লেখক✍রাসেল"কালো ভূত
______৯ পর্ব______
🎤
🎤
দরজার কাছ থেকে কেউ একজন বলে ওঠে,যেটা দেখার জন্য সবাই পিছনে মুরে তাকায়।
পরীর বাবা:-কি বেপার পরীর মা তুমি রাসেল কে ভালো খাবার দাওনি কেনো হুম,রাসেল তো কিছুই খাচ্ছে না,মনে হয় খাবার গুলো ভালো হয়নি।
পরীর মা:-আমিতো সব কিছু ভালো করেই তৈরি করেছি,আর রাসেল তো একটু একটু করে খাচ্ছে তুমি কি চোখে আজ কাল কম দেখতে শুরু করেছ নাকি।
পরীর বাবা:-দেখো আমার একমাত্র মেয়ের জামাই রাসেল,ওর খাবারের যেনো কোনো ক্রটি না হয়।
এইদিকে রাসেল তো পরীর বাবার কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে,তার শাশুড়ি মা এতো কষ্ট করে কতো রকমের খাবার বানিয়েছে তাও নাকি খাবার কম আর ভালো মনে হচ্ছে না।
রাসেল:-বাবা আমি তো খাচ্ছি আর খাবার গুলো অনেক স্বাদ ও ভালো হয়েছে,বলতেই হবে আম্মার হাতে জাদু আছে।
পরীর বাবা:-মিথ্যে কেনো বলো হুম,যদি ভালো হয়ে থাকে তাহলে তুমি সবগুলো খাবার খাচ্ছ না কেনো।
রাসেল:-বাবা আমি তো খাচ্ছি,এইসব গুলো খাবার খেলেতো আমার রুমে যাওয়ার পরিবর্তে হসপিটালে যেতে হবে।
পরীর বাবা:-সেটা বললে তো হবেনা বাবা তোমাকে এইসব খেতে হবে,আমার একমাত্র মেয়ের জামাই বলে কথা,এই পরী বড় মাছের মুড়াটা রাসেলের প্লেটে দে তো।
পরী:-আচ্ছা বাবা দিচ্ছি,তুমি কোনো চিন্তা করিওনা।
রাসেল:-আমি তো একটা খাচ্ছি,এটা না হয় আব্বুর জন্য রেখে দাও,আমি আর খাবোনা,আমার খাওয়া হয়ে গেছে।
পরীর বাবা:-সে কি বাবা মাছটা কি ছোট মনে হচ্ছে নাকি বলো,কতো ঘুরে ঘুরে তোমার জন্য এই মাছের টা নিয়ে এসেছি।
রাসেল:-বাবা এই মাছটা যদি ছোট বলেন তাহলে,বড় মাছ কোনটা কে বলবেন সেইটা জানতে চাওয়া অবুঝ মন আমার।
এইভাবে আরো অনেক কথা বলে হাসি ঠাট্টার মাঝে দিয়েই খাবার পর্ব শেষ করে,ছোফায় বসে সবাই এটা ওটা নিয়ে গল্প করে,রাতে রাসেল বিছানায় খাটের সাথে বালিশ দিয়ে আধো শোয়ার মতো করে শুয়ে আছে,আর পরী আয়নার সামনে বসে কি যেনো করতেছে,আর রাসেলের ফোন টা দিয়ে এটা ওটা করতেছে,এমন সময় রাসেলের ফোনে একটা এসএমএস আসে,পরী ঠাস করে ম্যাসেজ টা দেখে,আর দেখেই তো পরীর মনে আমাবর্ষার রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে,তাহলে চলেন জেনে আসি কি ছিলো সেই ম্যাসেজ টাই,আসলে ম্যাসেজ টা করেছে শিখা,আর ম্যাসেজে লেখা ছিলো।
শিখা:-কি হলো জান,তোমার না আজকে আমার সাথে হোটেলে দেখা করার কথা ছিলো,তার জন্য আমি পরী কে না বলে শুধু খালামনি কে বলে চলে আসলাম,কেনো আসলেনা আমার বাগানের ফুলে তো অনেক মধু জমে আছে,তোমাকে আজকে মধু খাওয়াতাম,আচ্ছা কোনো বেপার না জানি তুমি পরী শাকচুন্নির জন্য আসতে পারোনি,তবে কালকে কিন্তু আসবে এই আমি বলে দিলাম,তোমার ছোঁয়া পেতে শরীরটা আনচান করতেছে শুধু,আর হ্যা পরী যেনো বুঝতে না পারে তুমি ওর অগোচরে আমার সাথে প্রেমোলিলাই লিপ্ত।
