গল্পঃ মাফিয়ার শহরে পর্ব ১২

 

#মাফিয়ার_শহরে
#Jahedur_Rhaman_Saikat 
#১২নং_পর্ব

সবার সম্মুখে পড়ে আছে ইমতিয়াজ রহমান অর্থাৎ পিন্সিপাল এর মৃত দেহ।  সবকিছু একটুর জন্য জেনেও পারলাম না জানতে,,  এতবড় বোকামি কি করে করলাম আমি? আর একটু সময় পেলেই এই সবকিছুর মাস্টার মাইন্ড এর নামটা জানতে পারতাম। কে মারলো নিসাত,, ইমন,,আমার আমার নানা'ভাই আর মুনালিসাকে? কিন্তু মূহুর্তের মধ্যেই সবকিছু আবার ও রহস্যের জালে আবদ্ধ হয়ে গেল? তবে কি দিনদিন এসবকিছু রহস্যই থেকে যাবে??  কোনদিন ও কি পাব না আমার মুনালিসা আর নানাভাইয়ের খুনিদের মুখোশ উন্মোচন করতে??  আড়ালেই থেকে যাবে নাকি আমার থেকে কেড়ে নেওয়া প্রিয় মানুষগুলোর খুনিরা??  না না এভাবে তো আর সবকিছু রহস্য হতে দেওয়া যাবে না এবার তো সবকিছুর উন্নোচন করতেই হবে নাহলে নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবো না এই  আমি।। 
কিন্তু ইমতিয়াজ রহমানকে কে মারলো? 

পিছনের গিল থেকে বুলেট অর্থাৎ তাহলে রাইফেল দিয়ে দূর থেকে নিসানা করে হত্যা করা হয়েছে ইমতিয়াজ রহমানকে।। কিন্তু কে করলো আর কোন স্থান থেকে গুলি করা হয়েছে এগুলো খুঁজে বের করতে হবে তাহলে খুনীর সন্ধান পাওয়া সম্ভব হবে,, যদি একবার ইমতিয়াজ রহমানের খুনীকে ধরা সম্ভব হয় তাহলে এসব কিছুর মাস্টার মাইন্ডকে খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।। 

এদিকে বাবার এমন নৃশংস মৃত্যু দেখে মেয়ে হয়ে কি আর নিজেকে ঠিক রাখা সম্ভব হবে?  নীলাদ্রির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটে নি,,, হাত-পা বাধা অবস্থায়ই সেখানে জ্ঞান হারায় সে,, যতই খারাপ হোক বাবা তো? তাও জম্মদাতা পিতার এমন নৃশংস মৃত্যু চোখের সামনে কল্পনা করলেও গায়ে কাটাঁ দিয়ে উঠবে?  আর সে তো চোখের সামনে দেখেছে তাহলে কি করে সামলাবে নিজেকে??

অতঃপর রাফিকে দিয়ে নীলাদ্রিকে হাসপাতালে পাঠানো হল,,যদিও রাফি অন্য কাউকে দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিল কিন্তু আকাশের জোরাজুরিতে একপ্রকার যেতে বাধ্য হয় রাফি,,কারণ এই মূহুর্তে রাফি ব্যাতিত আকাশ কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছে না,,কারণ ইতিমধ্যে অনেককে হারিয়ে ফেলেছে " এই মূহুর্তে নীলাদ্রিকে বাঁচিয়ে রাখা আকাশের প্লাস পয়েন্ট কারণ যেহেতু নীলাদ্রি এসবকিছুর সঙ্গে কিছুটা হলেও জরিত তাহলে নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও ক্রু পাওয়া সম্ভব হবে।। 
অতঃপর রাফি নীলাদ্রিকে নিয়ে হাসপাতালে যায়,,সেখানেই তাসনিয়ার সঙ্গে দেখা,দুজনে মিলে নীলাদ্রিকে এডমিট করিয়ে দেয়,, তারপর তাসনিয়া  নিজেই টিকমেন্ট করার দায়িত্ব নেয় নীলাদ্রির,, 
কিছুটা ভয় আর চোখের সামনে বাবার মৃত্যুটা মেনে নিতে না পেরে স্যান্সলেন্স হয়ে পড়ে নীলাদ্রি।।  

