লেখক✍রাসেল"কালো ভূত
______৫ পর্ব______
🎤
🎤
পরীর বাবার কথা শুনে পরী ও পরীর মা দুজনেই অনেক টা অবাক হয়ে যায়,আর পরী অনেক টা অবাক হয়েই বলে।
পরী:-আচ্ছা বাবা রাসেলের সাথে যে ছোট বেলা থেকেই আমার বিয়ে হবার কথা ছিলো সেটা বলো নি কেনো।
পরীর বাবা:-মারে বলিনি কারণ,আমি আর রাসেলের বাবা চেয়েছিলাম তোদের সাড়প্রাইজ দিতে,কিন্তু এখন তো আমরা নিজেরাই সারপ্রাইজ হয়ে গেলাম।
পরীর মা:-পরীর বাবা আর দেরি করা চলবেনা,তুমি বরং আজই রাসেলের বাবার সাথে কথা বলে বিয়ের কথা পাকা করো।
পরীর বাবা:-হুম ঠিক আছে আমি আজই যাবো,আর আমি ডাক্তারের সাথে কথা বলে সব ঠিক করেছি এখন চলো বাসাই যায়।
তারপর হাসপাতাল থেকে পরীরা বাসাই চলে আসে,এখন পরী অনেকটাই সুস্থ,তবে একটু দুর্বল।
এইদিকে রাসেল বসে ভাবছে পরী ওর সাথে কেনো এমন করলো,এমন তো করার কথা ছিলোনা।
রাসেল:-পরী তুই আমাকে এইভাবে বলতে পারলি,একটু বারের জন্য ও বুঝতে চেষ্টা করলিনা আমি তোকে কতোটা ভালোবাসি।
রেহানা:-বাবা রাসেল এইভাবে মন খারাপ করে থাকিস না, আমার একদম ভালো লাগেনা।
রাসেল:-মা তুমি জানো আমি পরীকে কতোটা ভালোবাসি আর সেই পরী কিনা ওর সাথে আমাকে দেখা করতে মানা করেছে।
রেহানা:-দেখ বাবা পরী তো আর জানে না তুইও পরীকে অনেক ভালোবাসোস,পরী জানে তুই অন্য কাউকে ভালোবাসোস তাইতো তোর সাথে দেখা করে ও মায়া বাড়াইতে চাইনি।
রাসেল:-মা এটাই হয়তো হবে,না হলে যেই মেয়েটা আমাকে না দেখে একটা মুহূর্তের জন্য ও থাকতে পারতো না,তাহলে সে কিভাবে আমার সাথে কথা না বলে থাকবে।
রাসেল আর ওর মা কথা বলতাছে তখনই রাসেলের বাবা রায়হান চৌধুরী আসে।
রায়হান:-কি বেপার মা ছেলে মিলে কি এমন কথা বলতেছো শুনি।
রেহানা:-দেখোনা তোমার ছেলেটা কিভাবে মন খারাপ করে বসে আছে।
রায়হান:-কেনো আমার বাবা টার আবার কি হলো যে এইভাবে মন খারাপ করে বসে আছে।
রেহানা:-পরী তার সাথে রাসেল কে দেখা করতে মানা করেছে,কিন্তু রাসেল যে ওকে অনেক ভালোবাসে,তাহলে ওর সাথে কথা না বলে থাকবে কি করে।
রায়হান:-ও যখন পরীকে এতোই ভালোবাসে তাহলে পরীকে কেনো বলছে ও অন্য কোনো পরীকে ভালোবাসে।
রাসেল:-বাবা আমি যে পরী কে এই কথাটা বলেছি সেইটা তুমি জানতে পারলে কি করে হুম।
রায়হান:-শুধু এইটা না আমি তোদের সব কিছুই জানি, পরীর বাবা আমাকে বলেছে,আর পরীর বাবা আজকে আমাদের বাসাই আসবে তোর আর পরীর বিয়ের কথা পাকা করতে।
রাসেল:-কি তুমি সত্য বলতাছো বাবা।
রায়হান:-না আমি সত্য বলবো কেনো আমিতো মিথ্যা বলছি,তুই জানিস না আমি তোর সাথে ফাজলামি করতেছি,আর শোন তোর আর পরীর বিয়ে আমি আর পরীর বাবা আগেই ঠিক করে রেখেছি।
