবি কিছু বলেনি
আমিঃআব্বু তাদের কসম দিয়ে রেখেছে।
আতিকঃওহ।এখন কোথায় উঠেছিস
আমিঃএকটা বাসা ভাড়া নিয়েছি
আতিকঃজান্নাত কোথায় এখন
আমিঃআমার সাথেই
আতিকঃআঙ্কেল কবে যে বুঝবে আল্লাহ জানে
আমিঃহুম
আতিকঃতো আগামীকাল থেকে জয়েন কর
আমিঃ.....(অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম)
আতিকঃআরে তাকিয়ে আছিস কেনো?তোকে
বেতন নিয়ে ভাবতে হবে না
আমিঃভাই আপনি সত্যি জব দিচ্ছেন(চোখেরজল নিয়ে)
আতিকঃহ্যা রে।তুই আমার ছোটভাই। তাই দিলাম
আমিঃধন্যবাদ ভাই(উঠে জড়িয়ে ধরলাম)
আতিকঃহয়েছে আর কান্না করিস না।এখন
বাসায় গিয়ে তোর বউকে সময় দে।কাল থেকে
তো আর দিতে পারবি না।
আমিঃঠিক আছে ভাই।
আতিকঃআর শোন প্রথম দিন তাই সকাল সকাল
চলে আসবি বুঝলি?
আমিঃঠিক আছে।অফিসের টাইম কয়টা?
আতিকঃসকাল ১০টা
আমিঃঠিক আছে।এখন আসছি
আতিকঃসাবধানে যাস।

অফিস থেকে বের হলাম।মনের মধ্যে অনেক
ভালো লাগছে।ভাবতেই পারিনি এমন কিছু একটা
হবে।উপরওয়ালার কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া।
ওহ!আপনারা ভাবছেন এই আতিক ভাইটা আবার
কে?ঠিক আছে চলুন এখন বলছি।তারপর একটা
রিক্সা নিলাম।
--------------------------------------------
আতিক ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় কলেজেই।
আমার থেকে দুবছর সিনিয়র ছিলো আতিক ভাই।
সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে হয়তো অনেকেরই
শত্রুতা আছে।কিন্তু আমাদের ছিলো না।বলতে
গেলে আমরা ফ্রেন্ড ছিলাম।বন্ধুরা মিলে আতিক
ভাইদের সাথেই আড্ডা দিতাম।একদিনের ঘটনা
বলি তাহলে হয়তো ভালো করে বুঝবেন।সবাই
একসাথে বসে আছি.......(নতুন নামগুলো আতিক
ভাইয়ের বন্ধু)
ফারাবিঃঐ কলেজের ছাত্রলীগ গঠন করা হবে
জুয়েলঃতো আমরা কি করবো
ফারাবিঃযদি আমাদের মাঝে একজন ছাত্রলীগে
দাঁড়ায় তাহলে কিন্তু ভালোই হবে
জয়ঃতাহলে ফারাবি ভাই তুমিই দাড়াও
ফারাবিঃমজা নিস
রাফিঃমজা নিবে কেনো,ঠিকি তো বলছে
মাহিনঃরাফি শোন,ফারাবি যেটা বলছে সেটাও
করা যায়। কারণ এখন যে ছিলো সে ততোটা
ভালো না।আমাদের মাঝে যদি একজন দাঁড়াই
তাহলে নিশ্চিত জিতে যাবে
জুয়েলঃকিন্তু দাঁড়াবে কে?
আমিঃআতিক ভাই
আতিকঃতোর মাথা ঠিক আছে তো।কি সব
যাতা বলছিস
আমিঃআমি ঠিকি বলছি।
আতিকঃআমি পাড়বো না।তোর দরকার হলে তুই
হো।আমাকে ডাকবি না
আমিঃদেখো ভাই,আমি এখনো ছোট।আর তুমি
সব দিক থেকে পারফেক্ট তাই তুমিই এটার যোগ্য
আতিকঃকিন্তু....(থামিয়ে দিয়ে)
আমিঃকোনো কিন্তু না।ফারাবি ভাই চলো প্রিন্সিপাল
স্যারকে বলে আতিক ভাইয়ের নাম দিয়ে আসি।

