গল্পঃ মাফিয়ার শহরে পর্ব ৩

 

#মাফিয়ার_শহরে 
#Jahedur_Rhaman_Saikat 
#৩য়_পর্ব

আকাশ আমি বাঁচতে চাই আকাশ বাঁচাও আমায় আকাশ।  তোমার সাথে দেখা হাজারো সপ্ন নিয়ে আমি বাঁচতে চাই আকাশ।  বড্ড ভালবাসী তোমায়।  আমায় এখানে এই অন্ধকার ঘরে রেখে যেও না আকাশ।  তুমি জানো না তোমার পাগলিটা তোমায় ছাড়া থাকতে পারে না?  তাহলে এখন কেন এই আমায় একা রেখে চলে যাচ্ছো?  ভালবাসো না তোমার মুনালিসাকে?   

মুনালিসাহহহহহহহহহহহ 
ঘুম ভেঙে যায় আকাশের।  এতক্ষণ তাহলে সে সপ্ন দেখছিল?  অন্ধকার ঘর থেকে কি মুনালিসা তাকে ডাকছে?
যার জন্য সে এই অন্ধকার জগত থেকে ফিরে এসেছে তাকেই হারাতে হল.. কেন? নিয়তি কেন তার সাথে এমনটা করলো?  কি দোষ ছিল মুনালিসার?  নিস্বার্থ ভাবে একজনকে ভালবেসে কিনা তার জিবনটা দিতে হল? 

রাফিঃ বস  আহান এর লোকরা আবার ড্রাগ ও মেয়ে সাপ্লাই করতে শুরু করেছে। 

আকাশঃ কুকুরের লেজ কোনদিন সোজা হবে না। খোঁজ নে কখন আর কোথায় তারা ড্রাগ সাপ্লাই দিবে৷  আজ ওদের যমের সাক্ষাৎ করিয়ে দিব। 

রাফিঃ হ******গন্জ, ২০৮ রোড, বাংলোয় আজ তারা একটা পার্টির আয়োজন করেছে।  সেখানেই তারা আজ ডিল ফাইনাল করবে। 

আকাশঃ ঠিক আছে।  তরা সবাই তৈরি থাকিস। 

রাফিঃ আচ্ছা। 

তারপর যখন রাত এগারোটা ছুইঁ ছুইঁ করতেছে তখন আকাশ তার দল নিয়ে চলে যায় সেই ঠিকানায়।  সেখানে কিনা অবৈধ ভাবে ড্রাগ ও মেয়ে সাপ্লাই করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছে ও যায়৷ অতঃপর সে সবাইকে অবস্থান নিতে বলে।  এবং এলার্ড করার আগ মূহুর্ত অবদি যেন তারা কিছু না করে সেটা বলে, রাফিকে নিয়ে ভিতরে চলে যায়। 
ভিতরে ডুকার আগে সিকিউরিটি গার্ড তাদের পথ আটকে ধরে। 

সিকিউরিটিঃ আপনাদের ইনবাইট কার্ড দেখান। 

রাফিঃ এটা কেমন ধরনের ব্যবহার?  দাওয়াত দিয়ে এখন কি আপনারা অপমান করতেছেন? 

সিকিউরিটিঃ সরি স্যার আমরা আমাদের ডিউটি পালন করতেছি।  

আকাশঃ রাফি এত কথা না বলে ইনবাইট কার্ডটা দেখিয়ে ভিতরে চল। 

রাফিঃ এই যে নিন।  এভাবে ডেকে এনে অপমান না করলেও পারতেন।  আমি আপনার বসের কাছে এই নিয়ে কথা বলবো। 

সিকিউরিটিঃ সরি স্যার আমাদের যেটি বলা হয়েছে সেটিই করেছি।  

আকাশঃ আচ্ছা ঠিক আছে।  রাফি এত কথা না বলে ভিতরে চল।

আকাশ আর রাফি ভিতরে চলে যায়।  সেখানে গিয়ে চারদিকে ভাল করে লক্ষ্য রাখে যাতে তাদের মিশন সাকসেসফুল হয়।  খুব সর্তকতার সাথে কাজ করতে হবে।  যদি একটু এদিক'সেদিক হয় তাহলে সব প্লেন নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হতে দেওয়া যাবে না।  আহানকে আজ শাস্তি পেতেই হবে।  যদিও আকাশ আজ অবদি জন সম্মুখে আসে নি.. যাদের মৃত্যু ঘনিয়ে আসে আকাশ শুধু তাদেরকেই দেখা দেয়... তাও নিজ ইচ্ছায়।  যার জন্য আকাশকে তারা চিনতে পারে নি।  তবে অন্ধকার জগতে আকাশকে সবাই বাদশা বলেই চিনে।  কিন্তু কে সেই বাদশা সেটা কারো জানা নেই।  
হঠাৎ মাইকে আওয়াজ......

