_বোরকাওয়ালি পিচ্চি বউ _আলোক আহমেদ _পার্ট - ৩


 _বোরকাওয়ালি পিচ্চি বউ
_আলোক আহমেদ
 _পার্ট - ৩
|
|
|
ঘরের মধ্যে রাতের আধারে এমন ঘুন ঘুন শব্দ শুনে খানিকটা ভয় লাগতে শুরু করলো ।
কিছু বুজতে পারলাম না ।
সোনিয়ার ঘর থেকে কিসের ঘুন ঘুন শব্দ শোনা যাচ্ছে ।
সাত পাচ না ভেবে ওর ঘরের দিকে পা বাড়ালাম ।
দরজা টা খোলাই ছিলো ।
এমন কি ঘরের বাতি টাও জালানো ছিলো ।
দরজা টা হালকা সরিয়ে ঘরের ভেতরে উকি দিতেই
আমি থ মেরে দাড়িয়ে গেলাম ।
নিজেকে বুদ্ধু বলে গালাগাল দিতে লাগলাম।
ঘরের ভেতরে দুইবোন মিলে নামাজ পড়ছে ।
বাহ খুব সুন্দর লাগছে দুজনকেই ।
দুইটা বোন যেনো একেবারে আসমানের পরির মতো দেখাচ্ছে ।
আমি তাদের দিকে তাকিয়ে এতটা টা অবাক হই যে বুজতে পারিনাই কখন ওদের নামাজ শেষ হয়ে যায় ।
পিচ্চিটা আমার সামনে এসে ধমক দিলে বলল
-- এই এত রাতে আপনি এখানে কি করছেন হুমম( সোনিয়া)
আমি কিছুটা ভ্রুকুচকে জবাব দিলাম
-- না মানে আসলে পানি পিপাসা পেয়েছিলো তাই ঘর থেকে বের হয়ে ঘুন ঘুন শব্দ শুনতে পেলাম আপনার ঘর থেকে তাই দেখতে চলে এলাম । কিন্ত এসে দেখি আপনারা দুই জন ই নামাজ পরছেন তাই অবাক হই (আমি).
-- এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই । তাহাজুতের নামাজ পরছিলাম। (সোনিয়া)
-- এত রাতে (আমি)
-- তাহাজুত্তের নামাজ রাতেই পরে ।(সোনিয়া)
-- ওও (আমি)
(যার কপাল ভালো থাকবে সেই এমন বউ পাবে । আজ কাল এমন মেয়ে পাওয়া খুব কঠিন । আজকালের মেয়েরা রাতে নামাজ না পরে ফেসবুকে ইউটিউবে ভিডিও দেখে । আর আমার হবু বউ টা একদম তাদের থেকে উল্টো । কপাল টা খুব ভালো )
হঠাৎ করে মাজ খান থেকে সূচনা বলে উঠলো ।
-- আপু দুলাভাই তো দেখছি তোমাকে চোখে হারায় । পানির বাহানা দিয়ে সোজা রুমে চলে আসচ্ছে কেউ দেখলে কি ভাবতো বলো তো (সূচনা)
-- এই তুই চুপ কর সব সময় পাকা পাকা কথা বলিস ।
কে কি ভাবলো তাতে কিছু যায় আসে না । আমি জানি ওনার মনার মন কতটা পবিত্র (সোনিয়া)
কথাটা বলেই আমার দিকে মায়াবি দৃষ্টিতে তাকালো । খুব ভালো লাগলো কথাটা শুনে । নিজের অজান্তে মুখের কোনে হাসি ফুটে উঠলো।
দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
হঠাৎ করে সূচনা গলা ছেড়ে কাশি দিলো ।
মনে মনে বললাম
-- কাবাব মে হাড্ডি
তারপর সোনিয়া আমাকে বলল
-- শুনুন একটা কথা বলি আর আশা করি এইকথাটা আপনি রাখবেন । (সোনিয়া)
-- জি বলুন অবশ্যই রাখবো ( আমি)
-- আমাদের বিয়ের আর তো মাত্র দুদিন বাকি আছে তাই আপনাকে এই দুই দিন আমার থেকে দুরে দুরে থাকতে হবে । আমার সাথে কোনো কথা বলতে পারবেন না (সোনিয়া)
একটু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম
-- কেনো (আমি)
-- দেখুন প্রথম দিন যেদিন আপনাকে আমি প্রথম জরিয়ে ধরেছিলাম। সেদিন আমি পাপে লিপ্ত হয়েছিলাম।
কারন একটা নারী বিয়ের আগে কোনো পর পুরুষ এর সামনে বেপর্দায় চললেও তার গুন্নাহ হয় ।
আর আমি তো আপনারকে জরিয়ে ধরেছি কথা বলেছি ।
আসলে সেদিন নিজের আবেগ টাকে সামলাতে পারিনি ।
