গল্পঃ বেস্টফ্রেন্ড যখন গুন্ডি বউ পর্ব ১০ | Best Friend Jokhon Gundi Bow Ep 10

 

#বেস্টফ্রেন্ড_যখন_গুন্ডি_বউ
    লেখক✍রাসেল"কালো ভূত
                         ______১০ পর্ব______
     🎤
🎤
রাসেলের এমন কথা শুনে পরী যেই কাজটি করে, সেটার জন্য কেউ মটেও প্রস্তুত ছিলনা,কারন পরী তার হাতে থাকা রাসেলের পরিয়ে দেওয়া আংটি টা রাসেলের মুখের উপরে ছুড়ে মারে,আর চিল্লান দিয়ে  বলে।

পরী:-কুত্তার বাচ্চা তোর মতো লম্পটের কোনো জিনিস আমার কাছে রাখতে চায়না,আর কি বললি তোর জন্য কান্না করবো,হাহাহা হাসালিরে,তোর মতো লম্পটের জন্য এই চোখে কোনো পানি ঝরবে না,এখন তারাতাড়ি আমার চোখের সামনে থেকে দূর হ।

রাসেল আর কোনো কথা না বারিয়ে পরীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরে,চোখ থেকে যেনো অঝোর দ্বারায় পানি ঝরছে,থামার কোনো নাম গন্ধ নেই,পরী কিভাবে পারলো এইসব বলতে,একটি বার সত্য টা যাচাই করেও তো দেখতে পারতো।
রাসেল এইসব ভাবতে ভাবতে বাসাই চলে আসে,ওর বাবা মা রাগী মুড নিয়ে ছোফায় বসে আছে,রাসেল বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই।

রেহানা:-রাসেল কোনদিন ভাবিনি তোর জন্য সমাজের কাছে আমাদের এতোটা ছোট হতে হবে,কেনো করলি এমন ঘরে বউ থাকতে ও।

রায়হান:-হা রাসেল বল,পরী তো আর তোকে কম ভালোবাসতো না,বলতে গেলে ওর জিবনের থেকেও তোকে বেশি ভালোবাসতো।

রাসেল:-বাবা মা একটি বারের জন্য বিশ্বাস করো আমি এইসব কিছুই করিনি,সবটাই আমার বিরুদ্ধে সাজানো নাটক।

রেহানা:-নাটক করেছে বুঝলাম,তাহলে ঐ মেয়ের পরীকে তোর সামনেই ফোনে ঐ সব শিকার করলো কেনো,শোন একটা মেয়ে আর যাই করুক না কেনো নিজের ইজ্জত নিয়ে কখনো এই ধরনের তামাশা করেনা।

রাসেল:-মা তুমি ও আমাকে অবিশ্বাস করলে,আমার লক্ষ্য গুণ বিশ্বাস ছিলো পৃথিবীর সব মানুষ যদি আমাকে অবিশ্বাস করে তার পরেও তুমি আমাকে বিশ্বাস করবে,কিন্তু এই ধারণাটা আমার ভুল।

রেহানা:-বিশ্বাস তাকেই করা যায় যে বিশ্বাস রাখার মতো কাজ করে,আরে বউমার মাঝে কিসের কমতি ছিলো বলতে পারিস।

রাসেল:-মা প্লিজ একটা বারের জন্য বিশ্বাস করো আমি এইসব কিছুই করিনি,ঐ মেয়ের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।

রেহানা:-খরবদার আমাকে মা বলে ডাকবি না,যদি তোর ঐ পাপি মুখে আমাকে মা বলে ডাকিস তাহলে আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো।

রাসেল:-না এটা আপনাদের বাড়ি,আপনেরা কেন চলে যাবেন তারছে বরং আমি নিজেই চলে যাচ্ছি,আর কখনো আপনাদের সামনে আসবোনা নিজকে নির্দোষ প্রমাণ করতে,তবে আপনেরা যেই ভুলপা করলেন সেটা একদিন হারে হারে টের পাবেন,সেদিন হয়তো আমাকে খুব করে ডাকবেন কিন্তু আফসোস সেদিন হয়তো আপনাদের ডাকে শারা দেওয়ার জন্য আমি নামক মানুষটাই এই পৃথিবীর বুকে থাকবো না,ভালো থাকবেন আর পারলে এই পাপী মানুষ টাকে ক্ষমা করে দিয়েন আসি।