নিসাত রহমানকেও ফোন করে দিয়ে  বলে দেওয়া হয়েছে তার মেয়ের হাসপাতালেভর্তি,, কিন্তু কেন তা বলা হয় নি,,এবং ইমতিয়াজ রহমানের মৃত্যুর খবরটাও তাকে বলা হয় নি,,কিন্তু ভাগ্যের কি নিমর্ম পরিহাস সবার মায়া ত্যাগ করে পরিশেষে নিসাত রহমানকেও এই নিষ্ঠুরতম পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিতে হল,, একটা বাস এসে যে গাড়ি'তে করে নিসাত রহমান হাসপাতালে আসতেছিলেন সেই গাড়িটাকে ডাক্কা মেরে চলে যায়,, স্বামীর মৃত্যুর খবরটাও তিনি জানতে পারেন নি,,অপরদিকে ইমতিয়াজ রহমানও জানতে পারেন নি স্ত্রীর মৃত্যুর খবরটা,, এমনটাই কি হওয়ার কথা ছিল?? 

 ভাগ্যের কি একটুও মায়া হয় নি আকাশের উপর??   সবকিছুর শিখরে পৌঁছে ও সবকিছু আবার রহস্যের জালে আবদ্ধ করে দিল?? তাহলে কি আকাশ কোনদিনও পারবে না তার প্রিয় মানুষগুলোর খুনীদের শাস্তি দিতে??  পারবে না এই অন্ধকার জগতটাকে জয় করতে??  

এদিকে নিসাত রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে আকাশ ও হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়,, আর ইমন অর্থাৎ সেই পুলিশ অফিসার যে কিনা আকাশ ও রাফির আরেকটা বন্ধু যার পোস্টিং আজকেই এই শহরে হয়েছে যে এতদিন ট্রেনিং এ ছিল এ শহরে আসতেই আবার মুনালিসার ফাইল'টা ওপেন করে যা বিভিন্ন ফাইলের নিচে একটি অসম্পূর্ণ কেস হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল,, 
ইমনকে ফোন দিয়ে আকাশ যেখান থেকে ইমতিয়াজ রহমানকে হত্যা করা হয় সেখানে গিয়ে তদন্ত করতে বলে আর ইমতিয়াজ রহমান আর নিসাত রহমানের বডি"কে পোস্টমডাম করার জন্য পাঠাতে বলে,, যদি পোস্টমডাম রিপোর্ট থেকে অন্তত কিছু পাবে এই আশা করে।। কিন্তু সত্যি কি পাবে কিছু নাকি আবার ও সবকিছু রহস্যের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যাবে.??? এবার ও কি আকাশ সবকিছু পেয়ে হারিয়ে ফেলবে নাকি সবকিছুর রহস্যের উন্মোচন করতে সক্ষম হবে সেটাই দেখার বাকি?? 

অতঃপর অনেকক্ষণ পর এসে হাসপাতালে পৌছায় আকাশ।।  তারপর রাফিকে সঙ্গে নিয়ে মর্গে যায়,, যেখানে ইতিমধ্যে ইমতিয়াজ রহমান আর নিসাত রহমানের লাশ এনে রাখা হয়েছে,, না চাইলেও কিছুদিন পর এদের'কেই তো শশুড়-শাশুড়ি বানানোর কথা ছিল? কিন্তু আজ তারা লাশ হয়ে আছেন? আকাশ তো চায় নি এদের এভাবে মৃত্যু হোক??  তাহলে কেন এমনটা হল? সবকিছু কেন রহস্য রহস্য হচ্ছে??  এমনটা তো চায় নি আকাশ??  কে এসব কিছুর মাস্টার মাইন্ডকে খুব শ্রীর্ঘই খুঁজে বের করতেই হবে।। নাহলে যে আকাশের মরেও শান্তি হবে না।।  

আকাশঃ আচ্ছা আংকেল ইমতিয়াজ রহমানের তো গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাই না?? কিন্তু কোথা থেকে আর কত ফিট দূর থেকে গুলিটা চলছে বলে আপনার মনে হয়?? 

