বোরকাওয়ালি পতিতা পর্ব...... 12.... এবং শেষ

 গল্প : #বোরকাওয়ালি পতিতা
পর্ব...... 12.... এবং শেষ......
writer :- ..#Ariyan Aran
★★★
বৃষ্টি : -- থাক তোর কিছু বলতে হবে না ।
পরে বউ কে পেয়ে আবার আমাদের ভুলে যাইস না যেনো। 
আমি : -- কি যে বলিস না তোরা ।(লজ্জা) 
লামিয়া : -- হইসে আর ঢং দেখাতে হবে না যা তুই রেডি হয়ে আয় । আর তোর কোলে এই বাচ্চা টা কে । 
আমি : --ও... ওর ভাই.. (মেয়েটির দিকে ইশারায় দেখিয়ে দিলাম) 
লামিয়া : -- ওও আচ্ছা তাই বল আমি ভাবলাম অন্য কিছু । 
আমি : -- কি 
লামিয়া : -- কিছু না যা রেডি হয়ে আয় । 
তারপর আমি তনয় কে ওর বোনের কোলে দিয়ে চলে গেলাম রেডি হতে । 
খুব বেশি দেরি না করে তারাতারি রেডি হয়ে আসলাম । সেই পানজাবি টাই পড়ি যেটা গতকাল শপিংমল থেকে কিনে আনছিলাম। 
তারপর রেডি হয়ে বেরিয়ে আসলাম। মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে । 
লামিয়া:--দস্ত তোকে খুব সুন্দর লাগছে রে । 
আমি : -- হইসে আর পাম দিতে হবে না । 
বৃষ্টি : -- লামিয়া তো ঠিকই বলছে তোকে খুবই সুন্দর লাগছে । 
আমি : -- ওকে থ্যানকু... 
আমি মেয়েটার দিকে একবার তাকাইলাম । দেখলাম মিটি মিটি হাসতাছিলো।
তাই আর কিছু না বলে বেরিয়ে পরলাম । গন্তব্য কাজি অফিস যা শুধু আমি আর আমার বন্ধুরা যানে মেয়েটা এখনো জানে না । 
ওকে এখনো বলিনি যে আজকে ওকে বিয়ে করবো । সবাই গাড়িতে চড়ে বসলাম। কিছুক্ষন পর কাজী অফিসে চলে আসলাম।
মেয়েটা গাড়ি থেকে নেমে অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন 
মেয়েটি : -- এখানে কেনো আনলে । 
আমি : -- এখানে লোকে কেন আসে। 
মেয়েটি চুপ হয়ে গেলো বুজতে পারলাম ওর খুব ভয় হচ্ছে কেনো তা আমি জানি না কিন্ত ওর চোখ মুখে একটা ভয় এর ছাপ দেখতে পেরেছিলাম।
আমি :-- কি হলো চুপ করে আছো যে ।
মেয়েটি : -- না মানে কি বলবো বুজতে পারছি না । তুমি আমাকে আগে বলোনি কেন। 
আমি : -- আগে বললে তুমি কোনোদিন ও রাজি হতে না । আমি জানি । 
তাই বন্ধুদের বলে সব ব্যবস্তা করে রাখছি।
মেয়েটি আর কোনো কথা বললো না । 
তারপর চলে গেলাম ভিতরে সবাই। 
ভিতরে গিয়ে দেখলাম বন্ধুরা সব হাজির । 
মাঝখান থেকে রাকিব বলে... 
রাকিব :-- দস্ত ভাবি দেখতে কিন্ত সেই ।
আমি: -- হারামি নজর দিবি না তোর ভাবি লাগে । 
রাকিব :-- হমমম
তারপর সবাই কে সাক্ষী রেখে কাজি সাহেব আমাদের বিয়ে করিয়ে দিলেন। 
সবাই অভিন্দন জানিয়ে বিদায় নিলো। পরে আমি আর মেয়েটা গাড়িতে গিয়ে বসলাম । পুচকু টা ওর আপুর কোলেবসে আছে ।
মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে বুজতে পারলাম ওর মধ্যে এখনো ভয় কাজ করছে। 
তাই আমি ওর হাতটি ধরে বললাম
আমি:-- ভয় পেয়েনা আমি আছি তো তোমার পাশে । সব সময় সব পরিস্তিতে তোমার পাশে থাকবো কথা দিলাম।
মেয়েটা আমার কথা শুনে কিছুটা স্বস্তির নিস্বাশ ফেলে.. । 
তারপর আপন মনে গাড়ি চালাতে লাগলাম। গন্তব্য বাড়িতে যাওয়া ।
কিন্ত কে জানতো বাড়িতে আমার জন্য আরেকটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে ।
চলুন জানা যাক.. কি সেটা... 
