৯-১১
#ওসির_অহংকারী_মেয়ে
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৯
আকাশ,আজ একদম পুরো ভিন্ন গেটাপে,ল্যাম্বারঘিনিটা নিয়ে সে নিজে ড্রাইভ করে কলেজের সামনে গিয়ে পার্ক করে..
তারপর সে গাড়িটার ভিতর থেকে নেমে আসে,পুরো কলেজের সবাই তো গাড়িটার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,,,
এমন সময় পিছন থেকে কেউ একজন এসে আকাশকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,আর আকাশের ঘাড়ের মধ্যে কয়েকটা চুমু বসিয়ে দেয়....
আকাশ,তো ভেভাচাকা খেয়ে যায়,সে পিছনে ঘুরে দেখে হেনা,
আকাশের মেজাজ তো পুরা গরম হয়ে গেছে,সে হেনার গালের মধ্যে ঠাসসসস ঠাসসস করে কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়,
এই তোর কত্ত বড় সাহস যে তুই আমাকে জড়িয়ে ধরেছিস...?
হেনা,সাহসের কি আছে আমার বিএফ কে আমি জড়িয়ে ধরেছি,
আকাশ,এই মেয়ে সেটআপ মুখ সামলে কথা বল,তোর সাথে আমার কোন কালেই কোন কিছু ছিলো না,হটাৎ কোথা থেকে উড়ে এসে বিএফ দাবী করছিস...?
হেনা,প্লিজ আকাশ আমায় এভাবে অস্বীকার করো না,আমি যা করেছি ভুল করেছি,প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দিয়ে নিজের করে নাও😓
হেনা মনে হয় যে সে এখনি কান্না করে দিবে...
আকাশ,এই ড্রামাবাজ মেয়ে অনেক হইছে তোমার ছলনা,এবার আর নাহ আমি আমার মত ভালোই আছি,আর এইসবের প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট নাই,বিশেষ করে তো তোমার সাথে একদম এই নাই,ছলনাময়ী মেয়ে নিজের রাস্তা মাপো,আর আমি তো খ্যাত আমার সাথে কি করে কথা বলছো ঘৃণা হচ্ছে না এখন....?
হেনা,মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে,কি বলবে সে কিছুই বলার মত নাই,কারন সে এমন বিহেভিয়ার আগে দেখিয়ে এসেছে আকাশকে,আজ তা ফেরত পাচ্ছে একক দশকে
আকাশ,এই মেয়ে সরো তোমার মত মেয়ের সাথে আমার কোন কিছুই নাই,আর নিজের স্টাটাস দেখেছো তুমি...?
সাধারণ একটা ওসির মেয়ে,আর আমি কার ছেলে সেটা তো হয়তো জেনেই গেছো,তাহলে এবার ভাগো,আমার লেভেলের না তুমি....
হেনা,ছোট বাচ্চার মত কান্না করে দেয় আকাশের কথা শুনে,
আকাশ,হেনাকে ফেলে রেখে ক্লাসে চলে যায়,
হেনার নিজের দোষেই সবটা হয়েছে,অহংকার পতনের মূল আসলেই কথাটা সত্যি....
হেনা,কান্না করতে করতে বাসায় চলে যায় ক্লাস না করে...
আকাশ,ক্লাস রুমে ঢুকতেই সবাই ওর সাথে কথা বলতে এগিয়ে আসে,বিশেষ করে মীম...
আসলে সরি আকাশ হেনার সাথে মিলে তোমায় কষ্ট দিয়েছি,প্লিজ আমাকে তোমার বন্ধু বানাবে..?
আকাশ,মীম শুনো সরির কিছু নাই,নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাও,
কেন এতদিন আমি খ্যাত ছিলাম,কিন্তু এখন কি এমন হলো যে মাফ চাচ্ছো..?
শুনো তোমরা হচ্ছো স্বার্থপর কাতারের মানুষ,তোমার সাথে বন্ধুত্ব তো দূরের কথা,তোমার ছায়া পর্যন্ত আমার ধারে কাছে আসতে পারবে না...
লেভেল আছে তোমার যে আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে আসছো,আমার বাসার পশুপাখি ও তো তোমার থেকে বেশি যোগ্যতা সম্পূর্ণ,হাহ আসছে বন্ধুত্ব করতে...
আকাশের কথা শুনে মীম মাথা নিচু করে সেখান থেকে চলে যায়,
কারোর মুখে কোন কথা নাই,কারন আকাশের আসল পরিচয় জানার পর সবাই বুঝে গেছে আকাশের লেভেল কোথায়,সবাই ওকে অপমান করতো,কিন্তু কেউ জানতো না সে যে এই শহরের নাম করা কোটিপতির ছেলে,আকাশের কাছে তারা কিছুই না....
একটু পর আরু আসে ক্লাসে,তিশান ও আজ ক্লাসে এসেছে,তিশান তো আকাশের ব্যাপারটা শুনে পুরা থথথথথ..
