গল্পঃ বেস্টফ্রেন্ড যখন গুন্ডি বউ পর্ব ২ | Best Friend Jokhon Gundi Bow Ep 2

 

#বেস্টফ্রেন্ড_যখন_গুন্ডি_বউ
          লেখক✍রাসেল"কালো ভূত
      ______২ পর্ব______
     🎤
🎤
পরীর কথা শুনে রাসেল যা বলে সেটা শুনে পরী অনেক টাই অবাক হয়ে যায়,কেননা রাসেল বলে।

রাসেল:-ঐ আমার কি দেশে মেয়ে অভাব পড়ছে নাকি যে,পরী কে আমি ভালোবাসতে যাবো,আমি তো ভালোবাসবো একটা পরীর মতো সুন্দর মেয়ে কে।

পরী:-কি বললি তুই পরীর মতো মেয়ে চাই তোর তাইনা,দারা তোর লুচ্চা গিড়ি বের করতেছি।

পরী উপরের কথাগুলো সেই লেভেলের রেগে বলে রাসেল কে মারার জন্য ধাওয়া করতে শুরু করে,কিন্তু পরী রাসেল কে পাই কোই রাসেল তো আগেই জানে পরীর রাগ উঠলে কিছুই মানেনা,ধরতে পারলে একদম খেয়ে ফেলবে,তার জন্য রাসেল আগেই ক্লাশের দিকে ভো দৌড়।

পরী:-কি পালাস কেন,আই তোর পরীর মতো মেয়ে লাগবে নিবিনা,আই খুজে দেই শালা লুচু।

রাসেল:-যাক বাবা যোর বাচা বেচে গেছি,পাগলিটা আর আশে নাই,

রাসেল হাপাতে হাপাতে উপরের কথাগুলো বললো।

মিম:-আচ্ছা পরী তুই রাসেলের সাথে এমন করলি কেনো,তোকে ভয় পেয়েতো রাসেল দৌড়ে পালালো।

পরী:-হাহাহা রাসেল ভয় পাবে তাও আবার আমাকে,ঐ তো আমার সাথে মজা করার জন্য দৌড়াইছে,তবে কি তোরা জানিস রাসেল ও মনে আমাকে ভালোবাসে কিন্তু সেটা আমাকে বুঝতে দেয়না।

মিম:-আমাদের ও সেটাই মনে হয়,আচ্ছা সময় অনেক হয়েছে এখন চল ক্লাসে যায়।

পরী:-আচ্ছা চল।

তারপর পরীরা সবাই ধিরে ধিরে ক্লাশের দিকে যেতে থাকে,কিছু সময় পরে ক্লাসে এসে পরী দেখতে পায় রাসেল একটা মেয়ের সাথে সেই হেসে হেসে কথা বলতাছে,বাছ হয়ে গেলো পরীর রাগ,দৌড়ে গিয়ে রাসেল কে উরাধূরা কিল গুসি মারতেই থাকে।

পরী:-তোর সাহস কি করে হয় ঐ মেয়ের সাথে কথা বলার হুম,শালা লুচু।

রাসেল:-পরী দেখ আমি কিন্তু ওর সাথে কথা বলি নাই জাষ্ট ওকে একটু পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম।

পরী:-কেনোরে এই ক্লাশে এতো ছেলে,মেয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা থাকতে ঐ মেয়ের কি শুধু তোর থেকেই পড়া বুঝে নেবার ইচ্ছা হলো,আমাকে বোঝাইতে আইছোস তাইনা।

মিম:-পরী সবাই তাকিয়ে আছে ছাড়না,ও বলতাছে তো ওপড়া বুঝাচ্ছে।

পরী:-ঐ তুই ঐ মেয়েকে যেই ভাবে পড়া বুঝিয়েছিস ঠিক সেইভাবে আমাকে পড়া বুঝাবি।

রাসেল:-আচ্ছা মেরে মা আমি তোকে সেভাবেই পড়া বুঝাচ্ছি তুই বসেক।

পরী:-ঐ আমি তোর কোন জন্মের মা লাগি হুম,মেরে কিন্তু একদম বালিচাপা দিয়ে দিবো বলে দিলাম।