ভাইরে ভাই পুরো ম্যাসেজ টা পড়ে পরীর চোখ দিয়ে বৃষ্টির পানির মতো অঝোর দারাই পানি পরতে থাকে,যেটা রাসেলের চোখ এড়াতে পারে না।
রাসেল:-কি বেপার পরী তুমি এইভাবে কান্না করতেছো কেনো হুম,কি হলো তোমার।
পরী:-তুমি আমার সাথে এমন করবে কোনদিন কল্পনা ও করতে পারিনি,কি কমতি ছিলো আমার মাঝে যে তুমি প্রেমোলিলাই জড়িয়ে গেছো,বলো আমাকে বলো।
রাসেল:-কি বলছো এইসব আর আমি কার সাথে প্রেম করতে গেলাম শুনি,শুধু মিথ্যা অপবাদ কেনো দিচ্ছ।
পরী:-চুপ চুপ একদম চুপ,মিথ্যা বলে কি হবে,তুই শিখার সাথে প্রেম করোস আগে বললেই আমি এই বিয়েটা হতে দিতাম না,কেনো দুইটা জিবন নষ্ট করলি।
রাসেল:-কি বলছো এইসব,আমি কেনো শিখার সাথে প্রেম করতে যাবো,আমার কি খাইয়া দাইয়া কোনো কাজ নাই নাকি।
রাসেল কথা শুনে পরীর অনেক রাগ ওঠে যেটা পরীর পক্ষে কন্ট্রোল করা সম্ভব হয়না,ঠাসসসস করে রাসেলের গালে লাগিয়ে দেয়,রাসেল অবাক হয়ে গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,আজকে রাসেলের চোখে পানি,পরী বলতে থাকে।
পরী:-কুত্তার বাচ্চা তুই কেনো এমন করলি,আমার কি কোনো কিছুর কমতি ছিলো,নাকি তোকে পুরো পুরি শুখ দিতে পারতাম না বল।
রাসেল:-পরী অনেক বলেছো এইবার থামো,যদি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিতে চাও তাহলে সোজা সুজি দিলেই হতো,এইভাবে নানার ভাবে কথা বলে সময় নষ্ট করে কি লাভ।
পরী:-আরে তোকে আর কি বলবোরে,তুইতো একটা কাল সাপ,তোকে সেই ছোট বেলা থেকে ভালোবাসি,আর তুই কিনা সামান্য একটা মেয়ের জন্য আমার সাথে এমন করলি।
রাসেল:-দেখো তুমি এমনিতেই আমার উপরে দোষারোপ করতে পারো না,কিসের ভিত্তিতে এইসব বলতেছো।
পরী রাসেল কে আবারও ঠাসসস ঠাসসসস করে দুইটা থাপ্পড় দিয়ে,রাগী কণ্ঠে বলে।
পরী:-কুত্তার বাচ্চা এইসব শুনে ও বুঝতে পারছিস না আমি এমনি এমনি তো আর বলতেছিনা,তোর প্রমাণ চাই তাই না,এই দেখ তোর মাসুকার সাথে হোটেল যেতে চেয়েছিলি,সেইটা দেখ।
রাসেলের দিকে ফোন টা এগিয়ে দিয়ে রাগী গলায় বলে উপরের কথাগুলো পরী,রাসেলের ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছে,সেইদিকে পরীর কোনো খেয়াল নেই,রাসেলের অনেক কষ্ট হচ্ছে,চোখ দিয়ে যেনো অঝোর দ্বারাই শ্রাবণের বৃষ্টি হচ্ছে,রাসেল কষ্টে সাথে ম্যাসেজ টা পড়ে পুরাই অবাক হয়ে যায়,এমনটা সে কখনো কল্পনাও করতে পারেনি।
রাসেল:-পরী দেখো এইসব মিথ্যে আমি তোমার বোন কে কখনো এমন কথা বা ফোন করিনি।
পরী:-যদি তুই না করে থাকিস তাহলে শিখা এইসব কেনো বললো হুম।