ক্লাস শুরু হয়ে যাবে,তাই সবাই নিজের জায়গা ঠিক করে নেয়,
আকাশ,আজো সামনে বসেছে,পাশেই সিটেই আরু আর তার থেকে এক বেঞ্চ দূরে তিশান,স্যার ক্লাস নিতে এসে দেখে আকাশ সবার সামনে বসেছে,আজ ওর কাপড় চোপড় দেখে স্যারের হুশ এই উড়ে যায়,
স্যার,ভিতরে ভিতরে নিজেকে নিজে ধিৎকার দিচ্ছে,কারন তিনিও আকাশকে কথা শুনিয়েছেন,স্যার চুপচাপ ক্লাস করে চলে যায়,একটু পর কেউ একজন এসে বলে ওকে হেডস্যার আমায় ডাকছে,
আকাশ,হেডস্যারের কাছে যায়,
হেডস্যার,আকাশ তোমায় নিয়ে প্রাউড করি যে তুমি আমাদের কলেজে পড়ছো,ইয়াকুব সাহেবের ছেলে আমাদের কলেজে পড়ে আমার সেটা বিশ্বাস এই হচ্ছে না,প্লিজ কখনো কোনকিছু দরকার হলে আমায় বলবে,
আকাশ,ওকেহ স্যার....
তারপর আরো কিছু কথা বলে স্যারের রুম থেকে বেরিয়ে আসে,আর মনে মনে ভাবতেছে দুনিয়ার নেজাম পাল্টে গেছে,ভালো মন দিয়ে কোন কিছুই যায় আসে না মানুষের,একটাই জিনিস দিয়ে বিবেচনা করা হয় টাকা পয়সা পাওয়ার...
আগে যখন ভেসভোসা ধরে ছিলমা হেডস্যার কেন,একটা কুকুর পর্যন্ত মুখ ফিরে তাকায়নি,আর আজ আসল পরিচয় জানার পর পুরো কলেজ পিছনে পড়ে গেছে,
ক্লাস শেষ করে আরু তিশান আকাশ সবাই কেন্টিনে বসে গল্প করছে,এমন সময় একটা মেয়ে এসে আকাশকে প্রপোজ করে,মেয়েটা অন্য ডিপার্টমেন্ট এর,মেয়েটা দেখতে হেব্বি মাশাল্লাহ,কিন্তু আকাশ সোজা জানিয়ে দেয় সে রিলেশন করবে না,কিন্তু মেয়েটা নাছোড়বান্দা সেও আকাশকে ছাড়বে না,
আরু আর তিশানের তো সেই হাসি পাচ্ছে,
আকাশের এদিকে মেজাজ খারাপ হচ্ছে,
মেয়েটা,এই আকাশ রিলেশন করলে কি হয়...?
এমন করে তাড়িয়ে দিচ্ছো কেন..?
আকাশ,এই মেয়ে তুমি আমার চোখের সামনে থেকে যাও তো, না হয় মাথায় তুলে আছাড় দিব,একটু গরম হয়ে বলে,
মেয়েটা,ভয়ে সেখান থেকে চলে যায়,
আকাশের মেজাজ একদম খারাপ করে দিছে মেয়েটা,এ তোরা থাক আমি যাচ্ছি...
আরু,সে কি রে একটু গল্প করি আয় না,
আকাশ,না রে আমার ইচ্ছা করছে না গল্প করতে,
থাক তোরা আমি যাই,
আরু,এই থাম আমরাও চলে যাবো তাহলে,তুই না থাকলে দুইজন গল্প করে কি করবো,তারপর সবাই সবার বাসায় চলে যায়,
আকাশ,বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নেয়,পরে একটা ঘুম দেয়, বিকালে ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে,পরে আবার পড়তে বসে কারন একদম নিকটে চলে আসছে পরিক্ষা,এখন ধুমিয়ে পড়তে হবে,
অনেক রাত পর্যন্ত পড়ে,সমস্ত পড়া কমপ্লিট করে ঘুমিয়ে পড়ে,
পরেরদিন
সকাল বেলা ঘুম থেকে রেডি হয়ে নাস্তা করে কলেজে চলে যায়,
কিন্তু কলেজে গিয়ে যা দেখে তার তো হুঁশ এই উড়ে যায়,
গতকাল যেই মেয়েটা আমাকে প্রপোজ করেছিলো সেই মেয়েটাকে হেনা উদুম কেলানি....
চলবে....?
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন,
অসুস্থতার কারনে পর্বটা ছোট হয়ে গিয়েছে,প্লিজ কেউ মনে কষ্ট আনবেন না,গল্প কি লিখবো সেই শক্তিটাও জোগাতে পারছি না😊
আর একটা গুড নিউজ কাল থেকে গল্পটার ধারা বুঝতে পারবেন,আসল ক্লাইমেক্স কাল থেকে শুরু😊
#ওসির_অহংকারী_মেয়ে
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১০
আকাশ,সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে কলেজে চলে যায়,
কিন্তু কলেজে গিয়ে যা দেখে তাতে তো আকাশের হুঁশ এই উড়ে যায়....
