গল্পঃ মামাতো বোনের সাথে বিয়ে পর্বঃ ০৮

 
গল্পঃ মামাতো বোনের সাথে বিয়ে পর্বঃ ০৮

মামাতো বোনের সাথে বিয়ে
পর্বঃ৮
#আবির হাসান নিলয়

অনেকটা অপ্রস্তুত ভাবেই আমাদের বিয়েটা হয়ে
গেলো।মাথাটা এখনো ঝিম ধরে আছে।কি থেকে
কি হয়ে গেলো।একবার শুনতে পারতো জান্নাতের
এমন চেহারা কেনো?আব্বুর কথাটাও ঠিক আছে।
কারণ জান্নাত যাওয়ার সময় কান্না করে চোখের
কাজল নষ্ট করে ফেলছে।কিন্তু আব্বু আমাকে
এতোটা খারাপ ভাবতে পারলো?নিজের মধ্যেই
অনেক খারাপ লাগছে,আব্বু সেইসব বাজে কথা
বলতে পারলো।আর আম্মুও তো কিছু বলল না।
মাথাটা কাজ করছে না।মোবাইলের দিকে তাকিয়ে
দেখলাম ১ঃ৩০বাজে। ছাদে না থেকে রুমে গেলাম।

রুমে আসতেই দেখলাম জান্নাত খাটের উপর
বসে কান্না করছে।কান্না করাটাই স্বাভাবিক। যেখানে
আমি ছেলে হয়ে কান্না পাচ্ছে আর জান্নাত তো
একটা মেয়ে।অনেক স্বপ্ন ছিলো এই বিয়ে নিয়ে
কিন্তু ভাগ্যে সেগুলোর কিচ্ছু হলো না।জান্নাতের
দিকে গেলাম।
-------------------------------------
মেয়েটা মনে হচ্ছে বিয়ে থেকেই কান্না করছে।
জান্নাতের কাছে গিয়ে বসাতেও জান্নাত কিছু
বললো না।অঝোর ঝরায় কান্না করছে।
আমিঃএবার তো থামো
জান্নাতঃ.....(কিছু বলল না)
আমিঃকি হলো। এখন কান্না করলেই কি সব ঠিক 
হয়ে যাবে মনে করছো
জান্নাতঃসব তোর জন্য হয়েছে।তোদের এটা প্ল্যান
ছিলো তাই না।তুই তো আগে থেকেই আমাকে
বিয়ে করতে চাইতি কিন্তু এভাবে একটা কলঙ্কের
দাগ আমায় দিতে তোর একবারো বাজলো না?
(আমার কলার ধরে আর কান্না করে)
আমিঃপ্লিজ শান্ত হও।
জান্নাতঃকি শান্ত হবো আমি।এখন সবাই বলবে
আমি তোর সাথে নষ্টামি করে বেড়াইছি এতোদিন।
তুই আমাকে গলা টিপে মেরে ফেল প্লিজ তবুও
আমি এসব বাজে কথা শুনতে চাই না
আমিঃতোমার কিছু শুনতে হবে না।এখন তুমি ঘুমাও
জান্নাতকে কিছু বলতে না দিয়ে ওকে ধরে ঘুমিয়ে
কিছু সময় বসে থাকার পর আমিও ফ্লোরে ঘুমিয়ে
গেলাম।

পরেরদিন.....
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নিলাম।রুমে এসে দেখি
জান্নাত ঘুম থেকে উঠে পরছে।
আমিঃযাও ফ্রেস হয়ে নাও
জান্নাত হ্যা বা না কিছুই বলল না।সোজা ফ্রেস
হতে চলে গেলো।রুমে বসে আছি এমন সময়
বাইরে থেকে ভাবি ডাকলো...
ভাবিঃনিলয় খেতে আয়
আমিঃহ্যা আসছি
ভাবিঃজান্নাতকেও সাথে নিয়ে আয়
আমিঃঠিক আছে।

ভাবি চলে যাওয়ার পর একটু পর জান্নাত ফ্রেস
হয়ে রুমে আসলো।
আমিঃনাস্তা করার জন্য নিচে যেতে বলল চলো
জান্নাতঃহুম।
জান্নাতকে সাথে নিয়ে নিচে আসতে দেখলাম
ভাবি ছাড়া কেউ নেই।
আমিঃভাবি আর সবাই কোথায়?
ভাবিঃতারা খেয়ে নিয়েছে
আমিঃতুমি খাওনি
ভাবিঃতোদের সাথেই খাবো।
ভাবি আমাদের খাবার বেড়ে দিয়ে সে নিজেও
খেতে বসলো।তারপর খাওয়া দাওয়া করে রুমে
চলে আসলাম।