রাসেল আর কোনো কথা না বলে,নিজের কাছে থাকা টাকা পয়সা মোবাইল সব কিছু ওর মায়ের সামনে রেখে শূন্য হাতে চলে যায়,রাসেলের চোখে যেনো অশ্রুর ভির জমেছে,রেহানা চৌধুরী যে শান্তি পাচ্ছে তা কিন্তু না,তার চোখে ও পানি আজ নিজের আদরের ছেলেকে এইভাবে কষ্ট দিয়ে,রাসেল হাটতে হাটতে অনেক টা দূরে চলে আসে,কি করবে কিছুই বুঝতে পারেনা সে,অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয়,এই শহরেই থাকবে না চলে যাবে অনেক দূরে যেখানে কেউ খুজে পাবেনা,রাসেল একটা মাল ভর্তি ট্রাকে উঠে বসে পরে,জানেনা ট্রাকটা জাবে কোথায়,এইদিকে পরী ওর ফোন থেকে শিখার ফোনে কল দেয়।

পরী:-শিখা তুই যদি আগে বলতি রাসেল তোর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করেছে তাহলে আমি কখনোই ওকে বিয়ে করতাম না,কেনো আজ আমার জিবন টা এইভাবে নষ্ট করলি।

শিখা:-হাহাহা তোর জিবন আমি নষ্ট করিনি,রাসেল শুধুই আমার,তুই রাসেল কে ডিভোর্স দিয়ে দে আমি ওকে বিয়ে করে আপন করে নিবো।

পরী:-সেই আশা তোর কোনদিন ও পূরণ হবেনা,তুই কি করে ভাবলি আমি ওকে ডিভোর্স দিবো,ওকে তো আমি তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে বুঝাবো আমার সাথে বেঈমানি করার আনজাম কেয়া হোতা হে।

শিখা:-তুই ওকে কোনো কষ্ট দিস না আপু,আমি ওর কোনো কষ্ট সহ্য করতে পারবো না,ওর যদি কোনো কষ্ট হয় তাহলে আমি তোকে ছেড়ে কথা বলবো না।

পরী:-এ আইছে মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি দেখাইতে,দেখে নিবো তোকে।

পরী আর কোনো কথা না বলে ফোনটা কেটে দেয়,চোখের নোনা জল যেনো গড়িয়ে গড়িয়ে গাল বেয়ে পরতেছে।

পরী:-রাসেল কেনো করলি এমন আমি তো তোকে কোন কিছুর কমতি রাখিনি,নিজের চাইতেও তোকে বেশি ভালোবাসি,কেন করলি এমন।

এইসব বলছে আর অঝোর দ্বাড়ায় চোখের জল ফেলছে পরী,সে যেন মানতেই পারছেনা এইসব,এইদিকে শিখার অনেক আনন্দ হচ্ছে,রাসেল কে এখন নিজের করে পাবে বলে।

শিখা:-আহা  কি প্যাচ টাই না লাগাই দিলাম,এখন না থাকবে কোনো বাশ না বাজবে বাশুরী,এখন রাসেল শুধুই আমার,হাহাহা রাসেল কে আমার হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবেনা।

এইদিকে রাসেল ট্রাকে উঠে বসে আছে,ট্রাকটা চলতে শুরু করছে,কোথায় তার গন্তব্য সেইটা অজানা,রাসেল কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে যায়,যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখতে পায় ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে এবং একটু একটু দিনের আলো দেখা যাচ্ছে,রাসেল ধিরে ধিরে ট্রাক থেকে মানুষের অগোচরে নেমে পরে,সেখান থেকে কিছুটা দূরে এসে দেখতে পারে সে এখন চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে আছে,সে তো কিছুই চেনে না কি করবে,হাতে কোনো টাকাও নাই,এইসব ভাবতে ভাবতেই সামনের দিকে পা বাড়াই রাসেল,এইদিকে রাসেলের মা বাবা ভেবেছে রাসেল হয়তো রাতে তাদের কথায় কিছুটা রাগ করে দারোয়ানের রুমে থেকেছে,তাই তারা সেখানে যায় রাসেল কে দেখতে,কিন্তু সেখানে রাসেল নেই তো বাড়ির কোথাও নেই হতাশা যেনো চৌধুরী পরিবার কে ঘিরে ধরে।