আপন মনে গাড়ি চালাচ্ছি । দুজনেই চুপচাপ । আমি এইভেবে খুশি যে মেয়েটাকে সারাজিবন এর জন্য আপন করে পেলাম । কিন্ত মেয়েটাকে তেমন একটা খুশি দেখছিনা । কারন ও এইভাবে আমাকে বিয়ে করতে চায়নি । ও চেয়েছিলো আমার আব্বুর অনুমতিতে আমাদের বিয়েটা হোক... ।
কিন্ত মেয়েটা তো জানে না । আব্বু এই বিয়েটা মেনে নিবে না তাই তারাহুড়া করে বিয়েটা করতে হলো । 
মেয়েটার এভাবে চুপচাপ থাকা । আমার একটু ও ভালো লাগছে না । সব সময় দুষ্টুমি ও হাসি ঠাড্ডা করা মেয়েরা যদি মুখ গোমড়া বসে থাকে তাহলে কেমন লাগে আপনারাই বলুন ।
যাক সেইসব কথা বাদ দেন.. 
আপন মনে গাড়ি চালাতে চালাতে বাড়ির সামনে চলে এসেছি । 
আরে একি এইটা তো আব্বু র গাড়ি । কিন্ত আব্বুর গাড়ি এখানে কেনো । আব্বুর তো এখন বিদেশে থাকার কথা । 
তাহলে গাড়িটা এখানে কি করে এলো ।
তারমানে কি আব্বু..... 
না আর কিছুই ভাবতে পারছি না । সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে । এখন আমার ও ভয় হচ্ছে । গেটের সামনে গাড়ি থামালাম। গাড়ির হন শুনে দারোয়ান কাকা গেট খুলে দিলো... 
ভেতরে গাড়ি দাড় করিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দারোয়ান কাকা কে জিজ্ঞেস করলাম.....
আমি :-- কাকা কে এসেছে বাড়িতে 
দারোয়ান কাকা :-- বড় সাহেব এসেছেন ।
আমি : -- আচ্ছা ঠিক আছে.. 
দারোয়ান কাকা আবার গেটের সামনে চলে গেলেন ।
আব্বুর কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। পায়ের তলা থেকে মাঠি সরে গেলো মনে হয় । 
মনের মধ্যে ভয় টা আরো দিগুন বেড়ে গেলো । 
এখন কি করবো কিভাবে আব্বু কে রাজি করাবো । 
এসব ভাবতে ভাবতে মেয়েটাকে নিয়ে ভেতরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম ।প্রতিটা পদক্ষেপে একটা অজানা ভয় কাজ করছে না জানি কি করেন ওনি । 
মেয়েটার দিকে একবার তাকালাম । আব্বুর কথা শুনে মেয়েটির মুখে কোনো ভয়ের ছাপ দেখতে পেলাম না । এই বিষয়টা আমকে ভাবাচ্ছে। 
আর তনয় তখনো ওর আপুর কোলে । তনয় ও আজকে কোনো কথা বলছে না । পুচকুটা আজকে চুপচাপ হয়ে ছিলো।
অবশেষে দরজার সামনে এসে দারালাম । কলিং বেল টা আর চাপতে হলো না । দরজা আগে থেকেই খোলা ছিলো । ভয়ের মাতরা আরো দিগুন বেড়ে গেলো ।
আমি আর মেয়েটা ভেতরে গেলাম। গিয়ে দেখি আব্বু সোফায় বসে আছেন।ওনাকে দেখে আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে । বার বার ঢোক গিলছিলাম। 
হঠাৎ তনয় ওর আপুর কোলে থেকে নেমে আংকেল আংকেল বলে দৌড়ে গিয়ে আব্বুর কোলে উঠে পরলো ।আব্বু তনয় কে হাসি মুখে কোলে তুলে নিলো। 
কি হলো কিছুই বুজতে পারলাম । আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখি মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে । কিন্ত পুচকুটা আমার আব্বু কে কিভাবে চিনে । আর মেয়েটাই বা হাসচ্ছে কেনো । কিছু তো একটা রহস্য আছে । কিন্ত কি সেটা জানতে হবে । ভাবনায় পড়ে গেলাম । 
তনয় এর গলার আওয়াজ শুনে ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে এলাম।
তনয় :-- আংকেল আংকেল আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন। 
