#ভাবির_বোনের_অপবাদ
#পর্ব_৩
#writer_sinno (কপি নিষেধ)
প্রিন্সিপালের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেই বের হব তখনই দেখি নিঝুম আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমি মাথা টা ঘুরিয়ে ওর সামনে থেকে চলে আসলাম। ও পিছন থেকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছিল আমাকে কিছু বলতে চায়।
আমি কলেজ থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে সোজা আবার রেল স্টেশনে চলে গেলাম। একটা টিকিট কেটে ট্রেনে আবার ইট পাটকেলের শহরটাতে ফিরে এলাম।
এসে চাচার সাথে দেখা করে মেছে চলে গেলাম। পরেরদিন কাছাকাছি একটা কলেজে ভর্তি হয়ে গেলাম। সেখান থেকে এসে দোকানে কাজ শুরু করে দিলাম। আর চাচার কাছে এটাও বললাম যে আমি সপ্তাহে দুদিন ক্লাস করব।
চাচা আমার ইচ্ছে মতো করতে বলেছিল। কিন্তু আমার বিবেকে তা বাধা দেয়। কারণ লোকটা আমার জন্য অনেক করেছে যা হয়তো এই শহরের কেউ করে না।চাচা আমাকে মাসে ৮০০০ টাকা দেন।তার মধ্যে ৫০০০ টাকা মেসের খরচ বাকি টা দিয়ে অন্যকিছু করি।
পরেরদিন নতুন কলেজে গেলাম। কিন্তু কারো সাথে কথা বলতে পারছি না। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর ক্লাসে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসলাম। হঠাৎ দরজার দিকে চোখ পড়তেই দেখি সিনথিয়া একদল মেয়ে নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করল।
তখনই আমি তাড়াতাড়ি করে মাথা নিচু করে নিলাম। স্যার এসে পরিচয় করিয়ে দিলে।সিনথিয়া আমাকে দেখে ভ্রু কুচকে তাকালো।আর মনে মনে একটা শয়তানি হাসি দিল।এরপর আরও ২টা ক্লাস শেষে, টিফিনের সময় ক্যান্টিনে চলে গেলাম।
আমি একটা রুটি আর কলা নিয়ে একটা টেবিলে বসে পড়লাম। তখনই দেখি সিনথিয়া আমার সামনে এসে বসে আছে। আর আমি ওর দিকে কিছু খেয়াল করিনি।হঠাৎ সিনথিয়া বলে ওঠলো, "আমাকে টিফিন শেয়ার করবে না।"
আমিঃ আপনি শুধু রুটি কলা খাবেন?
সিনথিয়াঃ না, খেলে বলতাম নাকি?
এরপর আমি আরো দুটো কলা রুটি নিয়ে আসলাম।আর সিনথিয়া কে উদ্দেশ্য করে, " এই নিন,এবার খেয়ে নেন।
আমি যেই খেয়ে ওখান থেকে আসতে যাব তখনই ও বলতে লাগলো, " ওই আমাকে ফেলে কোথায় যাচ্ছো?
আমিঃ আজ তো নতুন তাই কলেজ টা একটু ঘুরে দেখি।
সিনথিয়াঃ দারাও তোমার সাথে আমাকে নিয়ে যাও।
এরপর সিনথিয়া আমার সাথে রুটি কলা খেতে খেতে ও হাটতে শুরু করল।
সিনথিয়াঃ আজকে কলেজে আসলে যে।
আমিঃ না, আসলে চাচার কাছে বলেছি ২ দিন সপ্তাহে ক্লাস করব। তার জন্য এই দুইদিন ছুটি কাটাব।আর বাকি দিন গুলোতে কাজ করব।
সিনথিয়াঃ তুমি আমাদের বাসা থেকে চলে আসলে কেন?