রেহানা:-রাসেলের বাবা আমার ছেলে কোথায়,ওকে তো কোথাও দেখতে পারছিনা।

রায়হান:-আমিও তো সেটাই ভাবতাছি,আসলে রাতে ওকে একটু বেশিই বলে ফেলেছি,আর ওতো কোনো টাকা পয়সা বা মোবাইল ও নিয়ে যায়নি এখন কি হবে।

রেহানা:-আমি কিছুই জানিনা তুমি আমার ছেলেকে খুজে এনে দাও।

রায়হান:-আমি ওকে খুজতে পারবো না,তোমার ইচ্ছা থাকে তুমি খুজে আনোগা এই আমি বলে দিলাম।

রেহানা:-ছেলে না হয় একটা ভুল করেই ফেলেছে তার জন্য আমরা এমন করবো,আমরা তো বাবা মা নামের কলঙ্ক।

এইভাবে রেহানা চৌধুরী নানান কথা বলতাছে আর কান্না করতেছে,পরীও রাতে কাদতে কাদতেই ঘুমিয়ে পরেছিলো,সকালে ঘুম ভাঙতেই উঠে ফ্রেস হয়ে ওর মায়ের কাছে যায়।

পরী:-আম্মু আমি মনে হয় রাসেলের সাথে একটু বেশিই করে ফেলছি তাইনা,ও তো অনেক কষ্ট পেয়েছে,আমিতো একটু খোজ নিয়েও দেখতে পারতাম কারণ শিখাকে তো আর রাসেল আগে কখনো দেখেনি তাহলে হটাৎ দুইদিনের চেনা জানাই এটা কিভাবে করতে পারে,তাও এই দুইদিন তো রাসেল আমার সাথেই ছিলো।

পরীর মা:-শোন ওর জন্য এইসব ভেবে কোনো লাভ নেই,ভালো হয়েছে যে আমরা আগেই যেনে গেছি যে ও এতোটা খারাপ।

পরী:-এখন আমি কি করবো বলো,আমি কি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো,যাকে একটা মূহুর্তের জন্য চোখের আড়াল করলেই আমি ভেঙে পরি,আর আজ ওকে ছাড়া কিভাবে থাকতে পারি।

পরীর মা:-তুই কোনো চিন্তা করিস না,আমি উকিলের সাথে কথা বলে দেখছি কি করা যায়।

পরীর উকিলের কথা শুনেই যেনো বুকের মাঝে কেমন করে ওঠে,এমনটা তো হওয়ার কথা ছিলনা তাহলে আজ কেন হলো,এইদিকে দিন পেরিয়ে রাত হয়ে এলো তবুও রাসেল শুধু এখানে ওখানে ঘুরেই যাচ্ছে খাবার জন্য কিছুই করতে পারলো না শুধুমাত্র পথের পাশে পরে থাকা নলকূপের পানি ছাড়া,আজ পা টাও তার সাথে বেঈমানি করতেছে,সারাদিন খাইনি বলে শরীরে শক্তি নেই তার জন্য পা টাও আর সামনের দিকে যাচ্ছে না,এইভাবে অতি কষ্টের মাঝেই কেটে যায় দুইদিন দুই রাত,রাসেল একটা নিরিবিলি জায়গায় বসে চোখের জল ফেলছে,পেটে দানা পানি কিছুই পরেনি,কাজের জন্য অনেক চেষ্টা করেছে শুধুমাত্র তিনবেলা ভাতের বদলে কিন্তু কেউ কাজ দেইনি বা খাবার,চোখ যেনো এই বন্ধ হয়ে আসবে,শেষ বারের মতো ওর মায়ের মুখ টা ভেসে ওঠে,ঠাসসস করে মাটিতে লুটিয়ে পরে রাসেল নিস্তেজ হয়ে যাওয়া দেহ,চোখ দিয়ে অশ্রু এখনো পরতেছে,এই একটা জিনিস আছে যার কখনো খুদা লাগে না।আর হয়তো রাসেল নামক ছেলেটা থাকবে না এই পৃথিবীতে,কেউ আর কখনো ওকে ভুল বুঝে বকা দিতে পারবে না,কি হবে রাসেলের,সে কি আধো আমাদের মাঝে ফিরে আসবে নাকি এভাবেই পরে থাকবে না ফেরার দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা পাওয়ার আগ পযর্ন্ত,,,,,,,,,,

   🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
         - আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম-
         -ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে-
           -সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন-
                  ✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
                       ........চলবে........
    🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,কপি করে নিজের নামে চালাবেন না,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
                               💖💖💖
        🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
                            💖💖💖💖

3 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post