রাসেল:-আমি ওইসব কিছুই জানিনা,তুমি আমাকে বিশ্বাস করো,আমি এইসব কিছু করিনে,আমার সাথে মনে হয় তোমার বোন মিথ্যা গেইম খেলার চেষ্টা করতেছে।
পরী:-আরে বিশ্বাস তো তাকে করা যায় যে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারে,তোর মতো নিমকহারামিকে বিশ্বাস করে আর নিজকে ঠকাতে চাইনা।
রাসেল:-প্লিজ পরি বোঝার চেষ্টা করো আমি এইসব কিছুই করিনি,তোমার বোন কে ফোন দিয়ে শুনতে পারো তুমি।
রাসেলের এমন কথা শুনে পরী আরো উত্তেজিত হয়ে যায়,জোরে জোরে কথা বলতে শুরু করে যার জন্য পরীর মা বাবা দুজনেই দৌড়ে চলে আসে,আর পরীকে জিগ্গেস করে।
পরীর মা:-পরী এইভাবে চিৎকার করতেছিস কেনো,আর রাসেলের ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছে কেনো।
পরী তখন সম্পূর্ণ ঘটনা ওর বাবা মাকে খুলে বলে,যেটা শুনে দুজনি অনেক টাই রেগে যায়,আর পরীর বাবা রাসেলের গালে ঠাসসসসস ঠাসসসস করে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়।
পরীর বাবা:-তোকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবেসে ছিলাম আর তুই তার এই প্রতিদান দিলি,ছি তুই কি করে এইরকম পরকিয়ার তো জঘন্য কাজ করতে পারলি।
রাসেল:-বাবা বিশ্বাস করেন আমি এইসব কিছুই করিনি,সবটাই শিখার সাজানো নাটক।
পরীর মা রাসেলের গালে ঠাস করে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়,এমনিতেই ঠোঁট কেটে রক্ত পরছিলো,আর এখন মনে হচ্ছে রক্ত কোনো বাধা মানছে না,খুব কষ্ট হচ্ছে রাসেলের।
পরীর মা:-চুপ কর লম্পট,তুর মুখ দেখতে ও আমার ঘৃণা লাগছে,একটা মেয়ে কেনো তোর সাথে নাটক করার জন্য তার দামি জিনিস ইজ্জতের ফালুদা করতে যাবে।
রাসেল:-আপনেরা শিখাকে ফোন করে জেনে নেন,তাহলে আপনাদের ভুল ধারনাটা ভেঙে যাবে।
পরীর বাবা:-দারা তোর এই ইচ্ছা টাকে পূরণ করতেছি,পরী ওর ফোন থেকে শিখিকে কল দেতো।
পরী:-ঠিক আছে বাবা আমি এখনি দিতাছি।
পরী রাসেলের ফোন থেকে শিখাকে ফোন দেয়,শিখা মনে হয় ফোনটার জন্যই অপেক্ষা করতেছিলো,দেওয়া মাত্রই রিসিভ করে।
শিখা:-হালো জানু,এতো সময় পরে আমার কথা মনে হলো,তুমি জানো আমি সেই কখন থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করতেছি।
এইসব শুনে সবার চোখ তো কপালে আর রাসেলের চোখ তো বেড়িয়ে আসার মতো অবস্থা।
রাসেল:-এই আপনে এইসব কি বলছেন,আপনার সাথে আমি কখন কথা বলছি।
শিখা:-জান এইভাবে বলোনা প্লিজ,সেইদিন আমার সাথে শুয়ে বললে আমি নাকি অনেক মজার জিনিস,তাইতো ভালোবাসার পরীক্ষা দিতে আবার শুতে চেয়েছিলে,আমি তোমার জন্য ইজ্জত কেনো নিজের জিবনটাকে বিলিয়ে দিতেও একবার ভাববো না।