রাসেল:-বাবা তুই এতো কিছু আমার থেকে লুকিয়েছো।
এইভাবে আরো অনেক কথা বলে কিছু সময় পার করে,অনেকটা সময় পরে পরীরা রাসেলদের বাসাই চলে আসে,দরজায় কলিং বেল দেয়।
রায়হান:-রাসেলের মা যাও মনে হয় পরীরা চলে এসেছে,জলদি গিয়ে দরজা খুলে দাও।
রেহানা:-আমি এখনি যাচ্ছি,তুমি কোনো চিন্তা করোনা তাহলে পেপার রাগ করবে,নিজে মনে হয় গিয়ে দরজা খুলে দিতে পারছে না।
রেহানা ভির ভির করতে করতে উপরের কথা বলেই গিয়ে দরজা খুলে দেয়,তাকিয়ে দেখতে পায় পরীরা এসেছে,পরী রেহানা চৌধুরীর পা ছুয়ে সালাম করে।
পরীর বাবা:- আসসালামুয়ালাইকুম ভাবি সাহেবা কেমন আছেন।
রেহানা:-এই দুই ফাজিল কি আমাদের ভালো রেখেছে বলেন,কতো টেনশন ফেলেদিয়েছিলো বলেনতো।
পরীর মা:-ভাবি তা ঠিক বলেছেন,দুইটাই ফাজিলের বড় ভাই।
পরী:-আম্মু আমাকে কিন্তু কি সব বলে শাশুড়ির কাছে ছোট করতেছো,আমি কিন্তু অনেক রাগ করবো হুম।
রেহানা:-নারে মা তোর আর রাগ করতে হবে না,তুই বরং আমার সাথে ভিতরে আয় বুঝতে পারলি।
তখন সবাই ভিতরে চলে আসে,রাসেল পরীকে দেখেই মুখটা ঘুরিয়ে নিয়ে উপরে চলে যায়,মনের কোণে লুকিয়ে আছে অনেক রাগ।
রেহানা:-পরীমা আমার ছেলে যদি আবার রাগ করে তাহলে কিন্তু রাগ ভাঙানো খুব কঠিন,তারছে ভালো তুই আগে গিয়ে ওর রাগ কমিয়ে আয়,আমরা সবাই কথা বলি।
পরীর মা:-ভাবি আপনে ঠিক কথা বলেছেন,এমনিতেই পরী রাসেলের মনে অনেক দুঃখ দিয়েছে অলরেডি,তার জন্য রাসেল যে এইটুকু রাগ করবেই।
সবার কথা শুনে পরী অনেক টাই লজ্জা পায়,একটা দৌড়ে সিড়ি বেয়ে রাসেলের কাছে চলে আসে,দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখছে রাসেল শুয়ে আছে,কিন্তু মাথাটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে,পরী পা টিপে টিপে রুমে প্রবেশ করে।
রাসেল:-আর এক পা ও সামনে এগোবি না বলে দিলাম,কেনো এসেছিস তুই,তুইতো আমার মুখ দেখতেই চাস না।
পরী:-এই রাগ করিসনা প্লিজ আমি তো তোদের মাঝে বাধা হতে চাইনি তাই অমনটা বলেছি বুকের মাঝে পাথর বেধে।
রাসেল:-জানিস আমি কতোটা কষ্ট পেয়েছি,তোকে আমি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি।
পরী:-উমমম ভালোবাসিস না ছাই,যদি ভালোবাসতি তাহলে আমাকে কষ্ট দিলি কেনো।
রাসেল:-আমি তো চাইতাম তুই কি করস সেটা দেখতে,কিন্তু তুই যে এতো বড় একটা বোকামি কাজ করবি সেইটা আমি কল্পনাও করতে পারিনাই।
পরী:-তোকে যে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি,তাইতো তোর ভাগ অন্য কে দিতে হবে আমি মানতে পারিনি,তাহলে পরী টা কে হুম।