শুনেছি বিয়ের পরেরদিন নিয়ম অনুযায়ী বরকে
সাথে নিয়ে বউ তার বাবার বাসায় যায়।কিন্তু
আমাদের বেলায় সেটা মোটেও হচ্ছে না।আর
হবেই বা কি করে।যেখানে আমাদের বিয়েটাই
নিয়ম অনুযায়ী হয়নি।
দুপুরের আগেই মামা মামি তাদের বাসায় চলে
গেলো।কিন্তু আমাকে আর জান্নাতকে কিছু না 
বলেই।লক্ষ্য করলাম বাসার মধ্যে ভাবি ছাড়া
আমাদের দুজনের সাথে কেউ কথা বলছে না।
আমি কিছু বলতে গেলেও তারা নানারকম বাহানা
দিয়ে চলে যায়।এরই মাঝে কয়েকদিন চলে
গেলো।এই কয়েকদিন কলেজে যায়নি। রুমে
বসে আছি আর জান্নাত বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে।
মেয়েটা কেমন যেনো হয়ে গেছে আগের মতো
কারো সাথেই কথা বলে না।হ্যা, না আর হুম বলেই
কথা শেষ করে দেয়।এটা নিয়ে আমিও কিছু
বলিনি।রুমে বসে আছি এমন সময় ভাবি
আসলো।
ভাবিঃনিলয়,কলেজে যাবিনা?
আমিঃকাল থেকে যাবো
ভাবিঃতোর কাছে টাকা আছে?
আমিঃআসলে ভাবি....
ভাবিঃএই নে।এখানে ১০হাজার আছে
আমিঃএতোটাকা কেনো(অবাক হয়ে)
ভাবিঃকলেজে যাবি তাই।আর শোন এটা শুধু
তোর জন্য না।জান্নাতের জন্যও।
আমিঃঠিক আছে।

পরেরদিন জান্নাতকে সাথে নিয়ে কলেজে গেলাম।
আমাদের দেখে অনেকেই বাজে ভাবে তাকিয়ে
আছে।কিন্তু কেউ কিছু বলছে না।জান্নাত ওর
ক্লাসে চলে গেলো।জয় আমার দিকে এগিয়ে
আসলো।
জয়ঃনিলয়,তোর সাথে কথা আছে।
আমিঃহ্যা বল
জয়ঃওদিকে চল
আমিঃএখন বল
জয়ঃতুই আর জান্নাত বিয়ে করে নিছিস
আমিঃহুম
জয়ঃযেটা শুনছি সেটা কি ঠিক?
আমিঃকোনটা
জয়ঃতুই আর জান্নাত ঐসব করছিস
আমিঃতোর কি মনে হয় আমরা ঐধরনের কাজ করেছি?
জয়ঃবিশ্বাস হয়না বলেই তোর থেকে শুনছি
তারপর জয়কে সব বললাম।
জয়ঃবাসায় এসব বলিসনি?
আমিঃশোনার মতো কেউ নেই
জয়ঃমন খারাপ করিস না।সব ঠিক হয়ে যাবে
আমিঃহুম।ক্লাসে চল।
তারপর ক্লাস করে বাসায় চলে আসলাম।

১বছর পর.......
বৃদ্ধ মানুষদের থেকে শুনেছি সময় গেলে নাকি
মানুষ সব ভুলে গিয়ে শত্রুর সাথেও কথা বলে।
কিন্তু আজ অবধি আব্বু আম্মু আমার সাথে
কথাটাই বলছে না।অনেকবার বলতে চেয়েছি
কিন্তু শোনেনি।খাবার খেতে ভাবি ডাকাতে নিচে
এলাম।কিন্তু আমাকে দেখে আব্বু খাবার টেবিল 
থেকে উঠে যেতে লাগলো।
ভাবিঃআব্বু উঠে যাচ্ছো কেনো
আব্বুঃক্ষুদা নেই তাই।
ভাবিঃআব্বু আসলে নিলয় আর জান্নাত...
আব্বুঃআমি সেসব কথা শুনতে চাইনি অরিতা।
আর একবার যদি বলতে চাও তাহলে আমার
মরা মুখ দেখবে।
ব্যস সেদিন থেকেই ভাবিও হার মেনে নিছে।
এদিকে আমার অনার্সটাও শেষ। কি করবো ভেবে
পাচ্ছি না।তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আব্বুকে আজ
সব বলবো তারপর যেটা হয় হবে।আমরা তো
কিছু ভুল করেনি।

