#বেস্টফ্রেন্ড_যখন_গুন্ডি_বউ
লেখক✍রাসেল"কালো ভূত
______১ পর্ব______
🎤
🎤
রাসেল:-আম্মু কোথায় তুমি তারাতাড়ি ছাতা নিয়ে আসো বৃষ্টি হচ্ছে,আমি কিন্তু ভিজে শেষ হয়ে গেলাম,মনে হয় আমাদের ছাদ ফুটো হয়ে গেছে।
পরী:-শয়তান বান্দর খবিশ তুই আম্মু কে ডাকিশ কেনো,এখানে যে আমি দাঁড়িয়ে আছি সেইটা দেখতে পাশনা,এতো বেলা হয়ে গেছে আর তুই নবাবের মতো পরে পরে ঘুমাচ্ছিস।
রাসেল পরীর কথা শুনে বিছানা থেকে উঠে দেখে, যে পরী বালতি হাতে কোমরে হাত দিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপরের কথাগুলো বলছে,রাসেলের আর বুঝতে বাকি নেই, যে বৃষ্টি আসলে পরী নিজেই তৈরি করেছে।
রাসেল:-ঐ শাকচুন্নি তুই এতো সকালে এখানে কেনো,আর আমার উপরে তুই এইভাবে পানি দিছিস কেনো,তুই জানিস আমি মনে করেছি বৃষ্টি নেমেছে ঘরের মাঝে।
পরী:-তুই পরে পরে ঘুমাবি কেনো,যানিস আমি সেই কখন থেকে তোকে ডেকেই যাচ্ছি তো ডেকেই যাচ্ছি,কিন্তু তোর তো ওঠার কোনো নাম গন্ধই নেই, তাই আমি বৃষ্টি নামাতে বাধ্য হয়েছি,তোর মতো ছেলেকে ঘুম থেকে উঠানোর এটাই ঠিক মাধ্যম।
রাসেল:-তুই আমার এতো স্বাদের ঘুমটা নষ্ট করেছিস,দোয়া করে দিলাম তোর স্বামী তোকে সকালে পিটাবে দুপুরে পিটাবে রাতে পিটাবে।
পরী:-তোর দোয়া তোর কাছেই রাখ,আর কি বললি আমার স্বামী আমাকে পিটাবে,শালা তোকে আমি তিন বেলা নিয়ম করে পেটাবো।
রাসেল:-তুই আমাকে কেনো পেটাবি,আমি কি তোর স্বামী নাকি হুম।
পরী:-কারণ বিয়েটা আমি তোমাকেই করবো চান্দু,আমার অত্যাচার তোমাকে সারাজীবন সহ্য করতেই হবে,আমার হাত থেকে তুই কখনোই বাচতে পারবানা।
রাসেল:-হ আমার লাইগা তো দেশে মেয়ের অভাব পরছে, যে তোর মতো এতো গুন্ডি পেতনি মেয়েকে, বিয়ে করে নিজের জিবন টাকে কোরবানির নামে নিলাম করে দিমু,যা শর এখান থেকে ভূতনি কোথাকার।
পরী:-এই তুই আমাকে কি বললি,শালা আমাকে তুই ভূতনি বলিস দারা তোকে দেখাচ্ছি মজা।
পরী রাসেলের উপরে ঝাপিয়ে পরে বালিশ দিয়ে মারছে,আবার হাত দিয়ে কিলাচ্ছে,আপনেরা তো কিছুই বুঝতে পারতাছেন না,কি হচ্ছে এইসব তাইতো,তাহলে চলেন,আপনাদের সব কিছু বুঝিয়ে বলি এতোখণে ওরা মারামারি করতে থাক কেমন,পরী হলো রাসেলের বেস্টফ্রেন্ড মানে একে অপরের প্রাণ বলতে পারেন,কিন্তু দুজনের মাঝে সারাখণ ঝগড়া লেগেই থাকবে,পরী একটা গুন্ডি কোয়ালিটির মেয়ে,রাসেল যদি কোনো মেয়ের দিকে তাকাই বা কথা বলে তাহলে,তো সেদিন আর রাসেলের রক্ষা নেই,রাসেল আর পরী একসাথে পড়ালেখা করে সেই ছোটবেলা থেকেই মানে এবার অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ে,পরী রাসেল কে খুব ভালোবাসে।
রাসেল:-ঐ পেত্নি অনেক মেরেছিস এবার একটু থাম,আমার বুঝি ব্যাথা করেনা।
পরী:-থামবো কেনো হুম,তুই আমাকে ভূতনি তার পরে গুন্ডি কেনো বললি,তোর ঘার না মোটকিয়ে আমি কি শান্ত হবো নাকি।
রাসেল:-আমার ভুল হয়ে গেছে মেরে মা,এইবার তো আমাকে ছেড়ে দে।
পরী:-ঐ কি বললি আমি তোর কোন জন্মের মা লাগি হুম।
রাসেল:-আরে সেটা তো কথার কথায় বলেছি,তা তুই এতো সকালে এখানে আসলি কখন।
পরী:-তুই জানিস না কলেজে যেতে হবে,আমি অনেক সময় হলো এসেছি,আন্টি কে তোর কথা বলতেই বললো তুই পরে পরে ঘুমাচ্ছি,তাই তোকে ডাকতে তোর রুমে চলে আসলাম,এখন ফটা ফট রেডি উঠে রেডি হয়েনে।