ব্যস তারপর থেকেই আতিক ভাই ছাত্রলীগের
সভাপতি। কেনোনা আগের জন একদম ভালো
ছিলো না।ক্ষমতার অপব্যবহার করতো।তাই আর
আতিক ভাইয়ের জন্য অসুবিধা হয়নি।
--------------------------------------------
এটুকুতেই হয়তো বুঝতে পারছেন আমরা কতোটা
ঘনিষ্ঠ ছিলাম।
কথা বলতে বলতে বাসায় চলে এসেছি।রিক্সা
চালককে ভাড়া মিটিয়ে বাসার ভিতরে আসতে
লাগলাম।মনে মনে অনেক শান্তি লাগছে।বাসায়
এসে কলিংবেল বাজাতেই জান্নাত দরজা খুলে
দিলো।জান্নাতকে দেখেই জড়িয়ে ধরলাম।
আমিঃজান্নাত,জবটা পেয়ে গেছি
জান্নাতঃ......(চুপ করে আছে)
হঠাৎ জান্নাতের এখনকার ব্যবহারের কথা মনে
পড়তেই ছেড়ে দিলাম।

জান্নাত আমার থেকে একটু দূরে গিয়ে মাথা নিচু
করে দাঁড়িয়ে আছে।হয়তো লজ্জা পেয়েছে।
আমিঃসরি,সত্যি বলতে অনেক ভালো লাগছিলো
তাই জড়িয়ে ধরছি
জান্নাতঃঠিক আছে।
আমিঃদুপুরের খাবার খেয়েছো
জান্নাতঃনা
আমিঃঠিক আছে এখন খাবে চলো
জান্নাতঃহুম।

ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলে বসলাম।জান্নাত খুব
বেশি ভালো করে রান্না করতে পারেনা।কিন্তু
যেটুকু করে সেটাতেই আমাদের হয়ে যায়।কারণ
এখন আর স্বর্গে নেই। যে যখন যা আবদার করবো
সেটাই পাবো।জান্নাত খাবার বেরে দিয়ে আমার
পাশে বসলো। 
আমিঃতোমার রান্না করতে কষ্ট হয় তাই না?
জান্নাতঃএকবারও বলছি?
আমিঃকিন্তু আমি তো বুঝতে পারি
জান্নাতঃডাউল দিবো?
আমিঃনা থাক।
বুঝতে পারলাম জান্নাত এসব কথা বলতে রাজি
নয়।তাই কথা ঘুরাতে খাওয়ার ব্যাপারে প্রাশ্ন 
করলো।খাবার শেষ করে রুমে আসলাম।
রুমে বসে আছি কিছু সময় পর জান্নাত রুমে 
আসলো। তবে দেখে বোঝা যাচ্ছে কিছু একটা 
বলবে।তাই আমি জিজ্ঞাস করলাম।
আমিঃকিছু বলবে?
জান্নাতঃহুম
আমিঃহ্যা বলো
জান্নাতঃরাতে রান্নার জন্য কিছু নেই
আমিঃওহ।কি কি লাগবে
জান্নাতঃঅনেক কিছুই
আমিঃঠিক আছে তুমি রেডি হও। আমার সাথে
বাজার করতে যাবে
জান্নাতঃহুম

