গল্পঃ মামাতো বোনের সাথে বিয়ে পর্বঃ ৭

 
গল্পঃ মামাতো বোনের সাথে বিয়ে পর্বঃ ৭

মামাতো বোনের সাথে বিয়ে
পর্বঃ৭
#আবির হাসান নিলয়

মন চাইছে এখনি দুজনের ঠোট জোড়া এক করে
দেয়।যেই ভাবা সেই কাজ।জান্নাতকে কিস
করবো ঠিক এমন সময় জান্নাত নোট দিয়ে মুখে
বারি মারলো।
ধুর আমি ভাবলাম গতকালের মতো আজকেও
একটা মিষ্টি খাবো কিন্তু সেটা আর হলো না।
জান্নাতঃতোমার এই লুচ্চামি যাবেনা নাকি?
আমিঃতুমি কাছে থাকলেই কেমন জানি নিজের
মধ্যে অন্যরকম ফিলিংস চলে আসে
জান্নাতঃতাহলে আমি নেমে যায়
আমিঃকেনো😳
জান্নাতঃতাহলে তোমার আর ফিলিংস টিলিংস
লাগবে জেগে উঠবে না
আমিঃজান্নাত তুমি কি সত্যি আমাকে বুঝো না
জান্নাতঃএতো বুঝতে হবে না। গাড়ি চালাও

আর কিছু না বলে গাড়ি চালাতে লাগলাম।
বাসায় আসার পর জান্নাত নেমে ভিতরে চলে
গেলোতবে আমি লক্ষ্য করলাম বাসাটা অনেক
সাজানো হচ্ছে।এখনো পুড়োটা হয়নি তবে যথেষ্ট
সুন্দর লাগছে।কিছু সময় বাসার বাইরে দেখে
আমিও গাড়িটা পার্ক করে ভিতরে এলাম।
ভাইয়াঃকিরে কি অবস্থা
আমিঃভালো,তুই আজ অফিস যাস নাই
ভাইয়াঃনা
আমিঃকেনো
ভাইয়াঃআব্বু গেছে তাই
আমিঃআব্বু তো তেমন অফিসে যায় না
ভাইয়াঃঅরিতাদের বাসা যাবো তাই
আমিঃকেনো যাবি?
ভাইয়াঃদাওয়াত দিতে
আমিঃসেটা কল দিলেই তো হয়
ভাইয়াঃনারে।অরিতাও চাইছিলো দেখে আসতে
আমিঃভিডিও কল দিয়েও তো দেখা যায়
ভাইয়াঃতারপরেও
আমিঃতারপরেও কি(রাগানো জন্য)
ভাইয়াঃতুই এতো প্রশ্ন করছিস কেনো বলতো?
আমিঃকোথায় প্রশ্ন করলাম
ভাবিঃঐ তুই চুপ কর।আর তুমিও চুপ করো 
জানোই তো ও একটা ফাজিল
আমিঃএই ফাজিলটাই তোমাদের হেল্প করেছে
সেটা আবার ভুলে যেও না
ভাবিঃভাই তুই প্লিজ চুপ কর
আমিঃতাহলে ক্ষমা চাও
ভাবিঃঠিক আছে তোর ভাইয়ার ভুল হয়ছে সেটার
জন্য আমি সরি
ভাইয়াঃআমার কোথায় ভুল হয়ছে
ভাবিঃতুমি আবার কথা বলছো😡
ভাইয়াঃঠিক আছে আমি চুপ🙊
আমিঃহুম।ভাবির জন্য ক্ষমা করলাম😁
------------------------------------------
রুমে এসে ফ্রেস হয়ে নিলাম।রুমে বসে ফোন
টিপছি এমন সময় আমার জানুটার আগমন...
আমিঃকিছু বলবা
জান্নাতঃহুম
আমিঃকিহ বলো
জান্নাতঃআগামিকাল একটা জায়গায় যেতে হবে
আমিঃতাহলে যেও
জান্নাতঃকিন্তু আম্মু আর ফুফু যেতে দিচ্ছে না।
আমিঃঠিক আছে রাতে কথা বলবো
জান্নাতঃপাক্কা
আমিঃপাক্কা
জান্নাতঃথ্যাংকস(চলে যেতে লাগলো)
আমিঃজান্নাত একটা কথা ছিলো
জান্নাতঃহ্যা বলো
আমিঃএখন না কাল বলবো
জান্নাতঃঠিক আছে।
আর কিছু না বলে জান্নাত চলে গেলো।

