গল্পঃ বেস্টফ্রেন্ড যখন গুন্ডি বউ পর্ব ৮ | Best Friend Jokhon Gundi Bow Ep 8

 


#বেস্টফ্রেন্ড_যখন_গুন্ডি_বউ

    লেখক✍রাসেল"কালো ভূত

                                  ______৮ পর্ব______

     🎤

🎤

ভেজা চুলের পানি রাসেলের চোখে দিতেই রাসেলের ঘুম ভেঙে যায়,রাসেল চোখ মেলেই দেখতে পায় পরী রাসেলের কাছে দাঁড়িয়ে চুলের পানি দিয়ে ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করছে,রাসেল পরীকে একটা টানে ওর উপরে নিয়ে নেয়,পরী তাল সামলাতে না পেরে সোজা রাসেলের বুকের উপরে পরে যায়।


পরী:-এই ফাজিল কি হচ্ছে এটা হুম,রাতে তো শান্তিতে একটু ও ঘুমাতে দাওনি,আবার এখন শুরু করেছো,ওঠো বলছি বেলা অনেক হয়েছে।


রাসেল:-সকালে এইরকম সেজেগুজে যদি কোনো বউ তার স্বামীর ঘুম ভাঙাতে আসে তাহলে স্বামীর কি অবস্থা হয় তুমি জানো।


পরী:-এতো কিছু জানতে হবে না আর একদম দুষ্টুমি করার চিন্তা মাথায় আনবেনা বলে দিলাম,এখন লক্ষি ছেলের মতো ফটাফট ঘুম থেকে ওঠো।


রাসেল পরীকে আর কিছু না বলতে দিয়েই পরীর ঠোঁট জোরা ওর দখলে নিয়ে নেয়,পরীও রেস্পন্স করতে শুরু করে,এ যেনো এক অন্য রকম অনূভুতি,পরীর ঠোঁটে এ যেনো মধু আছে,দুজনে খুব আদরের সাথে একে অন্যের ঠোঁট থেকে মধু একটু একটু করে চুষে খাচ্ছে,পাক্কা দশ মিনিট পরে রাসেল পরীকে ছেড়ে দিয়ে আবারও টান দিয়ে কিছ করতে শুরু করে,পরী ছোটার জন্য ছুটাছুটি করছে কিন্তু পারছেনা,কিছু সময় পরে রাসেল এমনিতেই ছেড়ে দেয়,দুজনেই হাপাচ্ছে।


পরী:-এই তুমি কে আমাকে মেরে ফেলার প্লান করতেছো নাকি হুম,আর একটু হলেই তো আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল।


রাসেল:-হাহাহা এই আসোনা এই দিকে তোমার ঐ চুলের একটু মিষ্টি মাতাল করা বাসনা নেয়।


পরী:-দেখো একদম বাজে চিন্তা মাথায় আনবেনা বলে দিলাম,এখন উঠে পরো সবাই সেই কখন উঠেছে।


রাসেল পরীকে আবার ও বাহুডোরে জড়িয়ে নিয়ে কিছ করার জন্য যেইনা ঠোঁট পরীর ঠোঁটের কাছে নিয়ে আসে,অমনি পরী অতি চালাকির সাথে বলে ওঠে।


পরী:-আম্মু তুমি কখন আসলে একটু বলে আসলেই তো হতো।


রাসেল পরীর মুখে আম্মু কথাটা শুনেই ঠাসসস করে পরীকে ছেড়ে দেয়,আর পরী বেচারি তো এক দৌড়ে আয়নার সামনে এসে চুল ঠিক করতে বসে,রাসেল বিছানা থেকে উঠে।


রাসেল:-আমার সাথে বাটপারি তাইনা,এর মজা দেখাবোনি জানু,শুধু সময় টা আসতে দাও।


পরী:-হাহাহা দেখা যাবে তুমি কি করতে পারো,আমি সেই অপেক্ষায় কিন্তু রইলাম প্রাণের স্বামী।


রাসেল আস্তে আস্তে পরীর কাছে এসে পিছন থেকে পরীর গারে চুমু দেয় পরী রাসেলের স্পর্শ পেয়ে কেপে ওঠে,রাসেল পরীর লম্বা চুলের মাঝে মুখগুজে নাক দিয়ে মিষ্টি সুভাষ নিতে থাকে,একটু পরে রাসেল পরীকে ছেড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।


পরী:-পাগল একটা সারাখণ শুধু রোমান্টিক মুড নিয়েই থাকে,বুঝিনা এতো রোমান্স আসে কোথায় থেকে।


রাসেল পরীর কথা গুলো ওয়াশরুম থেকে শুনতে পায় আর বলে।


রাসেল:-জান পাখি রোমান্স কোথায় থেকে আসে সেইটা কি তুমি দেখতে চাও নাকি বলো।


রাসেলের কথা শুনে পরী পিছনে ফিরে দেখে রাসেল ওয়াশরুমের দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে উপরের কথা গুলো বলছে।


পরী:-না একদম না তুমি ফ্রেস না হয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেনো শুনি।