রাসেল:-আরে গাধি পরীটা তো তুই নিজেই,জানিস আমি অনেক কান্না করেছি,তোকে না দেখে কি আমি থাকতে পারি বল।
পরী:-ওলে আমার জানুটারে,টা আমার সোনা পাখি কতটা কষ্ট পেয়েছে দেখি।
রাসেল:-এতোটা কষ্ট পেয়েছি যেইটা তোকে বলে বুঝাতে পারবোনা,ঐ তোর সাথে তো আমি কথাই বলবোনা তাহলে এতো সময় কথা বলছি কনো।
পরী:-জানো কথা যখন বলেই ফেলেছো তাহরে আর রাগ করে কি হবে,এই তুমি প্রোপোজ করো এখনি।
রাসেল:-এ আমার সরম করে পারবো না আমি।
পরী:-ঐ তুই করবি নাকি আন্টি কে ডাকবো সেইটা বল।
রাসেল:-এই না না আমি করতিছি।
হবে কি আমার সন্ধ্যা রাতের পথ চলার সাথী,হবে কি আমার জোৎস্না রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করার সঙ্গী,দেবে কি তোমার ঐ মনের ঘরে থায়,
হবে কি আমার বাচ্চার আম্মু, আই লাভ ইউ পরী, উল ইউ মেরি মি।
পরী:-আই লিভ ইউ টু মাই ডিয়ার সোনা পাখি,
আমি তোমার বাচ্চার মা হতে চাই,তোমাকে রাখতে চাই আমার মনের ফুলদানি তে সাজিয়ে।
পরী কে রাসেল বুকের মাঝে জড়িয়ে ওর ঠোঁট জোড়া এক করে দেয়,পাক্কা পাঁচ মিনিট পরে রাসেল পরীকে ছেড়ে দেয়,দুজনই হাপাচ্ছে।
পরী:-কি করছিলে আর একটু হলেই তো আমি গেছিলাম তোমাকে বিয়ের আগেই ছেড়ে।
রাসেল:-হাহাহা আমি থাকতে তোমাকে কেউ কোথাও নিয়ে যেতে পারবে না বুঝেছো,মনের ফুলদানিতে যতন করে সাজিয়ে রাখবো তোমাই।
পরী:-সারাজিবন এভাবেই বুকে আগলে রাখবে তো,কখনো ভুলে যাবেনা।
রাসেল:-কখনো ভুলবো না,
এ জিবন তোমাকে দিলাম,তুমি শুধু ভালোবাসা দিও।
এইভাবে দুইজন আরো অনেক কথা বলে,কিছু সময় পরে নিচ থেকে খাবারের জন্য ডাক আসে পরী আর রাসেল নিচে চলে যায়।
রেহানা:-পরী মা আই এখানে বস,আমি তোকে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছি।
রাসেলের মা পরীকে তার পাশের চেয়ারে বসার জন্য বললো,এইদিকে রাসেলের মায়ের এমন কথা শুনে রাসেল বলে।
রাসেল:-মা তুমি ঐ শাকচুন্নি কে পেয়ে আমার কথা একেবারেই ভুলে গেছো কিন্তু।
রেহানা:-বাবা তোকে কি ভোলা যায়,তুই যে আমার কলিজার টুকরা,বেচে থাকার একমাত্র উৎস।
রাসেল:-তাহলে আমাকে খাইয়ে না দিয়ে পরী কে একাই কেন খাইয়ে দিতে চাইছো শুনি।
পরীর মা:-রাসেল আই আমি তোকে খাইয়ে দেই,তোরা দুইজন পারিস ও বটে,জানিনা তোরা দুইজন একসঙ্গে কি করবি,সারাখণ ঝগড়া না করলে তো তোদের পেটের ভাত হজম হয়না।
এইভাবে নানান কথা বলে খাবার পর্ব শেষ করে,
সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দিন পরে ধুমধাম করে বিয়ের কাজটা শেরে ফেলবে।
পরীর বাবা:-ভাবি না বিয়াইন এখন তাহলে আসি,আপনেরা আসবেন কিন্তু আমাদের বাসাই।
