ইসলামিক গল্প | হুজুরের হুজরানী প্রথম পর্ব

ইসলামিক গল্প | হুজুরের হুজরানী প্রথম পর্ব

ইসলামিক গল্প | হুজুরের হুজরানী প্রথম পর্ব
ইসলামিক গল্প | হুজুরের হুজরানী প্রথম পর্ব

গল্পঃ হুজুরের হুজরানী

লেখকঃ মোঃ সাজ্জাদ হোসেন,( বড় ভাই)

#_প্রথম_পর্ব

মেয়েটি প্রাইভেট পড়ে বাসা ফিরছিলো হঠাৎ দেখল একটা হুজুর ছেলে আসছে সে হুজুর ছেলেদের পছন্দ করে না ক্ষ‍্যাত ভাবে,,
তাই সে হেঁটে চলেছে ভুলে একবার তাকালো হুজুরের দিকে হুজুর কে দেখে মেয়েটি জীবন প্রথম ক্রাশ খেল

মানুষ কি এতো সুন্দর হতে পারে আসলে সেদিন ছেলেটা পরনে ছিলো সাদা জুব্বা পায়জামা আর তার উপর কালো কোট আর কালো জুতা 
হাতে একটা ঘড়ি একটি ব‍্যাগ কাঁধে
আর চেহারা দিয়ে নূর ঝরছে চেহারা থেকে একটা আলো বাহির হচ্ছে ছেলেটা নিচের দিকে তাকিয়ে হাঁটছে চারপাশে কে কি করছে তার খেয়াল নাই তাই মেয়েটা তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে সে খেয়াল করলো না সে হাঁটতে নিজের মত করে ও পরিচয় তো দেওয়া হয় নি আমি অবহেলার পাত্র রবি মা বাবা ৩ সন্তানের মধ্যে ছোট স্কুল শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম
কলেজের পরিবেশ টা ভালো লাগলো না তাই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে আসলে আজকাল তো ছেলেমেয়েরা কলেজে লেখাপড়া করতে যায় না সারাদিন লেখাপড়া বাদ দিয়ে আড্ডা দিয়ে বেড়ায় প্রে করে বেড়ায় ক্লাস করে না। এসব আমাকে খুব প্রবাহিত করে তাই আমি কলেজ জীবনকে বিদায় জানাই এবং মাদ্রাসায় পড় আর মেয়েটার কথা বলছিলাম ওর নাম হল শুভা বাবা মা একমাত্র সন্তান
এবার ক্লাস ৯ পরে।
এবার গল্পে ফিরে আসি
ছেলেটা নিচের দিকে তাকিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আর শুভা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে হঠাৎ করে মোটরসাইকেলের হর্নে ধ‍্যান ভাঙ্গল এমন দেখে ছেলেটা অনেক এগিয়ে গেছে তাই সে সব বাদ দিয়ে পিছু করতে লাগল উদ্দেশ্য কোন বাড়ি যা 
সে তার প্রথম ক্রাশ।
হটাৎ করে ছেলেটার পকেটে মোবাইল বেজে উঠল পকেট থেকে মোবাইল টা বের করে রিসিভ করে দেখে তার খালাতো ভাই ইমনের ফোন কারন সে মাদ্রাসা ছুটি থাকায় খালার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে মোবাইল টা রিসিভ করে
আমি,, আসসালামু আলাইকুম ইমন আমি আমি রাস্তাঘাট চিনতে পারছিনা সেই ছোট বেলায় আসছিলাম

ইমন,,ওয়ালাইকুমুস সালাম,, তুমি কোন রাস্তায় আছো কত দূর

আমি,, রাস্তা হাঁটছি সামনে একটি দোকান আছে নাম আব্দুর রহমান স্টোর।

ইমন,, বুঝতে পেরেছি তুমি দোকানে একটু বস আমি বাইক নিয়ে আসছি

আমি,, আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসো

ইমন,, ৫মিনিট ব‍্যাস

আমি ফোন কেটে দিয়ে দোকানে বসলাম বাইক নিয়ে যখন আসছে তখন আর হাটবো না,,

এদিকে শুভা ভাবছে কোন ইমনের বাড়ি যাবে দেখিতো 
শুভা দোকানে গেলো মিথ্যা বাহানায় দোকানে গিয়ে দোকানদার কে জিজ্ঞেস করছে এইটা আছে নাকি ওইটা আছে নাকি,,
আর লক্ষ রবির দিকে 
এটিকে রবি নিচের দিকে তাকিয়ে দোকানের বেঞ্চে বসে আছে,,
এমন সময় ইমনের বাইক নিয়ে এসে থামলো দোকানের সামনে 
বাইক থেকে নেমে চলো ভাইয়া বাসায় যায় 
কিন্তু ইমন কে দেখে মহা খুশি শুভা কারন ইমন শুভার চাচাতো ভাই
তাই শুভা বলে উঠলো