গতকাল যেই মেয়েটা আমাকে প্রপোজ করেছিলো,তাকে হেনা উদুম কেলানি কেলাচ্ছে,
মেয়েটা,আমাকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে ছুটে এসে আমার পিছনে লুকালো,
হেনা,তেড়েফুঁড়ে আসতেছে মেয়েটাকে মারার জন্য,
আকাশ,এই কি সমস্যা তোমার হা?
তুমি ওকে মারছো কেন?
হেনা,আমার অনেক সমস্যা,সে তোকে প্রপোজ করেছে কোন সাহসে?
আকাশ,এই মেয়ে মুখ সামলে কথা বলো,তোমার লেভেলের না আমি,যে তুমি আমার সাথে তুই তুকারি করবে,আর কথা হচ্ছে ওর ইচ্ছে হয়েছে সে আমাকে প্রপোজ করেছে,তোমার সমস্যা কোথায় এতে..?
হেনা,না তোকে কেউ প্রপোজ করতে পারবে না,তোকে খালি আমি প্রপোজ করবো,ওর কতবড় সাহস সেটা আমি আজ দেখবো বলে মেয়েটাকে আবার মারতে ধরে,এবার আকাশের মেজাজা খারাপ হয়ে যায়,সে ঠাসসসস করে হেনার গালে কোষে একটা লাগাই দেয়,এই তোকে একবার বলেছি না যে আমি তোর লেভেলের না,তার পরেও তুই তুকারি করতেছিস,আর তোর কতবড় সাহস তুই আমার জিএফ এর গায়ে হাত দিস,সে আমাকে গতকাল প্রপোজ করেছে আর আমি এক্সেপ্ট করে নিয়েছি,
হেনা,গালে হাত দিয়ে কান্না করতে করতে প্লিজ আকাশ তুমি এমন টা করো না,তুমি শুধু আমাকে ভালোবাসবে,তোমার ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার শুধু আমার আছে,প্লিজ ওকে না করে দাও...
আকাশ,হাহহহ আমার এত ঠেকা পড়ে নাই,যে তোমার মত ধোঁকাবাজকে আবার ভালোবাসতে যাবো,ভুলি নাই আমি এখনো কোনকিছু,মনে আছে সেদিন সবার সামনে জুতোর বাড়ির কথা🙂
সেদিন আমার সবটাই তোমার ছিলো,কিন্তু আজ অন্যজন পাড়ি জমিয়েছে,সে যাই করুক না কেন আশা করি সে অন্তত তোমার মত ধোঁকাবাজি করবে না,আর প্লিজ তোমার ড্রামা গুলো বন্ধ করো,আর আমার চোখের সামনে থেকে দফা হও...
হেনা,কান্না করতে করতে সেখান থেকে চলে যায়....!
মেয়েটা তো সেই খুশি যে আকাশ তাকে এক্সেপ্ট করে নিয়েছে,
আকাশ,এই সবাই দাড়িয়েছিল কি দেখছেন যান ক্লাসে যান,
আর এই যে মেয়ে তুমি আমায় যত ভালোই বাসো না কেন,কখনো আমার মনে ঢুকতে পারবা না,কারন যখন আমার ভেসভোসা খারাপ ছিলো তখন কেউ আমার ধারেকাছেও আসতো না,আর আজ যখন নিজকে বদলে নিয়েছি মানুষের লাইন পড়ে গেছে,
এমন লোক দেখানো ভালোবাসা আমার দরকার নাই,
যে ভালোবাসায় মন দেখেনা,মানুষটা কেমন সেটা বিবেচনা করে না,খালি দেখতে কেমন টাকা পয়সা আছে কিনা সেটা দেখে,এমন ধারা ভালোবাসা আমার দরকার নাই,আর শুনো হেনার সামনে তোমায় এমন বলেছি তার অন্য কারন আছে,এখন তুমি যেতে পারো আমার দ্বারা ভালোবাসা হবে না,সে এটা বলেই মেয়েটাকে রেখে ক্লাসের দিকে চলে যায়,
স্যার ক্লাস করাচ্ছে,স্যারের লেকচার শুনছি মন দিয়ে,কিন্তু হটাৎ কি কারনে জানি জানালার দিকে নজর যায়,তখনি চোখে পড়লো অনেক গুলো গাড়ি কলেজের গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে,
গাড়ি গুলো আমার পরিচিত মনে হচ্ছে,ধুর যাই হবে হোক স্যারের লেকচারের দিকে মন দেই,স্যারের লেকচার শুনছি এমন সময় পিয়ন এসে বলে হেডস্যারের রুমে এখনি ডেকেছে আমাকে...