আমিঃ এমনি। একটা অপরিচিত লোক আপনাদের বাসায় থাকলে কেমন দেখায় না।সবাই এতে আপনাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে পারে। তাই মেসে চলে আসলাম ।
সিনথিয়াঃতুমি না অনেক বেশি বুঝ।
আমিঃ আমি আবার কি করলাম।
সিনথিয়াঃ থাক কিছু না।আমরা বন্ধু হতে পারি?
আমিঃ আমার সাথে আপনি বন্ধু হবেন? আমি তো একটা বাটপার। আর এই বাটপারের সাথে বন্ধুত্ব করলে আপনার ক্ষতি হতে পারে।
সিনথিয়া এবার মাথা টা নিচু করে ফেললো। আর বলতে লাগলো, " নেহাল সরি,আমি আর কখনো তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করব না।( অনেকটা অনুতপ্ত হয়ে)
আমিঃ আরে কি বলছেন? আপনার জায়গায় অন্য কেউ হলে ঠিক এ কথাই বলতো।
সিনথিয়াঃ সরি তো আর কখনো বলবো না।
আমিঃ আচ্ছা, বন্ধু তো হওয়াই যায়।
সিনথিয়াঃ কাল আসবে না?
আমিঃ হুম।শনিবার আর রবিবার কলেজ করব।
সিনথিয়াঃ আমি বাবাকে বলে আরও একদিন বাড়িয়ে দেই।
আমিঃ না তার দরকার নেই। চাচা আমাকে মাস শেষে টাকা দেন।তারপর লেখাপড়ার করার জন্য সপ্তাহে ২ দিন ছুটিও দেন।
সিনথিয়াঃ আচ্ছা, তুমি যা ভালো মনে কর।
তারপর বাকি ক্লাস শেষে কলেজ গেটে গিয়ে দেখি সিনথিয়া রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যেই আমাকে সিনথিয়া দেখলো তখনই ডাকা শুরু করল, " নেহাল এদিকে এসো।"
আমিঃ কিছু বলবে?
সিনথিয়াঃ রিকশায় ওঠো।
আমিঃ আরে না আমি যেতে পারব।আর তোমার বাসাতো ওদিকে আমি তোমার সাথে যাবো কেন?
সিনথিয়াঃ বাবার সাথে দেখা করে যাব।তুমি ওঠো।
আমি আর কিছু না বলে ওর সাথে ওঠে বসলাম। সিনথিয়া দেখলো আমি কিছুটা দুরে সরে গেলাম। তখন ও বলতে লাগলো, " আরে পরে যাবে তো এতোটা চেপে আছো যে।
আমিঃ ঠিক আছি। আমার সমস্যা নেই।
এবার সিনথিয়া আমাকে এক টান দিয়ে ওর হাত আমাকে বসির মতো আটকিয়ে ধরল। যেই আমি ওর দিকে তাকাব তখনই ও আমার মুখে আগুন দিয়ে বললো, "একদম চুপ, তেমার একটা কথাও শুনতে চাই না"।
আমি আর কোন কথা বলতে পারলাম না।ও আমার কাদে শুয়ে পড়ল।আমি শুধু ওর কান্ড দেখে যাচ্ছি।
কিছুক্ষন পর দোকানের সামনে চলে গেলাম। তখন আমি বললাম, " এখন তো আমাকে ছাড়াও নয়তো তোমার বাবা আমাকে এই শহর ছাড়া করবে।"
এরপর সিনথিয়া একটা মুচকি হাসি দিয়ে ছেড়ে দিয়ে বললো, "এতো ভয় পেলে বাবাকে আমাদের কপ বলবে কিভাবে?"
আমিঃ আমাদের কথা মানে?