দেখতে দেখতে দিনটা পার হয়ে গেলো।সবাই
এখন কাজ নিয়ে ব্যস্ত।আমিও টুকটাক কাজ
করছি এমন সময় জান্নাত এলো।
জান্নাতঃতুমি রেডি হও নাই
আমিঃকেনো
জান্নাতঃআমার সাথে নতুন ব্রিজে যাওয়ার কথা
সেটা কি ভুলে গেছো
আমিঃকিন্তু এখন গেলে আসতে তো রাত হয়ে যাবে
জান্নাতঃহুম।সেটা তো হবেই
আমিঃতুমি আমাকে সকালে বলতে পারলে না
জান্নাতঃএখন তো বললাম
আমিঃআসতে দেরি হয়ে যাবে কিন্তু
জান্নাতঃতুমি এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে আরো বেশি
দেরি হয়ে যাবে।তাই তাড়াতাড়ি গিয়ে রেডি হয়ে আসো
আমিঃঠিক আছে
জান্নাতঃতারাতারি আসবে
উত্তর না দিয়ে চলে গেলাম।

৫মিনিট পর রেডি হয়ে বের হলাম।কারণ দেরি 
করলে আমাদের আসতে দেরি হয়ে যাবে।
জান্নাতঃএতো তাড়াতাড়ি
আমিঃহুম চলো।
রাতে মামিকে বলায় প্রথমে রাজি হচ্ছিলো না
কিন্তু যখন বললাম সাথে আমিও যাবো তখন
যেতে বলে।বাইরে এসে গাড়ি ড্রাইভ করতে
লাগলাম।নতুন ব্রিজ আমাদের বাসা থেকে প্রায় ৪
ঘন্টা সময় লাগে।

গাড়িটাকে আরো স্পিডে চালালাম।
জান্নাতঃএতো জোড়ে চালাচ্ছো কেনো
আমিঃতাহলে আসতে সময় লাগবে না
জান্নাতঃতাই বলে স্পিডে চালানো লাগবে
আমিঃহুম।আর তুমি সেখানে কেনো যাচ্ছো?
জান্নাতঃআমার ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে
আমিঃতোমার ফ্রেন্ড এখানে থাকে আগে তো
কখনো শুনি নাই
জান্নাতঃএখন শুনলা
আমিঃঅন্যদিন গেলে হতো না
জান্নাতঃআজ ওর শরির একটু বেশিই খারাপ তাই
আমিঃবেশি খারাপ মানে?
জান্নাতঃতুমি কখনো জানতে চেয়েছো কেনো
আমি বড়লোক মানুষদের সাথে কথা বলতে চাই না
আমিঃতুমিও তো বলো নাই
জান্নাতঃঠিক আছে এখন শুনো....
আমরা যার কাছে যাচ্ছি ওর নাম রিতা।রিতা
আমার ছোটবেলার ফ্রেন্ড।বলতে গেলে আমার
বেষ্ট ফ্রেন্ড। তুমি জানো সুমু আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।
হ্যা সুমু আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড কিন্তু ওর আগে রিতা
আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।ওর বাবা স্কুলের টিচার। তাই
অনেক আগেই বদলি হয়ে ওখানের একটা স্কুলে
পড়াই।তাই এখন ওরা ওখানে থাকে
আমিঃকিন্তু এটা মধ্যে সম্পর্ক কি?
জান্নাতঃবলছি আগে পুড়োটা শুনো
আমিঃহুম বলো।
জান্নাতঃএকদিন রিতা আমাকে কল দিয়ে বলল
ওকে নাকি একটা ছেলে প্রপোজ করেছে।আমার
কাছে জানতে চাইছিলো কি করবে।আর ওর
নিজেরও ছেলেটাকে পছন্দ করতো। তাই ওকে
আমি নিজেও সম্মতি দেয়।

এটুকু বলেই থেমে গেলো.....
আমিঃকি হলো থেমে গেলে কেনো
জান্নাতঃকারণ ওটাই আমার জীবনের সব থেকে
ভুল হয়েছিলো।
আমিঃকেনো?
জান্নাতঃকারণ ছেলেটা রিতাকে নয় রিতার দেহকে
ভালোবাসতো।একদিন রাতে ছেলেটা রিতাকে
দেখা করার জন্য বলে রিতাও রাজি হয়ে যায়।
কিন্তু কে জানতো সেই রাতটাই রিতার জন্য কালো
রাত হয়ে যাবে।ছেলেটা ওকে ভুলভাল বুঝিয়ে
একটা হোটেলে নিয়ে যায়।তারপর রিতাকে
জোড় করে ধর্ষণ করে😭(কান্না করে দিয়ে)
আমিঃকান্না করো না।তারপর কি হয়েছিলো সেটা 
বলো।(ওর মাথা আমার কাদে এনে বললাম)
জান্নাতঃরিতা তখন অনেক ভেঙে পড়েছিলো কি
করবে কিছু বুঝে উঠতে পারছিলো না।কয়েকবার
আত্মাহত্যা করা চেষ্টাও করেছিলো কিন্তু আঙ্কেল
আন্টির জন্য হয়নি।কিন্তু একদিন সবার চোখের
আড়ালে রিতা ছাদের উপর থেকে ঝাপ দেয়।
কিন্তু সে মরণের হাত থেকেও ফিরে আসে।কিন্তু
তখন থেকেই আর হাটতে পারে না(ফুফিয়ে কান্না করে)

