পর্বঃ৬
#আবির হাসান নিলয়
প্রায় ৫মিনিট লম্বা কিস করে জান্নাতকে ছেড়ে
দিতেই জান্নাত শুরু করলো...
জান্নাতঃকুত্তা তুই কিস করলি কেনো(ঠোট মুছতে মুছতে)
আমিঃসেটা আমার ইচ্ছা😍
জান্নাতঃআমার ঠোট কি তোর বাপের সম্পত্তি পাইছিস
আমিঃনা, আমার মামার সম্পত্তি
জান্নাতঃতোর লজ্জা লাগলো না আমার সাথে তুই
এমনটা করতে
আমিঃমামাতো বোন আর কিছুদিন পর তোর সাথে
আমার বিয়া হবে। আর এখানে লজ্জা পাওয়ার
কি আছে শুনি
জান্নাতঃলুচু বদমাইশ ইতর.....(আরো অনেক কিছু)
আমিঃযাই বলিস,তোর ঠোঁটে কিস করে মনটা
ফুরফুরা লাগছে😍
জান্নাতঃথাক তুই।আমি এখনি ফুফাকে সব বলে
দিবো তারপর দেখ তোর কি করি
আমিঃঅপেক্ষা কর আমিও আসছি
জান্নাত আর কিছু না বলে রাগি চেহারা নিয়ে চলে
গেলো।
দ্রুত রেডি হয়ে নিচে এলাম।নিচে আসাতেই জান্নাত
শুরু করলো ওর আজাইরা সব কথা...
জান্নাতঃআম্মু আব্বু চলো আমরা বাসায় যাবো
আম্মুঃসে কিরে বাসায় যাবি কেনো
জান্নাতঃসেটা তোমার গুণধর ছেলেকে জিজ্ঞাস করো
আম্মুঃনিলয় কি হয়েছে রে?
আমিঃআসলে আম্মু,জান্নাত তখন কেকে নিয়ে
আমার রুমে গিয়ে আমাকে জোড় করে খাওয়াতে
চেয়েছিলো কিন্তু আমি সেটা ফিরিয়ে দেয়ার কারনে
জান্নাত আমাকে জোড় করে কিস করে তাই ওকে
একটা থাপ্পড় মারছি(সত্যি কথা সবাই জানেন😁)
জান্নাতঃসালা লুচ্চা আমি তোকে করছি নাকি.......
এটুকু বলেই জান্নাত থেমে গেলো।
আমিঃকলারটা ছাড়ো জানু(কানে কাছে গিয়ে বললাম)
জান্নাতঃআম্মু এখনি বাসায় যাবো চলো(ছেড়ে দিয়ে)
আব্বুঃকারো কোথাও যাওয়া হচ্ছে না
জান্নাতঃকেনো?
আব্বুঃপরশু বাসায় একটা পার্টি আছে তাই পরশু
অবধি সবাই এই বাসায় থাকবে
জান্নাতঃআব্বু তুমি তো একটু বোঝার চেষ্টা করো
মামাঃদুলাভাই যেটা বলছে সেটাই শোন
জান্নাত এতোক্ষণে বুঝে ফেলছে কাউকে বলেও
আর লাভ নেই।তাই রাগে কটমট করতে করতে
রুমে চলে গেলো।আমার দিকেও একবার তাকিয়ে
ছিলো।চোখ লাল হয়ে ছিলো তাই ভয়ে আর কিছু
বলিনি।যাক মেয়েটা তাহলে বাসাই থাকবে।
ভাবিঃঐ কি হয়েছে রে
আমিঃযেটা বললাম ঠিক তার বিপরীতটা ঘটেছে
(ভাবির কানের কাছে গিয়ে বললাম)
ভাবিঃফাজিল কোথাকার
তারপর সবাই মিলে রাতের খাবার খেতে লাগলাম।
জান্নাতকে অনেকবার ডাকার পর খেতে এসেছে।
এখন যদি কিছু বলি তাহলে শিওর খাওয়া ছেড়ে
চলে যাবে।তাই আর কিছু বললাম না।খাওয়া
শেষ করে রুমে এসে কিছু সময় গেম খেলে
শুয়ে পড়লাম।
-------------------------------
হঠাৎ রাত ১টার দিকে ফোনের রিংটোনে ঘুম
ভেঙে গেলো।ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে কলটা রিসিভ
করলাম।
আমিঃকে বলছেন
ওপাশ থেকেঃসালা তোকে কতো বার কল দিছি
ধরিস নাই এখন আবার বলছিস আমি কে
ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখলাম রাহুল।
আমিঃহ্যা রাহুল বল
রাহুলঃদোস্ত খেলা তো আমরা খেলে দিছি
আমিঃক্রিকেট নাকি ফুটবল
রাহুলঃআরে ব্যাটা জান্নাতের বান্ধুবীদের সাথে
কথা শুনে লাফ দিয়ে উঠলাম।
আমিঃভাই তোরা ওদের কিছু করিস নাইতো?