পিয়নের সাথে সাথে হেডস্যারের রুমে গেলাম,ভিতরে ঢুকতেই তো বড় ধরনের একটা ঝাটকা খেলাম,
কারন হেডস্যারের রুমে হেডস্যার একা না,উনার সাথে আরেকটা লোক বসে আছেন,যিনি হচ্ছেন আমার বাবা🙂
হা এবার বুঝে আসছে গাড়ি গুলো চেনা চেনা কেন লাগছিলো...
--লোকটা আমাকে দেখতে পেয়ে চেয়ার থেকে উঠে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দিলো,
--আমার ভিতরে কোন ফিলিংস কাজ করছে না, আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি,
--বাবা তুই এতবড় শাস্তি কি করে দিলি আমাদেরকে,আজ একটা বছর তুই ঘর থেকে বাহিরে,সেদিন না হয় রাগ করে তোর গায়ে হাত তুলেছিলাম,আর কিছু কথা শুনিয়েছিলাম,তাই বলে তুই এভাবে আমাদেরকে ছেড়ে চলে আসবি,আজ একটা বছর আমাদের মনে কোনো শান্তি নাই,তোর মা রোজ কাঁদে তোর জন্য,আর আমার কথা না হয় বাদ এই দিলাম,আজ তোর হেডস্যার খবর না দিলে তো তোর কোন খোঁজ এই পেতাম না,বাবা তুই কি ভাবে পাড়লি আমাদের ছেড়ে একটা বছর কাটিয়ে দিতে,
আকাশ,ওর বাবাকে ছাড়িয়ে নিয়ে মাত্র এক বছর হয়েছে,আরো অনেকটা সময় পড়ে আছে🙂
আকাশের বাবা,প্লিজ আকাশ আর রাগ করে থাকিস না,প্লিজ এবার ঘরে ফিরে চল..?
আকাশ,নাহ কখনোই নাহ..
ঘরের গন্ডিতে ঐদিন পাড়া দিব যেদিন মানুষের মত মানুষ হতে পারবো,কারন ঐ দিন এটা বলে ঘর ছাড়তে বলেছিলে আমার মত কুলাঙ্গার সন্তান তোমার দরকার নাই,আরো বলেছিলি আমার মত ছেলে দুনিয়ায় বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নাই,আমার মরে যাওয়াই ভালো...
কিছুই ভুলিনি আমি,জেদ করে যেমন ঘর ছেড়েছি,তেমন মানুষের মত মানুষ হতে পারলেই ঘরে ফিরবো আবার🙂
আর আপনার যদি স্যারের সাথে কোন কাজ থাকে তাহলে কলেজো আসতে পারেন,আমার খোজ নিতে কলেজে আসতে হবে না,
আমার সামনে পরিক্ষা আমাকে তাতে ফোকাস করতে দিন,চলি এবার আমার গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস চলছে....
আকাশ,চলে যাচ্ছে কিন্তু হটাৎ একটা কথা মনে পড়ে,
সে পিছনে ফিরে ওহ হা একটা কথা বলতে ভুলে গেছি,শুনেন আমি যেমন এই ছিলাম যেই পথেই ছিলাম না কেন,কখনো অন্যায় করি নাই,মানুষের ক্ষতি করি নাই,আর আপনি আজ বেঁচে আছেন আমি আকাশের জন্য,সেই জন্য আমিই কুলাঙ্গার হয়ে গেলাম🙂
আকাশ,হেডস্যারের রুম থেকে বের হয়ে ক্লাসে চলে আসে,
ইতিমধ্যে পুরো কলেজে খবর পৌঁছে গেছে যে এই শহরের টপ বিজনেসম্যান ইয়াকুব সাহেব কলেজে এসেছে,তাই স্যাররা ক্লাস ছুটি দিয়ে দিছে,
পুরো কলেজে গমগম করছে মানুষের জন্য,কলেজ স্টুডেন্ট আরো বাহিরের অনেক মানুষ ও কলেজে এসেছে ইয়াকুব সাহেবকে দেখার জন্য,
আকাশের সেই দিকে কোন আক্ষেপ নাই,তার মন খারাপ হয়ে আছে,তাই সে আরুকে নিয়ে গাছ তলায় চলে যায়,
আরু,কিরে তোর বাবা আসছে তোর আরো খুশি হওয়ার কথা,কিন্তু সেখানে তুই মন খারাপ করে বসে আছিস..?
আকাশ,কারন আমি উনার ছেলে না তাই...
আরু,মানে কি বলছিস আকাশ...?