এত দিন এর ভালোবাসার মানুষটাকে কাছে পেয়ে জরিয়ে না ধরে থাকতে পারি নি ।
কিন্ত সেদিন আবেগ কেটে যাওয়ার পর বুজতে পেরেছি কাজ টা করা ঠিক হয়নি ।
তাই প্রতি রাতে নামাজ পরে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি ।
জানিনা ক্ষমা করবেন না । তবে আমার এই টুকু বিশ্বাস আছে তিনি পরম করুনাময় ও ক্ষমাশিল । তিনি আমাদের দুজনের পাপ নিশ্চয় ক্ষমা করবে ।
কিন্ত প্রতিবার জেনে বুজে ইচ্ছাকৃত ভাবে যদি আমি আপনার সাথে কথা বলি তাহলে ওনি আমাকে কোনোদিন ক্ষমা করবেন না ।
তাই আর যাতে আমাদের দুজনের আমল নামায় কোনো পাপ কাজের গুন্নাহ শামিল না হয় । সে জন্য এই দুইটা দিন আমাদের দুজনকে দুজনের থেকে আলাদা থাকতে হবে । কোনো কথা তো দূরে থাক
আপনার সামনে ও যেতে পারবো না ।
তার মানে এই না যে আমার মনে আপনার জন্য ভালোবাসা নেই । আমার মনে আপনি কতটা জায়গায় ঝুরে আছেন তা আমি আপনাকে বলে বুজাতে পারবো না ।
কিন্ত তার থেকেও বেশি আল্লাহর ভয় আছে । তাই আমাদের দুজনের মঙ্গলের জন্য বলছি । আর মাত্র দুটি রাত আপনাকে আমার চোখের আড়ালে থাকতে হবে । দয়া করে আমার এই ইচ্ছেটা পূরন করুন ।(সোনিয়া)
সোনিয়া কথা গুলো বলে চুপ করে রইলো । মাথা নিচু করে দাড়িয়ে ছিলো ।
আর আমি মনে মনে নিজেকে ধন্য মনে করেছি।
সত্যি কি এসব বাস্তব নাকি কল্পনা দেখছি ।
কতটা ভালোবাসলে একটা মেয়ে তার হবু সামির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারে ।
কতটা ভালোবাসলে একটি মেয়ে এত রাতে নামাজ পরে তার হবু সামির জন্য আল্লাহর দরবার হাত তুলতে পারে ।
হয়তো তার ভালোবাসা বিশালতা আমার থেকেও বেশি ।
আমি কোনো কথা বললাম না শুধু একটু হাসি দিয়ে মাথা নিচু করে বললাম ।
-- আপনি যা বললেন আমি তাই করবো (আমি)
বলেই চলে আসতে চাইলাম তখন সে আবার ডাক দিলো
-- শুনুন (সোনিয়া)
-- পেছন মুখ ঘুরে দাড়িয়েছি কিন্ত তার দিকে তাকায়নি ।
মা নিচু করে বললাম .
-- জি বলুন(আমি)
-- আর একটা কথা ছিলো রাখবেন । (সোনিয়া)
-- হ্যা বলুন না (আমি)
-- আমাদের বিয়েটা ঘরোয়া ভাবে হলে খুব খুশি হতাম । না মানে কোনো অনুষ্টান বা গায়ে হলুদ করানোর দরকার নেই । কারন বিয়েতে গায়ে হলুদ হারাম । আর অনুষ্টান টাও না করানো ভালো কারন সেখানে অনেক মানুষ থাকবে ।
আমি বউ সেজে আপনার পাশে বসে থাকবো হাজার মানুষ আমার রুপ সৌন্দর্য উপভোগ করবে ছবি তোলা হবে ভিডিও করা হবে ।
এই কাজ গুলোর জন্য আমি আরো বেশি পাপের ভাগিদার হবো ।
আমার রুপ সৌন্দর্য একমাত্র আমার স্বামির জন্য তোলা রয়েছে । তিনি ছারা কেউ আমাকে দেখুক তা আমিচাইনা । এত বড় গুন্নাহের ভাগিধার হওয়ার থেকে এই বিয়েটা না হওয়াই ভালো । কারন এই জিবনে আমি আপনাকে না পেলেও আমার তেমন কোনো ক্ষতি হবে না কিন্ত যেগুলো পাপ গুলো হবে সেগুলোর ক্ষমার জন্য পরকালে অনন্ত্য জিবনের জন্য সাযা ভোগ করতে হবে ।
তাই এটা আমার আপনার কাছে একটা অনুরোধ । আশা করি আপনি আমার সব কথা বুজতে পেরেছেন । (সোনিয়া)
কথাগুলো শুনেই চোখের কোনে নোনা জল এর বিন্দু জমা হতে লাগলো ।