রাসেল:-যার ঘরে এতো সুন্দরী বউ থাকে তার কি অন্য কাজে মন বসে বলো।


পরী আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই রেহানা চৌধুরী দরজাই এসে পরীকে ডাকে,আর সেটা শূপে রাসেল ওয়াশরুমের দরজা লাগিয়ে দেয়,পরী গিয়ে দরজা খুলে দেয়।


রেহানা:-কিরে মা ঘুম কি ভাঙলো নাকি আরো ঘুমাতে হবে হুম।


পরী:-আর বলিও না আম্মু ঘুম তো সেই কখন ভেঙেছে তোমার পাগল ছেলেই তো ঘুম থেকে উঠতেই চাইনা,তুমি অভ্যাস করেছো বারোটা পযর্ন্ত ঘুমানোর এখন সকালে কিভাবে উঠবে তাইনা।


রেহানা:-আর বলিস না ও এইরকমি,আর তুই তো রোজ ওর ঘুম ভাঙাতি তাই সেটা তুই ভালো জানিস,আর এইগুলা পরে রেডি হয়ে নিচে আই কেমন।


রেহানা চৌধুরী পরীর হাতে কিছু শাড়ি গহনা ও অন্য অন্য জিনিস দিয়ে উপরের কথাগুলো বললো।


পরী:-ঠিক আছে আম্মু আমি এখনি পরে আসতাছি তুমি কোনো চিন্তাই করিও না।


রেহানা:-ওকে তাহলে তারাতারি আই বাইরে অনেক মানুষ বুঝলি।


রেহানা চৌধুরী উপরের কথাগুলো বলেই নিচে চলে যায়,পরী সব গুলো শাড়ির ভিতর থেকে একটা শাড়ি পছন্দ করে পরে নেয়,সাথে মেছিং করা সব কিছু,একদম দেখতে যেনো পরীর মতোই লাগতেছে,এই অবস্থায় পরীকে কোনো কবি দেখতো,তাহলে অনায়াসে হাজারো কবিতা লিখে ফেলতো,আর যেই ছেলে দেখবে সেই ক্রাশ খেতে বাধ্য,রাসেল ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েই পরীকে দেখে হা করে তাকিয়ে থাকে।


রাসেল:-আমার রুমে পরী কিভাবে আসলো।


পরী রাসেলের কথা শুনে একটু লজ্জায় পায়,আর লজ্জা ভরা কণ্ঠে বলে।


পরী:-পরী কোথা থেকে আসবে আমি তোমার বউ তুমি দেখছো না।


রাসেল:-খুব সুন্দর লাগছে এই শাড়িতে,মনে হচ্ছে এখন একটু রোমান্টিক মুডে ফিরে আসি।


পরী:-এই না না একদম না এখন রোমান্স করলে আমার সাজুগুজু নষ্ট হয়ে যাবে,অনেক কষ্ট করে সেজেছি।


রাসেল:-আচ্ছা ঠিক আছে আমার জানপাখি কষ্ট করেছে তাই আর কিছু করলাম না।


এইভাবে আরো কিছু কথা বলে রাসেল ও রেডি হয়ে পরী কে সাথে নিয়ে হাতে হাত রেখে নিচে নামতে থাকে,এদের দিকে একজোড়া চোখ রাগী দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে,যেনো এখনি খেয়ে ফেলবে,সবাই অনেক প্রশংসা করতেছে,দুইজন কে অনেক সুন্দর মানিয়েছে,পরী গিয়ে ওর শশুর শাশুড়ির পায়ে ধরে সালাম করে,রায়হান চৌধুরী পরীকে একটা হিরা দিয়ে কাজ করা নেকলেস পরিয়ে দেই,পরী অনেক খুশি শশুরের থেকে এমন উপহার পেয়ে।


রায়হান:-মা দেখতো কেমন হয়েছে,আমি কিন্তু আবার তেমন ভালো পছন্দ করতে পারিনা।


পরী:-হাহাহা বাবা পছন্দ করতে পারনা তাই যতটা সুন্দর আর পছন্দ করতে পারলে না জানি কেমন হতো।


রায়হান:-হাহাহা হয়েছে আর বলতে হবে না,তা তোর কোনো খারাপ লাগছে না তো আমার এই ছোট্ট বাড়িতে।


পরী:-না আমার খুবই ভালো লাগতেছে এই রাজপাশাদে,এতো বড়ো বাড়ি আমি এখনো ঘুরে দেখে শেষ করতে পারিনি আর তুমি বলছো ছোট্ট বাড়ি।


রেহানা:-এইভাবে কথা বললেই কি হবে নাকি ওদের নাস্তা করতে দিতে হবে।


শিখা:-যেই নাস্তা পাইতাছে তাহলে আবার নাস্তা খেতে হবে কেনো,ঢং দেখলেই গা জ্বলে যায়,পরী মজা করেনে পরে কিন্তু আর মজা করতে পারবি না,মনে মনে।