আকাশ,তুই তো জেনেই গেছিস আমি কে,দেখ আমি যাই করেছি কখনো মানুষের খারাপ করিনি,মানুষের সাথে অন্যায় বা খারাপ আচরণ করিনি,আর আজ সেই লোক ও বেঁচে আছে আমার জন্য,পিন্টু হাজি উনার পিছনে লোক লাগিয়ে দিয়েছিলো মারার জন্য,কিন্তু আমার জন্য কিছু করতে পারে নি,আমি উল্টো ওদের সব কয়টাকে সাইজ করেছি,আর সেই ঘরের মানুষ এই আমাকে বলে আমি নাকি কুলাঙ্গার,আমার নাকি বেঁচে থাকার অধিকার নাই,আমি সন্ত্রাস....
আরু,দেখ আকাশ তুই হয়তো কষ্ট পেয়ে কথা গুলো বলছিস,কিন্তু দেখ তোর বাবা রাগের থেকে কথা গুলো বলেছে,আর তুই যত ভালোই করিস না কেন,তোর কাজ করার লাইনটা তো খারাপ তাই তিনি হয়তো রিয়েক্ট করেছেন...
আকাশ,আরু তুই কি উনার পক্ষ হয়ে কথা বলছিস...?
আরু,আরে নাহ উনার পক্ষ নিয়ে কথা বলতে যাবো কেন,আমি তোর পক্ষ নিয়েই কথা বলছি,আচ্ছা থাক এবার আর গাল ফুলিয়ে থাকতে হবে না,চল কেন্টিনে যাবো আইসক্রিম খাবো....
আইসক্রিম খেয়ে দুজনে দুজনের বাসায় চলে যায়,
ইয়াকুব সাহেব নৈরাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে যায়,
অন্যদিকে হেনা তো বাসায় গিয়ে সমস্ত কিছু তোলপাড় করে ফেলছে,ওকে কেউ থামাতে পারছে না,আমি আকাশকে ভালোবাসি,আমার আকাশকে চাই,বাসায় যত কাঁচের শোপিস ছিলো সব ভেঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি করে ফেলেছে...
হেনার বাবা আই মিন ওসি,মা রে তুই তাকে অপমান করেছিস,আমিও তাকে অত্যাচার করেছি,এত কিছুর পরেও কি সে তোকে মেনে নিবে...?
হেনা,আমি জানি না,আমার আকাশকে লাগবে ব্যস লাগবেই,না হয় আমি সুইসাইড করবো শেষ কথা,তোমার আমার ভালো চাও তো ওকে এনে দাও..?
না হয় তোমাদের মেয়ের মৃত লাশ কাঁধে নিতে প্রস্তুত হও...
আকাশ,বাসায় এসে গোসল করে খাওয়া দাওয়া শেষ করে,পরে একটু ঘুম যাবে বলে ভাবে কিন্তু তখনি অচেনা একটা নাম্বার থেকে ফোন আসে,
আকাশ,হ্যা কে বলছেন...?
আমি থানার ওসি বলছি....
আকাশ,আমাকে কি কারনে ফোন করেছেন..?
ওসি,প্লিজ বিল্লা ভাউ আমার কথাটা একটু শুনেন,আমার মেয়েটা আপনাকে খুব বেশি ভালোবাসে,সে আপনাকে না পেলে নাকি সুইসাইড করবে,প্লিজ আপনি আমার মেয়েটাকে গ্রহণ করে নেন...
আকাশ,এই ওসি মাথা পাগল হয়ে গেছে হা,সামান্য একটা ওসির মেয়েকে আমি বিয়ে করবো,এটা কখনোই সম্ভব না,আর কে কি করবে এত কিছু আমার দেখার সময় নাই,সুইসাইড করবে না কি করবে সেটা ওর ব্যাপার,এর পরেরবার যদি আমার নাম্বারে ফোন আসে তাহলে অবস্থা খারাপ করে ছেড়ে দিব🙂
আর আমার রিলেশন আছে অন্য মেয়ের সাথে,কিছুদিন পর আমরা বিয়ে করতে যাচ্ছি,আপনার মেয়েকে বলবেন অযথা কোন কিছু করে নিজের বিপদ ডেকে না আনতে,এতে আপনার মেয়ের এই ক্ষতি হবে,বায় ভালো থাকেন...!
আকাশ,ফোন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,বিকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গে কারোর হাতের স্পর্শে,কেউ একজন তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,আকাশ মিটমিট করে চোখটা খুলে দেখে আম্মু😲
আম্মু তুমি....
চলবে...?
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন...!
আর যারা যারা আমার গ্রুপে জয়েন করেন নাই,সবাই জয়েন করে নিন....
#ওসির_অহংকারী_মেয়ে
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১১
আকাশ,ফোন কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,বিকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গে কারোর হাতের স্পর্শে,কেউ একজন তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,আকাশ মিটমিট করে চোখটা খুলে দেখে আম্মু,সে দেখে তো অবাক😲
আম্মু তুমি.....?
আকাশে আম্মু,হা আমি...
আকাশ,লক্ষ্য করে ওর আম্মু কান্না করছে...
আম্মু,তুমি কান্না করছো কেন..?