জান্নাত যদি জানে ওদের সাথে তোরা খারাপ কিছু
করছিস তাহলে ও আমাকে জীবনেও বিয়া তো
দুরের কথা প্রেমটাও করবে না।
রাহুলঃআরে সালা কথাটা তো শুনবি
আমিঃবল
রাহুলঃআমি জয় আর রাফি মিলে ওদের পটাই
ফেলছি।একবার বলাতেই রাজি হয়ে গেছে
আমিঃকেমনে কি(অবাক হয়ে😱)
রাহুলঃতোর থেকে চলে এসে আমরা যার যার
মতো রিক্সা নেই।তারপর কথা বলতে বলতে এক
সময় আমি রিয়াকে প্রপোজ করে আর সাথে
সাথে ও রাজি হয়ে যায়
আমিঃকিন্তু ওদের হলো কিভাবে(কান্না কণ্ঠে)
রাহুলঃতারপর আমি জয় আর রাফিকেও একই
কাজ করতে বলি আর ওরাও নাকি একই কাজ
করছে আর সাথে প্রিয়া আর তানহা রাজি হয়ে
যায়।তাইতো তোকে কল দিলাম
আমিঃপ্রিয়া কার আর তানহা কার
রাহুলঃপ্রিয়া রাফির আর তানহা জয়ের। ভালো
করছিনা আমরা(দাত কেলাতে কেলাতে বলল)
আমিঃহো খুব ভালো করছোস।ভাই কাল কলেজে
গিয়া তোরা সবাই মিলে আমাকে একটু আশীর্বাদ
দিস যেনো জান্নাত আমার কথাই রাজি হয়
রাহুলঃকাল তোকে আমরা সবাই মিলে খাওয়াবো
এখন রাখছি বাই
আমিঃহুম বাই
কল কেটে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।কিন্তু
কোনোভাবেই ঘুম ধরছে না।ওরা একবার বলাতেই
রাজি হয়ে গেলো আর আমার পুড়া কপাল।
বললেই থাপ্পড় খেতে হয়।এসব ভাবতে ভাবতে
কখন যে চোখে ঘুম চলে আসছে বুঝতেই পারিনি।
------------------------------------
পরেরদিন....
জান্নাতঃঐ লুচু উঠ সালা
আমিঃভাবি যাও আমি উঠছি
জান্নাতঃঐ কুত্তা আমি তোর কোন কালের ভাবি
আমিঃওহ তুমি(চোখ খুলে)
জান্নাতঃএখন উঠ তাড়াতাড়ি।
আমিঃভাবি কোথায়
জান্নাতঃরান্নাঘরে তাই আমাকে পাঠাইছে
আমিঃতোকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে
জান্নাতঃপাম দেয়া লাগবে না
আমিঃসত্যি বলছি।
জান্নাতঃআর বলতে হবে না।যা গিয়ে ফ্রেস হয়ে
নিচে আয়।সবাই ডাকছেন
জান্নাত আর কিছু না বলে চলে গেলো।কিছুক্ষন
বসে থাকার পর ফ্রেস হয়ে রেডি হলাম।তারপর
নিচে আসলাম।দেখলাম সবাই টেবিলে বসে আছে।
মামাঃভাগ্নে কি খবর
আমিঃএইতো মামা পিছু লেগে আছি(জান্নাতের
দিকে তাকিয়ে)
মামাঃপিছে মানে কার পিছে
আমিঃনা মানে মামা (আমতা আমতা করে)
মামাঃকি মানে মানে করছিস
আমিঃতেমন কিছু না।আপনাদের কি অবস্থা
মামাঃএইতো ভালো
আমিঃমামি তুমি কেমন আছো। রাতে ভালো করে
কথাই বলতে পারিনি তোমাদের সাথে
মামিঃভালো।
সবাই মিলে নাস্তা করে জান্নাতকে বললাম....
