#বেস্টফ্রেন্ড_যখন_গুন্ডি_বউ
লেখক✍রাসেল"কালো ভূত
______৬ পর্ব______
🎤
🎤
রাসেল ঐপাশের লোকটার দিকে তাকিয়ে একটু লজ্জায় পায় কেননা,ঐপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি ছিলো একটা মেয়ে,হা আপনারা ঠিকই শুনেছেন,ঐ লোকটা একজন মেয়েই ছিলো,আর সেই মেয়েটি কেউনা সে হলো পরীর খালাতো বোন,আগে কখনো এইবাসাই আসে নাই,আজকেই প্রথম এসেছে পরীর বিয়ে উপলক্ষে,মেয়েটির নাম হলো শিখা,রুপে গুণে পরীর থেকে কম না,শিখা এক ধ্যানে রাসেলের দিকেই তাকিয়ে আছে।
রাসেল শিখার সামনে হাতে তুরি বাজিয়ে বলে।
রাসেল:-এই যে ম্যাডাম আপনে কে হুম এইভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কিল্লাই।
শিখার ধ্যান ভাঙ্গে রাসেলের এমন কথা বলার শব্দে।
শিখা:-না মানে এমনি আমি তো কিছু করছিনা।
(আমতা আমতা করে)
রাসেল:-যদি কিছু নাই করেন তাহলে আমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো,আমার তো আবার পেটে অসুখ হবে তাইনা।
রাসেল কে শিখার প্রথম দেখাই খুব ভালো লেগে যায়,এক কথায় লাভ এন্ড ফাস্ট সাইট, এইদিকে আবার শিখা জানেনা রাসেল পরীর হবু স্বামী।
রাসেল:-এই যে মিস কিছু বলছেন না যে,
আর আবারো এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো,সরেন আমি ভিতরে যাবো।
শিখা দরজা থেকে সরে দাঁড়ায়,আর রাসেল ভিতরে চলে যায়।
শিখা:-হাই হাই এতো কিউট ছেলে আগে কোথায় ছিলো,আমি তো এই ছেলে কে নিজের কোরে চাই চাই,সে যে করেই হোক না কেনো।
রাসেল:- আসসালামুয়ালাইকুম শাশুড়ি আম্মা কেমন আছেন।
পরীর মা:- ওয়ালাইকুমাসালাম, আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি,তা বাবা রাসেল এখন কি মনে করে আসলি।
রাসেল:-আমার মা তার আদোরের পেত্নি বউমার জন্য স্বাদের পায়েশ রেধে পাঠিয়েছে।
পরীর মা:-দেখো জামাই বাবাজী আমার পরী কে পেত্নি বলতেছো কেনো হুম।
এইদিকে রাসেল কে জামাই বাবাজী বলতে দেখে শিখার বুকে আগুন জ্বলা শুরু হয়,শিখা ভাবতাছে পরীর মা কেনো তাকে জামাই বাবাজী বললো,আর রাসেল ই বা কেন শাশুড়ি বলে ডাকলো।
রাসেল:-এই মেয়েটা আবার কে, এইবাসাই তো আগে কখনো দেখিনাই।
পরীর মা:-ওহহহ তোমাকে তো বলাই হয়নি এ হলো শিখা,আমার বোনের মেয়ে,আমাদের বাসাই আগে কখনো আসেনি,পরীর বিয়ের জন্য গতকাল কেই এসেছে,আর ও একটু বাইরে গেছিলো তাই দুপরে তোদের বাসাই যায়তে পারেনাই,আচ্ছা দারা তোর সাথে ওর পরিচয় করিয়ে দেয়,শিখা মা এই দিকে আইতো।
শিখা:-হা আন্টি বলো, কি বলতে ডেকেছো আমায়।
পরীর মা:-পরিচয় হয়েনে,এ হলো রাসেল পরীর হবু স্বামী মানে তোর দুলাভাই,আর রাসেল এ হলো শিখা তোর শালী।
রাসেল:-হাই।আমি রাসেল।
