লেখক✍রাসেল"কালো ভূত
______৩ পর্ব______
🎤
🎤
রাসেল চোখ খুলেই তো অবাক কেননা সে আর কেউ না সে হলো রাসেলের কলিজার টুকরা গুন্ডি মেয়ে পরী।
রাসেল:-এই এই তুই কখন আসলি আর এইভাবে আমার বুকের উপরে শুয়ে আছিস কেনো,এটা কি তোর সম্পত্তি নাকি।
পরী:-চুপ একদম চুপ,এটা আমার সম্পত্তি বুঝলি,এইবুকে শুধু আমি মাথা রেখে ঘুমাবো,আর কেউ ঘুমাতে পারবে না বুঝলি।
রাসেল:-এ আইছে কইতে এইটা আমার বুক,কেউ ঘুমাতে পারবেনা,আমি বলিকিরে এই বুকটা যদি তুই দাবি করস তাহলে আমি পরী কে কি দিবো।
পরী:-খুন করে ফেলবো যদি অন্য মেয়ের কথা ভুলেও মুখে আনোস তো।
রাসেল:-কখন এসেছিস,আর নাম তুই যে একটা আটার বস্তা সেটা কি জানিস,আল্লাহ গো মরে গেলাম কতো ভারি।
পরী:-এহ এতো সময় বুকের উপরে রেখে বক বক করতেছিলি আরাম লাগছিলো,আর এখন বলসিস আমি আটার বস্তা তাইনা,শাল বজ্জাতের হাড্ডি।
রাসেল:-হ মজা নিতে আমার বয়েই গেছে,নাম তারাতাড়ি কি ওজন রে বাবা।
পরী:-চুপ একদম আমাকে আটার বস্তা বলবি না,আমি একদম পার্ফেক্ট একটা মেয়ে বুঝলি।
রাসেলের সাথে কথা বলতে বলতেই পরী রাসেলের ঠোঁটে আলতো করে একটা কিছ দিয়ে দেয়,যেটার কারণে রাসেলের অনেক টাই ভাললাগে,তবুও রাসেল বলে।
রাসেল:-একে তো আমার বুকের উপরে শুয়ে থেকে কথা বলছিস,তার উপরে এখন আবার আমার ঠোঁটের উপরে অত্যাচার করলি সরম করে না তোর।
পরী:-সরম করলে গরম ভাত জোটেনা বুঝলি,আর তোর জা সব আমার সম্পত্তি তাই আমার যখন যা ইচ্ছা করতে মন চাইবে সেটাই করবো,তোর পারমিট নিবার প্রয়োজন মনে করিনা আমি,কারণ শাশুড়ি মা জে আমার দলে হিহিহি।
রাসেল:-তুই মা কে হাত করেছিস বলেই আমি তোকে কিছু বলতে পারিনা,নাহলেই কবেই মার জন্য তার বউমাকে নিয়ে আসতাম।
পরী:-তুই কি সত্যি আন্টি আমার সাথে না থাকলে তুই বিয়ে করে বউ আনতি আমার জন্যই সেটা পারছিস না।
উপরের কথাগুলো বলার সময় পরীর চোখে জল ছল ছল করছিলো,মনে হচ্ছে যেনো এখনি মেঘ সরে বৃষ্টি পরবে।
রাসেল:-তা নইতো কি হুম,তুই মা কে এখনি বল তোকে আমি পছন্দ করিনা দেখ কালকেই আমি পরীকে বিয়ে করে আনবো,
এইযে পাঠক ভাইয়েরা আপনেরা আবার কাউকে বলেন না যেনো,পরীটা কিন্তু এই গুন্ডি টাই ঠিক আছে।
পরী:-আচ্ছা পরী কি আমার থেকেও বেশি সুন্দরী,সে কি তোকে আমার থেকেও বেশী ভালোবাসে বল,(কেদে কেদে)
রাসেল:-আরে কাদছিস কেনো,আর পরী তোর থেকে হাজার গুণ বেশি সুন্দর,আর বাকি রইল ভালোবাসা,পরী তো আমাকে ওর জিবনের থেকে ও বেশি ভালোবাসে,আমি তার চোখের আড়াল হলেই মনে করে কোথাও হাড়িয়ে গেছি।
পরী:- সত্যি সে তোকে এতো ভালোবাসে,আচ্ছা আমি তো তোর ভালোবাসা তাহলে আর পাবো না,আমার একটা কথা রাখবি,আমি কথা দিচ্ছি আজকের পরথেকে তোর আর পরীর মাঝে কোনদিন আসবোনা।