এইভাবে আরো অনেক সময় ঝগড়া ঝাটি করে পরী রাসেলের সাথে,রাসেল আর রাগাচ্ছেনা পরীকে কেননা,রাসেল ভালো করেই জানে পরী রাগলে একদম গুন্ডি হয়ে যায়,রাসেল পরীকে পড়া বোঝাচ্ছে আর পরী এটা ওটা বলে পড়া বুঝানো হচ্ছে না সেইটা বলতাছে,এইভাবে সবগুলো ক্লাশ শেষ হয়ে যায়,তারপর ওরা সবাই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

রাসেল:-পরী এই পরী তুই আমার কথা শুনতে পারনা।

পরী:-শুনছিতো এতো জোরে চিল্লাস কেনো,মনে হচ্ছে আমার কানের পর্দা ফেটে যাবে।

রাসেল:-আমি সেই কখন থেকে ডাকি তুই শুনিস না কেনো,চল আমরা কোথাও ঘুরে আসি।

পরী:-সত্যি বলছিস,চলনা আমরা কোথাও ঘুরে আসি,আমি আর তুই একসাথে হাতে রেখে হাত,,,

রাসেল:-এই থাম থাম,পেত্নির শক কতো ঘুরতে যাবে,তোকে নিয়ে ঘুরতে যেতে আমার বয়েই গেছে চল বাসাই চল।

পরী মনটা খারাপ করে গাড়িতে গিয়ে বসে পরে,আর রাসেল পরীর রাগ দেখে হাসতে হাসতে গাড়ি চালাতে শুরু করে,পরী রাসেলের সাথে কোনো কথাই বলে না,দেখতে দেখতে পরীর বাসার কাছে এসে রাসেল গাড়ি থামায়,গাড়ি থেকে নেমেই পরী কোনো কিছু না বলেই চলে যায়।

রাসেল:-না পরীকে আজকে একটু বেশি রাগিয়েছি,কি করবো গুন্ডিটাকে রাগাতে যে আমার খুব ভালো লাগে।

রাসেল সেখান থেকে বাসাই এসে ফ্রেস হয় খেয়ে দেয়ে লম্বা একটা ঘুম দেয়,ঘুম ভাঙে ওর আম্মুর ডাকা ডাকির শব্দে।

রাসেল:-আম্মু এইভাবে ডাকাডাকি করতেছো কেনো,একটু কি ঘুমাতেও দিবানা নাকি।

রেহানা:-এই তুই বেশি কথা বলিশ না,আগে বল আজকে পরীর সাথে কি করেছিস যে পরীর মা ফোন করে বললো,পরী নাকি কলেজ থেকে এসেই না খেয়ে দরজা বন্ধ করে শুয়ে আছে।

রাসেল:-কি বলো ঐ গুন্ডির আবার কি হলো,আমি একটু রাগিয়েছিলাম,তার জন্য ও না খেয়ে থাকবে নাকি।

রেহানা:-তুই তারাতারি যা,পরী যদি কষ্ট পায় না খেয়ে থেকে তাহলে কিন্তু তোর আজকে খাবার বন্ধ বুঝিস।

রাসেল:-ওর জন্য তুমি আমার খাবার বন্ধ করবে,আমি বুঝি তোমার ছেলে না পরী তোমার সব কিছু।

রেহানা:-তুই যেটা মনে করস সেটাই,এখন কথা না বলে দৌড়াতে শুরু কর।

রাসেল আর কিছু না বলে বিছানা থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে পরীর বাসার দিকে যেতে শুরু করে,একটু সময় পেরে পরীর বাসাই এসে পৌঁছে যায়।