রাসেল শিখার দিকে হাত বাড়িয়ে বলল,যেটা উপর থেকে পরী লক্ষ্য করছে।
শিখা:-হেলো আমি শিখা।
রাসেল আর শিখা হেসে হেসে আরো অনেক কথা বলে,যেটা পরীর একদম সহ্য হচ্ছিলো না,কিন্তু
শিখার তো অনেক ভালো লাগে রাসেলের সাথে কথা বলতে পেরে,সে মনে মনে ঠিক করে নেয়, যে করেই হোক রাসেল কে তার কোরেই ছাড়বে।
এইদিকে পরী উপর থেকে নিচে চলে আসে,আর রাগি চোখে রাসেলের দিকে তাকিয়ে বলে।
পরী:-এখানে এতো হেসে হেসে কি কথা হচ্ছে শুনি হুম।
রাসেল তো পরীর এমন রুপ দেখে অনেক টাই ভয়পেয়ে যায়,আর শিখা তো মনে মনে পরী কে গালি দিতে থাকে এতো সুন্দর একটা মূহুর্ত সে নষ্ট করে দিলো।
রাসেল:-এইতো তোর খালাতো বোনের সাথে একটু কথা বলছিলাম।
পরী:-কথা বলবি ভালো কথা কিন্তু এতো হেসে হেসে কথা কেনো বলবি তুই হুম।
শিখা:-না হয় একটু হেসে কথা বলেছে তাতে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়েছে শুনি।
পরী:-তুই চুপ কর ও এইভাবে কথা বলবে কেনো,আর রাসেলের বাচ্চা তুই শুনে রাখ তোর খবর আছে।
রাসেল:-এই আমি কিন্তু রায়হান চৌধুরীর বাচ্চা,তুই ভুল কেনো বলবি হুম,আর কয়টার খবর করবি রে একটার নাকি তেরোটার হুম(হাসতে হাসতে)
পরী:-দ্বারা তোকে দেখাচ্ছি।
বলেই পরী রাসেল কে ধরতে ধাওয়া করে,কিন্তু রাসেল কে আর পায় কে,সেতো এক দৌড়।
পরী:-কি গো জানু পালাও কেনো দেখে যাও খবর কয়টার করি।
শিখা:-আপু তুমি ওর সাথে এমন কেন করলে,রাসেল কতো সুন্দর করে কথা বলতেছিলো আমার সাথে।
পরী:-এই তুই আমাকে আপু বলছিস আর ওকে নাম ধরে বলতেছিস কেনো হুম।
শিখা:-না মানে এমনি মজা করে বলেছি,আপু তুমি খুব লাকি ভাইয়ার মতো এতো সুন্দর একটা বড় পেয়েছো।
পরী:-হুম ধন্যবাদ,আর আমার বড়ের দিকে ভূলে ও নজর দিবিনা তাহলে একদম চোখ তুলে ফেলবো।
বলেই পরী উপরে চলে যায়,আর শিখা তো মনে মনে ফুলতে থাকে আর বলতে থাকে।
শিখা:-উমমম আইছে বলতে,আমি তো ওকে তোর থেকে কেড়ে নিবোই,সে যেমন করেই হোক না কেনো।
পরীর মা:-কিরে শিখা এইভাবে কি এমন ভির ভির করে বলতেছিস শুনি,আর রাসেল কোথায় গেলো।
শিখা:-ওহ খালা তুমি,আর কই কিছু বলছিনাতো,তোমার মেয়েই তো দৌড়ানি দিয়ে ভাইয়াকে তাড়িয়ে দিলো।
পরীর মা:-আর বলিস না এই দুইটা এক মূহুর্তের জন্য শান্ত থাকবেনা,একটা ওটা নিয়ে ঝগড়া করবেই,জানিনা এরা দুইজন বিয়ের পর কি করবে।
শিখা:-আন্টি পরীর কপালে তো আমি কিছুতেই সুখ আসতে দিবোনা,রাসেল কে তো আমার করে চাই চাই,মনে মনে।
এমন সময় পরী উপর থেকে নিচে আসে,আর ও মা কে জিগ্গেস করে।
পরী:-আম্মু আমার শাশুড়ি মা যে আমার জন্য পায়েশ পাঠিয়েছে,সেইটা আমাকে এখনো দিচ্ছো না কেনো হুম।
পরীর মা:-তোরা দুজনে বসেক আমি এখনি দিচ্ছি,আর রাসেল থাকলে একসাথেই খেতে পারতো,কেনো ওকে দৌড়ানি দিতে গেলি।