আমিঃতুমি কলেজে যাবেনা
জান্নাতঃতোক...(থেমে গিয়ে)
আমিঃকি হলো
জান্নাতঃতোমার জানতে হবে না
আমিঃকেনো যাবেনা নাকি।আজ কিন্তু কিছু গুড
নিউজ আছে
জান্নাতঃকিসের গুড নিউজ
আমিঃতোমার ফ্রেন্ডরাই বলবে কলেজে
জান্নাতঃঠিক আছে
আমিঃতাহলে চলো যায়
জান্নাতঃতোমার সাথে যাবোনা
আম্মুঃকেনো রে মা। ওর সাথে গেলে কি সমস্যা
জান্নাতঃকোনো সমস্যা নাই।কিন্তু ও অনেক
লুচ্চামি করে
আব্বুঃনিলয়,কি শুনছি এসব
আমিঃআব্বু এসব ডাহা মিথ্যা কথা
জান্নাতঃচুপ থাক হারামি
আব্বুঃআর করবে না। এখন গাড়িতে করে দুজন
কলেজে যাও
জান্নাতঃঠিক আছে ফুফা।
গাড়িতে উঠে....
আমিঃজান্নাত একটা চুমু দাও না(আহ্লাদী সুরে)
জান্নাতঃথাপ্পড় চিনোস ব্যাডা লুচু।
আমিঃথাপ্পড় তো চিনিই
জান্নাতঃখাওয়ার শখ হয়ছে
আমিঃএকদমই না
জান্নাতঃতাহলে চুপ থাক।
আমিঃচুপ থাকলে কি পাবো
জান্নাতঃতুই কি চাস
আমিঃতোমার মুখ থেকে আর কখনো তুই করে
বলতে পারবে না আমাকে
জান্নাতঃএকশত বার বলবো
আমিঃআমিও তোমাকে বিরক্তি করবো
জান্নাতঃওকে আমি রাজি
আমিঃধন্যবাদ মামাতো বোইন(মনে মনে বউ বললাম)
তারপর কলেজে চলে আসলাম।এর ভিতরে আমাদের
মাঝে আর কোনো কথা হয়নি।কলেজে আসার
পর বন্ধুদের দেখতে পেলাম না।সালারা গেলো কই?
জান্নাতঃআমি গেলাম
আমিঃছুটির পর তাড়াতাড়ি এসো
জান্নাতঃকেনো
আমিঃমামা কি বলল শুনো নাই একসাথে যেতে
জান্নাতঃঠিক আছে আসবো।
জান্নাত যখনি চলে যাবে ঠিক তখন জয়, রাহুল,
রাফি আসলো সাথে ওদের গার্লফ্রেন্ড মানে
জান্নাতের ফ্রেন্ডস গুলো।জান্নাত ওদের দেখে
রীতিমতো অবাক।আমিও হতাম কিন্তু আমি তো
আগে থেকেই জানি।৩জোড়া রিলেশনশিপ ব্যক্তি
আমাদের সামনে সেটাও আবার হাত ধরে আছে।
জান্নাতঃঐ তোরা ওদের হাত ধরে আছিস কেনো?
(জান্নাতের ফ্রেন্ডসদের বলল)
রিয়াঃবাহরে বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরবো না তো কার
হাত ধরবো শুনি?
জান্নাতঃবয়ফ্রেন্ড মানে?কিসের বয়ফ্রেন্ড?
তারপর একে একে সবাই জান্নাতকে বলল রাতে
ওদের মাঝে কি হয়েছে।
সবার থেকে কথাগুলো শোনার পর....
জান্নাতঃঠাসসসস(হ্যা আমাকেই মারছে)
আমিঃমারলে কেনো?
জান্নাতঃসব তোর জন্য হয়ছে😡
আমিঃতুই না তুমি
জান্নাতঃহ্যা সব তোমাফ জন্য হয়ছে
আমিঃআমার জন্য হবে কেনো
জান্নাতঃগতকাল যদি তুমি ওদের সাথে তোমার
বন্ধুদের না দিতে তাহলে এমনটা মোটেও হতো না।
প্রিয়াঃভালোই তো হয়ছে
জান্নাতঃতুই চুপ থাক। লজ্জা লাগেনা প্রেম করে
সেটা সবাইকে বলতে
তানহাঃএখানে লজ্জা পাওয়ার কি আছে।আর
আমরা সবাই তো তোদের দুজনকে ধন্যবাদ দিয়ে
আসলাম। তোদের জন্যই তো আমাদের রিলেশনটা
হয়েছে।
জয়ঃধন্যবাদ দোস্ত
জান্নাত সেখানে না দাঁড়িয়ে চলে যেতে লাগলো।
আমিঃতোদের ধন্যবাদের গুষ্টি কিলাই।
কথাটা শেষ করেই দৌড়ে জান্নাতের কাছে এসে
ওর হাতটা ধরলাম।
আমিঃকি হলো চলে আসলে কেনো?