ডাক্তারঃ আমার মনে হয় কমপক্ষে ৪০০মিটার দূর থেকে গুলি করা হয়েছে আর রাইফেল অর্থাৎ পুলিশদের যে বন্ধুক তাকে সেটা দিয়ে গুলি করা হয়েছে।। 

আকাশঃ হুম বুজলাম,, তবে পুলিশের বন্ধুকে এত পাওয়ার আছে বলে আমার মনে হয় না,, কারণ দূরত্বটা বেশি হয়ে যায় না?? 

ডাক্তারঃ আমি বুজতে পারছি,,কিন্তু প্রমান আমায় যা বলছে আমি তোমায় তাই বলছি বাকিটা তুমায় খুজে বের করতে হবে,, 
আর হ্যা যদিও বেআইনি ভাবে  এসবকিছু বলতেছি,,কারণ কোন দায়িত্ববান অফিসার ব্যাতিত কোন সাধারণ মানুষকে এসব ইনফরমেশন দেওয়া সম্পূর্ণ বেইআইনি,, তাই যাই করবা খুব সাবধান,,  নাহলে তোমার সাথে আমায়ও সাসপেন করা হবে তাহলে আর কোন ইনফরমেশন ই দেওয়া সম্ভব হবে না।। 

আকাশঃ ঠিক আছে আপনি কোন চিন্তা করবেন না,,আমি সবকিছু সামলে নিব,,আর রিপোর্ট এর একটা ফটোকপি আমায় দিয়েন,, 

ডাক্তারঃ ঠিক আছে,,  বেস্ট অফ-লাক

আকাশঃ তাহলে আজ আসি,, প্রয়োজন পড়লে আবার আসবো,,আর কাল যাবার সময় রাফিকে রিপোর্টটা দিয়ে দিয়েন।।

ডাক্তারঃ আচ্ছা।। 
আকাশ ও রাফি মর্গ'থেকে বেরিয়ে আসে,, অতঃপর নীলাদ্রির ক্যাবিন"এ যায়,, নীলাদ্রি এই মূহুর্তে ঘুমে,,কারণ ইতিপূর্বে আকাশের কথায়ই ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়ানো হয়,,জেগে থাকলে বাবা-মায়ের স্মৃতিগুলো বারবার মনে পড়বে আর পাগলের মত আচরণ করবে,, যেটা আকাশ মোটেও চাচ্ছে না,, তবে আকাশ একটা কথা কিছুতেই বুজতে পারছে না,, তার আজকে এই অহংকারী নীলাদ্রি মেয়েটার জন্য এত মায়া হচ্ছে কেন?? 
শুধুই কি করুনা করছে নাকি অন্য কোন কারণ আছে এর মধ্যে??  

ফোনের রিংটোনে ভাবনার বিচ্ছেদ ঘটে আকাশের,,ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখে ইমন এর ফোন,, অতঃপর বেশ একটা আগ্রহ নিয়েই ফোনটা রিসিভ করে,,  

ইমনঃ আকাশ শুন এখানে একটা বিল্ডিং থেকে গুলি চলছে বলে আমার মনে হচ্ছে,,,

আকাশঃ আমাদের গোডাউন থেকে বিল্ডিং'টার দূরত্ব কর মিটার হবে বলে তোর মনে হয়..??

ইমনঃ আমার ধারণা মতে ৫০/৬০ মিটার দূরত্ব হবে,,,, 

আকাশঃ ঠিক আছে,, তবে ডাক্তার তো বললো কমপক্ষে ৪০০ মিটার দূরত্ব থেকে গুলিটা চলছে?? 