কিছু সময় চুপ থেকে আবার শুরু করলো।
জান্নাতঃজানো নিলয়,আমি এখনো নিজেকে
ক্ষমা করতে পারিনি।সেদিন যদি আমি রিতাকে
বারণ করতাম তাহলে হয়তো এমনটা হতো না।
এজন্যই আমি কাউকে ভালোবাসি না।
আমিঃপরে ছেলেটার কিছু হয়নি?
জান্নাতঃবাবার টাকা আছে অনেক।সেই কারণে
কয়েকদিন পর জেল খাটার পর বের হয়ে আসে।
তবে আমার মনে এখনো ভয় আছে।যদি আমার
আবার কোনো ফ্রেন্ডের এমন হয়! তাই তোমার
বন্ধুদের সাথে ওদের ব্রেকআপ করতে বলি।
আমিঃকিন্তু তাই বলে তো সব ছেলেই এক নয় 
জান্নাতঃসেটা জানি বলেই তোমার আর তোমার
ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলি।না হলে কারো সাথেই
কথা বলতাম না

কথা বলতে বলতে জান্নাত চুপ হয়ে গেলো।
ওর দিকে তাকাতেই দেখলাম ঘুমিয়ে গেছে।কান্না
করতে করতে ঘুমানোর জন্য গালের উপর জল
লেগে আছে।এক হাত দিয়ে মুছে দিয়ে কপালে
একটা চুমু দিয়ে ড্রাইভ করতে লাগলাম।

প্রায় এসে গেছি কিন্তু জান্নাত আগের থেকে এখন
আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।ওকে ডাকতে
মন চাইছে না।যদি ওর ফ্রেন্ড মানে রিতার বাসা
চিনতাম তাহলে আর ডাকতাম না।কিন্তু বাসা চিনিনা
তাই ওকে ডাকতে বাধ্য হলাম।
আমিঃজান্নাত...!
জান্নাতঃহুহ
আমিঃএখন উঠো প্রায় এসে গেছি
ঘুম থেকে উঠে আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে বলে
নিজে অনেকটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে রইলো।
আমিঃবাসা কোথায় তোমার ফ্রেন্ডের
জান্নাতঃআর একটু সামনে
আমিঃওহ।

কিছু সময় পর জান্নাত গাড়ি থামাতে বলল..
জান্নাতঃগাড়ি থামাও
আমিঃকেনো
জান্নাতঃএসে গেছি
আমিঃওহ
জান্নাতঃএখন নামো
আমিঃহুম
গাড়িটা পার্ক করে নামলাম।
জান্নাতঃভিতরে আসো
আমিঃহ্যা চলো
তারপর বাসাটায় কলিংবেল বাজাতেই একজন
মধ্যবয়স্ক মহিলা দরজা খুলে দিলো।
জান্নাতঃকেমন আছো আন্টি(সালাম দিয়ে)
আন্টিঃএতো আছি কোনোরকম। তুই কেমন আছিস
জান্নাতঃভালো আছি
আন্টিঃছেলেটা কে?
জান্নাতঃআন্টি ও নিলয়,আমার ফুফাতো ভাই
আর নিলয় উনি রিতার আম্মু
আমিঃআসসালামু আলাইকুম আন্টি
আন্টিঃওয়ালাইকুম আসসালাম ভিতরে আসো
জান্নাতঃআন্টি রিতা কোথায়
আন্টিঃশুয়ে আছে এখন
জান্নাতঃঠিক আছে।তোমরা কথা বলো আমি
ওর সাথে দেখা করে আসি
আন্টিঃঠিক আছে মা যাও

জান্নাত চলে যাওয়ার পর....
আন্টিঃতোমার বাসায় কে কে আছে বাবা
আমিঃজ্বি আমাফ বাসায়,আব্বু, আম্মু,ভাইয়া আর
ভাবি আছেন।
আন্টিঃতুমি কি করো?
আমিঃঅনার্স থার্ড ইয়ারে পড়াশোনা করছি
আন্টিঃআর তোমার বাবা
আন্টিঃআব্বু অফিসের কাজের জন্য বেশিরভাগ
সময় দেশের বাইরে থাকেন তাই ভাইয়া অফিস
দেখাশোনা করেন
আন্টিঃওহ
আমিঃআন্টি,আঙ্কেলকে দেখছিনা। কোথায় গেছেন
আন্টিঃএকটু বাইরে গেছে
আন্টির সাথে আরো কিছু সময় টুকটাক কথা
বলতে লাগলাম।কিন্তু ভিতর থেকে জান্নাত ডাকাতে
ভিতরে গেলাম।