রাসেল:-আন্টি আন্টি তুমি কোথায়।

পরীর মা:-রাসেল তুই এসেছিস,আই দেখনা পরীর কি হলো সেই কলেজ থেকে এসেই দরজা বন্ধ করে শুয়ে আছে,আমি এতো করে বলতাছি কি হয়েছে,কিন্তু কথাই বলতাছেনা।

রাসেল:-তুমি খাবার এনে দাও আমি দেখছে তোমার গুন্ডি মেয়ে না খেয়ে থাকে কেমনে।

পরীর মা:-আচ্ছা বাবা তুই একটু দারা আমি এখনি খাবার এনে দিচ্ছি।

একটু পরে পরীর মা খাবার এনে রাসেলের হাতে দিয়ে দেয়,রাসেল খাবারের প্লেট টা হাতে নিয়ে পরীর রুমের সামনে এসে দাঁড়িয়ে।

রাসেল:-ঐ গুন্ডি দরজা খোল,কি হলো কথা বলতাছিস না কেনো।

রাসেলের কথা শুনেও পরী কিছুই বলতাছে না,রাসেল আবার ও বলতে শুরু করে।

রাসেল:-এই পরী কি হলো কথা বল।

তবুও পরীর কোনো কথা নেই,রাসেল কোনো কিছু ভেবে না পেয়ে বলতে শুরু করে।

রাসেল:-পরী তুই যদি দরজা না খুলিস তো আমি কিন্তু তোর সাথে কোনদিন কথা বলবো না হুম।

পরী:-না বললি তুই পরীর কাছে যা,আমার কাছে তুই কেনো এসেছিস,আমি তোর কে।

রাসেল:-দেখ পরী একদম আমাকে রাগাস না,ভালো করে বলতাছি দরজা খোল না হলে আমি কিন্তু গেলাম।

পরী আর কোনো কিছু না ভেবে দৌড়ে দরজা খুলে আবার গিয়ে শুয়ে পরে।

রাসেল:-এইতো মহারানী দরজা খুলেছে,ঐ তুই আমার সাথে রাগ করে নিজে কে কষ্ট দিচ্ছিস কেনো,তুই জানিস না তোকে রাগাতে আমার ভালো লাগে।

পরী:-তুই জানিস না তোর মুখে আমি কোনো মেয়ের কথা শুনতে পারিনা,তুই কেনো বুঝিস না আমি তোকে আমার জিবনের থেকেও বেশি ভালো বাসি।

রাসেল:-হইছে এইবার লক্ষি মেয়ের মতো খেয়েনে আগে,না খেয়ে আর কেদে কেদেঁ মুখটা কেমন শুকনা বানিয়েছিস,একদম ভূতনির মতো লাগতাছে।

পরী রাসেলের বুকে কিল ঘুসি দিতে থাকে,রাসেলের যেনো এইগুলা অনেক ভালো লাগে।

রাসেল:-হইছে এখন খেয়েনে,নাহলে আমার কপালে আজকে ভাত জুটবে না।

পরী:-হাহাহা আমাকে তাহলে তুই রাগাতে আসোস কেনো,আমি খাবো না তুই খাইয়ে দে।

রাসেল:-এহ তোর হাত নেই যে আমি খাইয়ে দিবো।

পরী:-যা খাবোনা।

পরী মুখ ঘুরে আরেক দিকে বসে পরে,এইদিকে পরী আর রাসেলের কান্ড দরজার কাছ থেকে পরীর মা দেখতাছে আর মুছকি মুছকি হাসতাছে।

রাসেল:-এই নে হা কর,

পরী লক্ষি মেয়ের মতো খেতে থাকে আর রাসেল পরীকে খাওয়াতে থাকে,মাঝে মাঝে পরী রাসেলের হাতের আঙুলে কামর দিচ্ছে,এইভাবে দুষ্টুমির মধ্যে দিয়েই খাওয়া শেষ করে।

রাসেল:-পরী তুই এমন কেনো করি তুই বুঝিস না তোর কষ্টে যে আমার ও অনেক কষ্ট হয়,তার থেকে বেশি আমার মায়ের হয়,কি জাদু করেছিস তুই হুম।