সিনথিয়াঃ (আবারও হেসে) কিছু না।রিকশা থেকে নামো।
সিনথিয়া আর আমি রিকশা থেকে দোকানে চলে গেলাম।চাচা আমাদের দেখে বললেন, " কিরে তোরা একসাথে? "
সিনথিয়াঃ বাবা, আমরা একই কলেজের এক ক্লাসে পড়ি।
চাচাঃ ও তাহলে তো ভালো। আর তুই আজ আমার দোকানে(সিনথিয়া কে উদ্দেশ্য করে)? কখনো তো আসতি না।
সিনথিয়াঃ কেন আসতে পারি না?
চাচাঃ আমি কি তা বলেছি?আমার মেয়ে আসবে নয়তো কে আসবে?
সিনথিয়াঃ তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছিল তাই চলে আসলাম।
চাচাঃ পাগলি একটা।
আমিঃ চাচা আমি তাহলে যাই।
সিনথিয়াঃ বাবা,আমি নেহালের মেসটা ওর সাথে ঘুরে আসি?
চাচাঃ ওর সাথে যাবি? আচ্ছা, যা।
আমি সিনথিয়ার কান্ড দেখে অবাক হচ্ছি। ও আবার আমার সাথে যেতে চাচ্ছে। এই মেয়ের আবার কি হলো কে জানে।হঠাৎ সিনথিয়া বলে ওঠলো," কি হলো চল"।
এরপর আর কিছু না পেরে ওকে নিয়ে মেসে চলে গেলাম। ও আমার ছোট রুমে আমার সাথে আসলো।আমার রুম দেখে সিনথিয়া আমাকে বলতে লাগলো, " আচ্ছা, এখানে কে থাকে?"
আমিঃ কেন? মানুষ থাকে।
সিনথিয়াঃ আমার তো মনে হয় এটা কোন পশুর গোয়ালঘর।
আমিঃ কিহ আমি পশু?
সিনথিয়াঃ( আমার সামনে এসে মাজায় হাত দিয়ে)তা নয় কি, শুনি?
আমি আর কিছু বললাম না।ওকে দেখলে পুরো ছেলেদের মতো মনে হয়।এরপর ও আমাকে রুম থেকে বাহির করে দিয়ে বললো, " এখানে দাড়িয়ে থাক,আমি না বের হওয়া পর্যন্ত।
কিছুক্ষণ পর সিনথিয়া রুম থেকে বের হয়ে এসে আমাকে ভিতরে যেতে বলে আমি রুমে গিয়ে তো পুরাই অবাক ১৫ মিনিটে আমার রুমের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে।
সিনথিয়া এবার বললো, " আর কখনো যদি আগের মতো গোয়ালঘর করে রাখো তাহলে তোমার খবর আছে। চল, আমাকে এগিয়ে দিয়ে আসো।আচ্ছা, তোমার নাম্বার টা দাও?
আমিঃ মোবাইল নেই।
সিনথিয়াঃ ও আচ্ছা চল।এগিয়ে দিয়ে আসো।
এরপর সিনথিয়াকে রিকশায় তুলে দিলাম। ও চলে গেল। আর আমি মেসে চলে আসলাম।
পরেরদিন কলেজে টিফিন টাইমে যে আমি খাবার কিনতে যাব।তখন সিনথিয়া আমাকে হাত ধরে একটা টেবিলে নিয়ে আসে।
আমিঃ এভাবে আনলে কেন? আমি টিফিন খাব তো।
সিনথিয়াঃ কথা না বলে চুপচাপ বসো।(এরপর সিনথিয়া একটা বক্স খুলে আমার সামনে দিয়ে) যতটা পার খেয়ে নাও।
দেখলাম ও বিরিয়ানি রান্না করে এনেছে।আমি যখনই কিছু বলতে যাব তখন ও বললো, " এই এতো কথা বলো কেন? যা বলছি তাই কর।"
আমি এবার খেতে শুরু করলাম। আর সিনথিয়া আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ কিছু মেয়ে এসে বলা শুরু করলো," আহারে দুলাভাই কে খাইয়ে দে না। তার নিজ হাতে খেতে কষ্ট হয় না বুঝি।"(হাসতে হাসতে বললো)
আমি ওদের কথা শুনে গলায় খাবার আটকিয়ে গেল। তখন সিনথিয়া তাড়াতাড়ি আমাকে পানি দিয়ে। ওর বসা চেয়ার টা যেই তুলতে যাবে, তারমধ্যেই সব গুলো উদাও।আট বকতে লাগলো," শাঁকচুন্নি, পেতনি গুলো।দেখিস তোদের একটার ও বিয়ে হবে না।
এবার আমি বললাম, " আমার খাওয়া শেষ। আমি ক্লাসে যাই।"
সিনথিয়া আক্ষি দুটো লাল করে বলতে লাগলো, " তুই এখান থেকে যদি উঠিস তাহলে তোর ঠেং ভাংবো।
আমিঃ আমি কি করব?