জান্নাতঃএদিকে আসো
আমিঃহ্যা বলো
জান্নাতঃএটা হলো রিতা আর রিতা এ হলো নিলয়
আমার ফুফাতো ভাই
আমিঃহাই রিতা
রিতাঃহাই
আমিঃকেমন আছো
রিতাঃযেমনটা দেখছো।তুমি কেমন আছো
আমিঃহুম ভালো।
রিতার সাথে কথা বলতে লাগলাম দুজন। কিন্তু
আব্বু কল দেয়ার জন্য রওনা দিতে বাধ্য হলাম।

রিতা এবং রিতার আব্বু আম্মুকে বিদায় দিয়ে 
গাড়িতে উঠতে যাবো ঠিক তখন কিছু একটার
সাথে জান্নাতের জামা লেগে হাতের কাছে খানিকটা
ছিরে গেলো।
জান্নাতঃধুর ছেড়ারও সময় পেলো না(কথাটি
বলে ছেড়া কাপড়টাকে টান দিতেই বেশি করে
ছিরে গেলো)
আমিঃকি দরকার ছিলো টান দেয়ার
জান্নাতঃআরে আমি কি জানতাম নাকি
আমিঃজানতে হবে না।এখন উঠো তাড়াতাড়ি 
গাড়িতে উঠে আবার ড্রাইভ করতে লাগলাম।

প্রায় ১১টার সময় বাসায় আসলাম।
বাসায় এখনো মানুষের আনাগোনা অনেক।জান্নাত
কিছু না বলেই ভিতরে চলে গেলো।আমি গাড়ি
পার্ক করে ভিতরে আসতেই অবাক হলাম।
কারণ জান্নাত গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
আর মামি ওকে যা খুশি বলেই যাচ্ছে।
আমিঃমামি ওকে মারছো কেনো?
মামিঃতোকে আমি আমার নিজের ছেলে ভাবতাম
কিন্তু তুই এটা করতে পারলি?
আমিঃআমি আবার কি করলাম
আব্বুঃঠাসসস ঠাসসস তুই কি করছিস জানিস না
আমিঃআমি সত্যি জানিনা। কি করেছি বলবে তো
আব্বুঃবাইরে নষ্টামি করে এসে এখন বলছিস
কি হয়েছে। জান্নাতের এমন চেহারা দেখে আমরা
কিছু বুঝিনা মনে করছিস?
আমিঃআব্বু আমার কথাটা একটু শোনো
আব্বুঃঠাসসস একটা কথাও বলবি না আর
আমিঃআম্মু তুমি শোনো
আম্মুঃঠাসসস তোর লজ্জা করলো না এমনটা করতে
ভাবিঃআম্মু তুমি থামো আমি দেখছি।নিলয় চল
আমিঃকিন্তু ভাবি বিশ্বাস করো আমি কিছুই করিনি

ভাবি আমাকে রুমে নিয়ে আসলো।
আমিঃভাবি আমরা সত্যি কিছু করিনি
ভাবিঃআমি জানি তুই কিছু করিস নাই।কিন্তু
এখন সবাই রেগে আছেন।পড়ে সবাই ঠাণ্ডা হলে
বললেই হবে।তুই থাক আমি জান্নাতকে দেখছি
ভাবি চলে গেলো।আর ভাবতে লাগলাম,কি থেকে
কি হয়ে গেলো।যে আব্বু কখনো ধমক দেয়নি
আজ সেই আমাকে মারলো।একবার কথাটা
তো শুনতে পারতো।এসব ভাবতে ভাবতে চোখ
দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো।

কিছু সময় পর ভাইয়া হাতে একটা ড্রেস নিয়ে
রুমে আসলো।
আমিঃভাইয়া তুই তো একটু বোঝার চেষ্টা কর
ভাইয়াঃএইটা পড়ে নে
আমিঃকেনো? (অবাক হয়ে)
ভাইয়াঃআজ তোদের বিয়ে
আমিঃবিয়ে মানে, কি জাতা বলছিস
ভাইয়াঃযেটা বললাম সেটা কর
বলে চলে গেলো।কিছু সময় পর ভাবিও একই
কথা বলে গেলো।সাথে বলল আব্বু নাকি অনেক
রেগে আছে।তাই কিছু সময় বসে থাকার পর
ড্রেসটা পরে নিলাম।অনেকটা অপ্রস্তুত ভাবেই
আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলো।

চলবে.........
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post