পরী:-হাহাহা শাশুড়ির তো ছেলের বউয়ের জন্য একটু কষ্ট হবেই তাইনা।

রাসেল:-আইছে বউ হতে,এই থাক আমি গেলাম।

পরী:-এই শোন না।

না কে শোনে কার কথা রাসেল তো সেখান থেকে সোজা বাসাই চলে আসে,বাসাই এসে দেখতে পাই রেহানা চৌধুরী ছোফায় বসে আছে।

রেহানা:-কিরে রাসেল পরী খেয়েছে তো নাকি,যদি না খেয়ে থাকে তাহলে তোর খবর আছে বলে দিলাম।

রাসেল:-না খাওয়ালে যে আমার পেটে ভাত পরবেনা,তাই খাইয়ে আসলাম মহারানীর রাগ হয়েছিলো।

রেহানা:-তাহলে ভালোই হলো,আর রাসেল পরী কে  কিন্তু আমার সেই লাগে,তুই যদি বলিশ তাহলে ওকে বউমা করে নিয়ে আসি,পরী অনেক লক্ষি একটা মেয়ে।

রাসেল:-তোমার মেয়ে তুমি যা ইচ্ছা করো আমি কিছু জানিনা,আমি গেলাম রুমে,মা আমিও তো সেটাই চাই, পরীকে যে আমিও বড্ড বেশি ভালোবাসি।

রাসেল মনে অনেক টা খুসি নিয়ে রুমে চলে আসে,
এইদিকে রেহানা চৌধুরী ছেলের কান্ড দেখে মুছকি মুছকি হাসতে থাকে,রাতে রাসেল খেয়ে দেয়ে শুয়ে আছে,আর রাসেলের ফোনে পরী কল দেয়,রাসেল তারাতারি ফোন রিসিভ করে।

পরী:-হাই জানু কি করো।

রাসেল:-ঐ ঐ আমি তোর জানু কবে থেকে হলাম হুম।

পরী:-যেদিন থেকে আমি তোমাকে আমার কলিজা হিসাবে মানি সেদিন থেকেই।

রাসেল:-বাববাহ তাইনাকি,তা কি করিস এখন।

পরী:-আমি তো খাবার খেয়ে এখন শুয়ে পরলাম,তুই কি করিস।

রাসেল:-আমিও খেয়ে মাত্র শুয়ে পরলাম,এখন একটু এফবি তে লগিন করবো অমনি তুই কল দিছিস।

পরী:-এফবি তে গেলে তোর মাথা ফাটাবো বলে দিলাম,মেয়েদের সাথে কথা বলবি,তুই যে লুচু আমার জানা আছে।

রাসেল:-চুপ থাক আমার গল্প পাঠক পাঠিকাদের সাথে কথা বলতে হবেনা বুঝি।

পরী:-হুম বলবি,তবে পাঠকদের সাথে পাঠিকাদের সাথে মটেও না।

এইভাবে আরো অনেক সময় দুজনে কথা বলতে বলতেই ঘুমিয়ে যায়,সকালে ফযরের আযানের মিষ্টি শুরে রাসেলের ঘুম ভেঙে যায়,নামাজ পরে এসে রাসেল আবারও ঘুমিয়ে পরে,ঘুম থেকে জাগনা পেয়ে চোখ টা না খুলেই বুঝতে পারে ওর বুকের উপরে ভারি কিছু আছে,কিন্তু সেটা কি দেখার জন্য রাসেল চোখ খুলেই তো অবাক কেননা সে আর কেউ না সে হলো,,,,,,,

🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
          আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
         ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে,
           সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
                   ✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
                        ........চলবে........
    🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,কপি করে নিজের নামে চালাবেন না,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
       🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🇧🇩বি.দ্র.প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেই গল্পের নতুন পর্ব পেয়ে যাবেন 🇧🇩
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post