ইমনঃ বাসার ছাদ থেকে হিসাব করলে এমনই দূরত্বই হবে,,  আমারা এই মূহুর্তে বিল্ডিংটার ছাদে অবস্থান করছি,, 

আকাশঃ ঠিক আছে,, ভাল করে সবকিছু দেখেশুনে কি বুজতে পারিস জানাস আমায়।।

ইমনঃ আচ্ছা।। 
ফোনটা কেটে দিয়ে আকাশ রাফিকে উদ্দেশ্য করে বলে,, 

আকাশঃ রাফি শুন??

রাফিঃ হুম বল... 

আকাশঃ তুই এখানে থাক কেমন??  যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আমায় জানাস কেমন?? আর নীলাদ্রির জ্ঞান ফিরলে আমায় একটা ফোন দিস।। 

রাফিঃ কিন্তু আমি এখানে থাকলে আজ রাতের কলেজ মিশনে কে যাবে তোর সাথে?? 

আকাশঃ ইমরান,,আয়ুস,,নাঈম,,সাগর,,নিলয়,,কাউসার,,.......এরাতো আছেই? এখানে তুই থাক আর তোর সাথে তাসনিয়াও এখানে থাকবে কোন সমস্যা হবে না।। 

রাফিঃ তোর যা ভাল মনে হয়,,, আমি আর কি বলবো?? 

আকাশঃ রাগ করিস কেন? এই মূহুর্তে তকে এখানে থাকা জরুরি বুজলি।। 

রাফিঃ কিন্তু আমিতো তকে কোন মিশনে একা ছাড়ি না যদি তোর কোন ক্ষতি হয়ে যায় তাহলে আমি কার জন্য বাচঁবো বল?? 

আকাশঃ দূর পাগল চিন্তা করিস না সব রহস্যের উন্মোচন না করে আমার কিছু হবে না।।আর তোর মত একটা হারামি থাকতে আমার কি আর কিছু হতে পারে নাকি বল?? 

রাফিঃ হইসে হইসে আর বলা লাগবে না রাগটা খুব সুন্দর করেই ভাঙতে পারিস।। 
দু'জন দু'জনকে জরিয়ে ধরে,,, অনেকদিনের বন্ধুত্ব তাদের একজন  আরেকজনকে চোখে হারায়,,বর্তমান সমাজে এমন,একটা বন্ধু পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার।। 
রাফিকে বিদায় জানিয়ে তাসনিয়ার সঙ্গে কিছু কথা বলে আকাশ হাসপাতাল ত্যাগ করে,, উদ্দেশ্য তাহার গোডাউন,, আজ রাতে কলেজ এ রেড করবে,, অনেক দিন ধরে সন্দেহ হচ্ছিল কলেজ এ রাতের বেলা ট্রাক আর কয়েকজন ছেলের আগমনে তাও প্রতিনিয়ত,,দীর্ঘক্ষন তারা কলেজ এ কি যেন করে তারপর চলে যায়,, সেখান থেকেই সন্দেহ সৃষ্টি,, অতঃপর আজ রাতে যাবে কলেজ এর রহস্য উন্মোচন করতে।।। 

অপরদিকে রাফি নীলাদ্রির ক্যাবিন এ বসে আছে,, তখনই তাসনিয়ার আগমন।।  রাফির পাশে একটা চেয়ার টেনে এনে বসে।। 

তাসনিয়াঃ এভাবে আর কতদিন.? 

হুট করে তাসনিয়ার এমন কথায় হকচকিয়ে উঠে রাফি,, আমতা আমতা করে উওর দেয়.. 

রাফিঃ এ..এ..ভাবে আ..আ..র ক..ক..তদিন মানে কি??

তাসনিয়াঃ তুতলাচ্ছো কেন??  বলছি যে আর কতদিন এভাবে আমায় ইগনোর করবা?? 

রাফিঃ আমি আবার কই আপনাকে ইগনোর করলাম?? 

তাসনিয়াঃ বুজো না আমার আচরণে??  কি চাই তোমার কাছ থেকে.? 

রাফিঃ না বললে বুজবো কিভাবে?? 