পরী:-ও তাহলে আমার রাগ উঠাবে কেনো,ওকি জানে না আমার রাগ উঠলে আমি কতোটা ভয়ংকর হয়ে উঠি।
পরীর মা:-নে এইবার চুপ করে খেয়ে নে,আর তোর শশুর ফোন দিয়ে বলেছে, কালকে সকালে তোকে রাসেলের সাথে সপিং এ গিয়ে তোর পছন্দের সব কিছু কিনে আনতে।
পরী:-এই সবের কি দরকার ছিলো,শুধু শুধু টাকা নষ্ট আমার শশুরের।
পরীর মা:-বাববাহ নিজের বাবার টাকা খরচ করতে একটুও চিন্তা করিস নাই আ শশুরের টাকা খরচ হবে বলে এটো চিন্তা করতেছিস।
শিখা:-খালা চিন্তা করবেনা আবার,তার সব টাকা যে তোমার মেয়েরি থাকবে,আর আগেই যদি ফুরিয়ে ফেলে তাহলে তো শেষ হয়ে যাবে।
পরী:-এই শাকচুন্নি চুপ করে খেয়েনে তো,জানিস না খাবারের সময় কথা বলে নেই।
শিখা:-নিজে বলছে দোষ হচ্ছে না আর আমি বলেই দোষ।
এইভাবে আরো অনেক কথা বলে খাবার পর্ব শেষ করে,রাতে বিছানায় শুয়ে আছে রাসেল,ইচ্ছে করছে এখনি পরীর কাছে ছুটে যেতে,পরীর নাম্বারে ফোন দেয়,রিং হচ্ছে কিন্তু মাগার পরী কল রিসিভ করে না,অবশেষে কয়েক বার কল দিতে রিসিভ করে।
রাসেল:-এই তুমি ফোন রিসিভ করতেছো না কেনো হুম,আমি সেই কখন থেকে ফোন দিয়েই যাচ্ছি তো দিয়েই যাচ্ছি।
রাসেল একদমে হাপাতে হাপাতে উপরের কথাগুলো বলে,রাসেল তো আর জানেনা ফোনের ঐপাশে শিখা।
শিখা:-দুলাভাই আমি আপনার বউ না আমি আপনার শালী শিখা।
রাসেল:-ও সরি সরি আমি বুঝতে পারিনি,তা তোমার ফাজিল বোন কোথায়।
শিখা:-আপু তো ওয়াশরুমে,আর আমি রুমে এসে দেখি ফোন বাজে তাই রিসিভ করলাম,তা আমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগতাছে না বুঝি।
রাসেল:-আরে কিযে বলোনা,তা হতে যাবে কেনো,শালীর সাথে কথা বলতে মজাই আলাদা,হাজার হলেও শালী হলো আধা ঘরো ওয়ালী।
শিখা:-আমি আধা ঘরওয়ালী না বরং তোমার পুরা ঘরওয়ালী হতে চাই মনে মনে।
রাসেল:-আচ্ছা কি করতেছো শুনি।
শিখা রাসেলের কথা উত্তর দিতে জাবে ঠিক তখনই পরী ওয়াশরুম থেক বেরিয়ে বলে।
পরী:-এই শিখা তুই আমার ফোন নিয়ে কার সাথে এতো হেসে হেসে কথা বলছিস হুম।
শিখা:-কার সাথে আবার আমার আদরের দুলাভাইয়ের সাথেই কথা বলতেছি।
এই কথা শুনেতো পরীর মাথায় রক্ত উঠে যায়,শিখা কেনো ওর বরের সাথে এইভাবে কথা বলবে।
পরী:-দে ফোন দে,আর যদি আমার ফোন ধরতে দেখি তো তোর খবর আছে,তোর ফোন আছে যতো ইচ্ছা কথা বল,কিন্তু ফোন ধরবিনা।
শিখা:-তাহলে দুলাভাইয়ের নাম্বার টা আমাকে দাও আমি আমার মোবাইল দিয়েই কথা বলি।
পরী:-ভুলেও না বুঝলি,ঐ কুত্তা তুই দেখছিস আমি নাই তাও কথা বলতাছিস কেনো হুম।
রাসেল তো এতো সময় ধরে দুইজনের ঘটনা শুনে বুঝেই গেছে পরী কতোটা রেগে আছে।