রেহানা:-আচ্ছা বিয়াই সাহেব আজকে থেকে যান আমাদের বাসাই,আর আত্মীয় যখন করেই ফেললাম তখন যাওয়া আসা তো করতেই হবে।
পরীর বাবা:-না আজ থাকা যাবে না, দুইদিন পরে বিয়ে তাহলে অনেক কাজ তো করতে হবে তাইনা বলেন।
পরী:-আন্টি আসি তাহলে,আর আমার জন্য রাতে ভালো কিছু রেখো হুম।
রেহানা:-আরে সেইটা আর বলতে হবে,তুই কোনো চিন্তাই করিস না আমি পায়েশ রেধে রাসেল কে দিয়ে পাঠিয়ে দিবো।
সবাই চলে যায়,রাসেল রুমে এসে শুয়ে আছে,আর ভাবতে থাকে।
রাসেল:-ভাবতেই অবাক লাগে দুইদিন পরে গুন্ডিটা আমার বউ হয়ে সিঙ্গেল লাইফ টা খতম করে দিবে।
রাসেল এইসব ভাবতেছে আর তখনই মনে পরে রাসেদ আর মিম কে এখনো জানানো হয়নি,তাই ফোনটা বের করে রাসেদ কে কল দেয়।
রাসেদ:-কিরে মামা এখন হটাৎ ফোন দিলি যে,কারণ কি।
রাসেল:-আমি কি তোকে ফোন দিতে পারিনা বল,আর ফোন দিয়েছি একটা কারণে,কিন্তু এখন আর বলবোই না যা।
রাসেদ:-না দোস্ত বল কথাটা না শুনলে আমার আবার পেটের ভাত হজম হবে না।
রাসেল:-আচ্ছা এতো করে যখন বলছিস তখন বলেই দি, দুইদিন পরে আমার আর পরীর বিয়ে দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে,তুই কিন্তু আগেই চলে আসবি বলে দিলাম।
রাসেদ:-ও মামা ভালোবাসোনা বলে আর এখন সোজা বিয়ে,তলে তলে টেমপু চালাও আর আমরা চালালেই হারতাল তাইনা,তবে আমি খুব খুসি যে গুন্ডীটা তোর বউ হবে।
রাসেল:-আমার জিবন তো তিজপাতা,আচ্ছা রাখি রে কালকে চলে আসিস আমি মিম কে একটু বলি।
রাসেল ফোন রেখে দিয়ে আবার মিম কে ফোন দিয়ে সব বলে ফোন রেখে দেয়,রাসের যে কখনো ঘুমিয়ে গেছে সেইটা নিজেই জানেআ,এইদিকে রেহানা চৌধুরী পরীর জন্য পায়েশ রান্না করেতেছে,
বিকাল হয়েগেছে,তাই রেহানা চৌধুরী রাসেল কে দিয়ে পরীর জন্য পায়েশ পাঠিয়ে দেয়,রাসেল পরীর বাসাই গিয়ে কলিং বেল দেয়,ঐপাশে থেকে দরজা খুলে দেয়,রাসেল ঐপাশের লোকটার দিকে তাকিয়ে একটু লজ্জায় পায় কেননা,,,,,,
🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
- আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম-
-ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে-
-সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন-
✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
........চলবে........
🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,কপি করে নিজের নামে চালাবেন না,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🇧🇩বি.দ্র.প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেই গল্পের নতুন পর্ব পেয়ে যাবেন 🇧🇩