সিনথিয়াঃ আমি এখন খাব।আর তুই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবি।
আমিও শিশুর মতো বসে রইলাম। আর আমার বক্সে রাখা বাকি খাবার গুলো ও খেতে লাগল।আমি ওর কাজ দেখে দিন দিন কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি। মনে মনে ভাবছি, " পাগল নাকি রে বাবা। আমার জুটা খাবার গুলো এভাবে খেয়ে নিচ্ছে। খাবার শেষে একটা টিসু দিয়ে ও তার হাত এবং আমার হাত মুছে দিল।
আর একটা বাটন মোবাইল আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো, " এই সিমে শুধু আমার নাম্বার আছে। আমি যদি কখনো অন্য কারো নাম্বার পাই তাহলে তোমার খবর আছে।
তারপর ওর থেকে মেবাইল টা নিয়ে ক্লাসে চলে গেলাম। ক্লাস শেষে মেসে চলে গেলাম।আর এভাবেই আমার জীবনের দিন গুলো কাটতে লাগলো।সিনথিয়া আমাকে এখন অনেক কেয়ার করে। ওর বাবাকে বলে আমাকে ওদের বাসায় আবার ফিরিয়ে নিয়েছে। আমাকে সকল কাজে সাহায্য করে। ও যে আমাকে অনেক ভালোবাসে তা আমি ভালো ভাবে ই বুঝতে পারি।অনেকবার পরোক্ষভাবে ও আমাকে ভালোবাসার কথা বলেছিল কিন্তু আমি তাতে গুরুত্ব দেইনি না বুঝার অভিনয় করে আসছি।আসলে আমি যে ওকে ভালোবাসি না তেমন টাও নয়।ওকে ছাড়া আমার চলাফেরা করতেও কষ্ট হয়।কিন্তু ওকে পাত্তা না দেওয়ায় কারণ আমি ওর বাবার সাথে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না।তিনি আমাকে এই অচেনা শহরটাকে চেনাতে সাহায্য করেছেন।
নিজের ভালোবাসা তার সাহায্যের কাছে কিছুই না।কারন আজ আমি এই প্রবাদ বিশ্বাস করি যে," পেটে ভাত না থাকলে ভালোবাসা বেড়ার নিচ দিয়ে পালায়।"
এভাবে ৫ বছর চলে গেল।এখন অনার্সের শেষ বর্ষে পড়ি।একদিন কলেজ থেকে আসার সময় সিনথিয়া আমাকে বলে," নেহাল তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে?"