সবাই একসাথে বসে নাস্তা করে নেয়,

এভাবে আরো অনেক কথা হয় তাদের মাঝে,ময়ের চাকা পরিবর্তন হতে হতে দিনটাই শেষ হতে থাকে,

রাসেল ও পরীকে ওর বাড়িতে নিয়ে যায় সবাই,কেননা বিয়ের পরের দিন নাকি মেয়ের বাড়িতে যেতে হয়।


পরীর মা:-মা পরী তুই রাসেল কে নিয়ে তোর রুমে যা,আমি বরং তোদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করি কেমন।


পরী:-আচ্ছা আম্মু ঠিক আছে তুমি যাও,এইযে মিস্টার স্বামী চলো রুমে।


রাসেল:-হুম চলো কিন্তু আমি তো তোমার রুম চিনিনা।


পরী:-এ বলে কি আমার রুম নাকি চেনেনা,ঐ চলো তো একদম দুষ্টুমি না বুঝলে।


রাসেল আর পরীর এমন ভালোবাসা দেখে শিখার যেনো গা রাগে পুরে যাচ্ছে, সহ্য হচ্ছে না এইসব,শিখা শুধু রাসেল কে তার জিবনেই চাই অন্য কারো সাথেই কখনোই সহ্য করতে পারেনা।

এইসব ভাবতেছে ঠিক তখনই শিখার ফোনে একটা কল আসে,কলটা রিসিভ করতেই যা শুনতে পায় সেটাতে আরো মন খারাপ হয়ে যায়,কেননা শিখাকে আজকেই বাসাই যেতে হবে কি একটা জরুরি কাজে,এখন সে কি করবে কিছুই ভেবে পায়না,অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয় বাসাই যাবে তবে কিছু দিন পরে আবার আসবে ততদিন পরী ইনজয় করেনিক,এইসব ভাবতে ভাবতে শিখা ওর আন্টির কাছে আসে।


পরীর মা:-কি শিখা কিছু কি বলবি আর তোর মুখটা এতো শুকনো কেনো লাগতেছে হুম।


শিখা:-শুকনো লাগবে নাইবা কেনো,তোমাদের ছেড়ে যে আজকেই আমাকে বাসাই যেতে হবে,আম্মু ফোন করে বললো একটা জরুরি কাজ পরে গেছে।


পরীর মা:-কি বলিস এখনি চলে যাবি নাকি।


শিখা:.হুম এখনি চলে যাবো।


পরীর মা:-আচ্ছা খেয়ে তারপর পরীর সাথে দেখা করে যা কেমন।


শিখা:-না খালা পরীর সাথে দেখা করলে পরী আমাকে যেতে দিতেই চাইবে না।


এইভাবে আরো কিছু কথা বলে শিখা ওর জিনিসপত্র নিয়ে বাসাই চলে যায়,এইদিকে পরী আর রাসেল খাবার খাওয়ার জন্য নিচে আসে।

রাসেল তো খাবারে আইটেম দেখে পুরাই অবাক এতো খাবার কে খাবে।


পরীর মা:-আসো বাবা বসো,আর বেশি কিছুর ব্যবস্থা করতে পারিনি কিছু মনে করিও না।


রাসেল:-আম্মা বেশি কিছু করতে পারেন নাই তাই আমার কাছে মনে হচ্ছে যে বাজারে আর কিছু বাকি মনে হয় নাই।


পরীর মা:-হাহাহা বাবা এইটা সামান্য কিছু আচ্ছা বসো আমি খাবার দিচ্ছি।


পরী:-আচ্ছা আম্মু সেই কখন থেকে আমি লক্ষ্য করতেছি শিখা বাসাই নেই,কোথায় গেছে ও।


পরীর মা:-ওহহহ আর বলিস না শিখার নাকি বাসাই কি একটা জরুরি কাজ পরেছে তাই চলে গেছে,তোকে বললে যেতে দিতিনা দেখে তোকে বলে নাই।


পরী:-শাকচুন্নি গেছে না ভালো হয়েছে,ঐ পেত্নির নজর খারাপ মনে মনে, ওহহহহ আচ্ছা বুঝলাম তাহলে।


এইদিকে রাসেল ধিরে ধিরে খেতে শুরু করে,খেয়েই যাচ্ছে তো খেয়েই যাচ্ছে তবুও যেনো প্লেটের খাবার টাই শেষ করতে পারেনাই,এমন সময় দরজার কাছ থেকে কেউ একজন বলে ওঠে,,,,


   🌺❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣🌺

         - আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম-

         -ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে-

           -সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন-

                  ✍।।।।।।।।।।।।।।।।।।।✍

                       ........চলবে........

    🌺,আমার গল্প যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন,কপি করে নিজের নামে চালাবেন না,আর দয়াকরে গল্প লেখার মাঝে যদি কোনো ভুল ক্রটি হয়,তাহলে অবশ্যই ক্ষমার চোখে দেখবেন,কেননা ভুল না করলে জীবনে কিছু শেখা যায় না🌺

       🌺পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন🌺

🇧🇩বি.দ্র.প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেই গল্পের নতুন পর্ব পেয়ে যাবেন 🇧🇩

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post