রুমে বসে আছি আর জান্নাত বেলকনিতে দাঁড়িয়ে
আছে।তখন ভাবি খাওয়ার জন্য ডেকে গেলো।
রুমে না থেকে নিচে আসতেই দেখলাম আব্বু
রয়েছে।
আমিঃআব্বু, তোমার সাথে কিছু কথা আছে
আব্বুঃ.........(নিশ্চুপ)
আমিঃআব্বু আজ প্লিজ চুপ থেকো না
আব্বুঃঠাসসস ঐ মুখে আর কখনো আমাকে
আব্বু বলে ডাকবি না😡
আমিঃহ্যা মারো আমাকে, কিন্তু তারপরেও আজ
তোমাকে শুনতেই হবে কি হয়েছিলো সেদিন
আব্বুঃবেরিয়ে যা
আমিঃ......(অবাক হলাম)
আব্বুঃএই মুহূর্তে আমার বাসা থেকে বেড়িয়ে যা
(জোড়ে জোড়ে বলল।আব্বুর এমনিতেই হার্টের
সমস্যা তার উপর এভাবে জোড়ে কথা বলা ঠিক
না।তাই আমি চুপ করে রইলাম।ল
আব্বুঃদাড়িয়ে রইলি যে?তোর কি আছে নিয়ে যা
আমিঃবাসায় আমার কিছুই নেই আব্বু।যেটার
কথাই বলোনা কেনো সবটাই তোমাদের।তুমি
যদি আমাকে দেখতে না চাও চলে যাচ্ছি।

তারপর উপরে উঠতে লাগলাম।দেখলাম জান্নাত
উপর থেকে কান্না করছে।জান্নাতকে রুমে এনে
কিছু টাকা নিয়ে বের হবো এমন সময় ভাবি এলো।
ভাবিঃনিলয় প্লিজ যাস না
আমিঃআব্বু আম্মুর যত্ন নিবে। বাই ভালো থেকো।
জান্নাত নিচে এসো।
জান্নাতের আগেই নিচে এলাম।
আমিঃভালো থেকো তোমরা(পায়ে সালাম দিয়ে)
বলে বাইরে চলে এলাম।জান্নাত এখনো আসেনি।
হঠাৎ করে জান্নাত এলো।
আমিঃচলো
জান্নাতঃহুম
---------------------------------------
মাথায় কিছু ডুকছে না।কোথায় যাবো কি করবো
ইত্যাদি। জয়কে কল দিলাম।
আমিঃজয় কোথায় তুই
জয়ঃবাসায় আছি
আমিঃদেখা করতে পারবি?
জয়ঃকোথায়
আমিঃকলেজে আয়
জয়ঃঠিক আছে।
১৫মিনিট পর জয় আসলো....
জয়ঃকিরে সালা হানিমুনে যাবি নাকি
আমিঃনা
জয়ঃতাহলে?
(সব খুলে বললাম)
জয়ঃচল আমার সাথে
আমিঃকোথায়?
জয়ঃতোদের বাসায়
আমিঃনা। এখন তুই একটা বাসা ঠিক করতে পারবি
জয়ঃওয়েট। আগে কল দেয়
তারপর কাকে জেনো কল দিলো।
আমিঃকি বলল?
জয়ঃআমার চাচ্চুর বাসার পাশের ফ্লাইটে ভাড়া হবে
আমিঃঠিকানা কি
জয়ঃকিন্তু সেটা অনেক ধুর
আমিঃসমস্যা নেই।তুই ঠিকানা দে
জয়ঃ........এটা(একটা ঠিকানা দিয়ে)
আমিঃআমরা চলে যাচ্ছি।কিন্তু তুই কাউকে বলিস
না।আমরা কোথায় যাচ্ছি।ভালো থাকিস
জয়ঃসাবধানে যাস।
জয়কে বিদায় দিয়ে বাসে উঠলাম।তারপর জয়ের
দেয়া ঠিকানায় চলে আসলাম।জয়ের চাচ্চুকে
নিয়ে বাসা ভাড়া নিলাম।
----------------------------------------
আমিঃধন্যবাদ চাচ্চু।আপনি না থাকলে হয়তো
এতো দ্রুত সম্ভব হতো না।
চাচ্চুঃধন্যবাদ দিতে হবে না।পরে জ্বালানোর জন্য
আসবো তখন সময় দিলেই হবে
আমিঃসেটা তো অবশ্যই
চাচ্চুঃএখন উঠি পরে দেখা হবে
আমিঃঠিক আছে।
তারপর চাচ্চু চলে গেলো।বাসা মোটামুটি ঠিকঠাক
আছে। কিন্তু নিজেদের মনোমতো করে সাজিয়ে
তোলার জন্য দুদিন বাসায়ই থাকলাম।জয়কে
দিয়ে পড়াশোনার সকল সার্টিফিকেট তুললাম।
কারণ বেচে থাকতে হলে একটা কিছু করতেই
হবে।রুমে বসে ফোনে কয়েকটা অফিসের লোক
নেয়ার নিউজ দেখলাম।ভাবছি কাল ইন্টার্ভিউ
দিয়ে আসি।দেখি কি হয়।
আমিঃজান্নাত একটু শুনবে?
জান্নাতঃবলুন(জান্নাত এখন আপনি করে বলে)
আমিঃকষ্ট না হলে এক কাপ চা করে দিবে
জান্নাতঃহ্যা
জান্নাত রান্নাঘরে চলে গেলো।একটু পর এলো।
জান্নাতঃএইযে চা
আমিঃহুম দাও।বাহ তুমি তো খুব ভালো চা
তৈরি করতে পারো।অনেক সুন্দর হয়েছে(চায়ে
চুমুক দিয়ে বললাম)

