#বেস্টফ্রেন্ড_যখন_গুন্ডি_বউ
লেখক✍রাসেল"কালো ভূত
______৪ পর্ব______
🎤
🎤
রাসেলের পায়ের নিচ থেকে যেনো মাটি সরে যাচ্ছে,কেননা পরীর মা বলছে,চলেন সরাসরি ফোনের কথায় শুনে আসি।
রাসেল:-হ্যালো আন্টি কেমন আছেন।
পরীর মা:-বাবা আমি একটু ভালো নেই,এইসব কথা রেখে তুমি তারাতাড়ি এই হাসপাতালে চলে আসো।
রাসেল তো অনেক টাই অবাক হয়ে যায় এই রাতের বেলায় আবার হাসপাতালে কেনো যেতে হবে কারো কিছু হলোনা তো আবার।
রাসেল:-আন্টি এখন হাসপাতালে কেন,কারো কিছু হয়েছে নাকি।
পরীর মা:-বাবা পরী সুইসাইড করেছে।
রাসেল:-কি বলছেন এইসব পরী সুইসাইড করেছে মানে কি।
পরীর মা:-হা বাবা তুমি তারাতাড়ি আসো পরীর অবস্থা অনেক জটিল।
রাসেলের পায়ের নিচ থেকে যেনো মাটি সরে যাচ্ছে,কি বলছে এইসব পরী সুইসাইড কেনো করলো,তাহলে কি বিকালে বলা কথার মানে চিরকালের মতো ঘুম,রাসেল আর কিছু না ভেবেই সোজা গাড়ি নিয়ে টান হাসপাতালের দিকে,কিন্তু আজকে যেনো পাঁচ মিনিটের রাস্তাটাও পাঁচ ঘন্টার মনে হচ্ছে,যেনো শেষ হতেই চাচ্ছে না,অবশেষে রাসেল হাসপাতালে এসে পৌঁছে যায়,গাড়িটা পার্ক করেই দৌড়ে পরীর মায়ের কাছে চলে যায়,পরীর মা কান্না করতেছে।
রাসেল:-আন্টি এইসব কিভাবে হলো,আর পরী এমনটা কেনো করলো,বিকালে তো আমি পরীকে ভালো ভাবেই বাসাই রেখে আসলাম।
পরীর মা:-বাবা আমি তো জানিনা কেনো করেছে এইসব,তবে প্রতিদিন পরী নয়টাই ডিনার করতো কিন্তু আজকে রাতে দশটা বাজলেও পরীর নিচে আসে নাই তাই আমি ওর রুমে যায়,দেখি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ,অনেক চেষ্টার পরে ভিতরে গিয়ে দেখি পরী বিছানায় মরার মতো পরী আছে হাতে পয়জনের বতল,তারপর ওকে আমি হাসপাতালে নিয়ে আসি।
রাসেল:-ওহহহহ কিন্তু পরী এমনটা কেনো করলো,ও কেনো বোঝেনা আমিও ওকে কতোটা ভালোবাসি,পরী তুই কি সারাজীবন গুন্ডি থেকে যাবি একটুও বুঝবি না আমাকে।
এইদিকে ডাক্তার সাহেবরা পরীর অপারেশন শেষ করে,তারাতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসার কারণে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি,কিছু সময় পরে পরীকে বেডে দেয়,অনেকটা সময় পরে পরীর জ্ঞান ফিরে আসে,এইদিকে রাসেল আর পরীর মায়ের চোখ দিয়ে তো অনবরত পানি পরেই যাচ্ছে,এই পানি যেনো থামান কোনো নাম গন্ধই নেই,অবশেষে একটা নার্স এসে বলে পরীর সাথে এখন দেখা করতে পারবে,পরীর মা রাসেলের জোরাজুরিতে আগে যায় পরীর সাথে দেখা করতে,এইদিকে মিম ও রাসেদ খবর শুনেই দৌড়ে চলে আসে।
মিম:-রাসেল পরী এমন টা কেনো করলো,আর পরীর অবস্থা এখন কেমন।