পরীর কথা শুনে রাসেলের অনেক খারাপ লাগে কেননা রাসেল যে পরীর থেকেও বেশি ভালোবাসে,তবুও রাসেল মনে মনে সিদ্ধান্ত নেই সে দেখবে পরী কি কথা বলে।
রাসেল:-আরে তুই আমাদের জিবনথেকে সরে যাচ্ছিস,আর আমি তোর একটা কথাই রাখবোনা এটা কি কখনো হয় বল,আগে বল তোর কি কথা রাখতে হবে,আমি জিবন দিয়ে হলেও আজকে তোর কথা রাখবো।
পরী:-নারে তুই জিবন দিলে পরীর কি হবে,আর বেশি কিছু না শুধু তোর মূল্যবান সময় থেকে আজকের দিনটা আমার সাথে ঘুরে ফিরে কাটাবি,কথা দিচ্ছি কোনদিন তোর সামনে আসবোনা।
রাসেল:-আরে এটা কোনো বেপার হলো নাকি তোর জন্য এইটুকু করতেই পারি,হাজার হলেও ছোট্ট কালের ল্যাংটা বেস্টু বলে কথা।
পরী:-আচ্ছা তুই থাক তাহলে আমি বাসা থেকে রেডি হয়ে আসি,কলেজে গিয়ে একটা ক্লাস করেই চলে আসবো ঠিক আছে।
রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে,আর মেকআপ করতে আবার দিন শেষ করিস না কিন্তু।
পরী রাসেলর কথার কোনো জবাব না দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে রুম থেকে চলে যায়,রাসেল বিছানায় বসে পরে আর ভাবতে থাকে।
রাসেল:-জানিনা পাগলিটার মনে এখন কি চলতাছে,আজকে একটু বেশিই করে ফেললাম পরীর সাথে,পরী কেনো বোঝেনা আমার পরীটা যে ও নিজেই।
এইদিকে পরীকে কাদতে কাদতে সিড়ি দিয়ে নামতে দেখে রেহানা চৌধুরী জিগ্গেস করে।
রেহানা:-পরী মা কি হয়েছে তোর এইভাবে কাদছিস কেনো।
পরী রাসেলের মায়ের কথার কোনো জবাব নাদিয়েই চলে যায়,রেহানা বেগম তো চিন্তাই পরে যায়,পরী যেই চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে তাহলে ও কেনো এইভাবে কাদছে,নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে।
তখনই নাস্তা করার জন্য রাসেল নিচে আসে।
রাসেল:-মা তুমি এইভাবে দাঁড়িয়ে কি চিন্তা করতেছো শুনি।
রেহানা:-আচ্ছা পরীর সাথে তোর কি কিছু হয়েছে নাকি,পরীকে দেখলাম কাদতে কাদতে চলে গেলো,আমি কারণ জিগ্গেস করলাম ও কিছুই বলল না।
রাসেল:-আরে মা কিছুই হয়নি,পরী বাইনা ধরেছে আজকে ওকে নাকি ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে,আমি তো ঘুরতে নিয়ে যাবো বলেই দিছি,এখন কেনো কাদছে সেইটা তো আমি জানিনা।
রেহানা:-দেখ বাবা পরী তোকে অনেক ভালোবাসে,দয়াকরে ওর মনে কখনো কষ্ট দিস না,যদি আমি জানতে পারি তুই কোনো কারণে পরীকে কষ্ট দিয়েছিস সেইদিন তোর খবর আছে।
রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে এখন তারাতাড়ি খাবারের ব্যবস্থা করো,পেটের মধ্যে ইদুর দৌড়া দৌড়ি করতেছে।
রেহানা:-হ যা আরো ঘুমা,নবাবের মতো ঘুমাবে আর নাস্তার সময় সময় শেষ বলেই সব আমার দোষ।