--আজ এক বছর পর তোকে দেখতে পেয়েছি,আজ একটা বছর ধরে তোর চাঁদ মাখা মুখ খানা দেখি না,তো কান্না করবো না তো কি করবো,
আকাশ,ও ওর আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়,আম্মু আমায় ক্ষমা করে দাও😓
আমি নিজেকে মানুষ করার জন্য ঘর ছেড়েছি,কিন্তু আম্মু তুমি আমার খোজ পেলে কোথায়...?
--তোর আব্বু আজ বললো তুই এখানে একটা কলেজে পড়াশোনা করিস,
আর তা ছাড়া তোর ড্রাইভারের সাথে আমার গতকাল দেখা হয়েছে,ওদেরকে জিগ্যেস করেছি তোর কথা,কিন্তু ওরা বলেছে তোর নিষেধ আছে ঠিকানা বলতে,তাও অনেক জোর করে তোর ঠিকানা মুখ থেকে বের করেছি...
আকাশ,ওর আম্মুর কথা শুনে হা হয়ে তাকিয়ে আছে,তবে আম্মুর সাহস দেখে আমার অবাক লাগছে,যে উনি থাকে এক শহরে,আর সেই শহর থেকে আমার খোজ করার জন্য অন্য শহরে চলে আসছে,তাও আবার একা..
আব্বু জানে তুমি যে আমার খোজে এসেছো..?
--হা জানে...
আকাশ,তাহলে তোমায় একা ছেড়ে দিলো কি করে...?
--ছেড়েছো কোথায় আমি জোর করে বের হয়েছি,বলেছি আমার ছেলের কাছে যাবো আমি,আমায় যদি আটকানোর চেষ্টা করে তাহলে চিরতরে ঘর ছেড়ে দিব,আর তা ছাড়া ঐ লোকের জন্য তুই ঘর ছেড়েছিস,একটা বছর আমার কত চোখের জ্বল ঝরেছে জানিস,রোজ রাতে কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে লাল করে ফেলতাম...
আকাশ,আম্মু সরি😓
--এই পাগল ছেলে কি করছিস,যা হয়েছে হয়েছে এবার ঘরে চল...?
আকাশ,নাহ আম্মু এটা সম্ভব না...?
--তুই যদি আজ আমার সাথে ঘরে না যাস তাহলে আমি এখান থেকে বের হয়ে অন্য কোথাও চলে যাবো...
আকাশ,আম্মু তুমি কি বলছো এই সব উল্টা-পাল্টা,
--আমি এত কিছু বুঝি না তোর ঘরে যেতে হবে আমার সাথে...
আকাশ,আম্মমমমমু😓
--তুই আমার সাথে যাচ্ছিস এটাই ফাইনাল,
আকাশের আম্মু যখন বাসায় এসেছে তখন পল্লব ছিলো না বাসায়,
সে পল্লবকে ফোন করে বলে বাসায় আসতে,সে তার নিজ বাড়িতে ফিরে যাবে,পল্লব আকাশের ফোন পেয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় আসে,
আকাশ,আচ্ছা পল্লব তুই থাক আমি বাড়ি যাচ্ছি,
পল্লব,আচ্ছা ভাই তাহলে আজ রাতে আমিও আমার বাড়িতে ফিরে যাবো,
আকাশ,হা তাই কর,বাসার মানুষ অনেক চিন্তায় আছে...
তারপর আকাশের আম্মু আর আকাশ মিলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়,এদিকে আকাশ ফোন করে ওর সমস্ত গাড়ির ড্রাইভারকে বলে দেয় সবাই যেন ওর বাড়িতে চলে যায় গাড়ি নিয়ে,
বাসায় পৌঁছাতেই রুহি এসে ঝাপটে ধরে কান্না করে দেয়,
এই কুত্তা শয়তান বদমাইশ কই ছিলি তুই এতদিন বলে মারতে শুরু করে..?
রুহি আকাশের ছোটবোন...
আকাশ,আরে আরে মারছিস কেন লাগছে তো..
রুহি,চুপ কুত্তা কোথাকার তোর শরীরে একদম হাতের নোখ ঢুকিয়ে দিব,
কি ভাবে পারলি তুই আমাকে ভুলে থাকতে ভাইয়া..?
আকাশ,চুপ করে আছে...
--আকাশের আম্মু এই রুহি এখন বকবক করিস না,পরে এইসব আলাপ করিস,এখন অনেক দূর থেকে এসেছে আগে একটু ফ্রেশ হতে দে...