রাসেল:-জানিনা কেনো করলো তবে পরী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আন্টি দেখা করতে গেছে।
এইদিকে পরীর মা রুমে গিয়ে দেখতে পায় পরী অন্য দিকে মুখ করে আছে,চোখ দিয়ে অঝোর দ্বাড়ায় পানি ঝড়ছে,পরীর মা পরীর গালে একটা থাপ্পড় দিয়ে(ঠাসসসসসস)
পরীর মা:-এইদিন টা দেখার জন্য তোকে মানুষ করেছি হুম,কোনদিন তোর কোনো চাহিদার অপূর্ণ রাখিনি,তাহলে আজকে তুই এমন টা কেনো করতে গেলি।
পরীর মুখে কোনো কথা নেই পরী যেনো পাথর হয়ে গেছে কি বলবে পরি,সে যে রাসেলের সাথে অন্য কোনো মেয়েকেই মানতে পারবে না তাইতো পারি দিতে চেয়েছিলো না ফেরার দেশে।
পরীর মা:-এখন কেমন লাগছে তো,জানিস তোর বাবা শুনে শেই রাগ,রাতেই আসতাছে বাংলাদেশে।
পরী:-মা আমাকে ক্ষমা করেদিয়ো আমি না বুঝেই এইসব করেছি।
পরীর মা:-কেনো করেছিস এমনটা বল।
পরী:-মা আমার এই অবস্থার কথা শুনে রাসেল আসেনাই।
পরীর মা:-এসেছে সেই কখন,বাইরে আছে শুধু কেদেঁই যাচ্ছে,দাড়া আমি ওকে বাইরে থেকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
পরী:-না মা সেটার কোনো দরকার নাই,ওকে বলে দিয়ো ও যেনো আমার সামনে না আসে,যদি আসে তাহলে কিন্তু আমি নিজের ক্ষতি করে ফেলবো।
পরীর মা:-কি বলছিস এইসব তোর মাথা ঠিক আছে,যার সাথে এক মূহুর্ত কথা না বলে থাকতে পারিস না আর এখন বলছিস ওর সাথে কথাই বলবিনা।
পরী:-মা আমি যে ওকে আমার থেকেও বেশি ভালোবাসি,কিন্তু ও যে আমাকে ভালোবাসেনা,অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসে,আমি ওর সাথে কোনো মেয়েকেই মেনে নিতে পারবো না মা।
পরীর মা:-আচ্ছা আমি ওকে মানা করে দিতাছি।
পরীর মা একটু রাগ নিয়েই চলে আসে বাইরে কেননা সে বুঝে গেছে রাসেলের কারণেই পরী আজ দুনিয়া ছাড়তে চলেছিলো।
পরীর মা:-রাসেল তুমি বাসাই চলে যাও,তোমার মতো ছেলের এখানে থাকার কোনো দরকার নেই,পরী বলেছে তুমি এখানে থাকলে ও নিজেকে শেষ করে দিবে।
পরীর মায়ের কথা শুনে রাসেলের চোখ দিয়ে জল গরিয়ে আসে পরী এমনটা বলতে পারলো,আর রাসেদ আর মিম তো কথাটা শুনে অবাক হয়েই আছে।
রাসেল:-আন্টি পরী এটা বলতে পারলো,আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি পরী এইটা বলবে।
পরীর মা:-পরীর তোমার সাথে অন্য মেয়েকে মানতে পারবেনা বলেই আজ ও নিজেই তোমার জিবন থেকে বহু দূরে চলে যাচ্ছিলো।
রাসেল:-কিন্তু আমি তো কাউকে ভালোবাসি না শুধু পরীকেই আমার জিবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি যেই পরী জানেনা,আচ্ছা পরী যখন চাইনা আমি ওর সামনে আসি তো সেটাই হবে,আমি চাই পরী হামেসাই ভালো থাকুক,ভালবাসলেই যে ঘর বাধতে হবে সেটা তো না,কিছু কিছু সময় নিজের মাঝে কষ্ট লুকিয়ে অন্যজন কে খুশিরাখার মাঝেই প্রকৃত ভালোবাসা ফুটে ওঠে।