জান্নাতঃআমি তোমাকে আগেই বলছি আমার এই
রিলেশন ভালো লাগে না।
আমিঃএখানে তো তুমি রিলেশন করছো না।ওরা
করবে করতে দাও ওদের
জান্নাতঃকিছুদিন পর এমনিতেই ওদের বয়ফ্রেন্ডের
জন্য ওরা আমার সাথে কথা বলবে না।তাই আমি
আগে থেকেই ওদের সাথে কথা বলা বন্ধ করছি
আমিঃঠিক আছে।আমি ওদের ব্রেকআপ করাচ্ছি
জান্নাতঃকিভাবে?
আমিঃসেটা আমার উপর ছেড়ে দাও।এখন একটা
চুমু দাওনা গো
জান্নাতঃতোরে থাপ্পড় দিয়ে দাত ফেলে দিবো লুচ্চা
আমিঃহাহাহাহাহা😂
জান্নাত একাই ক্লাসে চলে গেলো।
সবার সাথে কিছু সময় কথা বলে আমরাও ক্লাসে
চলে আসলাম আর জান্নাতের ফ্রেন্ড গুলো ওদের
ক্লাসে চলে গেলো। সব গুলো ক্লাস করার পর
বাইরে বের হয়ে গাড়ির কাছে এসে জয় রাহুল
আর রাফির সাথে কথা বলতে লাগলাম।
আমিঃপ্লিজ তোরা একটু মেনেজ কর না হলে
আমার এই জীবন রেখে কোনো লাভ হবে না
রাহুলঃচিন্তা করিস না। একদম ভিলেনদের মতো
ডায়লগ মারমো। তাই নো চিন্তা
আমিঃহুম।
বন্ধুরা মিলে কথা বলছিলাম তখন জান্নাত আর
ওর ফ্রেন্ডসরা এলো।
জান্নাতঃনে এখন ব্রেকআপ কর
রিয়াঃদেখো রাহুল আমার ভুল হয়েছে তোমার সাথে
রিলেশনে জড়িয়ে।তাই এখন থেকে ব্রেকআপ💔
রাহুলঃকিন্তু
জান্নাতঃকোনো কিন্তু না।ব্রেকআপ মানে ব্রেকআপ
তারপর একে একে তিনজনই ব্রেকআপ করে নিলো💔।
কি ভাবছেন ব্রেকআপ?একদম না।এটা আমার
গেম মাত্র।শুধু জান্নাত জানে ওদের সবার মাঝে
ব্রেকআপ হচ্ছে।আসুন এখন বলি।
ক্লাসে যাওয়ার আগে কথা...
আমিঃতোরা শুধু জান্নাতের সামনে এমন ব্যবহার
করবি যেনো জান্নাত বুঝতে না পারে তোরা এখনো
একজন আরেকজন ভালোবাসিস
রাফিঃকিন্তু...
আমিঃআমাকে যদি বন্ধু ভাবিস তাহলে কোনো
প্রশ্ন করবি না।আর তোরা সত্যি সত্যি ব্রেকআপ
করছিস না। শুধু গেম মাত্র
তানহাঃতাহলে আমাদের কি করতে হবে
আমিঃজান্নাতকে গিয়ে বলবে আমরা ব্রেকআপ
করবো ওদের সাথে ব্যস্ত এটুকুই আর ব্রেকআপ
কিভাবে করবা সেটা নিশ্চয় বলতে হবে না
রিয়াঃঠিক আছে এখন তাহলে ক্লাসে যায়
আমিঃহুম যাও।
এখন বুঝলেন তো এটা গেম ছিলো।আর এটা
না করলে জান্নাতের সাথে প্রেম করবো কি করে😁
সে যায় হোক ওদের সবাইকে বিদায় দিয়ে জান্নাতকে
সাথে করে গাড়িতে উঠে ড্রাইভ করতে লাগলাম....
জান্নাতঃগাড়ি থামাও...
আমিঃকেনো?
জান্নাত আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে এতোটা
কাছে চলে এলো যা আমি জান্নাতের প্রতিটা
নিশ্বাস অনুভব করতে পাড়ছিলাম। বুঝতেই
পারছিনাম না কোনটা কার নিশ্বাস।জান্নাতের দিকে
মুখটা এগিয়ে দিতেই জান্নাত চোখ বন্ধ করে ফেলল।
আগে কখনো জান্নাতকে এতোটা কাছ থেকে
দেখিনাই যতোটা আজ দেখছি।জান্নাতের ঠোটটা
একদম আমার ঠোটটার কাছে এসে গেছে।মন
চাইছে এখনি দুজনের ঠোট জোড়া এক করে
দেয়।যেই ভাবা সেই কাজ।জান্নাতকে কিস
করবো ঠিক এমন সময় জান্নাত যেটা করলো.....??
চলবে..........