রাসেল:-সবে বাজে মাত্র মনে হয় সাতটা,আর তুই এতো সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য ডাকতাছিস,মাথা ঠিক আছে তোর।
পরী:-দেখ মাথা গরম করিস না,এখন আর একটুপর দশটা বাজবে আর উনি বলতাছে সাতটা বাজে।
রাসেল:-কি বলিস তুই,আচ্ছা আমি রেডি হয়ে তারাতাড়ি নিচে আসতাছি তুই এখন নিচে যা।
পরী:-না যাবোনা,তুই রেডি হ আমার সামনেই,আমি থাকলে তাই তোর সমস্যা কি হুম। (হাসতে হাসতে)
রাসেল:-আচ্ছা তুই তাহলে এভাবেই বসে থাক আমি বরং এখানেই ড্রেসটা চেন্জ করি।
রাসেলের কথা শুনে পরী চোখে হাত দিয়ে বলে।
পরী:-এই না না এটা করিস পা আমি যাচ্ছি,লজ্জা সরম বলতে কিছুই নেই তোর।
রাসেল:-হাহাহা কেনো আয় দেখবিনা আমার ড্রেস পরিবর্তন করা শাকচুন্নি কোথাকার।
রাসেল ওয়াশরুমে চলে যায় আর পরী নিচে মিসেস রেহানা চৌধুরীর কাছে চলে যায়,চলেন একটু ওদের পরিচয়টা দিয়েই দেয়,রাসেল বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান,বাবা একজন নাম করা ব্যবসায়ী,মা গৃহিনী,টাকা পয়সার কোনো কমতি নেই তাদের,রেহানা চৌধুরী ছোফায় বসে পেপার পড়ছিলেন,তখনি দেখতে পায় পরী একা একা সিড়ি দিয়ে নিচে আসতাছে।
রেহানা:-কিরে মা আমার পাগল ছেলেটা কই,তোকে যে একাই দেখতাছি।
পরী:-তোমার নবাবের কি আর এতো সহজে ঘুম ছাড়ে নাকি বলো,কতো করে বললাম ওরে এবার একটা বিয়ে দিয়ে দাও,তখন দেখবে ঠিকই সময় মত ঘুম থেকে উঠবে।
রেহানা:-কতো করে বলি বিয়ে করতে,ঐ তো বিয়ে করতে রাজি না,আচ্ছা মা আয় নাস্তা করি,রাসেলের সময় হলে একাই চলে আসবেনি।
পরী:-আন্টি আমি নাস্তা করে এসেছি তোমরা বরং নাস্তা করে নাও,আমি বরং ছোফায় বসে তোমার বাদর ছেলের জন্য অপেক্ষা করি।
রাসেল:-আম্মু তুমি ওকে নাস্তা কেনো করতে বলতাছো,ওর বাড়িতে কি খাবারে অভাব পরছে নাকি।
পরী:-ঐ কুত্তা তুই না কালকে আমাদের বাসাই থেকে খেয়ে আসলি আমি তো কিছু বললাম না।
রেহানা:-তোরা দুইটা কি টম জেরি নাকি হা,সারাখণ শুধু ঝগড়া আর ঝগড়া,একটা মূহুর্তের জন্য কি তোরা শান্ত থাকতে পারিস না।
পরী:-আন্টি তোমার ছেলেই তো আমার সাথে বার বার লাগতে আসে,ওকে একটু মানা করে দাও আমার সাথে লাগতে।
রাসেল:-চুপ থাক আমার নামে দোষ দিবিনা,পারিস তো শুধু গুন্ডামি করতে, ভূতনি একটা।
পরী:-এই দেখ আমি কিন্তু তোর গলা টিপে দিবো,আবারো আমাকে ভূতনি বলছিস,তোর সাহস কতো বড়ো।
রেহানা:-এই তোরা তারাতাড়ি খেয়ে বিদাই হতো,তোরা যতখণ থাকবি আমার কান একেবারে ঝালাফালা হয়ে যাবে।
তারপর সবাই এক সাথে খেয়ে নেয়,পরী খাইতে চাইনি কিন্তু রেহানা চৌধুরীর জোড়াজুড়িতে খেয়ে নেয়।
রাসেল:-আম্মু কলেজে যাবো টাকা লাগবে,টাকা দাও।
রেহানা:-রুমে গিয়ে নিয়ে আই যা লাগে,আর শোন কলেজে গিয়ে যেনো দুইটা এইভাবে ঝগড়া করস না।
রাসেল:-এইতো আমার লক্ষি আম্মু।
রাসেল ওর আম্মুর কপালে একটা চুমু দিয়ে উপরের কথাগুলো বলে টাকার জন্য রুমে চলে যায়।
পরী:-আন্টি আংকেল কোথায় তাকে তো কোথাও দেখছি না।
রেহানা:-তোর আংকেল তো একটু দেশের বাইরে গেছে,কেনো তোর বাবা যায়নি নাকি।
পরী:-হুম বাবাও গেছে কিন্তু আংকেল আর আব্বু একসঙ্গে যে গেছে সেইটা আমি শুনি নাই।