রাসেল আর কোনো কথা না বলে নাস্তা শেষ করে মায়ের থেকে বিদাই নিয়ে বাইকটা নিয়ে পরীর বাসার সামনে আসে,কেননা পরী বাইকে ঘুরতে অনেক ভালোবাসে,এইদিকে পরীর কোনো খবর নেই,রাসেল ফোন দেবার পরে পরী বেরিয়ে আসে,মন টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক খারাপ,মুখটা একদম শুকনো,যেই মেয়েটা সারাখণ রাসেল কে এটা সেটা বলে জ্বালিয়ে মারতো আজ সে নিজেই আপসেট,বেপারটা রাসেল কে অনেক কষ্ট দিচ্ছে তবুও কিছুই করার নেই কারণ রাসেল যে দেখবে পরী কি করে।
পরী:-তারাতিরি চল কলেজের দেরি হয়ে যাচ্ছে।
রাসেল:-হুম যাচ্ছি,আচ্ছা পরী আমি তো বললাম তোকে ঘুরতে নিয়ে যাবো তাহলে তোর মন খারাপ কেনো।
পরী:-এমনি সেটা তোর জানতে হবে না চুপচাপ বাইক চালি বুঝলি।
রাসেল আর কিছু বলেনা কেননা পরীর মনটা এমনিতেই খারাপ তাই আর রাসেল চাইনা এটা সেটা বলে ওর মনটা আরো খারাপ করতে,অনেকটা সময় পরে দুইজন কলেজে পৌঁছে যায়,রাসেদ আর মিম আগেই এসেছে,আর ওরা সেখানে গিয়েই বসে পরে।
মিম:-আচ্ছা রাসেল পরীর কি হয়েছে,ওর মুখটা এমন দেখাচ্ছে কেনো,পরী তো এইভাবে থাকার মেয়ে না।
রাসেল:-আমি কিছু জানিনা তুই নিজেই জিগ্গেস করে দেখ ওর কি হয়েছে।
মিম:-পরী তোর কি কোনো কিছু নিয়ে মন খারাপ,যে আমাদের সাথে কথা বলছিস না,মনটা খারাপ করে বসে আছিস।
পরী:-নারে কিছুনা মনটা একটু কেনো জান খারাপ,কিছুই ভালো লাগতাছেনা।
মিম:-ওহহহহ আচ্ছা,আমি আরো ভাবলাম, না জানি কি নাকি কি হয়েছে।
রাসেল:-আচ্ছা পরী কি হয়েছে তোর,দেখ তোকে কিন্তু এইভাবে একটু ভালো দেখাইনা।
পরী:-ভালো দেখা লাগবেনা,বুঝলি আর তুই কোনো কথা বলবিনা চুপকরে বসে থাক।
রাসেল কিছু বলেনা,সেতো জানেই পরীর মনটা কেন খারাপ,কিছু সময় পরে রাসেল আবার জিগ্গেস করে।
রাসেল:-পরী কি হয়েছে তো এইভাবে চুপ কেনো।
মিম:-রাসেল তুই চুপথাক তো দেখছিস না পরীর মন খারাপ তোর সাথে কথা বলছেনা।
রাসেদ:-হ রাসেল তুই একটু চুপ করেই থাক,পরী কে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওর মনটা অনেক খারাপ।
রাসেল:-না না সেটা হবেনা,তোরা জানিস না পরীর সাথে কথা না বলে আমি এক মূহুর্ত থাকতে পারিনা।
তবুও পরী কিছুই বলছে না চুপ করে বসে আছে,এইদিকে রাসেল এটা না সেটা বলেই যাচ্ছে তো বলেই যাচ্ছে,ক্লাসের সময় হয়ে আসলেই সবাই উঠে ক্লাসে চলে যায়,একটা ক্লাস করে রাসেল আর পরী ওদের বলে কলেজ থেকে বেড়িয়ে আসে।
রাসেল:-পরী এখন বল কোথায় যাবি।
পরী:-চলনা আজকে একটু কোনো নিরিবিলি নদীর ধারে যায়,সেখানে একটু সময় কাটিয়ে আসি।
রাসেল:-তোর মনটা খারাপ থাকলে কি হবে কথাটা মন্দ বলিসনি,আচ্ছা চল আমরা তাহলে যাই এখন।
পরী:-হুম চল।
পরী বাইকে উঠে বসলেই রাসেল বাইক চালাতে শুরু করে,পরী রাসেল কে চেপে ধরে আছে,পরীর চোখে পানি,খুব কষ্ট হচ্ছে পরীর রাসেল কে ছেড়ে যেতে,সে যে চেয়েছিলো রাসেল কে সারাজীবন নিজের করে পেতে,কিন্তু রাসেল যে অন্য কে ভালোবাসে,আর সব কিছু জোর করে পাওয়া গেলেও মনটা তো আর জোর করে পাওয়া জাইনা,অনেকটা সময় পরে রাসেল একটা জায়গায় পরীকে নিয়ে আসে,জায়গাটা খুবই সুন্দর,যদি কারো মন খারাপ থাকে তাহলে এখনে আসলে মনটা ভালো হতে বাধ্য।