রাসেল বলেই চোখের পানি মুছতে মুছতে চলে আসে সবাই অনেক করে ডেকেছে কিন্তু কারো কথায় শোনেনাই রাসেল,আজ রাসেলের অনেক কষ্ট লাগতাছে যেটা বুকটা ফেরে দেখালেও কেউ বুঝবে না,রাসেল হাই স্পিডে গাড়ি চালাতে শুরু করে।
পরীর মা:-পরী এখন তো তুই খুসি তাইনা,রাসেল কাদতে কাদতে চলে গেছে,আর যাবার সময় বলে গেছে ও তোর সামনে কখনো আসবেনা,ওযে শুধু তোকেই ভালোবাসতো,ওর মনের মাঝে নাকি শুধু তুই ছিলি যেটা তুই কখনো বোঝার চেষ্টা করিসনি।
পরীর মায়ের কথা শুনে পরীর মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পরে,কি ভেবেছিল আর কি হলো।
পরী:-মা তুমি কি বলো এইসব রাসেল আমাকে ভালোবাসে তাহলে পরীর কথা কেনো বলতো।
পরীর মা:-পরীটা যে তুই ছিলি,আর ও তোকে সব সময় রাগানোর জন্যই অমন করতো,কিন্তু কখনো কষ্ট দিতে না,থাক আর এইসব বলে কি হবে ও চলে গেছে এখন তুইতো খুসি,ওর মুখ আর তোকে দেখতে হবেনা।
পরী:-না মা আমি ও যে অনেক ভালোবাসি,অকে যে আমার জিবনে চাই চাই,আমাকে ওর কাছে নিয়ে চলো প্লিজ।
পরীর মা:-ডাক্তার বলেছে দুই দিনের আগে তুই এখান থেকে কোথাও জায়তে পারবি না,আগে সুস্থ হয়ে নে পরে সব দেখা যাবে।
পরী:-মা রাসেল যদি আবার কিছু করে বসে ওর তো অনেক রাগ।
পরীর মা:-সেটা তোর ভাবতে হবেনা তুই রেস্ট নে আমি দেখছি কি করা যায়।
এইদিকে রাসেল বাসাই চলে আসে,খুব কষ্ট হচ্ছে ওর,পরী কেনো বললো ওর সাথে দেখা না করতে।
রাসেল এসে শুয়ে পরে,কাদতে কাদতে কখন ঘুমিয়ে যায়, সেই দিকে কোনো খেয়াল নেই রাসেলের,সকালে ঘুম ভাঙার পরে রাসেলের মাথাটা ভারি ভারি মনে হচ্ছে,তবুও অনেক কষ্টে ফ্রেস হয়ে নিচে চলে আসে।
রেহানা:-বাবা তোর এই অবস্থা কেনো,কি হয়েছে তোর।
রাসেল:-মা জানো পরী রাতে সুইসাইড করেছিলো।
রেহানা:-কি বলিস এইসব,আর এখন তাহলে পরীর অবস্থা কেমন।
রাসেল:-এখন ভালো আছে,পরী আমাকে ভালোবাসতো,আমিও ওকে অনেক ভালোবাসতাম,কিন্তু অকে রাগানোর জন্য সেটা বুঝতে দিতাম না,আর ও মনে করেছে আমি সত্য অন্য কাউকে ভালোবাসি,তাই আমার জিবন থেকে সরে যেতে চেয়েছিলো।
রেহানা:-ওহহহহ তা তোর এই অবস্থা কেনো,মনে হচ্ছে রাতে ঘুমাস নাই শুধু কান্না করেছিস।
রাসেল:-জানো মা কালকে হাসপাতালে পরী আমাকে ওর কাছে কোনদিন যেতেই মানা করে দিছে,আমি যদি ওর সামনে কখনো যায় তাহলে নাকি ও নিজেকে শেষ করে দিবে।
রেহানা:-কি বলিস এইসব,পরী হয়তো রাগের মাথাই বলেছে,দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে,তোর বাবা আসতাছে আমি দেখি কি করা যায়,তুই নাস্তা করে নে।