পরীর বাবা আর রাসেলের বাবা বন্ধু,একসাথেই সব ব্যবসা করে,পরী ও বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে,বাবা রাহাত চৌধুরী একজন ব্যবসায়ী,মা গৃহিনী,রাহাত চৌধুরী মেয়েকে কোনো কষ্ট পেতে দেইনা,পরী যখন যা চাই সেটাই এনে দেয়।
রাসেল:-ঐ ভুতনি চল এখন তোর দেরি হচ্ছে না।
পরী:-তুইতো আসতাছিস না,আচ্ছা চল,আন্টি গেলাম কিন্তু সাবধানে থেকো।
রেহানা:-তুইও সাবধানে থাকিস আর দেখে শুনে যাস,আর আমাদের বাসাই আসতে ভুলে যাসনা কিন্তু।
পরী:-তোমার বাসাই আসতে কি আর ভুলতে পারি বলো,এটাই যে আমি আমার আসল ঠিকানা বানাতে চাই মনে মনে।
রাসেল আর পরী রেহানা চৌধুরীর থেকে বিদাই নিয়ে বাসার বাইরে চলে আসে।
পরী:-ঐ চলনা আজকে রিক্সা করে যায়,কতদিন হলো রিক্সাতে উঠিনা।
রাসেল:-তোর সাথে আমি এক রিক্সায় উঠে গোড়াফেরা করি আর সেটা আমার বউ দেখে আমাকে কেলানি দিক টাইনা ভালো বুদ্ধি।
পরী:-কি বললি তোর বউ মানে,এই পরী চৌধুরী ছাড়া কোনো মেয়েই তোর বউ হতে পারবেনা,একদম খুন করে ফেলবো।
রাসেল:-তাকে খুন করলে তুইতো জেলে জাবি।
পরী:-তাকে কেনো খুন করবো হুম,আমি তো তোকে খুন করে তার পর নিজে ও এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যাবো,পুলিশ কোথায় থেকে আমাকে জেলে দিবে হুম।
রাসেল:-তোকে যে আমিও অনেক ভালোবাসিরে,তোর গুন্ডি মিশানো শাষন টা যে আমার খুব ভালো লাগে মনে মনে,ঐ চল আজকে অনেক দেরি হয়ে গেছে অন্য দিন রিকশায় যাবোনি।
পরী:-আচ্ছা চল।
পরী মন খারাপ করে উপরের কথাটা বলে কিন্তু রাসেল সেটা এড়িয়ে গিয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা কলেজে চলে আসে,ওর বন্ধুরা সবাই একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
রাসেদ:-ঐ তোরা দেখ আমাদের সেরা জুটি চলে এসেছে।
মিম:-হুমরে পরী আর রাসেল কে একসঙ্গে সেই মানিয়েছে, যেনো দুইজন একে অপরের জন্যই তৈরি,কিন্তু শালা রাসেল তো পরীকে ভালোবাসতেই চাইনা।
রাসেদ:-আরে ভালো ঠিকই বাসে কিন্তু আমাদের সামনে কখনো প্রকাশ করেনা বুঝলি,শালাই বহত চালবাজ আছে।
ওরা রাসেল আর পরী কে নিয়ে উপরের কথাগুলো বলছিলে এর মাঝেই হাজির হয়ে যায় রোমিও জুলিয়েট।
রাসেল:-কিরে মামা সবাই কেমন আছি,আর এইভাবে ভির ভির করে কি ভাবছিলি দুর থেকে খেয়াল করেছি।
মিম:-রাসেল আমরা সবাই ভালো আছি,আর আমরা তো কিছুই বলিনি তুই ভুল দেখেছিস,
তা আমাদের পরী ভাবির মন খারাপ কেনো।
রাসেল:-পরীকে আবার তোর ভাইয়ের বউ কবে বানালি।
পরী:-রাসেলের বাচ্চা তোরে কিন্তু আমি কি যে করমু,আমি তোরে রেখে মিমের ভাই বউ হতে যামু কেন।
পরীর কথা শুনে রাসেল যা বলে সেটা শুনে পরী অনেক টাই অবাক হয়ে যায়,কেননা,।,।।।
🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে,
সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
........চলবে........
🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,কপি করে নিজের নামে চালাবেন না,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🇧🇩বি.দ্র.প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেই গল্পের নতুন পর্ব পেয়ে যাবেন 🇧🇩