ভাই সকল আজ আমাদের নতুন ডিল ফাইনাল করবো।  এখানে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ভাবে আমন্ত্রিত।  সবাই পার্টি ইনজয় করেন।  লেটস মিউজিক..........

সবাই যখন পার্টি তে ব্যাস্ত তখন ই  আমরা আমাদের কাজ শুরু করে দিলাম।  যে রুমে আহান ও তার সঙ্গীরা বসে ছিল,, সেই রুমে চলে গেলাম।  আকাশকে দেখে হকচকিয়ে উঠে আহান।  

আহানঃ পার্টি বাহিরে হচ্ছে,, এখানে কি চাই?? 

আকাশঃ তকে চাই.. 

আহানঃ মানে কি বলতে চাস তুই?? 

আকাশঃ তেমন কিছু না তুই নারী পাচার ও ড্রাগ স্মাগলিং ছেড়ে দে...

আহানঃ আমায় জ্ঞান দিবার তুই কে রে?? 

আকাশঃ অন্ধকার জগতের বাদশা আমি হা হা হা হা ....

আহানঃ তাহলে তুই সে যাকে কিনা সবাই যমের মত ভয় পায়?  শুনেছি তো সে কারো সামনে আসে না..তাহলে আমার সামনে আসলো কি করে...?

আকাশঃ এটা শুনিস নি  যখন কারো সময় ফুরিয়ে আসে তখনই বাদশা তাদের সামনে আসে...

আহানঃ সময় আমার ফুরিয়ে আসছে নাকি তোর সেটা এখনই বুজতে পারবি.. 

রাফিঃ এই তরা কাজে লেগে পর ....

মূহুর্তের মধ্যে আকাশের দলবল চারদিকটা গিরে ফেলে এবং সবাইকে এক জায়গা আটকে নেয়।  
আকাশের পায়ের উপর পরে আছে আহান।  কিছু বুজে উঠার আগেই তার চারপাশের সবাইকে মেরে ফেলে আকাশের দলবল ।  শুধু মাএ আহানকেই বাচিঁয়ে রাখে।  কিন্তু কতক্ষণ তাকে বাচিঁয়ে রাখবে সেটা বলা কারো পক্ষে সম্ভব না। 
মূহুর্তেই জায়গাটা একদম শান্ত হয়ে যায়।  যেখানে আর তিনমিনিট আগেও নাচ'গান হচ্ছিল সেই জায়গাটা এখন শশ্নান এ পরিনত হয়েছে।  হা হা হা হা হা কিং দুনিয়ার বাদশা এই আকাশ চৌধুরী। 
রাফিকে ইশারা করে একটা রিবালবার চেয়ে নেয় আকাশ।  তারপর রিবালবার এ থাকা প্রত্যেকটা গুলি আহান এর শরীরটাকে একদম ঝাঝড়া করে দেয়।  সমস্ত প্রমান লোপাট করে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসে আকাশ ও তার সাঙ্গপাঙ্গ।  অতঃপর তাদের মিশনটি সাকসেসফুল হয়। 
মধ্যে রাএি রাফি গাড়ি ড্রাইব করতেছিল, আর আকাশ পাশের সিটে বসে আছে।  এমন সময়.........

আজানের শব্দে অতিত থেকে ফিরে আসে আকাশ।  অতঃপর তারাতাড়ি উঠে চলে যায় মসজিদে।  ফজরের নামাজ আদায় করে বাসায় চলে আসে।  কিন্তু তার মনে কিছুতেই শান্তি আসতেছে না।  বারবার শুধু মুনালিসার জন্য চটপট করতে থাকে।  না না আমায় মুনালিসার খুনিদের খুজে বের করতেই হবে।  নাহলে আমার পাগলিটা শান্তি পাবে না।  
 ভাবতে ভাবতে সেই অপরিচিত অর্থাৎ রাফিকে ফোন দেয় আকাশ। 

রাফিঃ আসসালামু আলাইকুম বস। 

আকাশঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম।  ওদিকের কি খবর রে? 

রাফিঃ আপনি চলে যাওয়ার পর সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে।  কেউ আর কাজ করতে চায় না।  

আকাশঃ সবাইকে বল আমি ফিরে আসবো।  দুইদিনের মধ্যে সবকিছু রেডি কর।  আমি কয়েকদিন পর সবকিছু সামাল দিয়ে ফিরে আসতেছি।  অন্ধকার জগতের বাদশা হয়েই থাকবো এই আকাশ চৌধুরী। 

রাফিঃ ঠিক আছে বস। আমি সবকিছু রেডি করতেছি,  আপনি আসেন। 

আকাশঃ ঠিক আছে। 
ফোনটা কেটে দিয়ে আকাশ তার নানার কাছে চলে যায়।  তারপরেই................... 

চলবে............................... 



। 

। 

💓 পরের পর্বে গল্পের মেইন টুইস্ট আসতেছে 💓
🦋 কেমন হইসে জানাবেন 🦋 ভুল ক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন🦋
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post