রাসেল ও চুপটি করে খেয়ে নেয়,রাসেলের মনটা একটুও ভালো নেই,এইদিকে পরী কিছুই খেতে চাচ্ছে না।
পরী:-মা আমি কিছুই খাবোনা,না জানি আমার কলিজাটা কেমন আছে,খাবার খেয়েছে কিনা।
পরীর মা:-এখন এতো প্রেম দেখাতে হবেনা,রাতে যখন বললি তখন মনে ছিলোনা।
পরী:-তখন তো ওর উপরে রাগ করে বলেছি,তার জন্য ও রাগ করে চলে যাবে,ও কি একটু ও বুঝতে পারলো না আমি ওকে ছাড়া কিভাবে থাকবো।
পরীর মা:-তুই যেমন ওকে ছাড়া চলে যেতে চেয়েছিলি,ও তেমন তোকে সুখে রাখার জন্য চলে গেছে,রাসেল ও তো চাইনা ওকে দেখে তুই তোর কোনো ক্ষতি কর।
মা মেয়ের এমন কথার বলার সময় হটাৎ করেই দরজার কাছ থেকে বলে ওঠে।
পরীর বাবা:-আমার মেয়ের টার কি হয়েছে শুনি,আর কার এতো সাহস যে আমার মেয়েকে কষ্ট দেয়।
পরী:-বাবা তুই এসেছো,কতোদিন হলো দেখিনা তোমায়,আসো বাবা আঙ্গুর খাও,আমি তো একা খেতেই পাচ্ছি না।
পরীর বাবা:-তুই অসুস্থ তবুও মজা করার মুডটা গেলো না তাইনা,তা মা এখন কেমন লাগতাছে।
পরী:-বাবা আমি বাইরে থেকে হয়তো ভালো আছি,কিন্তু ভিতর থেকে একটুও ভালো নেই।
পরীর বাবা:-কেনো মা কি হয়েছে তোর আমাকে সবটাই খুলে বল তো।
পরী:-আম্মু তুমি বলো আমার বুঝি সরম করেনা।
পরীর মা:-ওরে আমার লজ্জাবতি মেয়েরে,গুন্ডি মেয়ের আছে নাকি আবার লজ্জা।
পরী:-দেখেছো আব্বু আম্মু আমাকে গুন্ডি বললো।
পরীর বাবা:-এই পরীর মা একদম আমার মেয়েকে গুন্ডি বলবে না,এখন সবটা খুলে বলোতো।
পরীর মা তখন শুরু থেকে সবটাই পরীর বাবা কে খুলে বলে,যেটা শুনে পরীর বাবা হাসতে হাসতে শেষ।
পরী:-বাবা তুমি কি পাগল হয়ে গেলে নাকি হুম,এইভাবে হাসতাছো কেনো।
পলীর বাবা:-তো হাসবো না কেনো,আরে সেই ছোট কাল থেকেই আমি আর আমার বন্ধু তোদের বিয়ে ঠিক করে রেখেছি।
পরীর বাবার কথা শুনে পরী ও পরীর মা দুজনেই অনেক টা অবাক হয়ে যায়,পরী অবাক হয়ে বলে,,,,,,
🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
- আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম-
-ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে-
-সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন-
✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
........চলবে........
🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,কপি করে নিজের নামে চালাবেন না,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🇧🇩বি.দ্র.প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেই গল্পের নতুন পর্ব পেয়ে যাবেন 🇧🇩