আকাশ,আজ এক বছর পর বাসায় এসেছে,বাসাটা সেই আগের মতই আছে,কিন্তু কেমন নিরব একটা পরিবেশ ঘরটাকে মরা বাড়ির মত বানিয়ে ফেলেছে,আমি আমার যেই রুম ছিলো সেটাতে চলে গেলাম,গিয়ে দেখি সমস্ত কিছু আগের মতই আছে,অবাক হলাম আমার রুমটা একদম পরিপাটি করে গোছানো দেখে,তার মানে এই রুমটা রোজ কেউ গুছিয়ে রাখে,
আকাশকে পেয়ে বাসার সবাই মহাখুশি,আকাশও খুব খুশি সে সবার সাথে হেসে খেলে কথা বলতেছে,শুধু তার বাবাকে ছাড়া,কারন সেই মানুষটার প্রতি তার কেন জানি একটা অভক্তি চলে আসছে...
--আকাশের বাবাও কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে,তিনিও ভিতরে ভিতের কুকড়ে কুকড়ে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছেন...
আকাশ,একেবারে বাসায় ফিরে আসছে,সে সারাদিন বাসায় থাকে পরেরদিন সকাল বেলা রেডি হয়ে নিজের গাড়িটা নিয়ে কলেজে চলে যায়,
কলেজের গেইট দিয়ে ঢুকবে এমন সময় হেনা তার সামনে পথ আটকায়,
হেনা,এই আকাশ দাঁড়াও তোমার সাথে আমার শেষ কিছু কথা আছে...
আকাশ,তোমার মত মেয়ের সাথে আমার কোন কথা নাই..
হেনা,নাহ তোমার কথাগুলো শুনতে হবে বলে হেনা আকাশের পথ আটকে ধরে...
আকাশ,আচ্ছা বলো কি বলবে..?
হেনা,আকাশ তুমি কি সত্যি আমায় ভালোবাসো না..?
আমার জন্যে কি তোমার একটুও মায়া হয় না..?
আকাশ,এই মেয়ে ড্রামা বন্ধ করো,তোমাকে আমার দুই চোখেই সহ্য হয় না,আর রইলো ভালোবাসা,শুনো তুমি ভালোবাসার মত যোগ্য মেয়ে না,তোমার থেকে পতিতা মেয়েও ভালো আছে,তুমি তো মুখোশধারী শয়তান মেয়ে,তোমার মত মেয়েকে যে কি ভাবে আমি ভালোবেসে ছিলাম সেটা এক মাত্র আল্লাহ জানে....
হেনা,আকাশ বলো আরো বলো,যা ইচ্ছে হয় বলো আমাকে নিয়ে,যত অপবাদ দিতে ইচ্ছে হয় দাও,কিন্তু প্লিজ আমায় ফিরিয়ে নাও,আমি তোমার সাথে যা করেছি অন্যায় করেছি,আমি জানি যে আমি
ক্ষমার যোগ্য না,
কিন্তু বিশ্বাস করো আমার তোমাকে চাই,তুমি ছাড়া আমার নিশ্বাস নিতে পর্যন্ত কষ্ট হয়,তোমাকে না পেলে আমি সত্যি মরে যাবো...😓
আকাশ,এই ধোঁকাবাজ মেয়ে মরবি না হয় যা করবি কর,আমাকে কেন বলতেছিস এই সব কথা,তুই হচ্ছিস বিষাক্ত একটা সাপ,যার জীবনে যাবি তাকে দংশন করে বিষে নীল করে দিবি,তোর মত মেয়ে ভালোবাসার যোগ্য না,আর শোন তোর যা ইচ্ছা হয় তাই কর,মরবি না কি করবি সেটা তোর একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার,কিন্তু এই সব কথাবার্তা আমার সামনে বলিস না,
যা দূরে গিয়ে মর আমি গেলাম....
আকাশ হেনাকে রেখে ক্লাসে চলে আসে,হেনা সেখানেই বসে
কান্না করে দেয়,
আকাশ ক্লাসে এসে আরুর সাথে কথা বলছে এমন সময় স্যার ক্লাসে ঢুকে,
স্যার আসা মাত্রই সবাই নিরব হয়ে যায়,এভাবে চার ঘন্টা হওয়ার পর কলেজ ছুটি হয়ে যায়,
আকাশ আর আরু ক্লাস শেষ করে কেন্টিনের দিকে যাবে,এমন সময় আকাশের নজর পড়ে কলেজের গেইটের দিকে,হেনা এখনো সেখানে মাটিতে বসে আছে,যেভাবে বসা ছিলো ঠিক সেভাবেই বসে আছে,আকাশের মাথায় ঢুকছে না মেয়েটা চার ঘন্টা একটা জায়গার মধ্যে কি ভাবে বসে ছিলো😲
ধুর আমার কি,ওর ভালো লেগেছে তাই সে বসেছিলো,
আকাশ ওকে পাত্তা না দিয়ে আরুকে নিয়ে কেন্টিনের দিকে হাটা দেয়,
হেনা আকাশকে দেখতে পেয়ে ঘাড় ঘুরে আকাশের দিকে অসহায় ভাবে এক ঝলক তাকায়,হেনা হয়তো আকাশকে কিছু একটা বলতে চায়,
কিন্তু আকাশের কোন ফিলিংস এই নাই যে হেনার কথা শুনবে,সে দেখেও না দেখার ভান করে কেন্টিনে চলে যায়,
আকাশ আর আরু কেন্টিন থেকে নাস্তা করে ফিরে আসে,কিন্তু আকাশ লক্ষ্য করে হেনা আর নাই,সে চলে গেছে,আর সে যেই জায়গাটায় বসে ছিলো সেখানে চোখের পানিতে ভিজে মাটিগুলো কাঁদা হয়ে আছে...