রাসেল:-না মানে তুমি তো নেই আর শিখা যখন ফোন রিসিভ করেছে তাই ওর সাথে একটু কথা বলতেছিলাম,তাতে কি এমন হয়েছে হুম।
পরী:-তুই আমি ছাড়া কারো সাথেই কথা বলবিনা কথাটা যেনো মনে থাকে,আর চুপ চুপ ঘুমা এখন আমার মাথা কিন্তু গরম আছে।
রাসেল:-একটু কথা বলিনা সোনা,তোমার সাথে সেই কখন থেকে কথা বলিনা।
পরী:-চুপ কথা বলার মুড টাই নষ্ট হয়ে গেছে,এখন আমি ঘুমামু না হলে তোর সাথে কি করে বসি আল্লাহ ভালো জানে।
শিখা:-এ ঢং দেখলে বাচিনা,কথা বলতে নাকি মুড নাই,আরে তুই কথা বলবিনা তো কি হয়েছে আমার কাছে দে কথা বলি, মনে মনে।
এইদিকে পরী আর কোনো কথা না বলেই ফোনটা কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পরে,রাসেল তো ফোন কাটা দেখে রাগে ফুলতে থাকে,কিন্তু এইভাবে লুচির মতু ফুলে তো লাভ নাই পরীতো ঘুমিয়েই গেছে,তাই রাসেল মনের মাঝে এক বদনা রাগ নিয়ে ঘুমিয়ে পরে,সকালে ফযরের আযান দিলেই রাসেল উঠে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে এসে একটু হেটে বাসাই চলে আসে,কেননা পরীর অর্ডার রাসেল কে প্রতিদিন এইভাবে হাটতে হবে যেনো শরীর ফিট থাকে।
রায়হান:-রাসেল আজকে পরীমা কে নিয়ে সপিং করতে নিয়ে যাস তো,ওর কি কি কিনতে ইচ্ছা হয় সেসব কিনে দিস বুঝলি,আমার বউমার যেনো কোনো কিছুই অপূর্ণ থাকেনা বুঝেসিস নাকি না বোঝার ভান করে আছিস হুম।
রাসেল:-হুম বাবা বুঝেছি,আমি খরচ করলেই টাকা ফুরিয়ে যাবে আর এখন পরী সপিং করবে বলে টাকা ফুরাবে না।
রায়হান:-দেখ একদম আমার বউমাকে নিয়ে একটা কথাও বলবিনা।
বাবা ছেলে এমন কান্ড দেখে রান্না ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে আর বলতে থাকে।
রেহানা:-এই রাসেল এইভাবে কথা বলিস কেনো হুম,জানিস না আমার বউমা জোর গলায় কথা সহ্য করতে পারেনা।
এইভাবে আরো অনেক কথা বলে,সবাই সকালের নাস্তা করে নেয়,রাসেল নাস্তা করে ওর বাবার থেকে টাকা নিয়ে সপিং করা জন্য পরীর বাসাই আসে,বাসার নিচে দাঁড়িয়ে পরীকে ফোন করে আসতে বলে,
অনেকটা সময় পরে পরী রাসেলের কাছে আসে আর রাসেল তো সামনের দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকে,কেননা,,,,,,,
🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
- আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম-
-ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে-
-সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন-
✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
........চলবে........
🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,কপি করে নিজের নামে চালাবেন না,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