আব্বু :-- তোমার জন্য চকলেট আনতে গেছিলাম। এই নাও তোমার চকলেট।
আব্বু পুচকুটার হাতে চকলটে দড়িয়ে দিলো। 
আর পুচকুটা তো মহা আনন্দে চকলেট খেতে শুরু করলো। আব্বু তাকে সোফায় বসিয়ে দিলো। 
তারপর আব্বু আমার সামনে আসলেন। রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছেন । আমার দিকে । আমি ভয়ে মাথা নিচু করে ফেললাম। কিন্ত আব্বু তনয় কে কিভাবে চিনে তা এখনো আমার অজানা রয়ে গেলো। 
আব্বু : -- কিরে হতছারা ভয় পাইসিছ ।
আমি : -- না মানে আব্বু সরি আমাকে মাফ করে দাও আমি তোমার অনুমতি ছারা বিয়েটা করতে চায়নি । কিন্ত আমি এই মেয়েটাকে ভালোবাসি তাই তোমার পছন্দ করা মেয়েকে । মেনে নিতে পারি নি।
আব্বু : -- আরে হতছারা ওইটা তো এমনি বলেছিলাম। আর এই বিয়েটা তোর না আমার ইচ্ছাতেই হইসে ।
আব্বুর কথা শুনে আমার মনে মধ্যে থাকা প্রশ্নের পাহাড় টা আরো বেড়ে গেলো। 
আমি আব্বুর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম। 
আমি: -- মানে কি বলছো তুমি তোমার ইচ্ছে তে হইসে মানে..?? 
আব্বু : -- মানে হচ্ছে এই সেই মেয়ে যাকে আমি তোর জন্য পছন্দ করেছিলাম। আর ওকে.. বলেছিলাম। তোকে ওর ভালোবাসার ফাদে ফেলতে । তারপর বিয়ে করতে । আমি বললে তো আর বিয়ে করতি না । তাই প্ল্যান করে তোদের দুজনকে বিয়ে দিয়ে দিলাম । 
আব্বুর কথা টা শুনে আমার কি রকম রিয়েক্ট করা উচিৎ তা আমার জানা নেই । আমি মেয়েটির দিকে একবার তাকিয়ে দেখি ও মিটি মিটি হাসছে ।
আমি : -- আব্বু কি বলছো কিছুই বুজতে পারছি । একটু বুজিয়ে বলবে । এরপর আব্বু যা বলল.. তা শুনে আমার পুরো পৃথিবীটা উলট পালট হয়ে গেলো। 
আব্বু : -- বুজলি না তো আচ্ছা সোন তাহলে । তোর মনে আছে আজ থেকে ছয়মাস আগে আমি ব্যবসার কাজে কুমিল্লা গিয়েছিলাম। 
সেদিন আমার জিবনের সব থেকে খারাপ দিন ছিলো। 
সেদিন প্রায় দুপুর দুইটা বাজে । গাড়ি চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার মাথাটা কেমন ঘুরতে শুরু করলো। আর তুই তো জানিস আমার এমনিতেই পেসারের প্রবলেম আছে । তো সেদিন যখন মাথাটা ঘুরাচ্ছিলো। তখনই আমি গাড়ির উপর থেকে নিয়ন্তন হারিয়ে ফেলি। 
তো গাড়িটা মেনরোড থেকে ঘুরে সোজা ফুটপাতে উঠে পরে । সেখানে একজন ভদ্রমহিলা আর একজন ভদ্রলোক হাটছিলো। নিজের অজান্তেই গাড়িটা ওনাদের উপর দিয়ে চলে যায় । আমি ব্রেক মারালাম । ততোক্ষনে ওনারা দুজনেই মৃত্য বরন করেছেন। খোজখবর নিয়ে ওনাদের বাড়িতে গেলাম। লাশ দুইটা দেখে তোর পাশে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটা । কান্নায় ভেঙে পড়ে । সেদিন নিজেকে খুব বড় অপরাধী মনে হয়েছিলো রে আমার জন্য দুইটা বাচ্চা ছেলে মেয়ে এতিম হয়ে গেলো। এর জন্য আমি নিজেকে আজোও ক্ষমা করতে পারিনি । আর হয়তো কোনোদিন ই পারবো না । আমি মেয়েটার আত্নীয় স্বজনদের সব কিছু খুলে বলি। আর বলেছিলাম । চাইলে ওনারা এখন আমাকে পুলিশে দিতে পারেন । কিন্ত ওনারা খুব ই লোভী প্রকৃতির লোক ছিলেন। ওনারা আমার কাছে থেকে টাকা নিয়ে আমাকে চলে যেতে বললেন । তখন আমার কোনো উপায় ছিলো না ওনাদেে কথা শোনা ছারা । তাই বাধ্য হয়ে ওনারা যা চেয়েছেন তাই করেছি। যাওয়ার আগে ওনাদের একবার বলেছিলাম। ছেলেমেয়েদের আমি আমার সাথে করে নিয়ে যাই ওদের সব ভোরন পোষন এর দায়িত্ব আমি নেবো ।কিন্ত ওনারা সাফ মানা করে দিছেন । তাই আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে গেলাম অফিসে ।