পরী:-তোকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটা সুন্দর জায়গায় নিয়ে আসার জন্য।
রাসেল:- ধন্যবাদ কেনো দিচ্ছিস হুম,তোর জন্য এই টুকু করতেই পারি।
রাসেল আর পরী একটা ব্রেঞ্চে গিয়ে বসে পরে,বাইরে হাসিখুসি থাকার চেষ্টা করলেও পরীর ভিতরটা যে পুরে ছারখার হয়ে যাচ্ছে।
পরী:-আমাকে একটু জড়িয়ে ধরে আমার ঠোঁটে একটা কিস দিবি,তোর কাছে আর কখনো চাইবোনা।
রাসেল:-এই তোর মাথা ঠিক আছে তো নাকি,এই ভরা পাবলিক প্লেসে আমি তোকে কিছ করবো।
পরী:-কি করবো বল এই বেহাইয়া মনটা যে কোনো বারনি শুনতে চাইনা,দে একটা কিছ আজকেই তো শেষ আর কখনো চাইবোনা রে।
রাসেল কি যেনো মনে করে পরীকে জড়িয়ে ধরে কিছ করে দেয়,অনেকটা সময় পরে ছেড়ে দেয়,
এইভাবে রাসেল আর পরি সারাদিন ঘুরে বেরাই,বিকালে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়,কিছু সময় পরে রাসেল পরীর বাসার সামনে এসে বাইক দার করাই।
রাসেল:-পরী না তোর বাসা এসে গেছে,আর গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটু ঘুম দে তাহলে অনেক ভালো লাগবে।
পরী:-হুম রে সেই একটা ঘুম দিমু,যেই ঘুমের হবে না কোনো শেষ,থাকবে না কোনো ক্লান্তি।
পরী রাসেল কে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা চুমু দিয়ে সোজা ভিতরে চলে যায়,এইদিকে রাসেল পরীর বলা শেষ কথা টাই বার বার ভাবছে।
রাসেল:-পরী এটা কি বলে গেলো,যেই ঘুমের নাই কোনো শেষ,এটা আবার কোন ঘুম,না কিছুই ভাবতে পারতাছি না।
রাসেল সেখান থেকে বাসাই চলে আসে,ফ্রেস হয়ে একটা ঘুম দেই,ঘুম ভাঙে রাত আটটাই,খাবার খেয়ে এসে আবার শুয়ে পরে,কিন্তু ঘুম ধরছেনা রাসেলের,পরীর জন্য অনেক চিন্তা হচ্ছে,পরীর ফোনটা ও বন্ধ,এমন কি পরীর বাসার ফোন বন্ধ,রাসেল ভাবছে নেটওয়ার্কের সমস্যা তাই ঘুমিয়ে পরে,রাত বাজে দশটা রাসেল গভীর ঘুমে,এমন সময় রাসেলের ফোনে পরীর মায়ের কল আসে,রাসেল ঘুম চোখে ফোন রিসিভ করে যা শুনতে পায়,সেটা শুনে ঘুম তো ধুরে থাক রাসেলের পায়ের নিচ থেকে যেনো মাটি সরে যাচ্ছে,কেননা পরীর মা বলছে,,,,,
🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে,
সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
........চলবে........
🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,কপি করে নিজের নামে চালাবেন না,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🇧🇩বি.দ্র.প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেই গল্পের নতুন পর্ব পেয়ে যাবেন 🇧🇩