তারপর দুজন মিলে বাজার করতে গেলাম।কিছু
বাজার করে বাসায় আসলাম।কারণ কাছে তেমন
টাকাপয়সা নেই।যেটা আছে সেটা দিয়ে এই মাস
চলতে হবে।বাজার করে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
আগে টাকা কি বুঝতাম না।যখন যেটা আব্বু
ভাইয়াকে বলতাম সেটাই এনে দিতো।ইচ্ছামতো
টাকা নিতাম।কিন্তু এখন বুঝতে পারছি টাকা
কি জিনিস।ইউরোপ অঞ্চলের মানুষ ঠিকি বলে,
“Money is the second God in the world”.
কথাটির মানে আজ বুঝতে পারছি।তারা কেনো
এই কথাটি বলে।এসব ভাবতে ভাবতে বাসায়
চলে আসলাম।

মাঝেমধ্যে নিজেকে পাগল মনে হয়।একাই সব
সময় বকবক করি কিন্তু সামনের মানুষটা কিছুই
বলে না।কতো ভালোবাসি পাগলিটাকে।বিয়ের
আগে করো পাগলামি করতাম।কিন্তু এখন
সেটার কিছুই হয় না।মাঝে মাঝে মনে হয় বিয়ে
না হওয়াটাই ভালো ছিলো।সেদিন যদি আমি
জান্নাতের সাথে ওর ফ্রেন্ডের বাসায় না যেতাম
তাহলে হয়তো এসবের কিছুই হতো না।
-------------------------------------------
রাতে দুজন খাবার খেয়ে নিলাম।আগামীকাল
অফিস তাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছাতে
লাগলাম।
আমিঃজান্নাত,আমরা কি ব্যাগ এনেছিলাম?
জান্নাতঃহ্যা
আমিঃতুমি এনেছিলে?
জান্নাতঃহুম
আমিঃওহ।
জান্নাতঃএখানে টাকা আছে(একটা ব্যাগ দিয়ে)
আমিঃতুমি এতোটাকা পেলে কোথায়(ব্যাগ খুলে)
জান্নাতঃভাবি দিয়েছে
আমিঃআগে বলোনি কেনো আমায়
জান্নাত কথাটির উত্তর না বাথরুমে চলে গেলো।
বুঝিনা এই মেয়ের মাথায় মাঝে মাঝে ভুত চাপে
নাকি।মনের ইচ্ছা অনুযায়ী উত্তর দিবে।
সেসব ভেবে লাভ নেই।সেদিনের মতো ঘুমিয়ে
গেলাম।

পরেরদিন........
সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেলো।ঘুম থেকে উঠে
দেখলাম জান্নাত পাশে নেই।মাথায় চিন্তা ডুকে
গেলো।এই মেয়ে আবার গেলো কোথায়।
বাথরুমে দেখলাম নেই।
আমিঃজান্নাত.....জান্নাআআত
কিন্তু কোনো উত্তর আসলো না।হঠাৎ রান্না ঘরের
কথা মনে পড়লো।দৌড়ে রান্না ঘরে গেলাম।
সেখানে যেতেই মনে শান্তিত বাতাস বেয়ে গেলো।
জান্নাত আমাকে দেখেও কিছু না বলে রান্না
করতে লাগলো।
আমিঃতুমি এতো সকালে এখানে কেনো
জান্নাতঃ.....(কিছু না বলে রান্না করতে লাগলো)
আমিঃএদিকে আসো(জান্নাতকে কাছে টেনে)
জান্নাতঃ(এখনো কিছু বলছে না)
আমিঃরান্না করতে আসবে আমাকে একবার বলে
আসতে পারলা না।আর তুমি তো আমার সাথে
কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছো।এদিকে আমার
দিকে তাকাও(গাল ধরে আমার চোখের দিকে
নিয়ে বললাম)
জান্নাতঃহুম
আমিঃআমি কি কোনো ভুল করেছি?সেদিন তো
আমার কোনো দোষ ছিলো না।তারপরেও আব্বু
আমাকে শস্তি দিয়েছে।কিন্তু তুমি তো জানো আমি
কোনো দোষ করিনি।তাহলে তুমি কেনো আমাকে
কষ্ট দিচ্ছো??
জান্নাতঃরান্না করতে হবে(বলে নিজেকে আমার
থেকে ছাড়িয়ে নিলো)