খানিকটা খাওয়ার পর কাপটা রেখে ওয়াশরুমে
গেলাম।ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসেই দেখি
জান্নাত অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।চোখের কোনে
সামান্য জল জমে গেছে।
আমিঃকি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
জান্নাতঃচা ভালো হয়নি?
আমিঃভালো হবে না কেনো,অনেক সুন্দর হয়ছে
জান্নাতঃমিথ্যা
আমিঃমিথ্যা হবে কেনো
জান্নাতঃআমি খেয়েছি
(সত্যি বলতে চায়ে চিনির পরিবর্তে লবণ দিয়েছে।
জান্নাত এখন আগের মতো নেই, যে ওকে রাগাবো।
তাই আর কিছু বলিনি সেটার জন্য)
আমিঃতুমি রেডি হও তো
জান্নাতঃকেনো
আমিঃতোমাকে নতুন কলেজে ভর্তি করাবো
জান্নাতঃলাগবে না
আমিঃকেনো লাগবে না শুনি
জান্নাতঃআর পড়বো না
আমিঃএটা আবার কেমন কথা?
জান্নাত কিছু না বলে রান্নাঘরে চলে গেলো।

সেদিনের মতো দিনটা পার করে পরেরদিন ইন্টার্ভিউ
দেয়ার জন্য বেড়িয়ে গেলাম।দুটো জায়গা ইন্টার্ভিউ
দিলাম।রাতে নাকি কল দিয়ে জানাবে।বাসায় এসে
ফ্রেস হয়ে নিলাম।জান্নাত এখনো ঠিক আগের
মতোই আছে।কখনো আগে থেকে আমার সাথে
কথা বলে না।শুধু আমার কথার উত্তর দেয়।রাতে
আর কল আসলো না।তারমানে আমি সিলেক্ট
হয়নি।পরপর চারদিন ইন্টার্ভিউ দিলাম।কিন্তু
কোনো কাজই হচ্ছে না।এদিকে যে টাকাগুলো
ছিলো সেটাও প্রায় শেষ হওয়া হওয়া ভাব।

মাথাটা কাজ করছে না।গা এলিয়ে দিয়ে বিছানার
উপর শুয়ে আছি।এমন সময় জান্নাত চা নিয়ে
আসলো।
আমিঃজান্নাত তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না
জান্নাতঃনা তো(এক চিলতে হাসি নিয়ে)
আমিঃকি করবো বলো,যথেষ্ট চেষ্টা করছি কিন্তু
জব খুঁজে পাচ্ছি না।কাল আবার ইন্টার্ভিউ দিতে
যাবো।উপর আল্লাহ ভালো জানেন কি হবে কাল।
জান্নাতঃহুম।
আমিঃআমি কি কোনো দোষ করেছি?
জান্নাতঃনা
আমিঃতাহলে তুমি আমার সাথে ঠিক ভাবে কথা
বলো না কেনো?
জান্নাতঃএমনি।
বলে রান্না ঘরে চলে গেলো।বুঝিনা এই মেয়ে এতো
রান্না ঘরে কি করে।
রাতে..........
আমিঃঘুমাবে না
জান্নাতঃহুম
আমিঃতাহলে দাঁড়িয়ে আছো কেনো
জান্নাতঃআপনি ঘুমান
মনে মনে হাজারটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।কি করবো,
জান্নাতকে কিভাবে সুখে রাখবো আরো কতো কি?
আর জান্নাত এখন ঘুমাবে না আমি জানি।কারণ
প্রতিটা রাত কান্না করে।যেটা অনেক আগেই
আমি জেনে গেছি।এসব ভাবতে ভাবতে কখন
ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই।

পরেরদিন......
ঘুম থেকে উঠে জবের জন্য ইন্টার্ভিউ দিতে গেলাম।
অনেকক্ষণ ধরে বাইরে বসে আছি।হঠাৎ পিয়ন
এসে বলল ভিতরে স্যার আমাকে ডাকছেন।
তারপর আর বাইরে না থেকে ভিতরে গেলাম।
ভিতরে যেতেই অনেকটা অবাক হয়ে গেলাম😱

চলবে.......
(হয়তো এই পর্বটি ভালো হয়নি।প্রচুর মন খারাপ।তবে আগামী পর্বে আরো সুন্দর করে লেখার চেষ্টা করবো।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post