শুভা,, ইমন তুই এখানে

ইমন,, আরে শুভা এখানে আমি তো খেয়ালি করে নাই
 
শুভা,, চোখের ভ্রু কুঁচকে খেয়াল করবি কেমনে তুই তো অন‍্য কাউকে নিয়ে ব্যস্ত এটা কে 

ইমন,, এটা আমার খালাতো ভাই
আর তুই প্রাইভেট বাদ দিয়ে দোকানে কেনো আর এতো খুশি খুশি লাগছে ব‍্যপার কি

শুভা,, [ভাবলো ওরা তো বাইকে করে বাসায় যাবে যে করেই হোক আমিও ওদের সাথে যাবো]

ইমন,, আরে কি ভাবিস।

শুভা,, আরে কিছু না মাথায় খুব বেথা করছে ভালো হলো তুই আইছিস চল তোর বাইকে করে বাসায় যাবো মাথা ব্যথায় হাঁটতে পারছিনা(ডাহা মিথ্যা)

ইমন,, পাগল নাকি আমার সাথে আমার ভাই আছে ওকে নিয়ে যেতে হবে আমি তোকে নিয়ে যেতে পারবো না।

শুভা,, ইমন আমি হেঁটে যেতে পারছিনা তুই বুঝতে পারছিস না (রাগী গলায়)

ইমন,, তাতে আমার কি।

রবি,, ইমন বাদদে আমি ড্রাইভ করছি তোরা বসে পর। 

শুভা,, ধুর

ইমন,, ধুর বলছিস কেনো জানিস ও কলেজে ড্রাইভচাম্পিয়ন ছিলো
এর জন্য বহু পুরুস্কার ও পেয়েছে ওর আগে যায় এমন এমন কোন ড্রাইভার এখন জন্ম নেয় নি ( পাম্প ভালোই দিলো)

শুভা ভাবছে আমি চাইলাম একটু ওর পাশে বসবো 

আরা কথা বলতে বলতে আমি ইমনের হাত থেকে চাবি নিয়ে বাইক স্টাড দিলাম গাড়ির শব্দে শুভার ধ‍্যান ভাঙ্গল আমি বললাম এইবার কথা বন্ধ করে কি যাওয়া যাবে 
আমি ভাবলাম মেয়েটা অসুস্থ তাউ আবার ইমনের চাচাতো বোন না নিয়ে গেলে কেমন হয়
এর মাঝে ইমন বাইকে উঠলো শুভা তার পিছনে 

ইমন,, চল এইবার

আমি আস্তে আস্তে চালাচ্ছি
গতি ২৫/৩০

শুভা,, গরুর গাড়ির মত বাইক চালালে বুঝি চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়।

ইমন,, মানে

শুভা,, বাইকের স্পিড দেখে বুঝছিস না

ইমন,, ভাই একটু স্পিড বারানা

আমি,, আরে আমি এখানে কোন চ্যাম্পিয়ন হতে আসি নাই আর আমি এসব অনেক আগে ছেড়ে দিয়েছি 

ইমন,, প্লীজ ভাইয়া শেষ বারের মত আমার জন্য ছোট ভাইয়ের একটা অনুরোধ রাখবি না

আমি,, ইমন বাড়ি যেতে আর কয়মিনিট লাগবে 

ইমন,, ৫/৭ মিনিট

আমি,, আচ্ছা তুই বল এই ৫/৭ মিনিটের জন্য গতি বাড়িয়ে কি লাভ আর পিছনে একটা মেয়ে আছে

শুভা,, এই মিস্টার  আমাকে কিছু বলছেন আমি একদম অন‍্য মেয়েদের মত ভয় পায় না  ভয় মনে হয় আপনি পাচ্ছেন

ইমন,, প্লীজ ভাইয়া আমার জন্য তুমি যতদূর ইচ্ছে চলো বাধা নেই না হলে আমি বাড়ির ঠিকানা বলবো না দেখি তুমি কোন বাড়ির সামনে বাইক দার করাও

আমি কথা না বলে বাইক রাস্তার পাশে দাঁড়করালাম 
তার ওদের বাইক থেকে নামতে বললাম আমি নামলাম আমার ব‍্যাগ থেকে একটা সাদা হাজী রুমাল বের করলাম রুমাল টা মাথায় পেছালাম যাতে বাতাশ না লাগে 
তার পার একটা সানগ্লাস চোখে দিলাম
ইমন হা করে কান্ড দেখছে
আর শুভা আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে ছেলেটা এতো সুন্দর কেন আর ভাবছে রুমাল আর সানগ্লাস সত গুনে সুন্দর্য বারিয়ে দিচ্ছে 
আমি এবার বাইকে উঠলাম 
বললাম এবার উঠেন 
উঠেই বাইকে ফুল স্পীডে 
বাকিটা ইতিহাস.......
চলবে.....
জাযাকাল্লাহ্ খাইরান
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post