এইকথা শুনেই পরী ঠাসসসসস করে ফোন টা ফ্লোরে আচার দিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে,বেচারা রাসেল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,কিছুই বলার নেই সে যে মিথ্যার জালে পেছিয়ে গেছে,বেড় হবার রাস্তা খুজে বের করা অনেক কঠিন।
পরী:-ঐ ফকিন্নির বাচ্চা এখন কি বলবি সব টাই শিখার সাজানো নাটক,কি মনে করেছিস,একটা গাছে চরেই তুই সব গাছের ফল খাবি আর কেউ কিছুই বুঝতে পারবে না।
পরীর বাবা:-ছি রাসেল ছি তুই এমন সেটা আমি কখনো ভাবতেও পারিনি।
পরীর মা:-পরীর বাবা ওকে পুলিশে দাও,আমার মেয়ের সাথে এমন জঘন্যতম নাটক করে পরীর জীবন নষ্ট করার জন্য।
পরী:-বাবা আমি এই কুত্তার বাচ্চার থেকে মুক্তি চাই,আমি ওর সাথে একটা মূহুর্তের জন্য ও থাকতে পারবো না,এই বের হ আমার বাড়ি থেকে,না হলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো।
রাসেল জানে আর কিছু বলে লাভ নেই,কেউ কিছুই বিশ্বাস করবেনা,ও যেটা করুক না কেনো সেটা ওর বিপরীতেই যাবে।
রাসেল:-আমি চলে যাবো,কিন্তু এখন তো রাত,বাসাই গেলে বাবা মা অনেক কষ্ট পাবে,তাই আমাকে একটু আজকে রাত তা থাকতে দিন সকাল হওয়ার আগেই চলে যাবো।
পরী:-না আমার বাড়িতে তোর মতো লম্পটের কোনো জায়গা নেই,চল ফটাফট বের হ।
রাসেল:-দয়াকরেন আমি কথা দিচ্ছি সকালে আমার মুখ দেখার আগেই আমি চলে যাবো।
পরীর মা:-আচ্ছা গিয়ে স্টোর রুমে শুয়ে পর,আর ভুলে ও আমাদের বাড়িতে আসার চেষ্টা করবিনা এই আমি বলে দিলাম,বেশি বিশ্বাস করেছিলাম জার জন্য এমন প্রতিদান পেলাম।
রাসেল:- ধন্যবাদ আমাকে স্টোর রুমে হলেও থাকার সুযোগ দেওয়ার জন্য,আর পরী ম্যাডাম আজকে যেই কারণে আমার সাথে এমন করলে,একদিন এটার জন্য আফসোস করবে,সেদিন ফিরে পাবেনা,জানতে পারবে আমি নির্দোষ,কিন্তু সেদিন আর আমাকে কাছে পাবে না,ভালো থেকো,আর বাবা মা পারলে ক্ষমা করে দিয়েন।
রাসেলের এমন কথা শুনে পরী যেই কাজটি করে সেটার জন্য কেউ মটেও প্রস্তুত ছিলনা,কারন পরী তার,,,,,,,,
🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺
- আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম-
-ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে-
-সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন-
✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍
........চলবে........
🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,কপি করে নিজের নামে চালাবেন না,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺
🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺
🇧🇩বি.দ্র.প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেই গল্পের নতুন পর্ব পেয়ে যাবেন 🇧🇩
Plz next. Part🙃
ReplyDelete