এটা কোনো কষ্টের না । এটা হচ্ছে খুশির কান্না। .এখন নিজেকে পৃথিবীর সব থেকে সুখি মানুষ মনে হচ্ছে ।
আমি শুধু মাথা নিচু করে বললাম
-- আপনি যেমন টা চাইবেন ঠিক তেমন টাই হবে । (আমি)
তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম।
খুব খুশি লাগছে এখন নিজেকে ।
ওর ঘরের দরজার সামনে দাড়িয়ে চোখের জল মুচ্ছিলাম এমন সময় ওদের দুজনের কথা স্পষ্ট শুনতে পেলাম ।
.-- আপু সত্যি তুমি খুব লাকি । যে ওনি তোমাকে এত টা ভালোবাসে । (সূচনা )
-- ওনার থেকেও বেশি আমি ভালোবাসি ওনাকে কিন্ত বিয়ের আগের ঠিক না আমি কোনোদিন ওনাকে নিজের ভালোবাসা বুজতে দেইনি ।
এখন হয়তো ওনার একটু কষ্ট হবে কিন্ত এতে আমাদের দুজনের মঙ্গল । (সোনিয়া)
-- দুর কিসের কষ্ট বরং ওনি খুশি হয়েছেন ।
-- হমমম তাই (সোনিয়া)
-- যা এখন ঘুমিয়ে পর সকালে আবার স্কুল আছে না । (সোনিয়া).
-- আছে ..এখন আর স্কুলে যেতে ভালো লাগে না (সূচনা)
-- কেনো (সোনিয়া)
-- তোমাদের দুজন এর ভালোবাসা দেখে আমার ও বিয়ে করতে ইচ্ছে হচ্ছে (সুচনা)
-- চুপ বেশি পাকা হয়ে গেছিস তাইনা । মারবো এক থাপ্পর । দাড়া কালকে আব্বুর কাছে বিচার দিচ্ছি । (সোনিয়া)
-- এই না না আপু আমি তো মজা করলাম।
তুমি সিরিয়াসলি নিচ্ছে কেনো হিহিহি (সূচনা)
-- হু বুজি চলেক এবার একটু ঘুমাই ভোরে আবার উঠতে হবে তো । (সোনিয়া)
তারপর তাদের কথা বলা বন্ধ হয়ে গেলো ।
আর আমি ও মনে মনে সিধান্ত নিলমা ।
কখনো কোনোদিন একে কষ্ট দিবো না ।
তাহলে হয়তো আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন ।
দুইটাই পাগলি ।
বলেই হাসতে হাসতে চলে এলাম সেখান থেকে নিজের রুমে ।
সব পানি পিপাসা মিটে গেছে । এখন শুধু ভাবছি । কবে ওই পিচ্চিটাকে আমার বুকে পাবো ।
এখন এই দুইটা দিন আমার কাছে দুই বছরের সময়ের মতো লাগছে ।
ওর সাথে এখন কথা না বলা থাকতে পারছি না । ইচ্ছে হচ্ছে খুব ওর হাত ধরে বসে বসে সারারাত গল্প করতে ।
কিন্ত কি আর করার পাগলিটার ইচ্ছেটা পুরন করতেই হবে । রাজ কপাল নিয়ে জন্ম আমার তাইতো ওর মতো একটি পাগলি কে আপন করে পেতে যাচ্ছি ।
এখন তো আমার অনেক কাজ বাকি রয়েছে ।
আম্মুকে বিয়ের অনুষ্টানের কথা বারন করতে হবে । সকালে এখান থেকে চলেও যেতে হবে । কারন পাগলিটার সামনে থাকলে আমি কথা না বলে থাকতে পারবো না ।
বিছানায় গা হেলান দিয়ে শুয়ে ভাবছিলাম নিজের ভবিষ্যৎ জিবনসঙ্গীনির কথা ।
এখন হয়তো ঘুমাচ্ছে ।
খুব ইচ্ছে করছে ওর ঘুমন্ত মুখ টা দেখতে । জেগে থাকলে এত মায়াবি লাগে প্রতিবার ওর প্রেমে পড়ে যাই ।
আর রাগলে তো কথাই নাই গাল গুলো লাল টমোটের মতো হয়ে থাকে । বলে বুজাতে পারবো না কি অপুরুপ লাগে । তখন ।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলাম বুজতেই পারলাম না ।
হঠাৎ আম্মুর গলার আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে গেলো বুজতে বাকি রইলো না যে সকাল হয়ে গেছে ।
আম্মু বলল
-- মরার মতো ঘুমাস নাকি এত ডাকছি শুনতে পাস না উঠ বলছি । হবু শুশুর বাড়ি তে এসে এত ঘুমাস । লোকে কি বলবে (আম্মু)