সেখানে আমিও দাঁড়িয়ে না থেকে বাথরুমে এসে
গোসল করে রেডি হতে লাগলাম।একটু পর জান্নাত
খাওয়ার জন্য ডেকে গেলো।
---------------------------------------------
সকালের নাস্তা করে অফিসের জন্য রওনা দিলাম।
বাসা থেকে অফিসের দুরত্ব অনেকটা পথ।রিক্সা
করে নিলে প্রায় ৩০মিনিট সময় লাগে।তাই অফিসে
আসার জন্য রিক্সা নিলাম।

অফিসে আসার পর পিয়নের সাহায্যে প্রথমেই
আতিক ভাইয়ের কেবিনে চলে গেলাম।
আমিঃভাই আসবো
আতিকঃআরে নিলয়,আয় আয় এরপর থেকে
আর পারমিশন নিতে হবে না।নীলের মতো আমাকেও
নিজের ভাই মনে করবি।
আমিঃজ্বি
আতিকঃএখন বল।
আমিঃআমার কেবিন আর কাজটা বুঝিয়ে নিতে
তোমার কাছে আসছি
আতিকঃঠিক আছে চল
তারপর আতিক ভাই আমাকে সাথে নিয়ে আমার
কেবিন আর কাজটা বুঝিয়ে দিলো।সাথে কিছু
অফিসের মেম্বারদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো।
অফিসের কাজ সম্পর্কে কিছুটা ধারনা আছে।
কিছুটা বললে ভুল হবে।অনেকটাই আছে।আগে
মাঝে মাঝেই ভাইয়ার সাথে অফিসে যেতাম।
সে যায় হোক,অফিসের কাজে মন দিলাম।
অনেকক্ষণ ধরেই কাজ করছি হাতের কাজ প্রায়
শেষ। কারণ আজ প্রথম দিন তাই তেমন কোনো
কাজ নেই।হঠাৎ জান্নাতের কথা।মনে পড়লো।
মেয়েটা কি করছে না করছে কিছুই জানিনা।কল
দিবো সেটাও সম্ভব না।কারণ বাসা থেকে বের
হয়ে আসার পরপরই ফোনের সিম ফেলে দিছে।
নতুন করে আর সিম কেনা হয়নি।
--------------------------------------
আমিঃভাই আসবো?
আতিকঃহুম আয়
আমিঃআসলে হাতে তেমন কাজ নেই
আতিকঃবাসায় যাবি?
আমিঃহুম
আতিকঃঠিক আছে।আর সাবধানে যাবি
আমিঃঠিক আছে ভাই।আসি তাহলে

অফিস থেকে বের হয়ে মার্কেটে গেলাম।সেখান
থেকে দুটো নতুন সিম কিনে বাসা আসলাম।
বাসার কলিংবেল বাজাতেই জান্নাত দরজা খুলে
দিলো।হয়তো আমার জন্যই অপেক্ষা করছিলো।
রুমে এসে বললাম......
আমিঃখুব বোরিং হচ্ছিলে তাই না
জান্নাতঃনা
আমিঃতাহলে কলিংবেল বাজাতেই খুলে দিলে যে
জান্নাতঃএমনি
আমিঃওহ
জান্নাতঃখেতে আসো
আমিঃঠিক আছে আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।

ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে নিলাম।সেদিনের মতো
দিনটা পার করলাম।
পরেরদিন.......
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিলাম।তারপর দুজনে
একসাথে নাস্তা করে অফিসে রওনা দিলাম।মাঝে
মাঝেই নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি।মেয়েটা বাসায়
একা একা হয়তো খারাপ লাগে।কিন্তু আমারই
বা কি করার আছে।যতোটা সম্ভব সময় দেয়ার
চেষ্টা করি।এসব ভাবতে ভাবতে অফিসে চলে
এলাম।

চলবে............
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post