ধুর তাতে আমার কি,আমাকে কাঁদিয়েছে এখন সে নিজে কাঁদুক..
আকাশ কলেজের পাশে পার্ক করা তার যেই গাড়িটা আছে সেটা স্টার্ট করে আরুকে সাথে নিয়ে নেয়,আরুকে ওর বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে সে তার বাড়িতে চলে যায়,
বাসায় মোটামুটি ভালোই লাগছে এখন আকাশের,সবাই অনেক কেয়ার করে তার,সারাদিন মা আর ছোটবোনের সাথে হাসি ঠাট্টা করেই সময় চলে যায়,রাতের বেলা খেয়ে দেয়ে বিছানায় শুয়ে আছে আর ঘুমানোর চেষ্টা করছে,কিন্তু ঘুম কোন ভাবেই ঘুম আসতেছে না,বিছানার এপাশ থেকে ওপাশ খালি ছটফট করতেছে,ঘুম কোথাও যেন উধাও হয়ে গেছে,
আকাশ,চোখ বুঝে শুয়ে আছে,তখনি তার সাকলের কথাগুলো মনে পড়ে,
নাহ আজ মেয়েটাকে অনেক কথা শুনিয়েছি,এমনভাবে না বললেও পারতাম,মেয়েটার চোখ মুখ দেখে কেন জানি মনে হচ্ছে মেয়েটা আমায় সত্যিই ভালোবাসে,এবার তার ভালোবাসার মধ্যে কোনো খুঁত নাই,
কিন্তু কি আর করবো সে তো আমার মন নিয়ে খেলা করলো,আমিও তো তাকে সত্যি ভালোবাসতাম,আর এখনো বাসি,কারন প্রথম প্রেম কখনো ভুলা যায় না,
তবে যত যাই হোক মেয়েটাকে এই ভাবে কাঁদানো আমার একদম উচিৎ হয় নি,নাহ কালকে কলেজে গিয়ে ওর সাথে কথা বলবো,যদি ওর হাবভাব ভালো দেখি তাহলে সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে আবার নতুন করে শুরু করবো....
আকাশ,হেনাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে,সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গে কারোর ফোনের আওয়াজে,সে মিটিমিট করে চোখটা খুলে বালিশের কাছ থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে কল রিসিভ করে,ফোনটা কানে দিতেই অপরপাশ থেকে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে কেউ একজন বলে উঠে,বিল্লা ভাউ আপনাকে বলেছিলাম আমার মেয়েটাকে নিজের করে নিতে,কিন্তু আপনি নেন নি,
যদি নিতেন আজ আমার মেয়েটার এমন দুর্দশা হতো না,সে জীবিত থাকতো🙂
আকাশের তো কিছুই ঢুকছে না মাথায়,এই কি বলছেন উল্টা-পাল্টা আপনি...?
--হা যা শুনেছেন ঠিকই শুনেছেন,গতকাল রাতে হেনা সুইসাইড করেছে🙂
জানেন বিল্লা ভাউ সে রাতের বেলা আমাকে আর ওর মাকে জড়িয়ে ধরে খুব কেঁদেছিলো,আর বারবার খালি একটা কথাই বলছিলো আম্মু-আব্বু তোমারা দুজনেই আমাকে মাফ করে দিও,কিন্তু বিশ্বাস করেন কখনোই বুঝতে পারি নাই যে আমাদের মেয়েটা এতবড় একটা কান্ড করে ফেলবে...
হেনার আব্বুর কথা শুনে আকাশ বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে বসে পড়ে...
আকাশের যেন দুনিয়াদারী ঘোলাটে হয়ে গেছে হেনার আব্বুর কথা শুনে...
আকাশের নিশ্বাসটাও যেন এখনি বের হয়ে যাবে শরীর ছেড়ে,
কি বললো এটা যে হেনা সুইসাইড করেছে,আকাশ চিৎকার করে কান্না করে দেয়,নাহ হেনা এটা করতে পারে না,সে গতকাল আমাকে কিছু একটা বলতে চেয়েছিলো,সে মরতে পারে না.....
চলবে...?
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন....
আর যারা যারা আমার গ্রুপে এখনো জয়েন করেন নাই,সবাই জয়েন করে নিন,কারন এই গ্রুপে আমার গল্পের সকল লিংক পোস্ট করা হয়,এবং আমার গল্প নিয়ে আড্ডাও দেওয়া হয়...!