তাসনিয়াঃ এভাবে ইগনোর না করে সরাসরি বললেই পারো আমায় পছন্দ না,, 

রাফিঃ আজব তো আমি কখন বললাম আপনাকে পছন্ড না??আর ইগনোর কই করলাম??  

তাসনিয়াঃ বুজেও না বুজার ভান করতেছো তাহলে কি বলবো বলো?? 

রাফিঃ কি বুজবো??( তাসনিয়া আমি জানি তুমি আমায় ভালবাসো,, হয়তো আমিও তোমায়  ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু কি করবো বলো আমার লাইফটা আর পাঁচজন মানুষের মত না,,প্রতিনিয়ত মৃত্যুকে বরণ করে বেচেঁ থাকতে হয় আমাকে.. তাহলে তোমায় কি করে এই অনিশ্চিত জীবনে জরাবো??  একটা মানুষ কখনোই তার ভালোবাসার মানুষটার ক্ষতি চায় না তাই এভাবে ইগনোর করি তোমায় তবুও কেন জানি তোমার সামনে আসলে সবকিছু ভুলে যাই,, দীর্ঘদিন তোমার সাথে বেচে থাকতে ইচ্ছে করে,, কিন্তু কি করবো বলো আমায় যে নানাভাইকে দেওয়া কথা পূরণ করতেই হবে,, সবাই তো কতকিছু সেক্রেফাইজ করে তুমি নাহয় আমায় করবে?? তবুও কিছুদিনের মায়ায় তোমায় জরাতে চাই না তাসনিয়া,,প্লিজ আমার অবস্থাটা একটাবার বুজার চেষ্টা করো।।  নাহলে পরে সবথেকে বেশি কষ্ট তোমাকেই পেতে হবে।।)  

ভাবনার বিচ্ছেদ ঘটে তাসনিয়ার ডাকে,, তাকিয়ে দেখি মেয়েটা গাল ফুলিয়ে কোমরে হাত রেখে রাগি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,কি এক অপূর্ব লাগছিল তাকে যার মায়ায় পড়ে গেলাম,, কিন্তু তাকে যে বুজতে দেওয়া যাবে না এই রাফি পাথর নয় তারও মন আছে ,, সেও ভালবাসতে পারে??  
তাকে এড়িয়ে যাবার জন্য যেই ক্যাবিন থেকে চলে যেতে যাব তখনই তাসনিয়া টেনে নিয়ে নিজের সঙ্গে শক্ত করে জরিয়ে ধরে।।  তাসনিয়ার এমন আচরণে হতভম্ব রাফি।।  কি করছে এসব তাসনিয়া.? যদি কেও দেখে ফেলে তাহলে কিহবে?? একপ্রকার জের করে তাসনিয়াকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে রাফি ক্যাবিন ত্যাগ করে।। 
তাসনিয়ার বোধগম্য হয় না কেন এমন করছে রাফি?  সেও বুজতে পারে রাফি তাকে ভালবাসে,, তাহলে এত লুকোচুরি কিসের??  

চলবে............................ 

এতদিন অপেক্ষা করানোর জন্য রেগে আছেন আমার উপর??  রাগ করেও লাভ নেই আমি আবার রাগ ভাঙানোর বদলে আরো রেগে যাই,, আসলে দুঃখীত প্রথমে আমার অফিশিয়াল ফেসবুক একাউন্টটি নষ্ট হয়ে যায়,, তারপর আবার ফোনটা একদম নষ্ট হয়ে যায়,,  এত এত প্যারা এসে উপস্থিত হয়েছিল আমার দরবারে,, সেখান থেকে আবার ফিরে আসা সম্ভব হচ্ছিল না,,যদিও আগের ফোনটা একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়,, নতুন ফোনে টাইপ করাটা সহজ হয়ে উঠে নি আমার পক্ষে তাই আবারও দুঃখীত আমি আপনাদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করানোর জন্য।।  এখন থেকে নিয়মিত গল্প দিবার চেষ্টা করবো,,।। 



🙂 কেমন হইসে জানাবেন... ভুল ক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ❣️
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post