আমিঃ বল।কি বলবে।
সিনথিয়াঃ দেখ নেহাল তোমাকে এই ৫ বছরে অনেকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি।কিন্তু তুমি বুঝার চেষ্টা করনি।তাই আমি সরাসরি আজ শেষবারের মতো তোমার বলছি," আমি তোমায় ভালোবাসি, নেহাল"।
আমিঃ এটা হয় না,সিনথিয়া।
সিনথিয়াঃ কেন হয় না? আমি কি দেখতে সুন্দর না? না তোমার যোগ্য নই।
আমিঃ দেখ সিনথিয়া, তুমি দেখতে অনেক সুন্দর। তোমাকে যেই ছেলে দেখবে সেই পছন্দ করবে।আর যোগ্যতার কথা বলছো।আরে আমার তো নিজেরই থাকার জায়গা নেই। আর যোগ্যতার তো সেখানে প্রশ্নেই ওঠে না।আর তোমার বাবার সাথে আমি এটা করতে পারব না।
সিনথিয়াঃ আমি এতো কিছু বুঝি না।তুমি আমায় ভালোবাসবে কিনা তা বল।
আমিঃ সম্ভব না,সিনথিয়া। আমাকে ক্ষমা করে দাও।
সিনথিয়া সেখান থেকে কান্না করতে করতে চলে গেল।আমিও মনটস খারাপ করে আছি। আমি যে সত্যি সিনথিয়া তোমাকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তু তোমার বাবার সাথে এটা আমি কিভাবে করতে পারি।প্লিজ, আমাকে একটু বোঝার চেষ্টা কর। আমি তোমাকে না বলতে চাইনি।
কিছুক্ষন পরে সিনথিয়াদের বাসায় চলে গেলাম। রাতে খাবার খাওয়ার সময় টেবিলে সিনথিয়া কে দেখতে পেলাম না। চাচি কে জিজ্ঞেস করলে বলতে লাগলো, আজ নাকি সিনথিয়া রাতে খাবে না।
আমিও কিছু টা খেয়ে রুমে চলে আসলাম। আর সিনথিয়ার কথা ভাবছি, মেয়েটা আমার জন্য আজ রাতে খেলো না।হয়তো, আমার প্রতি খুবই রাগ অভিমান করে আছে। থাক,একদিন বা দু'দিন এরকম টা করে সব ঠিক হয়ে যাবে।
পরেরদিন সকালে নাস্তা করতে গেলে দেখি সিনথিয়ার চোখ লাল হয়ে আছে।মনে হচ্ছে রাতে একটুকুও ঘুমায়নি সারারাত কান্না করে যাচ্ছিল।
সকালের নাস্তা করে, সিনথিয়া চলে গেল কলেজে আর আমি চলে গেলাম দোকানে। এভাবে আরও ৪/৫ দিন কেটে গেল।এখন সিনথিয়াকে খুবই হাসিখুশি দেখাচ্ছে ।
আজ আমি কলেজে যাব।তাই ব্রেকফাস্ট করে সিনথিয়ার জন্য অপেক্ষা করলাম। কিন্তু হুট করে সিনথিয়া আমাকে না নিয়ে একটা রিকশা নিয়ে কলেজে চলে গেল। আর আমি দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে রইলাম। আর ভাবছি এতো তারাতাড়ি পর হয়ে গেলাম। চোখ দিয়ে অনেক দিন পর একফোটা পানি পড়ল।
তখন ভাবতে লাগলাম, আরে আমি কেন কান্না করেছি।আমি তো আর ওর কেউ না।পরে আমিও একা কলেজে চলে গেলাম। কলেজে গিয়ে দেখি সিনথিয়া কয়েক টা ছেলের সাথে হেঁসে কথা বলছে। আমাকে দেখে আরো জোরে হাসতে লাগলো। মনে হচ্ছে, আমি কোন হাসার জোকার। পরে সোজা ক্লাসে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে অন্যদের নোট করা খাতা গুলো একটু দেখতে লাগলাম। কারণ কিছুদিন পর আমার ফাইনাল পরীক্ষা যেভাবে হোক। ভালো ফলাফল করতেই হবে।আমার নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে।
কিছুক্ষণ পর ক্লাসে সবাই চলে আসলো।একে একে ক্লাস শেষ হয়ে টিফিন টাইম চলে আসলো।আমি ক্যান্টিনে গিয়ে দেখি সিনথিয়া একটা ছেলের........