ঠিক তার কিছুদিন পর আমি কুমিল্লার একটা বাজারে গিয়েছিলাম একটু বাজার করতে । গিয়ে আমার সাথে দেখা হয় মেয়েটার আমি তার কাছে সেদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম। সে কেমন আছে । কিভাবে আছে । তার আত্নীয় স্বজনরা তাদের ঠিকমতো খেয়াল রাখে তো । পরে মেয়েটা আমাকে সব কিছু খুলে বলে । তার কথা শুনে আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নি । নিজেকে নিজের কাছে ছোট মনে হয়েছিলো। আজ আমার জন্য দুইটা বাচ্চা ছেলে মেয়ের জিবন এইভাবে ধংস হয়ে যাবে তা আমি কোনোদিন ই মেনে নিতে পারবো না । তাই আমি তোকে বলেছিলাম আমার সাথে আসতে । কিন্ত সে তার আত্নীয় স্বজনদের ভয়ে কিছু করতে রাজি হচ্ছিলো না । পরে আমি তাকে বলেছিলাম। আমি তোমাকে প্রাপ্য মযাদা দিয়ে আমার বাড়িতে নিয়ে যাবো । সাথে তোমার ভাইকেও । মেয়েটা কিছুতেই রাজি হতে চাইছিলো। না পরে তাকে অনেক বুজিয়ে সুজিয়ে একদিন রাতের অন্ধকারে মেয়েটাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসি ঢাকায় । সেদিন. মেয়েটাকে কথা দিয়েছিলাম। আজ থেকে তার ভাই এর এবং তার সব কিছুর দায়িত্ব আমার । আর সেদিন ই তার সাথে তোর বিয়ে ঠিক করি । 
কিন্ত তুই যেই বখাটে ছিলি । আমি বললে তুই কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি হতিস না । তাই আমি মেয়েটাকে বলি তোকে তার প্রেমের ফাদে ফেলতে । আর মেয়েটা ও তোকে প্রথম দেখতেই লাইক করেছিলো।
তাই সেদিন রাতে ওকে তোর কাছে আমি পাঠিয়েছিলাম। 
কারন আমি জানি তুই সেদিন রাতে গাড়ি নিয়ে যেতে ভুলে গেসিলি। আর তুই কোন রাস্তা দিয়ে আসিস তা আমার ভালো করেই জানা আছে । এরপর থেকে কি হয়েছিলো । তা তো সবাই জানে । আর হে ওর ভাই সত্যি অসুস্ত ছিলো। পরে আমি তাকে আমাদের ফ্যামিলি ডাক্তারের ক্লিনিক এ ভতি করি । আর তোর ডাক্তার আংকেল ও সব কিছু জানতো আগে থেকে। 
এখন বুজলি... তুই তোর ইচ্ছায় না তুই আমার ইচ্ছায় বিয়ে করেছিস । 
আমি থ মেরে দারিয়ে রইলাম। কি বলবো বুজতে পারছিলাম । মেয়েটির দিকে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা কাদছে । 
আমি : -- আব্বু তোমরা সবাই মিলে আমার সাথে এত বড় একটা গেম খেললে।
আব্বু : -- হমম খেললাম তো কি হইসে তুই মেয়েটাকে ভালোবাসিস আর এখন ত ও তোর বউ ওর দিকে সব সময় খেয়াল রাখবি । ওর যাতে একটু ও কষ্ট না হয় । 
আমি : -- আমার আর কিছু বলার নেই ।
আব্বু : -- তোর কিছু বলতে হবে না যা বৌমাকে নিয়ে ভেতরে যা । 
আমি : -- আচ্ছা । 
এর মধ্য মেয়েটা কাদতে কাদতে আব্বুকে জরিয়ে ধরলো। 
আব্বু :-- আরে আরে একি করছো কাদছো কেন.. কান্না থামাও । নতুন বউ এর চোখে জল একদম ই মানায় না।
মেয়েটি আরো জোরে কান্না করতে লাগলো। 
আব্বু তার চোখের পানি মুছে দিলেন আর বললেন... 