আমি উঠে বসলাম আর আম্মুর হাত ধরে আমার পাশে বসালাম আর বললাম ।
-- আম্মুর তোমার সাথে আমার কিছু ছিলো ।
-- হ্যা সব জানি আর কিছু বলতে হবে না (আম্মু)
-- মানে তুমি কি করে জানো (আমি)
-- তোর হবুও বউ আমাকে সব কিছু খুলে বলেছে । আর আমি এটা জানি যে ওর থেকে বেশি ভালো তোকে আর কেউ বাসতে পারবে না রে বাবা । একটা মেয়ের মোনাজাতে থাকতে পারাটা যে কতটা সৌভাগ্যের তা তুই কোনোদিন বুজবি না (আম্মু)
আর কিছু বললাম না । চুপ করে রইলাম ।
খুব সুখি মনে হচ্ছে নিজেকে । মনে হয় আমার জিবন এখন পূর্নতা পেয়েছে ।
-- আচ্ছা শোন তুই শহরে যা আর বৌমার জন্য কিছু গয়না গাটি কিনে নিয়ে আয় । (আম্মু)
-- আচ্ছা (আমি)
তারপর আম্মু চলে গেলেন । আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম । আম্মু এসে ঘরে নাস্তা দিয়ে গেলো ।
তারপর খেয়ে দেয়ে আম্মু আর আংকেল আন্টির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পরলাম । শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ।
এর মাজে দুই বোনের থেকে একজন কেউ দেখিনি । হয়তো পরিবারের সবাই সম্মতি দিয়েছে । খুব ভালো হয়েছে । এমন মেয়ে যদি প্রতিটা পরিবারে হতো ।
তাহলে আজ প্রতিটা বাবা মা তাদের সন্তানদের নিয়ে গর্ব করতে পারতেন ।
এখন আপন মনে গাড়ি চালাচ্ছি । তবুও বার বার পিচ্চিটার কথা মনে পরছে ।
দুটো দিন ওকে না দেখে থাকতে পারাটা এখন আমার কাছে পাহার সমান কষ্ট মনে হচ্ছে । বুকের ভেতর হা হা কার উঠে গেছে ।
হঠাৎ করে পকেটে রাখা ফোনটা টুংকরে বেজে উঠলো ।
মেসেজ আসচ্ছে কিন্ত কে দিলো বুজতে পারলাম না ।
আম্মু তো কোনোদিন মেসেজ দেয়না । ডিরেক্ট ফোন দেয় ।
তাই আর কিছু না ভেবে গাড়িটা এক সাইটে দাড় করালাম ।
তারপর পকেট থেকে ফোন টা বের করলাম। .
মেসেজ টা দেখে আমার মন যেনো খুশিতে নাচতে শুরু করলো ।
কারন মেসেজ টা পিচ্চিটার ছিলো ।
লিখেছে
-- সাবধানে যাবেন । একদম জোরে গাড়ি চালাবেন না । ঠিক সময় মতো খেয়ে নিবেন ।
আপনার জন্য আজ থেকে আপনার নন আমি ও না খেয়ে থাকবো । যতক্ষন না জানতে পারবো আপনি খেয়েছেন কিনা ততক্ষন আমি ও কিছু খাবো না বলে দিলাম। .
আর হ্যা রাস্তায় মেয়েদের দিকে একদম তাকাবেন না । তাহলে আপনাকে আর বিয়ে করবো না । কারন আমি চাইনা আপনার ভালোবাসার ভাগ কাউতে দিতে ওটা শুধু আমার জন্য তুলে রাখবেন ।
নিজের খেয়াল রাখবেন আল্লাহ হাফেজ ।
মেসেজটা পরে দুচোখের কোনে জল জমে গেলো । এত সুখ কপালে সইবে তো ।
সত্যি একটা পাগলি ।
.
মেসেজ এর রিপ্লে দিতে গিয়ে ভাবলাম .. রিপ্লে টা দেওয়া কি ঠিক হবে নাকি ।
চিন্তায় পড়ে গেলাম ও তো বলেছিলো কোনো কথা না বলতে ।
ভাবছি কি করা যায় এমন সময় মাথায় একটা বুদ্ধি এলো । এর জন্য ওকে কিছু গিফট দিবো ।
.তবে সেটা বাসর রাতে ।
বলেই গাড়ি স্টার্ট দিলাম ।
গাড়ি চলেছে আপন গড়িতে ।
আর আমার মনে মধ্যে পিচ্ছিটা জন্য টান বেড়েই চলেছে ।
ইচ্ছে হচ্ছে এখুনি দৌড়ে ওর কাছে চলে যাই ।.
চলবে.
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post