আব্বু : -- আর কোনোদিন ও তোমাকে কাদতে হবে না আমার জন্য তোমার জিবন থেকে অনেক কিছু হারিয়ে গেছে । পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও... 
মেয়েটা : -- একি করছেন আপনি আমি তো আপনার কাছে আজিবন রিনি হয়ে থাকবো । কারন আমার মা বাবা বেছে থাকলেও হয়তো এতটা করতে পারতো না । যটতা আপনি আমাদের দুভাই বোনের জন্য করেছেন । 
আজ হয়তো আমার মা বাবা আমাদের দুই ভাই বোনকে দেখে খুব খুশি । যে আমরা একটা নতুন বাবা পেয়েছি । যিনি খুবই ভালো মানুষ আর মহান একজন ব্যক্তি । 
আব্বু : -- হইসে মা থাক আর বলতে হবে না । এখন বলোতো এই পাজিটা কি তোমাকে কষ্ট দিসে। 
আমার দিকে ইশারা দিয়ে বললেন । আমি ও আজকে খুব খুশি । কেনো জানি না মনের মধ্যে খুশির ঝড় বয়ে গেলো। 
মেয়েটা : -- হমমম বাবা আপনার ছেলে আমাকে অনেক জালাইছে । 
আব্বু : -- কি সত্যি আচ্ছা দাড়াও... 
এই হতছারা এদিকে আয় । 
আমার দিকে তাকিয়ে ডাক দিলেন । 
আমি সামনে গেলাম। মনে মধ্যে খুশিতে ডিসকো ডান্স দিতাসি ।
আমি : -- জ্বি আব্বু বলো ... 
আব্বু : -- এখুন্নি বৌমার কাছে ক্ষমা চা বলছি । 
আমি : -- কি করলাম আবার । ক্ষমা চাইবো কেন ।
আব্বু : -- তুই বৌমাকে কষ্ট দিয়েছিস তার জন্য ক্ষমা চা 
অবশেষে বাধ্য হয়ে তার কাছে সরি বলতে হলো। 
দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেলো । আব্বু আমাদের দুজনের জন্য একটা রুম আলাদা ভাবে সাজালো। আর তনয় কে নিয়ে ওনি ওনার সাথে নিচের রুমে গেলেন। অবশেষে বাসর ঘরে ডুকে পরলাম। 
বাসর ঘরে ডুকেই আমার চোখ কপালে উঠে গেলো। 
মেয়েটা এখন আবার কালো বোরকা পরিধান করে খাটের ওপর বসে আছে । 
আমি : -- কি বেপার হঠাৎ বোরকা পড়লা যে । 
মেয়েটি : -- নামাজ পরতে হবে তাই । যাও গিয়ে রেডি হয়ে আসো । দুজনে একসাথে নামাজ পরবো । 
আমি আর কোনো আপত্তি না করে ওযু সেরে আসলাম তারপর দুজনে নামাজ পরলাম। 
নামাজ শেষে দুজনেই বিছানায় বসে আছি । 
আমি : -- কি হলো কথা বলছো না কেনো । 
মেয়েটি : -- কি আর বলবো তোমার মতো একটা হেবলা মারকা ছেলে কে বিয়ে করে । আমার কপাল পুরলো । (মুখ ভেঙিয়ে) 
আমি তো অবাক.... 
আমি : -- মানে কি..😱
মেয়েটা : -- মানে তুমি আমাকে একটু ভালো বাসো না আদর ও করো না তাই😚 
আমি : -- ওও তাই বুজি । তা আমার বোকরা ওয়ালি কে একটু দেখি তারপর আদর করবো । 😚 
মেয়েটা : -- দেখে নাও.. 😒 
আমি আস্তে করে হাত বাড়িয়ে তার মুখের কাপর তুলে দিলাম। মনে হলো স্বগের কোনো পরি আমার সামনে বসে আছে । নিজেকে সামলাতে পারছি । 
ওর গালে হাত দিতেই বলে উঠলো।
মেয়েটি : -- এই কি করছো একদম দুষ্টুমি করবে না (লজ্জা স্বরে) 😷
আমি : -- দুষ্টুমি না একটু ভালোবাসবো । 
তারপর আমি ওর বুকের ওপর শুয়ে পরলাম। লাইট ওফ.. ‌।. 
পরে তাদের ভিতরে যেইটা হইছে....সেইটা জানতে চাইলে বিয়া কইরা ফালান.....
l
------------সমাপ্তি ------------
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post